18-07-2023, 07:57 PM
(05-05-2023, 10:51 PM)জবা দাশ জয় দাশ Wrote:পর্ব ১. জবা কিচেনে রান্না করছিলো আর গুন গুন করে ওর সবথেকে প্রিয় গানটি গায়ছিলো।জবার মনটা যখন খুব ভালো থাকে বা কোনো কাজে ও খুশি হয় তখন জবা ওর প্রিয় গানটি গুন গুন করে গেয়ে ভালো লাগার জানান দেয়। এদিকে জয় সোফায় বসে গা এলিয়ে দিয়ে হাটুর উপর পা তুলে ডান হাতে রিমুটটা টিভির দিকে উচিয়ে একটার পর একটা চ্যানেল পাল্টিয়ে যাচ্ছে। হঠাত কি একটা মনে পড়ায় তড়াত করে ওঠে বোডের সুইচ অব করে দিয়ে টিভি বন্ধো করে এ ঘর থেকে বেড়িয়ে কিচেন ঘরের দিকে পা বাড়ালো। কিচেন ঘরের সামনে এসে দেখে ওর মা কি যেন একটা খাবার বানাচ্ছে আর গুন গুন করে মায়ের সব থেকে প্রিয় রবীদ্র সঙ্গিত গানটা গায়ছে। কিচেন ঘরের দরজার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গিয়ে মায়ের পিছনে দাড়ায় জয়। ********* জবা আকাশি রংয়ের তাতের শাড়ি পড়েছিলো সাথে নীল রংয়ের ব্লাউজ এবং কপালে কোবরা টিপ, মাথার চুলগুলো দু ভাগে ভাগ করে বেনি করে দু পাশের কাধে রেখেছে দুই হাতে ছিটিগোল্ডের চুরি এবং বা হাতে ঘড়ি। জবা এই গরমে রান্নার প্ররিশ্রমে দর দর করে ঘামছে ওদিকে তার কোনো যেন খেয়াল নেই, কপালের আর গলার ঘামের বিন্দু গুলো ধীরে ধীরে নিচের দিকে গড়িয়ে গড়িয়ে নেমে প্রবেশ করছে নিষিদ্ধ গহবরে। জয় পেছনে দারিয়ে মায়ের ঘেমে যাওয়া পীঠটার দিকে দেখছে কি ভাবে ঘাড়ের ঘামের ফোটা গুলো গড়িয়ে এসে ব্লাউজ ভিজিয়ে দিচ্ছে,আর ব্লাউজের ভিতর ঘাম হয়ে ভেজা ভাব ফুটিয়ে তুলছে, পারফিউম আর ঘামের মিশেলে একটা মিস্টি ঘান আসছে মায়ের বদন থেকে, জয় এই মিস্টি গন্ধটাকে চোখ বুজে হাল্কা হাল্কা নাক টেনে গন্ধটার অনুভুতি নিচ্ছে আর মনে মনে কল্পনার জাল বুনছে। এদিকে রান্না এবং গানে এতো ডুবে ছিলো যে কখন ছেলে এসে তার পেছনে দাড়িয়েছে সে ধারোনাই করতে পারেনি, ঘাম হয়ে পিঠের কাছে চুলকানির ভাব হতে জবা শাড়ির আচলটা দিয়ে ঘাম মুছতে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে তার ছেলে জয় দাড়িয়ে আছে আর চোখ দুটো বোজা ঠোটের কোনায় মিস্টি এক চিলতে হাসি। জবা অবাক হয়ে দেখছে তার দুস্টু ছেলেকে একি সং রে বাবা শেষে ছেলের কি মাথা খারাব হলো নাকি, জবা ভালো করে মুখ ঘার মুছে ছেলের সামনে এসে ছেলের কাধে হাত রেখে নাড়া দিয়ে ডাকলো এই জয় জয় কি হয়েছে তোর, এভাবে দাড়িয়ে আছিস কেন, জয়ের কানে হঠাত মায়ের ডাক শুনে চটকাটা ভেঙ্গে গেলো, জয় দেখলো তার মা তার দিকে জিজ্ঞাসা দৃস্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে, জয় জিজ্ঞেস করলো কি দেখছো এমন করে মা, তুই ওইভাবে চোখ বুজে দাড়িয়ে ছিলি কেন আমার পেছনে ও এই কথা আমি একটা এক্সপেরিমেন্ট করছিলাম, জবা বললো কিসের এক্সপেরিমেন্ট ও এখন বললে তুমি বুঝবে না আমার কাছেও এখোনো ধোয়াশা, যাক বাবা ওসব এক্সপেরিমেন্ট ধোয়াশা নিয়ে আমার কোনো কাজ নেই তুই থাক তোর এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে, আমার রান্নার বাড়োটা বাজলো ধুরছাই। এই বলে এগিয়ে গেল রান্নায় মন দিলো জবা। জয়ের হঠাত মনে হলো আরে ও যে কাজে এসেছিলো সেটাই তো ভুলে গেছে, আসলে ভুলিয়ে দিয়েছিলো মায়ের ঘাম মেশানো পারফিউমের মিস্টি গন্ধটা, জয় দাড়িয়ে ভাবছে মায়ের মুড এখন ভালো আছে, এটাই শুজুক কথাটা পাড়ার, তাই সে এগিয়ে গিয়ে পেছন থেকে মাকে জড়িয়ে ধরলো, এই গরমে ঘেমো শরিরে ছেলে অসময় জড়িয়ে ধরায় একটু বিরক্ত হলো জবা, তাই সে ঘাড় ঘুরিয়ে ছেলেকে বললো কি বেপার বাবু এই গরমে আমাকে একটু না জালালেই নয়,জয়ের মুখে ফিসকে হাসি জবা আর কথা বাড়ালো না সে রান্নায় মন দিলো। জয় একটু চুপ থেকে বললো মা তোমার মনে আছে গত বছর পুজোর সময় মামা বাড়ি যাওয়ার পথে ট্রেন দু ঘন্টা থেমে ছিলো কোনো এক কারনে শিলিগুড়ি প্ল্যাটফর্মে। তখন আমরা নেমে পায়চারি করছিলাম প্ল্যাটফর্মে তখন তুমি বললে ধুর বাবা সেই কখন থেকে থেমে আছে আর ভালো লাগে না, তার পর আমরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে গিয়ে একটা ফাস্টফুডের খাবারের দোকানে খেতে ধুকে ছিলাম তার পরে আমারা একটি টেবিলে গিয়ে বসেছিলাম সেই টেবিলে আরো চার জন ছিলো একজন বছর পঁয়ত্রিশের মহিলা আর একটা বছর আঠারোর ছেলে এবং দুটি বাচ্ছা ছেলে মেয়ে নয় দশ বছরের, তার পর খাওয়ার টেবিলে ওদের সাথে অনেক গল্প গুজব হলো তুমি জিজ্ঞাসা করে ছিলে আপনারা গুজরাত যাচ্ছেন কেন তখন ওই মহিলা তার ব্যাগ থেকে একটা ডাইরি বের করে তোমাকে দিয়ে বলেছিলো এর উত্তর এটায় আছে আপনাকে এই ডাইরিটা দিলাম আর ফেরত দিতে হবে না বাড়ি গিয়ে যদি প্রয়জন মনে করেন তা হলে পড়ে দেখবেন তার পর ওনারা চলে যান আমরাও চলে আসি। জয় এক দমে বলে থামলো, তার পর আবার বললো চলো না মা আজকে পরি ডাইরিটা দুজনে কি লেখা আছে প্লিজ প্লিজ প্লিজ. জবা মনে মনে ভাবলো কতো দিনের কথা ছেলেটার ঠিক মনে আছে, সে তো ভুলেই গিয়েছিলো ডাইরাটার কথা, জবা একটা চাপা নিচ্ছাস ছেরে বললো ঠিক আছে আগে খেয়ে নে তার পর তো ঘরে গিয়ে আরাম করে দুজনে পড়বো কেমন,জয় উল্লাসে চিৎকার করে উঠলো ই..য়া...... জবার রান্না হয়ে গেছে এবং খাবার গুলো ডাইনিং টেবিলে সাজিয়ে রাখছে। জয় স্নানে গেছে, তার পর সব কিছু হয়ে গেলে দুজনে খেতে বসলো খাওয়া শেষ করে জয় ওর ঘরে খাটে বসে মায়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। জবা এটো বাসন যাইগা মতো রেখে হাত মুখ ধুয়ে ফেস হয়ে তার নিজের শোয়ার ঘরে গিয়ে আলমারিটা খুলে ডাইরিটা বের করলো তার পর আবার আলমারি বন্ধ করে ডাইরি খানা হাতে নিয়ে ছেলের রুমের দিকে পা বাড়ায় তার পর মা ছেলে পাশাপাশি চিত হয়ে শুয়ে ডুবে যায় ডাইরির পাতায় পাতায়.......... চলবে.
darun hoyeche caliye jao ......kotot boyos tomar ?