13-07-2023, 09:35 AM
আমি চাকরিজীবী ছাপোষা মধ্যবিত্ত। নিজের চাকরি,যৎসামান্য পড়াশোনা আর নিভৃত গৃহকোণটি নিয়ে ভারি সুখেই ছিলাম। এহেন দুর্মতি যে কখনও হবে তার কোনও পূর্বলক্ষণই ছিল না। ছোটবেলায় ভারি রুগ্ন ছিলাম বলে খেলাধূলায় বিশেষ সুবিধা করতে পারতাম না। সেই বয়সে বড়দের চোখরাঙানি তাও মেনে নেওয়া যায়, সমবয়সীদের টিটকিরি মেনে নেওয়া বড়ই দুঃসহ। ফলে আমাকে একটা নিজের একটা আলাদা জগৎ তৈরি করে নিতে হয়। আমি আস্তে আস্তে মানুষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম, আমার জগত জুড়ে শুধু বই আর বই, বই পড়া হলো আমার ধর্ম আমার কর্ম। সেই জগতের একচ্ছত্র অধিপতি রাজা রায়চৌধুরী বলে একটা খোঁড়া লোক, সঙ্গী হিসেবে দুই দাদা, প্রদোষ মিত্র এবং ভজহরি মুখুজ্জে, প্রফেসর শঙ্কু।
তবে বয়সের সাথে সাথে আমার পড়া আগ্রহে পরিবর্তন আসতে শুরু করলো। একটা সময়ের পর দেখলাম আর উপন্যাস গল্প পড়তে আগ্রহ পাই না। আমার একমাত্র আগ্রহ ব্যক্তিগত দিনলিপি। দুর্ভাগ্যজঙ্ক ভাবে বাংলা সাহিত্যে ডায়েরি খুব একটা নেই। মানুষ ডায়েরি লিখে তবে সেটা সম্ভবত ছাপাতে চায় না। আমার বাসার পাশে একটা পুরাতন ভাঙ্গারির দোকান আছে, পুরাতন লক্কড়জক্কড়, বই বেচাকেনা হয়। বই থেকে সাধারণত কাগজের টোংগা বানানো হয়। সেই দোকানদের সাথে আমার একধরণের চুক্তি আছে। তার দোকানে বিক্রির জন্য আসা বইয়ের মধ্যে পুরাতন বইপত্রে যদি ডায়েরি থাকে তবে সেটা আমার জন্য রেখে দেয়, আমি নাড়াচাড়া করে যদি আগ্রহী হই তবে ডায়েরিটা কিনে ফেলি, দামের হিসাবটা সহজ; এই ডায়েরি দিয়ে যেপরিমাণ টোংগা তৈরি হত সেই পরিমাণ টাকা দোকানদার দিতে হয়। এই দোকানেই আমি আচমকা একদিন পেলাম অদ্ভুত একটা ডায়েরি। সেই রাত্রেই ঘুমটুম ভুলে গিয়ে তিনটে অবধি জেগে খাতাটা পড়া শেষ করলাম। যা পড়লাম তা আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। এ সব সত্যি কি মিথ্যে, সম্ভব কি অসম্ভব, তা তোমরা বুঝে নিও।
তবে বয়সের সাথে সাথে আমার পড়া আগ্রহে পরিবর্তন আসতে শুরু করলো। একটা সময়ের পর দেখলাম আর উপন্যাস গল্প পড়তে আগ্রহ পাই না। আমার একমাত্র আগ্রহ ব্যক্তিগত দিনলিপি। দুর্ভাগ্যজঙ্ক ভাবে বাংলা সাহিত্যে ডায়েরি খুব একটা নেই। মানুষ ডায়েরি লিখে তবে সেটা সম্ভবত ছাপাতে চায় না। আমার বাসার পাশে একটা পুরাতন ভাঙ্গারির দোকান আছে, পুরাতন লক্কড়জক্কড়, বই বেচাকেনা হয়। বই থেকে সাধারণত কাগজের টোংগা বানানো হয়। সেই দোকানদের সাথে আমার একধরণের চুক্তি আছে। তার দোকানে বিক্রির জন্য আসা বইয়ের মধ্যে পুরাতন বইপত্রে যদি ডায়েরি থাকে তবে সেটা আমার জন্য রেখে দেয়, আমি নাড়াচাড়া করে যদি আগ্রহী হই তবে ডায়েরিটা কিনে ফেলি, দামের হিসাবটা সহজ; এই ডায়েরি দিয়ে যেপরিমাণ টোংগা তৈরি হত সেই পরিমাণ টাকা দোকানদার দিতে হয়। এই দোকানেই আমি আচমকা একদিন পেলাম অদ্ভুত একটা ডায়েরি। সেই রাত্রেই ঘুমটুম ভুলে গিয়ে তিনটে অবধি জেগে খাতাটা পড়া শেষ করলাম। যা পড়লাম তা আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। এ সব সত্যি কি মিথ্যে, সম্ভব কি অসম্ভব, তা তোমরা বুঝে নিও।