29-08-2023, 09:26 AM
(28-08-2023, 08:04 PM)Akash23 Wrote: আপনার বন্দনা পর্বটার শেষটা ভালো লাগলো না। সৈকতের সঙ্গে আপনি ঠিক করলেন না। আর পর্বটা শেষ করে দিয়ে ঠিক করার জায়গাটাও রাখলেন না। উপরন্তু সংসারকেও দিলেন তছনছ করে। একই পরিণতি শিখাকুণ্ডুর সাথেও করেছিলেন। কেন অসতী হয়ে সুখে সংসার করা যায় না নাকি। মানবমন তো কুমোরের একতাল মাটির মতো, পাল্টাতে কতক্ষণ। সব বেলেল্লাপনা বুঝি মেনে নেওয়া যেত না। যেখানে নিব্বাগুলো 12 জনের সাথে মুখ লাগিয়ে এসেও বলে আমার পদস্খলন হয়েছিলো ক্ষমা করে দাও আর করেও দেয় ক্ষমা। বাস্তবে যদি হতে পারে তো গল্পে হতে কি সমস্যা। একবার যে পরিণতি এনেছিলেন সেই পরিণতি আবার আনার কি দরকারই বা ছিলো? মার্ভেলও তো আলাদা পরিণতি দেখাতে হোয়াট ইফ সিরিজ এনে সব এভেঞ্জার্স সিরিজের গল্পকে নতুন ভাবে দেখাচ্ছে। আপনিও পারতেন। মাইন্ড করবেন না কিন্তু ফিউচারে আপনার গল্পে এরকম পর্ব এলে খুব সহজেই যে কেউ প্রেডিক্ট করবে আপনার গল্প কেমন!
পর্বের প্লটটা গতানুগতিক হলেও আপনার লেখার হাত সত্যিই খুব ভালো তাই এনজয় করিনি এটা বলা ভুল হবে। টানটান ভাবে ধরে রেখেছিলেন শেষ অব্দি।
প্রশংসা যেমন পেয়েই থাকি, তেমন সমালোচনাকেও গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখা উচিৎ। তাই আপনার সমস্ত বক্তব্য মাথা পেতে নিলাম।
তবে আমি সংসার ভাঙার পক্ষে নয়, বরং বরাবর সংসার জোড়ার পক্ষে সওয়াল করে এসেছি, বলা ভালো লিখে এসেছি। শিখা কুন্ডুর ব্যাপারটা আলাদা। প্রতনুর বাবা অর্থাৎ উনার স্বামীই চিরকাল দায়িত্ব থেকে পালিয়ে এসেছে, তাই ওদের সংসারটা টেকেনি। কিন্তু শ্রীতমার কথা একবার ভাবুন! সাত-ঘাটের জল খেয়ে এসে (দুঃখিত, খেতে বাধ্য হয়ে) এমনকি নিজের পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে হ্যাঙ্কিপ্যাঙ্কি করে, শেষে নিজের সন্তান বুকান আর স্বামী অরুণকে নিয়ে দিব্যি সুখে স্বাচ্ছন্দে ঘর করছে। শুধু শ্রীতমা কেনো, নন্দিনীই বা কম কিসের? বাড়িওয়ালা থেকে শুরু করে আপন মামাশ্বশুর, রিয়েল এস্টেটের মালিকের থেকে শুরু করে বিদেশি ক্লায়েন্ট .. এদের সবার শয্যাসঙ্গিনী হয়ে এ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে স্বামীর কাছেই ফিরে এসেছে সে। ছেলে বিট্টু আর স্বামী অর্চিষ্মানের সঙ্গে তাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে গেছে সে। সেখানে পুরনো স্মৃতি ভুলে চুটিয়ে সংসার করছে। আর এই সিরিজের বন্দনার অধ্যায় সম্পর্কে এইটুকুই বলতে পারি .. যেখানে শান্তিরঞ্জন নিজের স্ত্রীর মুখে তার অপকর্মের কথা শুনেও, তার অবৈধ সন্তানের কথা শুনেও, অসতী স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে রেখেই পত্নীর মর্যাদা দিতে চায় এবং অন্যের সন্তানকে নিজের সন্তান বলে মেনে নিতে চায়, সেখানে আর সংসারটা ভাঙলো কোথায়? সে তো নিজেকে অসতীপতি বলে মেনেই নিয়েছে। বন্দনার অধ্যায় শেষ হয়ে গেলেও, চরিত্রগুলো এখনো হারিয়ে যায়নি এই সিরিজ থেকে। মাঝে মাঝেই কেউ না কেউ ফিরে এসে জানান দিয়ে যাবে, তারা কতটা সুখে সংসার করছে। সঙ্গে থাকুন এবং পড়তে থাকুন।