21-08-2023, 10:00 PM
১
বোমকেশ বক্সীর মেজাজটা এখন চরম খারাপ। দুপুর বারোটা নাগাত সে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে ভিখিরি সেজে বসে আছে কিন্তু এখনও মিসেস সেনের দেখা নেই। তারকাছে পাক্কা টিপ আছে যে মিসেস সেন তার কমবয়সী নাগরকে নিয়ে পার্কে এসে একটু ফস্টিনস্টি করেন এসময়। রোজ দুপুরে মেয়েকে ডে কলেজে দিয়ে তার কলেজপড়ুয়া পাড়াতো দেবরকে ডেকে নিয়ে চলে আসেন এ পার্কে। ৪৯ বছর বয়সী দুই মেয়ের মা এই মিনুসেনকে তার বর অমিতাভ সেন সন্দেহ করছেন কিছুদিন ধরে। আসলে বড় মেয়ে চিত্রা সেনের পর দীর্ঘদিন গ্যাপ দিয়ে হঠাৎ গত আটবছর আগে আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মিনুদেবী। প্রথম দিকে অতি উৎসাহী থাকলেও আস্তে আস্তে উত্তেজনা স্থিমিত হয়ে আসে অমিতাভ বাবুর। মেয়ে চৈতালি যতই বড় হতে থাকে তার চেহারা শারীরিক গঠনও ফুটে উঠতে থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে মেয়েকে দেখতে অনেকটা পাড়ার বিমল বাবুর মতো লাগতে শুরু করে। সন্দেহ আরো গাঢ় হয় যেদিন বিমল বাবুকে তার বাসার সিড়ি দিয়েউপর থেকে নীচে নামতে দেখেন। বিমল বাবুও অমিতাভ বাবুকে দেখে হতবিহ্বল হয়ে যান কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কোনো মতে পাশ কাটিয়ে চলে আসেন। এরপরেই অমিতাভবাবু বউয়ের উপর নজর দিতে শুরু করেন কিন্তু কোনো মতেই কিছু করতে পারছিলেন না। তাই সবভেবে চিন্তে তিনি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন এবং বউকে হাতেনাতে ধরার দায়িত্ব দেন কলকাতার সেরা ডিটেকটিভ বোমকেশ বকসীর ওপরে।
বোমকেশ বকসীর তখন তখন প্রচুর সুনাম কলকাতায় পরকীয়া ধরার জন্যে। তাবর তাবর অতিবুদ্ধিমতী পরকীয়ায় লীপ্ত বউদেরও তিনি আছাড় মেরে কাপড় খুলে দেন জামাইয়ের সামনে তাই ফিসও অনেক বেশী। এজন্যই আইএফআইসি ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার অমিতাভ সেন এ দায়িত্ব বোমকেশকে দিতে একটুও দেরী করেননি ৷ অনেক খোজাখুজির পরও যখন বোমকেশ কোনো ক্লু না পেয়ে দিশেহারা অবস্থা, ভেবেই নিয়েছেন হয়তো কপালে প্রথম কালীর দাগ লাগতে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেবদূতের মতো উদয় হয় অজিত ওরফে বোমকেশ স্টোরি রাইটার। অজিতই তাকে প্রথম খবর দেয় যে মিসেস সেন আজ তার ২৬ বছর বয়সী নাগর দ্বীপকে নিয়ে এই পার্কে আসবে। অজিত কি কাজে যেনো আটকে আছে তাই আজ আসতে পারবে না। আগেও এরকম হতো অজিত টিপ দিয়ে আর আসতো না কিন্তু ইদানিং একটু বেশীই হচ্ছে। যাইহোক সত্যাঞ্চেষী হওয়াতো আর অজিতের কাজ নয় তাই বোমকেশ একাই এসেছে। কিন্তু ডে কলেজ শুরু হবার পর প্রায় ঘন্টা খানেক কেটে গেছে কিন্তু কারোই দেখা নেই।
তাহলে মিসেস সেন যেনে গেছে যে বোমকেশ এখানে তারজন্যে বসে আছে। দুর তা কিভাবে হবে। সে এখানে ভিখারীর বেশে আছে তাকে এখন কেউ চিনতে পারবে না এমন নিখুত মেকাপ হয়েছে। না আজ মনে হয় আর আসবে না, নিজের মনেই বললো বোমকেশ। বাসায় চলে যাবে বলেই সিদ্ধান্ত নিলো। বাসায় ফোন করতে গিয়েও করলো না। ভাবলো সত্যকে একটা সারপ্রাইজ দিলে কেমন হয় কাজ যখন হয়নি তখন মেকাপটাতো আর অযথা নস্ট করা যায় না। যদি এমন মেকাপ করে কখনও তাহলে অজিতকে একটা ফোন দেয় তারপর অজিত গাড়ী নিয়ে এলে সে গাড়ীতে করে অজিতের বাড়ী গিয়ে মেকাপ তুলে তারপর বাড়ী ফিরে আসে। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে অজিতের বাড়ী এবং তার বাড়ী দুটুই বেশ দূর তাই অজিতকে ফোন না করে সে একাই রওনা দিলো বাড়ীর পথে। সত্যকে আজ চমকে দেবে সে। তারপর অন্তঃসত্ত্বা সত্যর হাসিমাখার আদুরে রাগের মুখটা দেখে প্রাণ ভরাবে। ডাক্তার বলেছে এময় সত্যকে বেশী হাসিখুশি রাখতে। তাই একটু বেশী জোরে হেটেই বাড়ীর পথ ধরলো বোমকেশ এবং ঘন্টাখানেক অনবরত হেটে বাড়ীর সামনে এসে বসে পড়লো জিরোতে।
বোমকেশ বক্সীর মেজাজটা এখন চরম খারাপ। দুপুর বারোটা নাগাত সে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে ভিখিরি সেজে বসে আছে কিন্তু এখনও মিসেস সেনের দেখা নেই। তারকাছে পাক্কা টিপ আছে যে মিসেস সেন তার কমবয়সী নাগরকে নিয়ে পার্কে এসে একটু ফস্টিনস্টি করেন এসময়। রোজ দুপুরে মেয়েকে ডে কলেজে দিয়ে তার কলেজপড়ুয়া পাড়াতো দেবরকে ডেকে নিয়ে চলে আসেন এ পার্কে। ৪৯ বছর বয়সী দুই মেয়ের মা এই মিনুসেনকে তার বর অমিতাভ সেন সন্দেহ করছেন কিছুদিন ধরে। আসলে বড় মেয়ে চিত্রা সেনের পর দীর্ঘদিন গ্যাপ দিয়ে হঠাৎ গত আটবছর আগে আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মিনুদেবী। প্রথম দিকে অতি উৎসাহী থাকলেও আস্তে আস্তে উত্তেজনা স্থিমিত হয়ে আসে অমিতাভ বাবুর। মেয়ে চৈতালি যতই বড় হতে থাকে তার চেহারা শারীরিক গঠনও ফুটে উঠতে থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে মেয়েকে দেখতে অনেকটা পাড়ার বিমল বাবুর মতো লাগতে শুরু করে। সন্দেহ আরো গাঢ় হয় যেদিন বিমল বাবুকে তার বাসার সিড়ি দিয়েউপর থেকে নীচে নামতে দেখেন। বিমল বাবুও অমিতাভ বাবুকে দেখে হতবিহ্বল হয়ে যান কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কোনো মতে পাশ কাটিয়ে চলে আসেন। এরপরেই অমিতাভবাবু বউয়ের উপর নজর দিতে শুরু করেন কিন্তু কোনো মতেই কিছু করতে পারছিলেন না। তাই সবভেবে চিন্তে তিনি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন এবং বউকে হাতেনাতে ধরার দায়িত্ব দেন কলকাতার সেরা ডিটেকটিভ বোমকেশ বকসীর ওপরে।
বোমকেশ বকসীর তখন তখন প্রচুর সুনাম কলকাতায় পরকীয়া ধরার জন্যে। তাবর তাবর অতিবুদ্ধিমতী পরকীয়ায় লীপ্ত বউদেরও তিনি আছাড় মেরে কাপড় খুলে দেন জামাইয়ের সামনে তাই ফিসও অনেক বেশী। এজন্যই আইএফআইসি ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার অমিতাভ সেন এ দায়িত্ব বোমকেশকে দিতে একটুও দেরী করেননি ৷ অনেক খোজাখুজির পরও যখন বোমকেশ কোনো ক্লু না পেয়ে দিশেহারা অবস্থা, ভেবেই নিয়েছেন হয়তো কপালে প্রথম কালীর দাগ লাগতে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেবদূতের মতো উদয় হয় অজিত ওরফে বোমকেশ স্টোরি রাইটার। অজিতই তাকে প্রথম খবর দেয় যে মিসেস সেন আজ তার ২৬ বছর বয়সী নাগর দ্বীপকে নিয়ে এই পার্কে আসবে। অজিত কি কাজে যেনো আটকে আছে তাই আজ আসতে পারবে না। আগেও এরকম হতো অজিত টিপ দিয়ে আর আসতো না কিন্তু ইদানিং একটু বেশীই হচ্ছে। যাইহোক সত্যাঞ্চেষী হওয়াতো আর অজিতের কাজ নয় তাই বোমকেশ একাই এসেছে। কিন্তু ডে কলেজ শুরু হবার পর প্রায় ঘন্টা খানেক কেটে গেছে কিন্তু কারোই দেখা নেই।
তাহলে মিসেস সেন যেনে গেছে যে বোমকেশ এখানে তারজন্যে বসে আছে। দুর তা কিভাবে হবে। সে এখানে ভিখারীর বেশে আছে তাকে এখন কেউ চিনতে পারবে না এমন নিখুত মেকাপ হয়েছে। না আজ মনে হয় আর আসবে না, নিজের মনেই বললো বোমকেশ। বাসায় চলে যাবে বলেই সিদ্ধান্ত নিলো। বাসায় ফোন করতে গিয়েও করলো না। ভাবলো সত্যকে একটা সারপ্রাইজ দিলে কেমন হয় কাজ যখন হয়নি তখন মেকাপটাতো আর অযথা নস্ট করা যায় না। যদি এমন মেকাপ করে কখনও তাহলে অজিতকে একটা ফোন দেয় তারপর অজিত গাড়ী নিয়ে এলে সে গাড়ীতে করে অজিতের বাড়ী গিয়ে মেকাপ তুলে তারপর বাড়ী ফিরে আসে। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে অজিতের বাড়ী এবং তার বাড়ী দুটুই বেশ দূর তাই অজিতকে ফোন না করে সে একাই রওনা দিলো বাড়ীর পথে। সত্যকে আজ চমকে দেবে সে। তারপর অন্তঃসত্ত্বা সত্যর হাসিমাখার আদুরে রাগের মুখটা দেখে প্রাণ ভরাবে। ডাক্তার বলেছে এময় সত্যকে বেশী হাসিখুশি রাখতে। তাই একটু বেশী জোরে হেটেই বাড়ীর পথ ধরলো বোমকেশ এবং ঘন্টাখানেক অনবরত হেটে বাড়ীর সামনে এসে বসে পড়লো জিরোতে।