05-09-2023, 02:13 AM
(This post was last modified: 22-10-2023, 01:48 PM by Rupuk 8. Edited 7 times in total. Edited 7 times in total.)
পর্ব -১০
আবির পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট টা বের করে মাহীনের হাতে দিলো । মাহীন তুই সিগারেট আর কোল্ড ডিংকস খা । এদিকে বিকাল হয়ে গেছে শমিক বাবু দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ঘুম দিয়েছিলেন । কি গো বিকাল তো হয়ে গেলো । তোমাকে না বললাম ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো । তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হয়ে নাও । শুধু শুধু ডাক্তারের কাছে যেয়ে কি হবে বলতো । আমি তো ঠিকই আসি । ঘোড়ার ডিম ঠিক আসো তুমি । নিজের শরীরের অবস্থা দেখে বুঝতে পারছো না তুমি ঠিক নেই । আর কোনো কথা না বলে রেডি হয়ে নাও আমি রেডি হয়ে গেছি । শমিক বাবু বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে ঢুকলো । শমিক বাবু বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর রেডি হতে লাগলেন এমন সময় ছায়া চা নিয়ে রুমে প্রবেশ করলেন । বাহ তাড়াতাড়ি তো দেখছি রেডি হয়ে গেলে চা টা শেষ করে চলো যাওয়া যাক । হুম মাহীনকে বলছো যে আমাদের ফিরতে দেরি হবে । হুম আমি বলে দিয়েছি । বাপ্পিকে একটা কল দিয়ে আসার জন্য বলি । তোমার আর কষ্ট করা লাগবে না , ড্রাইভারকে অনেক আগেই কল করে আমি বলে দিয়েছি আসার জন্য । সে চলে এসেছে আমাকে কল দিয়েছিলো কিছুক্ষণ আগে । আমার চা খাওয়া শেষ তাহলে বের হই চলো । হুম চলো । বাসা থেকে বের হয়ে বাসার দরজা লক করে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলো ছায়া আর শমিক বাবু। নিচ নেমে তারা দেখতে পেলো তাদের ড্রাইভার বাপ্পি গাড়িতে বসে তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। তাদের দুজনকে দেখতে পেয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিলো বাপ্পী । দুজন গাড়িতে উঠে বসলো । ম্যাডাম কোথায় নিয়ে যাবো ? বাপ্পি একটু ডাক্তার ডা.সুশান্ত রায়ের ক্লিনিকে নিয়ে চলো ৷ ওকে ম্যাডাম । আমার তো কিছু হয় নাই তুমি দেখো তোমার শুধু শুধু সময় টা নষ্ট হবে তোমার । কিছু না হলে তো ভালোই হয় নিশ্চিন্তে আবার বাসায় ফিরে আসবো । কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি টা ক্লিনিকের সামনে এসে পড়লো । ম্যাডাম চলে এসেছি । ছায়া আর শমিক বাবু গাড়ি থেকে নেমে দাড়ালো । ক্লিনিকের গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকলো দুজনে । ভিতরে ঢুকে ছায়া রিসেপশনিস্টের সাথে কথা বললো । এক্সকিউজ মি । ইয়েস ম্যাম । আমার একটা এপয়েন্টমেন্ট ছিলো ডা.সুশান্ত সাথে । ম্যাম কার নামে এপয়েন্টমেন্ট ছিলো একটু বলবেন ? শমিক মুখার্জি । ম্যাম আমি একটু চেক করে নি । ইয়েস ম্যাম পেয়েছি এর পরের সিরিয়াল নাম্বার আপনাদের । ওকে ধন্যবাদ । একটু পর ডাক্তারের রুম থেকে আগের রোগী বের হয়ে যাওয়ার পর ছায়া আর শমিক বাবু ডাক্তারের রুমে ঢুকলেন ৷ বসুন । পেসেন্ট আপনি তাই না । হুম । ব্লাড প্রেশার টা চেক করি আগে । প্রশার তো অনেক লো । আপনাকে দেখে তো মনে হচ্ছে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেন না । জ্বি স্যার আপনি ঠিকই বলেছেন সারাক্ষণ খালি বিজনেস নিয়ে পড়ে থাকে, শরীরের প্রতি কোনো খেয়াল নেই ওর । খালি বিজনেস নিয়ে পড়ে থাকলে হবে শরীরের প্রতি তো নজর রাখতে হবে । আমি কিছু টেস্ট দিচ্ছি এগুলো করে নিয়ে আসেন । রিপোর্ট আসলে জানা যাবে তার শরীরের কন্ডিশন । ঠিক আছে স্যার আমি টেস্ট গুলো করে নিয়ে আসছি । ডাক্তারের রুম থেকে বের হয়ে আসলো ছায়া আর শমিক বাবু। এক এক করে টেস্ট গুলো করতে লাগলো । রিপোর্টের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে । অনেকক্ষণ পর রিপোর্ট গুলো হাতে এসে পৌঁছালো ছায়ার । রিপোর্ট গুলো দেখানোর জন্য আবার ডাক্তারের রুমে ঢুকলো ছায়া আর শমিক। বসুন রিপোর্ট পেয়ে গেছেন সব গুলো । জ্বি স্যার । দিন রিপোর্ট গুলো একটা একটা করে রিপোর্ট দেখতে লাগলো ডাক্তার । আমার মনে হয় তিনি অনেক দুশ্চিন্তা করেন । জ্বি স্যার সারাক্ষণ বিজনেস নিয়ে দুশ্চিন্তা করে । আপনি অনেক ভালো কাজ করছেন তাকে আগে থাকতেই ডাক্তার নিয়ে এসে । রিপোর্ট যা দেখলাম আপনি তাকে একটা বড় হার্টের ডাক্তার দেখান । কেনো স্যার ? হার্টের রক্তনালিতে ব্লক খুবই জটিল সমস্যা । সময়মতো ধরা না পড়লে বিপদ হতে পারে । এটি এমন এক ধরনের রোগ, যার শুরুর দিকে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না । কিন্তু ক্রমাগত হার্টের ক্ষতি হতে থাকে এবং এক সময় রোগী হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে পড়ে । হার্ট অ্যাটাক মতো তো কিছু ঘটে যেতো আপনি যদি তাকে না নিয়ে আসতেন । এখন টেনশনের কিছু নাই হার্টে ব্লক যদি হয়ে থাকে তাহলে রিন পড়াতে হতে পারে । এনজিওগ্রাম করলে বোঝা যাবে হার্টে কত পারসেন্ট ব্লক রয়েছে । যতো দ্রুত সম্ভব হার্টের ডাক্তার দেখান আর এনজিওগ্রাম টা করে ফেলুন এটাই আমার পরামর্শ । ঠিক আছে স্যার । ছায়া আর শমিক বাবু ডাক্তারের রুম থেকে বের হয়ে আসলো । ছায়া পুরো মনমরা হয়ে গেলো।
আবির পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট টা বের করে মাহীনের হাতে দিলো । মাহীন তুই সিগারেট আর কোল্ড ডিংকস খা । এদিকে বিকাল হয়ে গেছে শমিক বাবু দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ঘুম দিয়েছিলেন । কি গো বিকাল তো হয়ে গেলো । তোমাকে না বললাম ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো । তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হয়ে নাও । শুধু শুধু ডাক্তারের কাছে যেয়ে কি হবে বলতো । আমি তো ঠিকই আসি । ঘোড়ার ডিম ঠিক আসো তুমি । নিজের শরীরের অবস্থা দেখে বুঝতে পারছো না তুমি ঠিক নেই । আর কোনো কথা না বলে রেডি হয়ে নাও আমি রেডি হয়ে গেছি । শমিক বাবু বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে ঢুকলো । শমিক বাবু বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর রেডি হতে লাগলেন এমন সময় ছায়া চা নিয়ে রুমে প্রবেশ করলেন । বাহ তাড়াতাড়ি তো দেখছি রেডি হয়ে গেলে চা টা শেষ করে চলো যাওয়া যাক । হুম মাহীনকে বলছো যে আমাদের ফিরতে দেরি হবে । হুম আমি বলে দিয়েছি । বাপ্পিকে একটা কল দিয়ে আসার জন্য বলি । তোমার আর কষ্ট করা লাগবে না , ড্রাইভারকে অনেক আগেই কল করে আমি বলে দিয়েছি আসার জন্য । সে চলে এসেছে আমাকে কল দিয়েছিলো কিছুক্ষণ আগে । আমার চা খাওয়া শেষ তাহলে বের হই চলো । হুম চলো । বাসা থেকে বের হয়ে বাসার দরজা লক করে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলো ছায়া আর শমিক বাবু। নিচ নেমে তারা দেখতে পেলো তাদের ড্রাইভার বাপ্পি গাড়িতে বসে তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। তাদের দুজনকে দেখতে পেয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিলো বাপ্পী । দুজন গাড়িতে উঠে বসলো । ম্যাডাম কোথায় নিয়ে যাবো ? বাপ্পি একটু ডাক্তার ডা.সুশান্ত রায়ের ক্লিনিকে নিয়ে চলো ৷ ওকে ম্যাডাম । আমার তো কিছু হয় নাই তুমি দেখো তোমার শুধু শুধু সময় টা নষ্ট হবে তোমার । কিছু না হলে তো ভালোই হয় নিশ্চিন্তে আবার বাসায় ফিরে আসবো । কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি টা ক্লিনিকের সামনে এসে পড়লো । ম্যাডাম চলে এসেছি । ছায়া আর শমিক বাবু গাড়ি থেকে নেমে দাড়ালো । ক্লিনিকের গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকলো দুজনে । ভিতরে ঢুকে ছায়া রিসেপশনিস্টের সাথে কথা বললো । এক্সকিউজ মি । ইয়েস ম্যাম । আমার একটা এপয়েন্টমেন্ট ছিলো ডা.সুশান্ত সাথে । ম্যাম কার নামে এপয়েন্টমেন্ট ছিলো একটু বলবেন ? শমিক মুখার্জি । ম্যাম আমি একটু চেক করে নি । ইয়েস ম্যাম পেয়েছি এর পরের সিরিয়াল নাম্বার আপনাদের । ওকে ধন্যবাদ । একটু পর ডাক্তারের রুম থেকে আগের রোগী বের হয়ে যাওয়ার পর ছায়া আর শমিক বাবু ডাক্তারের রুমে ঢুকলেন ৷ বসুন । পেসেন্ট আপনি তাই না । হুম । ব্লাড প্রেশার টা চেক করি আগে । প্রশার তো অনেক লো । আপনাকে দেখে তো মনে হচ্ছে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেন না । জ্বি স্যার আপনি ঠিকই বলেছেন সারাক্ষণ খালি বিজনেস নিয়ে পড়ে থাকে, শরীরের প্রতি কোনো খেয়াল নেই ওর । খালি বিজনেস নিয়ে পড়ে থাকলে হবে শরীরের প্রতি তো নজর রাখতে হবে । আমি কিছু টেস্ট দিচ্ছি এগুলো করে নিয়ে আসেন । রিপোর্ট আসলে জানা যাবে তার শরীরের কন্ডিশন । ঠিক আছে স্যার আমি টেস্ট গুলো করে নিয়ে আসছি । ডাক্তারের রুম থেকে বের হয়ে আসলো ছায়া আর শমিক বাবু। এক এক করে টেস্ট গুলো করতে লাগলো । রিপোর্টের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে । অনেকক্ষণ পর রিপোর্ট গুলো হাতে এসে পৌঁছালো ছায়ার । রিপোর্ট গুলো দেখানোর জন্য আবার ডাক্তারের রুমে ঢুকলো ছায়া আর শমিক। বসুন রিপোর্ট পেয়ে গেছেন সব গুলো । জ্বি স্যার । দিন রিপোর্ট গুলো একটা একটা করে রিপোর্ট দেখতে লাগলো ডাক্তার । আমার মনে হয় তিনি অনেক দুশ্চিন্তা করেন । জ্বি স্যার সারাক্ষণ বিজনেস নিয়ে দুশ্চিন্তা করে । আপনি অনেক ভালো কাজ করছেন তাকে আগে থাকতেই ডাক্তার নিয়ে এসে । রিপোর্ট যা দেখলাম আপনি তাকে একটা বড় হার্টের ডাক্তার দেখান । কেনো স্যার ? হার্টের রক্তনালিতে ব্লক খুবই জটিল সমস্যা । সময়মতো ধরা না পড়লে বিপদ হতে পারে । এটি এমন এক ধরনের রোগ, যার শুরুর দিকে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না । কিন্তু ক্রমাগত হার্টের ক্ষতি হতে থাকে এবং এক সময় রোগী হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে পড়ে । হার্ট অ্যাটাক মতো তো কিছু ঘটে যেতো আপনি যদি তাকে না নিয়ে আসতেন । এখন টেনশনের কিছু নাই হার্টে ব্লক যদি হয়ে থাকে তাহলে রিন পড়াতে হতে পারে । এনজিওগ্রাম করলে বোঝা যাবে হার্টে কত পারসেন্ট ব্লক রয়েছে । যতো দ্রুত সম্ভব হার্টের ডাক্তার দেখান আর এনজিওগ্রাম টা করে ফেলুন এটাই আমার পরামর্শ । ঠিক আছে স্যার । ছায়া আর শমিক বাবু ডাক্তারের রুম থেকে বের হয়ে আসলো । ছায়া পুরো মনমরা হয়ে গেলো।