10-07-2023, 06:52 PM
আমায় নিয়ে গাড়িতে ওঠায়। আর পুজোর সামগ্রীর থেকে একটা জবা ফুল আমার কপালে ঠেকিয়ে আমায় মিষ্টি দেয়। ল্যাব এ আমার টেস্ট টেষ্ট হয়েছে আগেও। কিন্তু প্রথম বার মিষ্টি খেলাম। ও বলল, বয়সের দিক থেকে আমরা একই। তাই তোমায় দিদি বা বোন বলবো না। তোমায় আমি পরী অথবা বৌ বলেই ডাকব।
আমি ওকে বলি আমরা কোথায় যাচ্ছি??
ও হেসে বলে , নিজের বরের কাছে এই বেশে যাবে গো বউ?
আমি ওকে বলি কেনো? এতে খারাপ কি আছে?
আমি একটা আকাশী রং এর কুর্তি আর জিন্স পরে ছিলাম।
ও বলল না না বউ উনি আবার ঘোরের লক্ষী দের এমন ফিরিঙ্গি ভাবে ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন না।
আমি বললাম ঠিক আছে। তবে মনে মনে প্রশ্ন রয়েই যায়। কে এই aratrika, এর বর ই বা কে আর আমিই বা এর সতীন কি ভাবে। ও আবার ও আমার দিকে না তাকিয়েই বলে ।
আমিও তোমার মতই গো বউ। তারপর নিজের আঙ্গুল দাঁত দিয়ে একটু কেটে দেখায় ওর সোনালী রক্ত।
আমি বলি তুমিও ?
হ্যাঁ গো বউ আমিও ওই নবীন মানব। তবে কাউকে বলনা যেনো। এখন তুমিও মানুষ আমিও মানুষ। যাঃ এখন কি হবে?
আমি বললাম কেনো? ও বলল আরে আমি যদি একটুও চোট পাই উনি রেগে যান। সেখানে আঙুল কেটেছি জানলে তো আমায় আবার অন্ধ কুঠুরি তে চোখ বন্ধ করে আটকে দেবেন।
আমি এবার aratrikar চোখে ভয় দেখি। আমি নিজেও ভয় পাই। আগের আমি ভয় দুঃখ আনন্দ এসব টের পেতাম না । কিন্তু এখন পাই। আর আমার স্মৃতি ফিরে আসার পর থেকে তো কোর্ট এ আমার সাক্ষী দেওয়া থেকে ওকে মেরে ওর হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনা আমায় রোজ পোড়ায়। বুকে ব্যাথা হয় গলায় কান্না দলা পাকিয়ে আসে চোখ দিয়েও জল পড়ে।
Aratrika বলে :- ও বউ কাদঁছো কেনো? কেঁদো না লক্ষ্মীটি।
পরী:- aratrika তোমার বর কে গো? আমি তাকে চিনি?
Aratrika:- ওমা চেনো বই কি! আলবাত চেনো । তুমিই তো এক কলে ওর সব ছিলে।
পরী:- প্রহ্লাদ?!
Aratrika শান্ত হয়ে বলে। পরী বউ, এই নামের কেউ নেই। যে ছিল সে 6 বছর আগে মারা গেছে। তুমি আর মা তাকে মেরে দিয়েছো। ওনার সামনে এমন ভান করবে তোমার কিছু মনে নেই ওনাকে ছাড়া। উনি জানতে পরলে জে তোমার সব মনে আছে আর তুমি অনুশোচনায় ভুগছ, উনি আমার সাথে তোমাকেও মেরে ফেলবেন। আমি ওনাকে সুস্থ চাই। ওনার সাথে সংসার করতে চাই ওনার বাবার সেবা করতে চাই ওনার সন্তান গর্ভে নিয়ে তার সাথে। বাঁচতে চাই। তাই তুমি নিজের অ্যান্ড্রয়েড শক্তির সাথে তোমার অতীত ভুলে যাও।
পরী:- তুমি কেনো করছ এমন। নিজের প্রাণ এর ঝুঁকি নিয়ে কেনো আমায় আমার সুখের কাছে এগিয়ে দিচ্ছ?
Aratrika?
Aratrika:- আমি একটা বিরাট ক্ষতি হওয়ার থেকে ওনাকে বাচাচ্ছি। তুমি একটা রাক্ষস রেখে গেছ 6 বছর আগে। তাকে সাহায্য করে তাকে শয়তান বানিয়েছি আমি। আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত তো করতেই হবে বউ। ও বাবা কে মা কে ও ছাড়বে না। সমস্যা এখানে না। সমস্যা ও সবাইকে শেষ করে দিতে চায়। আমাদের দুজনকে ওকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সবাইকে বাঁচাতে হবে।
তবে খেয়াল রেখো বউ আমরা ডালে ডালে চললে উনি পাতায় পাতায় চলেন। তোমার মত আমার ও সব দুর্বলতা ও জানে।
সবচেয়ে বড় কথা ও কাউকেই বিশ্বাস করে না। আমাকেও না। ওকে সবার ক্ষতি করা থেকে বাঁচাতে আমায় ও জা বলে সেটা মেনে নিতে হয়। তুমিও মেনে নেবে। ও তুমি আমায় আরু বলতেই পারো।
বেশ।
এরপর আমি আর আরু একটা শাড়ির দোকান এ যাই। আরু আমার জন্য অনেক শাড়ি কেনে। তারপর গয়না কেনে।
এরপর আমরা একটা প্রাসাদ এর মত বাড়িতে যাই।
প্রাসাদ এর সামনে যেতে তো আমি অবাক! আইপিএস দুষ্মন্ত সহ একাধিক উচ্চ পদস্থ পুলিশ দারোয়ান এর মত গেট এ রয়েছে।
গেট এর পর লম্বা লন। লন এ কিছু পুলিশ কিছু উলংগ মহিলা কে নিয়ে হাঁটছে। যেন ওগুলো কুকুরি।
এর পর গেট খুলতেই আমি অবাক। মা!!
আইপিএস মায়া দত্ত একটা বরণ ডলি নিয়ে আমায় বরণ করছে।
আমি তো অবাক। আরু বলল মা কে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে। আমি আশীর্বাদ নেবো কি আমি তো অবাক! মা এখানে কি করে এলো? মা তো তাথৈ কে নিয়ে সেই কবে দিল্লি গেলো!
মা আমায় আশীর্বাদ করে বললো বেচে থাকো মা । খুব মিষ্টি লাগছে তোমায়। আরু কে বলল বৌমা যাও পরী কে নিয়ে তৈরি করো।
আমি তো প্রশ্ন শুরু করি , মা এখানে কি করে এলো, তাথৈ কোথায়? মা আর আরু আমায় ইশারা করে ক্যামেরা দেখালো।
আমি ওদের ইশারা বুঝে চুপ করে ওদের কথা মানলাম।
এর পর আমি ঘরে এলাম।
আরু আমায় বলল তাথৈ, তিতলি এঁরা এখনও ঠিক ই আছে। তবে আমাদের এক চুল ভুল হলে ওদের ব্রেন ওয়াইপ করে দেবে তারপর তার জ্যান্ত লাশ হয়ে যাবে।
আমি ভাবলাম কে এমন নিষ্ঠুর? 6 8 বছরের বাচ্চা দুটোর ওপর এমন করবে? আরু কে বললাম এই পুলিশরা কারা? আর এই মহিলা গুলোই বা কেন এমন ভাবে রয়েছে?
আরু আমায় বলল এটা নরক গো বউ নরক। এই জে মহিলা গুলো, সবাই কেউ টাকা, কেউ নিজের শরীরের খিদে কেউ বা একটু অ্যাডভেঞ্চার এর জন্য নিজেদের সুখের সংসার ছেড়ে অবৈধ সংসারে জড়িয়েছিল । তারপর তাদের সমি সন্তানেরা যখন তাদের ফেরাতে আসে এরা তাদের নতুন পাওয়া প্রেম , অর্থ, বা রোমাঞ্চের জন্ন নিজেদের পরিবার কে ফিরিয়ে দেয়।
তারই শাস্তি দিচ্ছে ভৈরব। কুকুর দের কুকুরের মতোই ব্যবহার।
ভৈরব ই এই মহিলাদের জালে ফেলত। আর সুযোগ ও দিত যদি নিজেদের ভুল বুঝে ফিরে যেত তো ভালো না হলে তো তুমি দেখতেই পাচ্ছো।
পরী:- আর পুলিশ গুলো?
আরু:;- এঁরা? লাখ লাখ টাকার এদিক ওদিক করেছে এরা। এবার যদি খবর বাইরে যায় তাহলে হয় পাবলিক পিটিয়ে মারবে আর সরকার জানলে সোজা ফাঁসি বা যাবজ্জীবন।
তাই ওদের চাকরি ছড়িয়ে দিয়ে নিজের কাছে কাজে রেখেছে এদের।
পরী:- আর মা এর বর? দুষ্মন্ত? ও কি করেছে?
আরু:- বউ? তুমি জানো না ও কি করেছে?
মা এর মেয়ে হওয়ায় মা কে জা টা বলে অপমান করেছে। মা কে বাজারু, ছিনাল , রেন্ডি বলেছে।
তাই ভৈরব ওর মুখ চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে। একটা পাইপ দিয়ে ওর শরীরে দরকারি পুষ্টি ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হয়।
আর ওর চলা ফেরার ক্ষমতা ও কেরে নিয়েছে ভৈরব । ওর পেছনে জে স্ট্যান্ড টা আছে ঐটাই ওকে নাড়ায়। তাই ও আস্তে যেতে খালি সেলুট দিতে পারে। রোদ ঝর বৃষ্টি তে ওকে বাইরেই রাখে ভৈরব।
আমি একবার বলতে আমায় বলেছিল ওরকম জিনিষ ঘরে রাখতে নেই।
পরী রেবতী কে বলে, ম্যাম আমি সত্যি নরক দেখেছি!!
এরপর আমি দেখলাম এই নরক এর অধিপতি কে ।
আরু ই হুইলচেয়ার ঠেলে নিয়ে এলো।
আমায় দেখে শান্ত হেসে বলল
ভালো আছো পরী?
আমার তো বুক ফেটে কান্না আসছিল। মনে হচ্ছিল ওর পা ধরে ক্ষমা চাই। আরু বুঝে আমায় ইশারা করে নিজেকে শক্ত হতে বলে।
আমি ওকে বলি , ভালো আছি।
ও বলে বেশ তো খেয়ে নাও। তারপর তুমি মায়া ম্যাডাম, মাহি , মিহিকা , এদের সাথে বিয়ের কেনাকাটা করে নিও।
তারপর আমি বেরোই । আমি মা কে বলি হচ্ছে টা কি এসব?
ওর মত মানুষ এমন রাক্ষস হলো কীকরে?
মা বলল, আমি তো ট্রান্সফার নিয়ে চলে গেছিলাম অনেক দূর। কিন্তু একটা ঘটনা তে আমার পুরো টিম অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। ডক্টর বলে ওরা কোমায়। বাঁচার চান্স বেশি তবে কতদিন কমায় থাকবে বলা মুশকিল।
আমি নিজে তদন্তে নামি। তারপর একদিন আমি মুখোমুখি হই জে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তার সাথে।
যখনই আমি ওকে দেখি। আমার হাত কাপতে শুরু করে ।
ও বলে :- কি হলো মানি? আমায় গুলি করবে না?
আমি বললাম :- বাবু ?! তুই?
ভৈরব:- না না আইপিএস মায়া দত্ত সিংহ, আমায় আপনি বাবু বলবেন না । আমার মা আমায় বলত সেটা।
মায়া:- বাবু আমি আমিই তো তোর মা ।
ভৈরব:- মিথ্যে!! আর এক পা এগোলে আমি গুলি চালাবো ।
মায়া:- কি কি করছিস বাবা? ও ওটা ফেলেদে ... তুই আমার ভালো বাবা না?? এমন করবি? ফেলে দে ওটা বাবা
ভৈরব আকাশে গুলি ছোড়ে। সরে যান ম্যাডাম । আমি কিন্তু মানসিক রুগী। জেল খাটা আসামি! । আপনাকে আমি মেরে দেবো
আমি ওকে বলি আমরা কোথায় যাচ্ছি??
ও হেসে বলে , নিজের বরের কাছে এই বেশে যাবে গো বউ?
আমি ওকে বলি কেনো? এতে খারাপ কি আছে?
আমি একটা আকাশী রং এর কুর্তি আর জিন্স পরে ছিলাম।
ও বলল না না বউ উনি আবার ঘোরের লক্ষী দের এমন ফিরিঙ্গি ভাবে ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন না।
আমি বললাম ঠিক আছে। তবে মনে মনে প্রশ্ন রয়েই যায়। কে এই aratrika, এর বর ই বা কে আর আমিই বা এর সতীন কি ভাবে। ও আবার ও আমার দিকে না তাকিয়েই বলে ।
আমিও তোমার মতই গো বউ। তারপর নিজের আঙ্গুল দাঁত দিয়ে একটু কেটে দেখায় ওর সোনালী রক্ত।
আমি বলি তুমিও ?
হ্যাঁ গো বউ আমিও ওই নবীন মানব। তবে কাউকে বলনা যেনো। এখন তুমিও মানুষ আমিও মানুষ। যাঃ এখন কি হবে?
আমি বললাম কেনো? ও বলল আরে আমি যদি একটুও চোট পাই উনি রেগে যান। সেখানে আঙুল কেটেছি জানলে তো আমায় আবার অন্ধ কুঠুরি তে চোখ বন্ধ করে আটকে দেবেন।
আমি এবার aratrikar চোখে ভয় দেখি। আমি নিজেও ভয় পাই। আগের আমি ভয় দুঃখ আনন্দ এসব টের পেতাম না । কিন্তু এখন পাই। আর আমার স্মৃতি ফিরে আসার পর থেকে তো কোর্ট এ আমার সাক্ষী দেওয়া থেকে ওকে মেরে ওর হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনা আমায় রোজ পোড়ায়। বুকে ব্যাথা হয় গলায় কান্না দলা পাকিয়ে আসে চোখ দিয়েও জল পড়ে।
Aratrika বলে :- ও বউ কাদঁছো কেনো? কেঁদো না লক্ষ্মীটি।
পরী:- aratrika তোমার বর কে গো? আমি তাকে চিনি?
Aratrika:- ওমা চেনো বই কি! আলবাত চেনো । তুমিই তো এক কলে ওর সব ছিলে।
পরী:- প্রহ্লাদ?!
Aratrika শান্ত হয়ে বলে। পরী বউ, এই নামের কেউ নেই। যে ছিল সে 6 বছর আগে মারা গেছে। তুমি আর মা তাকে মেরে দিয়েছো। ওনার সামনে এমন ভান করবে তোমার কিছু মনে নেই ওনাকে ছাড়া। উনি জানতে পরলে জে তোমার সব মনে আছে আর তুমি অনুশোচনায় ভুগছ, উনি আমার সাথে তোমাকেও মেরে ফেলবেন। আমি ওনাকে সুস্থ চাই। ওনার সাথে সংসার করতে চাই ওনার বাবার সেবা করতে চাই ওনার সন্তান গর্ভে নিয়ে তার সাথে। বাঁচতে চাই। তাই তুমি নিজের অ্যান্ড্রয়েড শক্তির সাথে তোমার অতীত ভুলে যাও।
পরী:- তুমি কেনো করছ এমন। নিজের প্রাণ এর ঝুঁকি নিয়ে কেনো আমায় আমার সুখের কাছে এগিয়ে দিচ্ছ?
Aratrika?
Aratrika:- আমি একটা বিরাট ক্ষতি হওয়ার থেকে ওনাকে বাচাচ্ছি। তুমি একটা রাক্ষস রেখে গেছ 6 বছর আগে। তাকে সাহায্য করে তাকে শয়তান বানিয়েছি আমি। আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত তো করতেই হবে বউ। ও বাবা কে মা কে ও ছাড়বে না। সমস্যা এখানে না। সমস্যা ও সবাইকে শেষ করে দিতে চায়। আমাদের দুজনকে ওকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সবাইকে বাঁচাতে হবে।
তবে খেয়াল রেখো বউ আমরা ডালে ডালে চললে উনি পাতায় পাতায় চলেন। তোমার মত আমার ও সব দুর্বলতা ও জানে।
সবচেয়ে বড় কথা ও কাউকেই বিশ্বাস করে না। আমাকেও না। ওকে সবার ক্ষতি করা থেকে বাঁচাতে আমায় ও জা বলে সেটা মেনে নিতে হয়। তুমিও মেনে নেবে। ও তুমি আমায় আরু বলতেই পারো।
বেশ।
এরপর আমি আর আরু একটা শাড়ির দোকান এ যাই। আরু আমার জন্য অনেক শাড়ি কেনে। তারপর গয়না কেনে।
এরপর আমরা একটা প্রাসাদ এর মত বাড়িতে যাই।
প্রাসাদ এর সামনে যেতে তো আমি অবাক! আইপিএস দুষ্মন্ত সহ একাধিক উচ্চ পদস্থ পুলিশ দারোয়ান এর মত গেট এ রয়েছে।
গেট এর পর লম্বা লন। লন এ কিছু পুলিশ কিছু উলংগ মহিলা কে নিয়ে হাঁটছে। যেন ওগুলো কুকুরি।
এর পর গেট খুলতেই আমি অবাক। মা!!
আইপিএস মায়া দত্ত একটা বরণ ডলি নিয়ে আমায় বরণ করছে।
আমি তো অবাক। আরু বলল মা কে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে। আমি আশীর্বাদ নেবো কি আমি তো অবাক! মা এখানে কি করে এলো? মা তো তাথৈ কে নিয়ে সেই কবে দিল্লি গেলো!
মা আমায় আশীর্বাদ করে বললো বেচে থাকো মা । খুব মিষ্টি লাগছে তোমায়। আরু কে বলল বৌমা যাও পরী কে নিয়ে তৈরি করো।
আমি তো প্রশ্ন শুরু করি , মা এখানে কি করে এলো, তাথৈ কোথায়? মা আর আরু আমায় ইশারা করে ক্যামেরা দেখালো।
আমি ওদের ইশারা বুঝে চুপ করে ওদের কথা মানলাম।
এর পর আমি ঘরে এলাম।
আরু আমায় বলল তাথৈ, তিতলি এঁরা এখনও ঠিক ই আছে। তবে আমাদের এক চুল ভুল হলে ওদের ব্রেন ওয়াইপ করে দেবে তারপর তার জ্যান্ত লাশ হয়ে যাবে।
আমি ভাবলাম কে এমন নিষ্ঠুর? 6 8 বছরের বাচ্চা দুটোর ওপর এমন করবে? আরু কে বললাম এই পুলিশরা কারা? আর এই মহিলা গুলোই বা কেন এমন ভাবে রয়েছে?
আরু আমায় বলল এটা নরক গো বউ নরক। এই জে মহিলা গুলো, সবাই কেউ টাকা, কেউ নিজের শরীরের খিদে কেউ বা একটু অ্যাডভেঞ্চার এর জন্য নিজেদের সুখের সংসার ছেড়ে অবৈধ সংসারে জড়িয়েছিল । তারপর তাদের সমি সন্তানেরা যখন তাদের ফেরাতে আসে এরা তাদের নতুন পাওয়া প্রেম , অর্থ, বা রোমাঞ্চের জন্ন নিজেদের পরিবার কে ফিরিয়ে দেয়।
তারই শাস্তি দিচ্ছে ভৈরব। কুকুর দের কুকুরের মতোই ব্যবহার।
ভৈরব ই এই মহিলাদের জালে ফেলত। আর সুযোগ ও দিত যদি নিজেদের ভুল বুঝে ফিরে যেত তো ভালো না হলে তো তুমি দেখতেই পাচ্ছো।
পরী:- আর পুলিশ গুলো?
আরু:;- এঁরা? লাখ লাখ টাকার এদিক ওদিক করেছে এরা। এবার যদি খবর বাইরে যায় তাহলে হয় পাবলিক পিটিয়ে মারবে আর সরকার জানলে সোজা ফাঁসি বা যাবজ্জীবন।
তাই ওদের চাকরি ছড়িয়ে দিয়ে নিজের কাছে কাজে রেখেছে এদের।
পরী:- আর মা এর বর? দুষ্মন্ত? ও কি করেছে?
আরু:- বউ? তুমি জানো না ও কি করেছে?
মা এর মেয়ে হওয়ায় মা কে জা টা বলে অপমান করেছে। মা কে বাজারু, ছিনাল , রেন্ডি বলেছে।
তাই ভৈরব ওর মুখ চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে। একটা পাইপ দিয়ে ওর শরীরে দরকারি পুষ্টি ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হয়।
আর ওর চলা ফেরার ক্ষমতা ও কেরে নিয়েছে ভৈরব । ওর পেছনে জে স্ট্যান্ড টা আছে ঐটাই ওকে নাড়ায়। তাই ও আস্তে যেতে খালি সেলুট দিতে পারে। রোদ ঝর বৃষ্টি তে ওকে বাইরেই রাখে ভৈরব।
আমি একবার বলতে আমায় বলেছিল ওরকম জিনিষ ঘরে রাখতে নেই।
পরী রেবতী কে বলে, ম্যাম আমি সত্যি নরক দেখেছি!!
এরপর আমি দেখলাম এই নরক এর অধিপতি কে ।
আরু ই হুইলচেয়ার ঠেলে নিয়ে এলো।
আমায় দেখে শান্ত হেসে বলল
ভালো আছো পরী?
আমার তো বুক ফেটে কান্না আসছিল। মনে হচ্ছিল ওর পা ধরে ক্ষমা চাই। আরু বুঝে আমায় ইশারা করে নিজেকে শক্ত হতে বলে।
আমি ওকে বলি , ভালো আছি।
ও বলে বেশ তো খেয়ে নাও। তারপর তুমি মায়া ম্যাডাম, মাহি , মিহিকা , এদের সাথে বিয়ের কেনাকাটা করে নিও।
তারপর আমি বেরোই । আমি মা কে বলি হচ্ছে টা কি এসব?
ওর মত মানুষ এমন রাক্ষস হলো কীকরে?
মা বলল, আমি তো ট্রান্সফার নিয়ে চলে গেছিলাম অনেক দূর। কিন্তু একটা ঘটনা তে আমার পুরো টিম অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। ডক্টর বলে ওরা কোমায়। বাঁচার চান্স বেশি তবে কতদিন কমায় থাকবে বলা মুশকিল।
আমি নিজে তদন্তে নামি। তারপর একদিন আমি মুখোমুখি হই জে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তার সাথে।
যখনই আমি ওকে দেখি। আমার হাত কাপতে শুরু করে ।
ও বলে :- কি হলো মানি? আমায় গুলি করবে না?
আমি বললাম :- বাবু ?! তুই?
ভৈরব:- না না আইপিএস মায়া দত্ত সিংহ, আমায় আপনি বাবু বলবেন না । আমার মা আমায় বলত সেটা।
মায়া:- বাবু আমি আমিই তো তোর মা ।
ভৈরব:- মিথ্যে!! আর এক পা এগোলে আমি গুলি চালাবো ।
মায়া:- কি কি করছিস বাবা? ও ওটা ফেলেদে ... তুই আমার ভালো বাবা না?? এমন করবি? ফেলে দে ওটা বাবা
ভৈরব আকাশে গুলি ছোড়ে। সরে যান ম্যাডাম । আমি কিন্তু মানসিক রুগী। জেল খাটা আসামি! । আপনাকে আমি মেরে দেবো