04-09-2023, 09:51 PM
(This post was last modified: 22-10-2023, 06:15 PM by Rupuk 8. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
পর্ব -৯
এ যেন অন্য রকম জগৎ বুঝলি মাহীন , তুই তো এর আগে কোনো দিন যাস নাই এমন জায়গায় । হুম ভাই এই প্রথম যাচ্ছি তোদের সাথে । জন্মদিন কিংবা যেকোনো উদযাপন উপলক্ষে পার্টিগুলোর রঙিন আকর্ষণ এখন সিসা সেবন । রেস্টুরেন্টের আদলে গড়ে ওঠা এসব সিসা বার বা লাউঞ্জে নেশায় বুঁদ হওয়ার সব আয়োজন সেখানে রয়েছে । বাহারি আলোর ঝলকানির সঙ্গে থাকে পশ্চিমা সঙ্গীতের সুর । আয়েশ করে সোফায় বসে নেশার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এমন চমৎকার পরিবেশ । এই পরিবেশেই হুক্কার আধুনিক ভার্সন নকশা করা স্টিলের কল্কেতে লাগানো পাইপে সিসা টেনে নেশা করছে বন্ধুবান্ধবরা । অভিজাত রেস্টুরেন্টের সিসা লাউঞ্জগুলো সন্ধ্যার পরই জমজমাট হয়ে ওঠে চলে গভীর রাত পর্যন্ত । অধিকমাত্রায় আসক্তি তৈরি করতে সিসায় বিভিন্ন ফলের নির্যাসের সঙ্গে মেশানো হয় ইয়াবা-গাঁজা আর আফিম নানা রকম উপাদান । এজন্য সিসা লাউঞ্জগুলোতে একবার কেউ গেলে বার বার যেতে চায় । সিসা বারে খদ্দের ধরে রাখতে সিসার ফ্লেভারের সঙ্গে শুধু মাদকই নয়, ভায়াগ্রার মতো উত্তেজক উপাদানও ব্যবহার করা হয় । সিসা ফ্যাশনেবল 'ধূমপান' হিসেবে পরিচিত । কিন্তু অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সিসা লাউঞ্জকে জনপ্রিয় করতে এবং অধিক মুনাফার জন্য সিসায় মাদকের উপাদান মেশাচ্ছে । আরব দেশে জনপ্রিয় এই সিসা আসলে এক ধরনের হুক্কা। স্টিলের তৈরি বিশেষ কল্কেতে একটি পানির পাইপ থাকে, যা আমাদের
হুক্কার নলের মতো। তবে এর সাইজ অনেক বড় এবং একাধিক ছিদ্রযুক্ত। এসব ছিদ্রে লম্বা পাইপ থাকে। কল্কের নিচের অংশে বিশেষ তরল পদার্থ থাকে। উপরিভাগে থাকে কল্কে। এ কল্কেতেই সিসার উপাদান দেওয়া হয়। ফলের সুগন্ধযুক্ত নির্যাস কয়লা দিয়ে পোড়ানো হয়। ফলে এক ধরনের ধোঁয়া বের হয় । এই ধোঁয়া কল্কের নলের মাধ্যমে নাক-মুখ দিয়ে গ্রহণ করা হয়। এই সিসা বেশ কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । বাহ অভি তুই তো দেখছি অনেক কিছু জানিস এটা সম্পর্কে । হুম এবার নাম বাইক থেকে মাহীন চলে এসেছি । এই আবির কত নাম্বার ফ্লোরে সিসা বার ? টেন ফ্লোর ভাই । রনি তুই মাহীন সঙ্গে নিয়ে লিফটে করে টেন ফ্লোরে যা । বাইক গুলো পার্কিং করে আমি আর আবির আসছি । আচ্ছা তোরা আয় আমরা দুজনে যাচ্ছি । লিফটের কাছে গেলো রনি আর মাহীন একদম লিফট টপ ফ্লোরে গেছে লিফট । লিফটের সুইচে টিপ দিতেই আসতে আসতে নিচে নামতে লাগলো লিফট । নিচে লিফট আসামাত্র ঢুকে পড়লো দুইজনে । আস্তে আস্তে লিফট উপরের ফ্লোরে উঠতে লাগলো । টেন ফ্লোরে এসে লিফটের দরজা খুলে গেলো । মাহীন চল আমরা ভিতরে বসে অপেক্ষা করি ওরা দুজন আসুক । হুম চল । বারের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে মাহীন অবাক হয়ে গেলো । অদ্ভুত একটা ঝাঁঝাল গন্ধ তার নাকে ভেসে আসছে । বারের মধ্যে লাল-নীল আলোর ঝলকানি, হিন্দি গান আর ধোঁয়ার মাঝে দেখতে পাওয়া গেল ছোট ছোট টেবিলে চারজন বা ছয়জন করে বসা । সবার টেবিলে সিসা, সঙ্গে কোমল পানীয় । পাশেই ছোট ছোট খুপরি । মাহীন আরও অবাক হলো অনেক মেয়েরাও এসেছে আর মনের সুখে সিসা টানছে । কিছুক্ষণ পর অভি আর আবির এসে পড়লো । কিরে দুজনে এভাবে বসে না থেকে এতোক্ষণ অডার করলেই পারি । তোদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম । আয় আগে অডার দি । আমাদের জন্য একটা সিসার অডার লিখুন । বলুন স্যার আপনাদের জন্য সিসার কোন ফ্লেভার টা দিবো ? আপনাদের কাছে কোন কোন ফ্লেভার আছে ? স্যার আমাদের কাছে বিভিন্ন রকম সিসার ফ্লেভার রয়েছে, আপেল, স্ট্রবেরি, চকোলেট, কমলা, বাবলগাম, আমসহ বিভিন্ন ফ্লেভার স্যার । কোনটার কেমন দাম ? স্যার সাধারণত ৯০০ টাকা থেকে শুরু হয় সিসার দাম, ফ্লেভার ভেদে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত। আপেল, স্ট্রবেরি, চকোলেট, কমলা, বাবলগাম, আমসহ বিভিন্ন ফ্লেভারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দাম স্যার ।
সঙ্গে ভ্যাট নেওয়া হচ্ছে ১৫ শতাংশ স্যার । ফ্লেভার কি আপনারা নিজেরা বানান ? না স্যার
সিসার সঙ্গে মেশানোর জন্য বিভিন্ন ফ্লেভারড তামাক মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসে স্যার ।
আবির বল কোন ফ্লেভার নিবো ? আমার তো স্ট্রোবেরী ফ্লেভার টা ভালো লাগে ভাই । তোদের এখন কোন টা ভালো লাগে সেটাই নে । রনি তোর কোনো ফ্লেভার পছন্দ আছে ? স্ট্রবেরী টা ভালোই ভাই এর আগে একবার টাই করছিলাম । মাহীন তোর ? না ভাই আমার কোনো পছন্দ নাই তোরা যেটা নিবি সেটাই । আমাদের স্ট্রবেরী ফ্লেভারের টা দিয়েন । ঠিক আছে স্যার আর কিছু কোল্ড ড্রিংকস,চিকেন ফ্রাই, বিয়ার….। কোল্ড ড্রিংকস আর চিকেন ফ্রাই দিয়েন সাথে । ওকে স্যার । স্যার আপনারা সামনে গিয়ে বাম দিকের রুম টায় বসুন আমি আপনাদের অর্ডার নিয়ে আসছি । ছোট রুমটাতে প্রবেশ করলো ওরা সবাই । ওরা সবাই সোফায় উপর বসার কিছুক্ষণ পর সিসা নিয়ে আসলো একজন ওয়েটার । স্যার আপনাদের বাকি খাবার গুলোও নিয়ে আসছি কিছুক্ষণের মধ্যে । চারদিকে লাল-নীল আলোর ছড়াছড়ি আর হৈ-হুল্লোড়। এমন পরিবেশে সোফায় বসে বড় বড় হুক্কায় সিসা টানছে অভি , আবির আর রনি । মাহীন শুধু বসে বসে দেখছে খাওয়ার মতো সাহস সে পাচ্ছে না । একটু পরপরই হাতবদল হচ্ছে হুক্কা অভি, আবির আর রনির । গানের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকছে হুক্কায় সিসা টানার গভীর নেশা । চার দেয়ালের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ধোঁয়া । মাহীন টাই করবি নাকি একবার ? না ভাই আমার তো আবার বাসায় যাওয়া লাগবে পরে যদি নেশা ধরে যায় । আরে কিছু হবে না এক টান দিয়ে দেখ সেই ফিল । আরে অভি ও না খাইতে চাইলে জোরাজুরি করিস না । ওয়েটার কোল্ড ডিংকস আর ফ্রাই চিকেন নিয়ে আসলো । স্যার আপনাদের কি আর কিছু লাগবে ? না এখন আর কিছু লাগলে না । ওকে স্যার ধন্যবাদ ।
এ যেন অন্য রকম জগৎ বুঝলি মাহীন , তুই তো এর আগে কোনো দিন যাস নাই এমন জায়গায় । হুম ভাই এই প্রথম যাচ্ছি তোদের সাথে । জন্মদিন কিংবা যেকোনো উদযাপন উপলক্ষে পার্টিগুলোর রঙিন আকর্ষণ এখন সিসা সেবন । রেস্টুরেন্টের আদলে গড়ে ওঠা এসব সিসা বার বা লাউঞ্জে নেশায় বুঁদ হওয়ার সব আয়োজন সেখানে রয়েছে । বাহারি আলোর ঝলকানির সঙ্গে থাকে পশ্চিমা সঙ্গীতের সুর । আয়েশ করে সোফায় বসে নেশার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এমন চমৎকার পরিবেশ । এই পরিবেশেই হুক্কার আধুনিক ভার্সন নকশা করা স্টিলের কল্কেতে লাগানো পাইপে সিসা টেনে নেশা করছে বন্ধুবান্ধবরা । অভিজাত রেস্টুরেন্টের সিসা লাউঞ্জগুলো সন্ধ্যার পরই জমজমাট হয়ে ওঠে চলে গভীর রাত পর্যন্ত । অধিকমাত্রায় আসক্তি তৈরি করতে সিসায় বিভিন্ন ফলের নির্যাসের সঙ্গে মেশানো হয় ইয়াবা-গাঁজা আর আফিম নানা রকম উপাদান । এজন্য সিসা লাউঞ্জগুলোতে একবার কেউ গেলে বার বার যেতে চায় । সিসা বারে খদ্দের ধরে রাখতে সিসার ফ্লেভারের সঙ্গে শুধু মাদকই নয়, ভায়াগ্রার মতো উত্তেজক উপাদানও ব্যবহার করা হয় । সিসা ফ্যাশনেবল 'ধূমপান' হিসেবে পরিচিত । কিন্তু অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সিসা লাউঞ্জকে জনপ্রিয় করতে এবং অধিক মুনাফার জন্য সিসায় মাদকের উপাদান মেশাচ্ছে । আরব দেশে জনপ্রিয় এই সিসা আসলে এক ধরনের হুক্কা। স্টিলের তৈরি বিশেষ কল্কেতে একটি পানির পাইপ থাকে, যা আমাদের
হুক্কার নলের মতো। তবে এর সাইজ অনেক বড় এবং একাধিক ছিদ্রযুক্ত। এসব ছিদ্রে লম্বা পাইপ থাকে। কল্কের নিচের অংশে বিশেষ তরল পদার্থ থাকে। উপরিভাগে থাকে কল্কে। এ কল্কেতেই সিসার উপাদান দেওয়া হয়। ফলের সুগন্ধযুক্ত নির্যাস কয়লা দিয়ে পোড়ানো হয়। ফলে এক ধরনের ধোঁয়া বের হয় । এই ধোঁয়া কল্কের নলের মাধ্যমে নাক-মুখ দিয়ে গ্রহণ করা হয়। এই সিসা বেশ কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । বাহ অভি তুই তো দেখছি অনেক কিছু জানিস এটা সম্পর্কে । হুম এবার নাম বাইক থেকে মাহীন চলে এসেছি । এই আবির কত নাম্বার ফ্লোরে সিসা বার ? টেন ফ্লোর ভাই । রনি তুই মাহীন সঙ্গে নিয়ে লিফটে করে টেন ফ্লোরে যা । বাইক গুলো পার্কিং করে আমি আর আবির আসছি । আচ্ছা তোরা আয় আমরা দুজনে যাচ্ছি । লিফটের কাছে গেলো রনি আর মাহীন একদম লিফট টপ ফ্লোরে গেছে লিফট । লিফটের সুইচে টিপ দিতেই আসতে আসতে নিচে নামতে লাগলো লিফট । নিচে লিফট আসামাত্র ঢুকে পড়লো দুইজনে । আস্তে আস্তে লিফট উপরের ফ্লোরে উঠতে লাগলো । টেন ফ্লোরে এসে লিফটের দরজা খুলে গেলো । মাহীন চল আমরা ভিতরে বসে অপেক্ষা করি ওরা দুজন আসুক । হুম চল । বারের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে মাহীন অবাক হয়ে গেলো । অদ্ভুত একটা ঝাঁঝাল গন্ধ তার নাকে ভেসে আসছে । বারের মধ্যে লাল-নীল আলোর ঝলকানি, হিন্দি গান আর ধোঁয়ার মাঝে দেখতে পাওয়া গেল ছোট ছোট টেবিলে চারজন বা ছয়জন করে বসা । সবার টেবিলে সিসা, সঙ্গে কোমল পানীয় । পাশেই ছোট ছোট খুপরি । মাহীন আরও অবাক হলো অনেক মেয়েরাও এসেছে আর মনের সুখে সিসা টানছে । কিছুক্ষণ পর অভি আর আবির এসে পড়লো । কিরে দুজনে এভাবে বসে না থেকে এতোক্ষণ অডার করলেই পারি । তোদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম । আয় আগে অডার দি । আমাদের জন্য একটা সিসার অডার লিখুন । বলুন স্যার আপনাদের জন্য সিসার কোন ফ্লেভার টা দিবো ? আপনাদের কাছে কোন কোন ফ্লেভার আছে ? স্যার আমাদের কাছে বিভিন্ন রকম সিসার ফ্লেভার রয়েছে, আপেল, স্ট্রবেরি, চকোলেট, কমলা, বাবলগাম, আমসহ বিভিন্ন ফ্লেভার স্যার । কোনটার কেমন দাম ? স্যার সাধারণত ৯০০ টাকা থেকে শুরু হয় সিসার দাম, ফ্লেভার ভেদে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত। আপেল, স্ট্রবেরি, চকোলেট, কমলা, বাবলগাম, আমসহ বিভিন্ন ফ্লেভারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দাম স্যার ।
সঙ্গে ভ্যাট নেওয়া হচ্ছে ১৫ শতাংশ স্যার । ফ্লেভার কি আপনারা নিজেরা বানান ? না স্যার
সিসার সঙ্গে মেশানোর জন্য বিভিন্ন ফ্লেভারড তামাক মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসে স্যার ।
আবির বল কোন ফ্লেভার নিবো ? আমার তো স্ট্রোবেরী ফ্লেভার টা ভালো লাগে ভাই । তোদের এখন কোন টা ভালো লাগে সেটাই নে । রনি তোর কোনো ফ্লেভার পছন্দ আছে ? স্ট্রবেরী টা ভালোই ভাই এর আগে একবার টাই করছিলাম । মাহীন তোর ? না ভাই আমার কোনো পছন্দ নাই তোরা যেটা নিবি সেটাই । আমাদের স্ট্রবেরী ফ্লেভারের টা দিয়েন । ঠিক আছে স্যার আর কিছু কোল্ড ড্রিংকস,চিকেন ফ্রাই, বিয়ার….। কোল্ড ড্রিংকস আর চিকেন ফ্রাই দিয়েন সাথে । ওকে স্যার । স্যার আপনারা সামনে গিয়ে বাম দিকের রুম টায় বসুন আমি আপনাদের অর্ডার নিয়ে আসছি । ছোট রুমটাতে প্রবেশ করলো ওরা সবাই । ওরা সবাই সোফায় উপর বসার কিছুক্ষণ পর সিসা নিয়ে আসলো একজন ওয়েটার । স্যার আপনাদের বাকি খাবার গুলোও নিয়ে আসছি কিছুক্ষণের মধ্যে । চারদিকে লাল-নীল আলোর ছড়াছড়ি আর হৈ-হুল্লোড়। এমন পরিবেশে সোফায় বসে বড় বড় হুক্কায় সিসা টানছে অভি , আবির আর রনি । মাহীন শুধু বসে বসে দেখছে খাওয়ার মতো সাহস সে পাচ্ছে না । একটু পরপরই হাতবদল হচ্ছে হুক্কা অভি, আবির আর রনির । গানের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকছে হুক্কায় সিসা টানার গভীর নেশা । চার দেয়ালের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ধোঁয়া । মাহীন টাই করবি নাকি একবার ? না ভাই আমার তো আবার বাসায় যাওয়া লাগবে পরে যদি নেশা ধরে যায় । আরে কিছু হবে না এক টান দিয়ে দেখ সেই ফিল । আরে অভি ও না খাইতে চাইলে জোরাজুরি করিস না । ওয়েটার কোল্ড ডিংকস আর ফ্রাই চিকেন নিয়ে আসলো । স্যার আপনাদের কি আর কিছু লাগবে ? না এখন আর কিছু লাগলে না । ওকে স্যার ধন্যবাদ ।