17-08-2023, 04:56 PM
সপ্তনবতি অধ্যায়
পানুবাবুকে নিয়ে হোটেল থেকে খেয়েদেয়ে কলতানে ফিরে খাটের উপর বিছানা দেখে ভাবে কতদিন এরকম বিছানায় শোওয়া হয়না।কথা বলে বুঝেছে পানুবাবু এখানেই থাকবেন পাঞ্চালীর কম্পাউণ্ডার হিসেবে।সকালে মামণিকে নিয়ে পৌছাবে পাঞ্চালী।সঙ্গে পারুলদিও আসছে।পাঞ্চালীর কথা মনে হতে কেমন একটা হীনমন্যতাবোধ তাকে গ্রাস করে।পাঞ্চালীর সঙ্গে সেকী প্রতারনতা করছে?কেন যে মোমোর কথায় রাজী হতে গেল।মোমো যা করেছে নিজের জন্য মনুর ভালর জন্য করেছে।মোমোকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে।একা একা কি করছে কে জানে।অবশ্য ঈশানী আছে এখন একেবারে একা নয়।মোমোর কথা ভাবতে ভাবত ঘুমিয়ে পড়ল সুখ।
তুহীন বেরা দেশে গেছে।কলকাতায় কাজ থাকলেই বর্ধমানে মায়ের কাছে যায়।আজ রাত ফিরবে না।কলকাতায় কাজ সেরে কাল ফিরবে।রান্নার মেয়ে মণিকা পাশের ঘরে শুয়েছে সীনন্তিনী আজ একা।অবশ্য এরকম আজ প্রথম তা নয় মাসে অন্তত একবার বর্ধমানে যাবেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে।তাছাড়া আইবুড়ো এক বোন আছে।লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়লেন সীমন্তিনী।এসআরবি ছেলেটাকে ভাল লেগেছে।চুপচাপ থাকে কিন্তু কথায় ধার আছে। এনসিএসকে বেশ জব্দ করেছে।বিবাহিত শুনে অবাক লেগেছে।চাল চলন দেখে মনে হয়নি বিবাহিত।কেমন ভবঘুরে হাবভাব।নারী সংসর্গে এলে পুরুষদের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এসআরবির মধ্যে সেরকম কিছু নজরে পড়েনি।বিবাহিত জানলে অত কথা বলতেন না। নিজেকে প্রবোধ দিলেন বলেছেন তো কি হয়েছে বানিয়ে তো বলেন নি।
ট্রেনে উঠেই মামণি পারুলদি বিছানা করে শুয়ে পড়েছে।বর্ধনান পেরোতেই ঘুমে কাদা।পাঞ্চালীর ট্রেনে ঘুম হয়না।জানলার ধারে বসে দৃষ্টি মেলে দিয়েছে বাইরে।জমাট অন্ধকারে দূরে টিপটিপ জ্বলছে আলো।দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে জ্যোতস্না উপচে পড়ছে। চোখের সামনে হতে সরে সরে যাচ্ছে এক একটা গ্রাম।নিরীহ গোয়ার গোবিন্দ ছেলেটাকে প্রথম দেখেই ভাল লেগে গেছিল।নানাভাবে বোঝালেও বলদটা বোঝেনি।তারপর কলকাতায় পড়তে এসে প্রায় ভুলতে বসেছিল।গোপাল নগরে ফিরে এসে সুব শুনে খুব কষ্ট পেয়েছিল।কলকাতায় মেসে গিয়েও হদিশ পায়নি।ওকে যে ফিরে পাবে ভাবেই নি।কিন্তু একটা ব্যাপার কিছুতেই মেলতে পারছে না ঐ রকম হাদাভোদা ছেলে এতসব জানল কি করে?মেয়েদের সামনে যে দরদর করে ঘামে তার তো এতসব জানার কথা নয়।পাঞ্চালী জানে মিথ্যে বলার ছেলে ও নয়। সম্পর্কটা একটু সহজ হোক তারপর জিজ্ঞেস করা যাবে। গোপাল নগর থেকে কোথায় গেছিল মোমোর সঙ্গেই বা কিভাবে যোগাযোগ।একটা জিনিস লক্ষ্য করেছে সব কিছুকে সহজভাবে মেনে নিতে পারে। একের পর এক ঝড় ঝাপটা তো কম যাযনি তারপর ওর মামা যে ব্যবহার করেছে অন্য কেউ হলে ভেঙ্গে পড়তো।কিন্তু ও শেষ পর্যন্ত মাস্টার্স করেছে শুধু না ভালো রেজাল্ট করেছে। ট্রেনের হুইশল শোনা যাচ্ছে সামনে কোনো স্টেশন আসছে সম্ভবত।বাড়ী থেকে বেরোবার সময় এমন একটা খারাপ ঘটনা ঘটলো।যদিও পাঞ্চালী এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করেনা তবু মনটা কেমন খুত করে।ওদিকে খারাপ কিছু ঘটেনি তো?পাঞ্চালী বাটন টিপে মোবাইল কানে লাগায়।
মোবাইলের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল।হাতড়ে হাতড়ে মোবাইল চোখের সামনে ধরে সুহ দেখি,সাতটা বাজতে চলেছে।বিছানায় উঠে বসে মোবাইল কনে লাগিয়ে তন্দ্রা জড়িত গলায় বলল,হ্যালো ?
ঘুম ভেঙ্গেছে?
হ্যা বলো।
আর ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আমাদের গাড়ী ঢুকে যাবে।
হ্যা জানি।
মালপত্তর সব গুছিয়ে রেখেছো?
হ্যা।শোনো একটা গ্যারাজ আছে একবারে রাস্তার উপর--।
গাড়ী এখনই কিনছি না।
গাড়ীর কথা বলছি না,ঐটা তোমার চেম্বার হতে পারে ।পান্নাবাবুও বলছিলেন--।
ঠিক আছে আগে পৌছাই।কাকু কি করছে?
পাশের ঘরে আছে তুমি কথা বলবে,ডাকবো?
না না এখন থাক।
পাশের ঘরে গিয়ে দেখল পান্নাবাবু উঠে বসে বিড়ি ধরিয়েছেন তাকে দেখে ফেলে দিয়ে বলেন,কিছু বলবেন?
ওদের তো আসার সময় হয়ে গেল।আমরা স্নান খাওয়া সেরে নিই?
ডাক্তার দিদি বলেছেন এখানে এসে রান্না হবে।আপনি স্নানটা সেরে নিন।
পাঞ্চালী পান্নাবাবুকে বললেও তাকে এসব বলার প্রয়োজন মনে করেনি।একটা তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ঢূকে গেল।
কতবড় ডাক্তারের মেয়ে পাঞ্চালী নিজেও ডাক্তার অভিজাত পরিবার।লোকে বলে পাপ কখনো চাপা থাকে না। যেদিন তার স্বরূপ জানতে পারবে পাঞ্চালীর মুখের অবস্থা কেমন হবে ভেবে সুখ শিউরে ওঠে।মোমোকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল তার কোনো দোষ নেই বলে এড়িয়ে যাওয়া যায়না।এইভাবে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া সমীচীন হচ্ছে না। বাথরুম হতে বেরিয়ে দেখল পান্না বাবু স্নান করে একেবারে রেডি।সুখও তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে নিল।সময় হয়ে গেছে ওরা কিছুই চেনে না।শিলিগুড়ী যাবার জন্য একটা রিক্সায় উঠে বসল।
কাঞ্চনকন্যা ঢুকছে খবর হয়েছে।সুখ একপাশে দাঁড়িয়ে থাকে।কদিন ধরে মোমোর কথা খুব মনে পড়ছে।কার জন্য কোন পথ নির্ধারিত কে বলতে পারে।মোমোর সঙ্গে তার জীবন এভাবে জড়িয়ে যাবে কোনোদিন ভেবেছিল।গাড়ী ঢুকছে মোবাইল বেজে উঠতে বিরক্ত হয়ে বাটন টিপে কানে লাগিয়ে বলল,হ্যালো?
সাহেব বলছেন?
আপনি কে বলছেন?
আমি ঈশানী--।
নামটা শুনে উত্তেজিত হয়ে ভাবে ওকি নিজেই ফোন করেছে নাকি মোমোর কথায় ফোন করেছে?বলল,কেমন আছেন?
ভাল না।ম্যাডামের এক্সিডেন হয়েছে--।
এ্যাক্সিডেণ্ট মানে কোথায়?
কলেজ থেকে ফেরার সময় বাস থেকে নামতে গিয়ে--।
কলেজ থেকে ফেরার সময়--এখন তো কলেজে যাওয়ার সময় হয়নি।জিজ্ঞেস করল,কখন?
কাল বিকেলে?
আপনি এখন বলছেন।সুখ উত্তেজিত।
আমি অনেকবার চেষ্টা করিছি--।ফোন কেটে গেল।
ট্রেন থামতে প্রচুর মাল পত্তর নামানো হল।পারুলকে ধরে নামলেন পিয়ালী মিত্র।সুখকে দেখে পাঞ্চালী বেশ বিরক্ত।স্তম্ভের মত কেমন দাঁড়িয়ে আছে।কাছে এসে জিজ্ঞেস করল,কি ব্যাপার?
খারাপ খবর আছে।নিষ্প্রাণ গলায় বলল সুখ।
কি খারাপ খবর?
তোমার পিসি এ্যাক্সিডেণ্ট করেছে।
মোমো?মামণিকে এখন কিছু বোলোনা।
আমাকে কলকাতায় যেতে হবে।আমাকে কিছু টাকা দেবে?
পাঞ্চালীর অবাক লাগে তার পিসি অথচ ওর গরজ বেশি। সমস্ত ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত লাগে।একবার ভাবল বলে তুমি গিয়ে কি করবে।কিছু নাবলে
পান্নাবাবুর ডাক শুনে পাঞ্চালী এগিয়ে গেল।একটা ট্রেকারে মালপত্তর তোলা হয়েছে।মামণি ড্রাইভারের পাশে বসেছে।পারুলদি পিছনে।পাঞ্চালী বলল,কাকু আপনারা চলে যান।আমি বাজার করে যাচ্ছি।
ঘোরাঘুরি করে খোজ নিয়ে তিস্তা-তোর্ষায় জানা গেল টিকিট আছে।গাড়ী পৌনে চারটেয়।পাঞ্চালী দুটো টিকিট কাটলো।সুখ জিজ্ঞেস করে তুমিও যাবে?
পানুবাবুকে নিয়ে হোটেল থেকে খেয়েদেয়ে কলতানে ফিরে খাটের উপর বিছানা দেখে ভাবে কতদিন এরকম বিছানায় শোওয়া হয়না।কথা বলে বুঝেছে পানুবাবু এখানেই থাকবেন পাঞ্চালীর কম্পাউণ্ডার হিসেবে।সকালে মামণিকে নিয়ে পৌছাবে পাঞ্চালী।সঙ্গে পারুলদিও আসছে।পাঞ্চালীর কথা মনে হতে কেমন একটা হীনমন্যতাবোধ তাকে গ্রাস করে।পাঞ্চালীর সঙ্গে সেকী প্রতারনতা করছে?কেন যে মোমোর কথায় রাজী হতে গেল।মোমো যা করেছে নিজের জন্য মনুর ভালর জন্য করেছে।মোমোকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে।একা একা কি করছে কে জানে।অবশ্য ঈশানী আছে এখন একেবারে একা নয়।মোমোর কথা ভাবতে ভাবত ঘুমিয়ে পড়ল সুখ।
তুহীন বেরা দেশে গেছে।কলকাতায় কাজ থাকলেই বর্ধমানে মায়ের কাছে যায়।আজ রাত ফিরবে না।কলকাতায় কাজ সেরে কাল ফিরবে।রান্নার মেয়ে মণিকা পাশের ঘরে শুয়েছে সীনন্তিনী আজ একা।অবশ্য এরকম আজ প্রথম তা নয় মাসে অন্তত একবার বর্ধমানে যাবেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে।তাছাড়া আইবুড়ো এক বোন আছে।লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়লেন সীমন্তিনী।এসআরবি ছেলেটাকে ভাল লেগেছে।চুপচাপ থাকে কিন্তু কথায় ধার আছে। এনসিএসকে বেশ জব্দ করেছে।বিবাহিত শুনে অবাক লেগেছে।চাল চলন দেখে মনে হয়নি বিবাহিত।কেমন ভবঘুরে হাবভাব।নারী সংসর্গে এলে পুরুষদের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এসআরবির মধ্যে সেরকম কিছু নজরে পড়েনি।বিবাহিত জানলে অত কথা বলতেন না। নিজেকে প্রবোধ দিলেন বলেছেন তো কি হয়েছে বানিয়ে তো বলেন নি।
ট্রেনে উঠেই মামণি পারুলদি বিছানা করে শুয়ে পড়েছে।বর্ধনান পেরোতেই ঘুমে কাদা।পাঞ্চালীর ট্রেনে ঘুম হয়না।জানলার ধারে বসে দৃষ্টি মেলে দিয়েছে বাইরে।জমাট অন্ধকারে দূরে টিপটিপ জ্বলছে আলো।দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে জ্যোতস্না উপচে পড়ছে। চোখের সামনে হতে সরে সরে যাচ্ছে এক একটা গ্রাম।নিরীহ গোয়ার গোবিন্দ ছেলেটাকে প্রথম দেখেই ভাল লেগে গেছিল।নানাভাবে বোঝালেও বলদটা বোঝেনি।তারপর কলকাতায় পড়তে এসে প্রায় ভুলতে বসেছিল।গোপাল নগরে ফিরে এসে সুব শুনে খুব কষ্ট পেয়েছিল।কলকাতায় মেসে গিয়েও হদিশ পায়নি।ওকে যে ফিরে পাবে ভাবেই নি।কিন্তু একটা ব্যাপার কিছুতেই মেলতে পারছে না ঐ রকম হাদাভোদা ছেলে এতসব জানল কি করে?মেয়েদের সামনে যে দরদর করে ঘামে তার তো এতসব জানার কথা নয়।পাঞ্চালী জানে মিথ্যে বলার ছেলে ও নয়। সম্পর্কটা একটু সহজ হোক তারপর জিজ্ঞেস করা যাবে। গোপাল নগর থেকে কোথায় গেছিল মোমোর সঙ্গেই বা কিভাবে যোগাযোগ।একটা জিনিস লক্ষ্য করেছে সব কিছুকে সহজভাবে মেনে নিতে পারে। একের পর এক ঝড় ঝাপটা তো কম যাযনি তারপর ওর মামা যে ব্যবহার করেছে অন্য কেউ হলে ভেঙ্গে পড়তো।কিন্তু ও শেষ পর্যন্ত মাস্টার্স করেছে শুধু না ভালো রেজাল্ট করেছে। ট্রেনের হুইশল শোনা যাচ্ছে সামনে কোনো স্টেশন আসছে সম্ভবত।বাড়ী থেকে বেরোবার সময় এমন একটা খারাপ ঘটনা ঘটলো।যদিও পাঞ্চালী এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করেনা তবু মনটা কেমন খুত করে।ওদিকে খারাপ কিছু ঘটেনি তো?পাঞ্চালী বাটন টিপে মোবাইল কানে লাগায়।
মোবাইলের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল।হাতড়ে হাতড়ে মোবাইল চোখের সামনে ধরে সুহ দেখি,সাতটা বাজতে চলেছে।বিছানায় উঠে বসে মোবাইল কনে লাগিয়ে তন্দ্রা জড়িত গলায় বলল,হ্যালো ?
ঘুম ভেঙ্গেছে?
হ্যা বলো।
আর ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আমাদের গাড়ী ঢুকে যাবে।
হ্যা জানি।
মালপত্তর সব গুছিয়ে রেখেছো?
হ্যা।শোনো একটা গ্যারাজ আছে একবারে রাস্তার উপর--।
গাড়ী এখনই কিনছি না।
গাড়ীর কথা বলছি না,ঐটা তোমার চেম্বার হতে পারে ।পান্নাবাবুও বলছিলেন--।
ঠিক আছে আগে পৌছাই।কাকু কি করছে?
পাশের ঘরে আছে তুমি কথা বলবে,ডাকবো?
না না এখন থাক।
পাশের ঘরে গিয়ে দেখল পান্নাবাবু উঠে বসে বিড়ি ধরিয়েছেন তাকে দেখে ফেলে দিয়ে বলেন,কিছু বলবেন?
ওদের তো আসার সময় হয়ে গেল।আমরা স্নান খাওয়া সেরে নিই?
ডাক্তার দিদি বলেছেন এখানে এসে রান্না হবে।আপনি স্নানটা সেরে নিন।
পাঞ্চালী পান্নাবাবুকে বললেও তাকে এসব বলার প্রয়োজন মনে করেনি।একটা তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ঢূকে গেল।
কতবড় ডাক্তারের মেয়ে পাঞ্চালী নিজেও ডাক্তার অভিজাত পরিবার।লোকে বলে পাপ কখনো চাপা থাকে না। যেদিন তার স্বরূপ জানতে পারবে পাঞ্চালীর মুখের অবস্থা কেমন হবে ভেবে সুখ শিউরে ওঠে।মোমোকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল তার কোনো দোষ নেই বলে এড়িয়ে যাওয়া যায়না।এইভাবে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া সমীচীন হচ্ছে না। বাথরুম হতে বেরিয়ে দেখল পান্না বাবু স্নান করে একেবারে রেডি।সুখও তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে নিল।সময় হয়ে গেছে ওরা কিছুই চেনে না।শিলিগুড়ী যাবার জন্য একটা রিক্সায় উঠে বসল।
কাঞ্চনকন্যা ঢুকছে খবর হয়েছে।সুখ একপাশে দাঁড়িয়ে থাকে।কদিন ধরে মোমোর কথা খুব মনে পড়ছে।কার জন্য কোন পথ নির্ধারিত কে বলতে পারে।মোমোর সঙ্গে তার জীবন এভাবে জড়িয়ে যাবে কোনোদিন ভেবেছিল।গাড়ী ঢুকছে মোবাইল বেজে উঠতে বিরক্ত হয়ে বাটন টিপে কানে লাগিয়ে বলল,হ্যালো?
সাহেব বলছেন?
আপনি কে বলছেন?
আমি ঈশানী--।
নামটা শুনে উত্তেজিত হয়ে ভাবে ওকি নিজেই ফোন করেছে নাকি মোমোর কথায় ফোন করেছে?বলল,কেমন আছেন?
ভাল না।ম্যাডামের এক্সিডেন হয়েছে--।
এ্যাক্সিডেণ্ট মানে কোথায়?
কলেজ থেকে ফেরার সময় বাস থেকে নামতে গিয়ে--।
কলেজ থেকে ফেরার সময়--এখন তো কলেজে যাওয়ার সময় হয়নি।জিজ্ঞেস করল,কখন?
কাল বিকেলে?
আপনি এখন বলছেন।সুখ উত্তেজিত।
আমি অনেকবার চেষ্টা করিছি--।ফোন কেটে গেল।
ট্রেন থামতে প্রচুর মাল পত্তর নামানো হল।পারুলকে ধরে নামলেন পিয়ালী মিত্র।সুখকে দেখে পাঞ্চালী বেশ বিরক্ত।স্তম্ভের মত কেমন দাঁড়িয়ে আছে।কাছে এসে জিজ্ঞেস করল,কি ব্যাপার?
খারাপ খবর আছে।নিষ্প্রাণ গলায় বলল সুখ।
কি খারাপ খবর?
তোমার পিসি এ্যাক্সিডেণ্ট করেছে।
মোমো?মামণিকে এখন কিছু বোলোনা।
আমাকে কলকাতায় যেতে হবে।আমাকে কিছু টাকা দেবে?
পাঞ্চালীর অবাক লাগে তার পিসি অথচ ওর গরজ বেশি। সমস্ত ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত লাগে।একবার ভাবল বলে তুমি গিয়ে কি করবে।কিছু নাবলে
পান্নাবাবুর ডাক শুনে পাঞ্চালী এগিয়ে গেল।একটা ট্রেকারে মালপত্তর তোলা হয়েছে।মামণি ড্রাইভারের পাশে বসেছে।পারুলদি পিছনে।পাঞ্চালী বলল,কাকু আপনারা চলে যান।আমি বাজার করে যাচ্ছি।
ঘোরাঘুরি করে খোজ নিয়ে তিস্তা-তোর্ষায় জানা গেল টিকিট আছে।গাড়ী পৌনে চারটেয়।পাঞ্চালী দুটো টিকিট কাটলো।সুখ জিজ্ঞেস করে তুমিও যাবে?