04-09-2023, 02:12 AM
(This post was last modified: 22-10-2023, 02:47 PM by Rupuk 8. Edited 4 times in total. Edited 4 times in total.)
পর্ব -৮
ছায়া মাহীনের সাথে কথা বলছিল এমন সময় তার ফোনে কল আসলো । ফোন টা হাতে নিয়ে ছায়া দেখতে পেলো শমিক বাবু কল করছে । কল টা রিসিভ করতেই । হ্যালো ছায়া । হুম বলো । আমার শরীর টা খারাপ লাগছে তাই ফিরে আসছি । হঠাৎ কি হলো তোমার ? সিরিয়াস কিছু ? সারাক্ষণ খালি ব্যবসা নিয়ে পড়ে থাকো , নিজের শরীরের প্রতি কোনো রকম খেয়াল নেই তোমার । বাসায় এসে সব বলছি এখন রাখছি । হ্যালো হ্যালো আগে বলতো কি হয়েছে…কল টা কেটে দিলো শমিক বাবু। তোমার কাকু টাও হয়েছে তোমার মতো আমার কোনো কথাই শুনে না । তোমার কাকু আসার আগেই আমি বাসার কাজ গুলো সেরে নি । ছায়া আবার কিচেনের দিকে গেলো । ঘন্টা দেড়েক পর কিচেন থেকে কলিংবেলের শব্দ শুনতে পেলো ছায়া । তাড়াতাড়ি করে কিচেন থেকে বের হয়ে এসে দরজা টা খুলে দিলো ছায়া । শমিক বাবুকে দেখে ক্লান্ত আর বেশ দুর্বল মনে হচ্ছে ছায়ার । শমিক বাবু বাসায় ঢুকে সোফায় উপর বসে পড়লো । কি হয়েছে তোমার এরকম দেখাছে কেনো তোমাকে ? আমাকে আগে এক গ্লাস পানি দাও । এই নাও ধরো । এবার বলতো তোমার কি হয়েছে ? আমার ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসান হয়ে গেছে । ধুর তোমার এই ব্যবসা এতো টাকা পয়সা কে খাবে । তুমি বুঝবে না এটা আমাদের চৌদ্দ পুরুষের ব্যবসা , এভাবে লোকসান হতে থাকলে ব্যবসায় বন্ধ হয়ে যাবে । আমি বেঁচে থাকতে এটা কোনো দিনও হতে দেবো না ছায়া । এই ব্যবসায় আমার কাছে আমার সন্তানের মতো বুঝলে । সবই বুঝলাম কিন্তু ব্যবসার চিন্তায় যে নিজের শরীরের কি হাল করছো সে দিকে তোমার কোনো খেয়াল আছে । আমার শরীর ঠিকই আছে কোনো সমস্যা নাই আমার । তোমাকে দেখে তো তাই মনে হচ্ছে না । আজকে বিকেলে তোমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবো চেক-আপ করানোর জন্য । এসবের কোনো দরকার নাই । দরকার আছে আর কোনো কথা শুনে চায় না আমি বিকেলে তুমি আমার সাথে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছো । এখন তাড়াতাড়ি ফ্রশ হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি । শমিক বাবু ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে ঢুকলো । মাহীন তার রুম থেকে বের হয়ে দেখলো ছায়া ডাইনিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । মাহীনকে দেখে ছায়া বললো কোথাও বের হচ্ছো নাকি মাহীন ? জ্বি কাকিমা আমার কোচিং ক্লাস আছে । আমি তোমার কাকুকে নিয়ে বিকেলে একটু ডাক্তারের কাছে যাবো চেক-আপ করানোর জন্য । ফিরতে আমাদের রাত হতে পারে তুমি বাসার চাবি টা সঙ্গে করে নিয়ে যাও । ঠিক আছে কাকিমা । মাহীন বাসা থেকে বের হয়ে গেলো । বিল্ডিং থেকে বের হয়ে মাহীন অভিকে কল করলো । কোথায় তুই আমি তো বের হলাম বাসা থেকে । ভাই আমার পাঁচ মিনিট লাগবে আসতে চলে এসেছি । আচ্ছা আমি দাঁড়িয়ে আসি আয় তাড়াতাড়ি । মাহীন বিল্ডিংয়ের নিচে দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে নিয়ে ধরালো । ১৫ মিনিট পর অভি তার বাইকে চড়ে হাজির হলো । শালা এই তোর পাঁচ মিনিট । এতো তাড়াহুড়া করছিস কেন মাহীন কোচিং ক্লাসে যাবি নাকি তুই । ধুর তোর কোচিং ক্লাস আমার তো আর পড়াশোনা করতেই মন চায় না । শুধুমাত্র বাপের ভয়ে পড়াশোনা করছি নাহলে কবে ছেড়ে দিতাম । হাহাহা তো এখন কোথায় যাবি বল । তুই বল কোথায় যাওয়া যায় । দাঁড়া আবির আর রনিকে আগে আসতে বলি ওরা আসুক তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে । বিড়ি কি একাই টানবি শালা এদিকে দে । নে ধর । শালা সিগারেটের ফিল্টার টা তো পুরো ভিজিয়ে ফেলেছিস , শালা তুই ঠিক মতো এখনও সিগারেট খাওয়া টাও শিখতে পারলি না আমার সাথে থেকে । আরে না এমনিতেই ঘামে ভিজে গেছে আমার মুখের লালায় ভিজে নাই । হুম বুঝছি আমি কিসে ভিজেছে আমাকে বোঝাতে হবে না । আবির শালা টাকে এতো বার কল দিচ্ছি ধরছে না । নিশ্চয়ই শালা সুনিতাকে সঙ্গে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেছে । হুম একদম ঠিক বলেছিস মাহীন । পরে এসে বলবে ভাই একটা জরুরি কাজে আটকা পড়ে গেছিলাম । রনিকে কল দে । হুম দাঁড়া দিচ্ছি । তুই আমার জন্য আরেক টা সিগারেট নে তো , এই বালের ভেজা সিগারেট টেনে কোনো মজা পাচ্ছি না । দাদা আরেক টা সিগারেট দিও , নে ধর শালা । হ্যালো কিরে আবিরের বাচ্চা তোকে কতক্ষণ থেকে কল দিচ্ছি , কল ধরছিস না কেন । ভাই আমি একটা জরুরি কাজের মধ্যে ছিলাম । হুম সবই জানা আছে তোমার জরুরি কাজ । ধুর বাল তুই আর মাহীন এখন কোথায় আছিস সেটা বল আগে , আমি মাহীনের বাসার নিচে মাহীন আমার সাথে আছে । আচ্ছা থাক আমিও আসছি । শুন আসার সময় রনিকে সঙ্গে করে নিয়ে আসিস । আচ্ছা । কিছুক্ষণ পর আবির আর রনি বাইকে চড়ে চলে আসলো । শালা তোদের জন্য কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আসি । সময়ের কোনো মূল্য নাই তোদের দুইজনের মধ্যে । অভি এসব কথা বাদ দিয়ে এখন বল কোথায় যাবি । তোরা সবাই বল কোথায় যাবি আমি কিভাবে বলবো । তোদের সবার কাছে টাকা থাকলে আমি একটা জায়গা চিনি সেখানে নিয়ে যেতে পারি । আবির এতো পেচিয়ে না বলে খোলাখুলি বল কোন জায়গায় টাকা তো সবার কাছেই কম বেশি আছে । ৯ নাম্বার সেক্টরে নতুন একটা সিসা বার খুলছে যাবি নাকি তোরা বল । হুম যাওয়া যায় কি বলিস তোরা মাহীন আর রনি ? হুম চল । মাহীন চুপ করে আসিস কেন কিছু বল । আসলে আমি তো এর আগে কোনো দিন এসব জায়গায় যায় নাই , তাই বুঝতেছি না কি বলবো যাবো কি যাবো না । আগে যাস নাই তো কি হয়েছে আজকে যাবি চল । আমি যেয়ে ওখানে কি করবো আমি নাহলে না যায় । ধুর বোকা আমরা সবাই যাচ্ছি আর তুই যাবি না চল । না রে তোরাই যা । দেখ মাহীন আমরা যখন সবাই যাচ্ছি তোকেও আমাদের সঙ্গে যাওয়া লাগবে । আর তোকে কোনো টাকা দেওয়া লাগবে না তোর কাছে কি আমার টাকা চাইছি । টাকার বেপার টা আমরা দেখে নিবো তুই খালি চল আমাদের সাথে । আমার ভালো লাগছে না তোরা যা না সবাই । ধুর আর কোনো কথা বলবি না মাহীন সোজা বাইকে উঠ । সবার জোরাজুরিতে শেষ পযন্ত মাহীন যেতে রাজি হলো । কিছুক্ষণ পর ওরা সবাই বড় একটা বিল্ডিংয়ের সামনে এসে থামলো ।
ছায়া মাহীনের সাথে কথা বলছিল এমন সময় তার ফোনে কল আসলো । ফোন টা হাতে নিয়ে ছায়া দেখতে পেলো শমিক বাবু কল করছে । কল টা রিসিভ করতেই । হ্যালো ছায়া । হুম বলো । আমার শরীর টা খারাপ লাগছে তাই ফিরে আসছি । হঠাৎ কি হলো তোমার ? সিরিয়াস কিছু ? সারাক্ষণ খালি ব্যবসা নিয়ে পড়ে থাকো , নিজের শরীরের প্রতি কোনো রকম খেয়াল নেই তোমার । বাসায় এসে সব বলছি এখন রাখছি । হ্যালো হ্যালো আগে বলতো কি হয়েছে…কল টা কেটে দিলো শমিক বাবু। তোমার কাকু টাও হয়েছে তোমার মতো আমার কোনো কথাই শুনে না । তোমার কাকু আসার আগেই আমি বাসার কাজ গুলো সেরে নি । ছায়া আবার কিচেনের দিকে গেলো । ঘন্টা দেড়েক পর কিচেন থেকে কলিংবেলের শব্দ শুনতে পেলো ছায়া । তাড়াতাড়ি করে কিচেন থেকে বের হয়ে এসে দরজা টা খুলে দিলো ছায়া । শমিক বাবুকে দেখে ক্লান্ত আর বেশ দুর্বল মনে হচ্ছে ছায়ার । শমিক বাবু বাসায় ঢুকে সোফায় উপর বসে পড়লো । কি হয়েছে তোমার এরকম দেখাছে কেনো তোমাকে ? আমাকে আগে এক গ্লাস পানি দাও । এই নাও ধরো । এবার বলতো তোমার কি হয়েছে ? আমার ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসান হয়ে গেছে । ধুর তোমার এই ব্যবসা এতো টাকা পয়সা কে খাবে । তুমি বুঝবে না এটা আমাদের চৌদ্দ পুরুষের ব্যবসা , এভাবে লোকসান হতে থাকলে ব্যবসায় বন্ধ হয়ে যাবে । আমি বেঁচে থাকতে এটা কোনো দিনও হতে দেবো না ছায়া । এই ব্যবসায় আমার কাছে আমার সন্তানের মতো বুঝলে । সবই বুঝলাম কিন্তু ব্যবসার চিন্তায় যে নিজের শরীরের কি হাল করছো সে দিকে তোমার কোনো খেয়াল আছে । আমার শরীর ঠিকই আছে কোনো সমস্যা নাই আমার । তোমাকে দেখে তো তাই মনে হচ্ছে না । আজকে বিকেলে তোমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবো চেক-আপ করানোর জন্য । এসবের কোনো দরকার নাই । দরকার আছে আর কোনো কথা শুনে চায় না আমি বিকেলে তুমি আমার সাথে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছো । এখন তাড়াতাড়ি ফ্রশ হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি । শমিক বাবু ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে ঢুকলো । মাহীন তার রুম থেকে বের হয়ে দেখলো ছায়া ডাইনিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । মাহীনকে দেখে ছায়া বললো কোথাও বের হচ্ছো নাকি মাহীন ? জ্বি কাকিমা আমার কোচিং ক্লাস আছে । আমি তোমার কাকুকে নিয়ে বিকেলে একটু ডাক্তারের কাছে যাবো চেক-আপ করানোর জন্য । ফিরতে আমাদের রাত হতে পারে তুমি বাসার চাবি টা সঙ্গে করে নিয়ে যাও । ঠিক আছে কাকিমা । মাহীন বাসা থেকে বের হয়ে গেলো । বিল্ডিং থেকে বের হয়ে মাহীন অভিকে কল করলো । কোথায় তুই আমি তো বের হলাম বাসা থেকে । ভাই আমার পাঁচ মিনিট লাগবে আসতে চলে এসেছি । আচ্ছা আমি দাঁড়িয়ে আসি আয় তাড়াতাড়ি । মাহীন বিল্ডিংয়ের নিচে দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে নিয়ে ধরালো । ১৫ মিনিট পর অভি তার বাইকে চড়ে হাজির হলো । শালা এই তোর পাঁচ মিনিট । এতো তাড়াহুড়া করছিস কেন মাহীন কোচিং ক্লাসে যাবি নাকি তুই । ধুর তোর কোচিং ক্লাস আমার তো আর পড়াশোনা করতেই মন চায় না । শুধুমাত্র বাপের ভয়ে পড়াশোনা করছি নাহলে কবে ছেড়ে দিতাম । হাহাহা তো এখন কোথায় যাবি বল । তুই বল কোথায় যাওয়া যায় । দাঁড়া আবির আর রনিকে আগে আসতে বলি ওরা আসুক তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে । বিড়ি কি একাই টানবি শালা এদিকে দে । নে ধর । শালা সিগারেটের ফিল্টার টা তো পুরো ভিজিয়ে ফেলেছিস , শালা তুই ঠিক মতো এখনও সিগারেট খাওয়া টাও শিখতে পারলি না আমার সাথে থেকে । আরে না এমনিতেই ঘামে ভিজে গেছে আমার মুখের লালায় ভিজে নাই । হুম বুঝছি আমি কিসে ভিজেছে আমাকে বোঝাতে হবে না । আবির শালা টাকে এতো বার কল দিচ্ছি ধরছে না । নিশ্চয়ই শালা সুনিতাকে সঙ্গে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেছে । হুম একদম ঠিক বলেছিস মাহীন । পরে এসে বলবে ভাই একটা জরুরি কাজে আটকা পড়ে গেছিলাম । রনিকে কল দে । হুম দাঁড়া দিচ্ছি । তুই আমার জন্য আরেক টা সিগারেট নে তো , এই বালের ভেজা সিগারেট টেনে কোনো মজা পাচ্ছি না । দাদা আরেক টা সিগারেট দিও , নে ধর শালা । হ্যালো কিরে আবিরের বাচ্চা তোকে কতক্ষণ থেকে কল দিচ্ছি , কল ধরছিস না কেন । ভাই আমি একটা জরুরি কাজের মধ্যে ছিলাম । হুম সবই জানা আছে তোমার জরুরি কাজ । ধুর বাল তুই আর মাহীন এখন কোথায় আছিস সেটা বল আগে , আমি মাহীনের বাসার নিচে মাহীন আমার সাথে আছে । আচ্ছা থাক আমিও আসছি । শুন আসার সময় রনিকে সঙ্গে করে নিয়ে আসিস । আচ্ছা । কিছুক্ষণ পর আবির আর রনি বাইকে চড়ে চলে আসলো । শালা তোদের জন্য কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আসি । সময়ের কোনো মূল্য নাই তোদের দুইজনের মধ্যে । অভি এসব কথা বাদ দিয়ে এখন বল কোথায় যাবি । তোরা সবাই বল কোথায় যাবি আমি কিভাবে বলবো । তোদের সবার কাছে টাকা থাকলে আমি একটা জায়গা চিনি সেখানে নিয়ে যেতে পারি । আবির এতো পেচিয়ে না বলে খোলাখুলি বল কোন জায়গায় টাকা তো সবার কাছেই কম বেশি আছে । ৯ নাম্বার সেক্টরে নতুন একটা সিসা বার খুলছে যাবি নাকি তোরা বল । হুম যাওয়া যায় কি বলিস তোরা মাহীন আর রনি ? হুম চল । মাহীন চুপ করে আসিস কেন কিছু বল । আসলে আমি তো এর আগে কোনো দিন এসব জায়গায় যায় নাই , তাই বুঝতেছি না কি বলবো যাবো কি যাবো না । আগে যাস নাই তো কি হয়েছে আজকে যাবি চল । আমি যেয়ে ওখানে কি করবো আমি নাহলে না যায় । ধুর বোকা আমরা সবাই যাচ্ছি আর তুই যাবি না চল । না রে তোরাই যা । দেখ মাহীন আমরা যখন সবাই যাচ্ছি তোকেও আমাদের সঙ্গে যাওয়া লাগবে । আর তোকে কোনো টাকা দেওয়া লাগবে না তোর কাছে কি আমার টাকা চাইছি । টাকার বেপার টা আমরা দেখে নিবো তুই খালি চল আমাদের সাথে । আমার ভালো লাগছে না তোরা যা না সবাই । ধুর আর কোনো কথা বলবি না মাহীন সোজা বাইকে উঠ । সবার জোরাজুরিতে শেষ পযন্ত মাহীন যেতে রাজি হলো । কিছুক্ষণ পর ওরা সবাই বড় একটা বিল্ডিংয়ের সামনে এসে থামলো ।