17-08-2023, 08:49 PM
(08-07-2023, 08:53 PM)nextpage Wrote:সত্যি দাদা, অনেকদিন পর লিখলেনপর্ব- ষোল
সময় মতোই অনুষ্ঠান শেষ হয়েছিল তবে আমি আর কথা এখনো ঐ ঘোর টা থেকে বের হতে পারছিলাম না। শুধু আমরা দুজন কেন বাকিরাও হয়তো সেটাতেই মজে ছিল। নইলে এতো গুলো পারফরম্যান্সের পরও ওটা নিয়ে আলোচনা হয়েই চলছিলো। যেটার রেশ গড়িয়েছিল ডিনারের সময় অব্দি। আমরা মানে আমি, কথা, কাব্য আর দীপু দা একটা টেবিলেই খেতে বসেছি কিন্তু খাবার খাবো কি করে! একের পর এক টেবিলের কাছে আসছে আর আমাদের কাব্য নাট্য নিয়ে কথাবার্তা বলছে। বলছে মানে কি পুরো রিভিউ দেয়া শুরু করেছে। ভদ্রতার খাতিরে মানুষের সাথে দুটো কথা তো বলতেই হয়, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে খাবার মুখে তোলার সুযোগটাই পাচ্ছি না। মানুষের গুলোর সাথে আলাপনের ফাঁকে কথা কাব্য কে খাইয়ে দিচ্ছিলো, যদিও কাব্য এখন প্রায়ই নিজের হাতে খাবে বলে বায়না করে। কিন্তু কথা জানে কাব্য কে নিজের হাতে ছেড়ে দেয়া মানে সবকিছু উলটপালট করে ফেলা। তাই ধমকে ধামকি দিয়ে খাবার ছেলের মুখে পুড়ে দিচ্ছে। আর যাই হোক কাব্য ওর মাকে যমের মত ভয় পায়, তবে আমি সামনে থাকলে একটু আধটু সাহসী হবার চেষ্টা করে। ফলস্বরূপ আমাকে কথার বিচারের আসনের সম্মুখীন হতে হয়। ওর ভর্ৎসনা শুনতে হয় যদিও সেটা আমার কাছে ভালোই লাগে। আমি ফ্যালফ্যাল করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকি আর মুচকি মুচকি হাসি। আমার মুচকি হাসিতে কথা আরও তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে, ও পারে তো আমাকে হয়তো তখনি চিবিয়ে খেয়ে নিতো।