10-07-2023, 04:00 PM
ত্রয়োনবতি অধ্যায়
অভিজাত পরিবারের মেয়ে পাঞ্চালী এখন আবার ডাক্তার। কলেজে থাকতেই ওর প্রতি ছিল সমীহের ভাব।ওকে এভাবে পাবে কখনো ভাবেনি। ওর মধ্যে আজ যে ব্যাকুলতা দেখল তার জন্য প্রস্তুত ছিলনা। ওকে সুখী করতে কোনো খামতি রাখবে না।দরজা খুলতে দীপশিখা দুটো প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বললেন,এখনো স্নান করোনি?
পাঞ্চালী না বেরোলে কিভাবে যাব।
পলিও স্নান করেনি?কি করছিলে তোমরা?
কি করবো?
দীপশিখা বললেন,ওগুলো পরে দেখো ঠিক হয়েছে কিনা।
পিছন পিছন ঈশানী ঢূকলো ওর হাতে ব্যাগ ভর্তি তরিতরকারী,আরো কিসব।
সারা উরুতে মাখামাখি হয়ে গেছে।সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে ভাল করে ধুতে থাকে পাঞ্চালী।ওর পেনিসটা বেশ বড়,সবারই কি এত বড় হয়? ইস কতটা বেরিয়েছে! বাবাঃ একেবারে হাপ ধরে এসেছিল।হাইমেন ফেটে গেছে।বলদটা ভয় পেয়ে গেছিল কিছু জানে না।এত তাড়াহুড়ো করে ভালো হয়না।হাপুস হুপুস জল ঢেলে স্নান করে পাঞ্চালী।এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। একবার করে ক্ষিধে আরও বেড়ে গেছে।
ঘরে এসে প্যাকেট খুলে দেখল দু-সেট জামা প্যাণ্ট।কলেজে যাবার মত ভাল জামা প্যাণ্ট নেই,এগুলোর খুব দরকার ছিল।পরে দেখল সবই মাপ মতো হয়েছে।মায়ের কথা মনে পড়ল সব কাজের মধ্যে সবদিকে ছিল মায়ের নজর।মোমোর প্রতি কৃতজ্ঞতায় মন ভরে গেল।প্রত্যেক নারীর মধ্যে থাকে একজন মমতাময়ী মা।মোমোর বয়স হয়েছে এই বয়সে একা রেখে যেতে হচ্ছে ভেবে খারাপ হয় মন।আবার পরীক্ষা দেবে যদি এদিকে কোথাও সুযোগ পাওয়া যায়।
মাথায় ভিজে তোয়ালে জড়িয়ে পাঞ্চালী ঢুকে সুখকে দেখে জিজ্ঞেস করল,কি ব্যাপার?
উনি কিনে এনেছেন দেখছি ঠিক হল কিনা?
মনু স্নান করে নেও।দীপশিখার গলা পাওয়া গেল।
মোমো তোমার মনু নাম দিয়েছে?
মনু তো আমার ডাক নাম।মাও আমাকে মনু বলে ডাকতো।সুখ হেসে স্নানে চলে গেল।
মোমোর এই খবদারি পাঞ্চালীর ভাল লাগেনা।এই খপ্পর থেকে বেরিয়ে একেবার নিজের মত করে পাবার চিন্তা করে।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকে।একটু আগের কথা ভেবে রক্তিম হয়।চিন্তা করলেই সুখের রেশ অনুভূত হয়।ওখানে কেউ জিভ দেবে কল্পনাও করেনি।প্রথম প্রথম একটু আড়ষ্টভাব থাকে কয়েকবার করলেই কেটে যাবে।
রান্না ঘরে দীপশিখা দুটো থালায় ভাত গোছাতে থাকেন।বাথরুম হতে বেরোবার পর পলিকে দেখে বোধ হচ্ছিল বেশ তরতাজা।আগের সেই মেঘলাভাব নেই। তার যদি ভুল নাহয়ে থাকে আজ কাজ হয়েছে। এ সময় মেয়েদের চেহারা খোলতাই হয়।দীপশিখা নিজেকে সান্ত্বনা দিলেন মনে মনে, ওরা সুখী হলে ভালোই।
ছেলেটা বড় আগোছালো পলিকে বলবেন কিনা ভাবলেন।পরে খেয়াল হয় মনু তো আজ চলে যাবে।কি যে করবে একা একা।
ওরা ডাইনিং টেবিলে এসে বসল।দুটো প্লেট দেখে সুখ জিজ্ঞেস করল,তুমি বসবে না?
তোমরা খেয়ে নিয়ে বিশ্রাম করো।আমি আর ঈশানী পরে বসছি।কখন বেরোবে?
উত্তর দিল পাঞ্চালী,আটটা নাগাদ বেরোলেই হবে।
এখন থেকেই খবরদারি শুরু হয়েছে মনে মনে ভেবে দীপশিখা বললেন,তুইও কি চলে যাবি?
হ্যা কাল আমার চেম্বার আছে।
গোপাল নগরে একবার যাবার ইচ্ছে আছে।সুখ মৃদু স্বরে বলল।
মামণি খুব খুশি হবে পাঞ্চালি বলল,যাবে এখন তো তোমার শ্বশুরবাড়ি।
সুখ বোকার মত হাসে।
গোপালনগর এখন সে গোপালনগর নেই,অনেক বদলে গেছে।কত নতুন নতুন মানুষ এসেছে--।
আচ্ছা তুমি ছাড়া ওখানে আর কোনো ডাক্তার নেই?
মোবাইল বাজতে সুখ উঠে গিয়ে কানে লাগিয়ে বলল,হ্যালো....হ্যা বলছি,আপনি.... ও হ্যা বলুন...অবশ্যই আজকেই ট্রেনে উঠছি....ওয়েলকাম।
সুখ টেবিলে এসে বসতে পাঞ্চালী জিজ্ঞেস করল,কে ফোন করেছিল?
নাম বলল ইশিকা রাই।
নাম বলল মানে তোমার পরিচিত নয়?
কলেজ স্টাফ জানতে চাইল জয়েন করছি কিনা।আসলে একটু দেরী হয়ে গেছে সেজন্য নিশ্চিত হতে চাইছে।
তাড়াতাড়ি খেয়ে ল্যাগেজ গুছিয়ে নেও।দীপশিখা তাগাদা দিলেন।
পাঞ্চালীর মনে হল ল্যাগেজ গুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তার।বাপি বেরোবার সময় মামণি সব এগিয়ে দিত।
সুখর লাগেজ গোছাতে থাকে পাঞ্চালী।সুখ বাধা দিয়েছিল কিন্তু পাঞ্চালি ধমক দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।সব ছেড়ে ছুড়ে চলে যেতে হচ্ছে ভেবে সুখর মন খারাপ।পাঞ্চালী ঝুকে ট্রলি ব্যাগে একে একে জামা কাপড় চিরুণি টুথ পেস্ট ব্রাশ ইত্যাদি ভরতে থাকে।সুখ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকে পাঞ্চালীর কাজ।কোনোদিন ভাবেনি পাঞ্চালি তার বঊ হয়ে তার জামা কাপড় গুছিয়ে দেবে।পাঞ্চালীর নজর পড়তে জিজ্ঞেস করল,কি দেখছো?
কি সুন্দর তোমার শরীরের গড়ণ।
পাঞ্চালী লাজুক গলায় বলল,আজ খুব সুখ পেয়েছি।
সারা জীবন তোমায় সুখী রাখার চেষ্টা করব।
পাঞ্চালী একটু ভেবে বলল,আচ্ছা ওখানে মুখ দিতে তোমার খারাপ লাগেনি?
তোমার খারাপ লাগছিল?
দারুণ লাগছিল।এসব তুমি কোথায় শিখলে?
প্লেজারের কথা চেপে গিয়ে বলল,পাখিদের কি ওড়া শেখাতে হয়?
সব কথার উত্তর তৈরী।আজ তাড়াহুড়ো করে ভালোমত হয়নি--।
আমৃত্যু তোমার সঙ্গে থাকবো।সুখের সাগরে ভাসিয়ে দেবো।
দীপশিখা এসে বললেন,সন্ধ্যে হয়ে গেল।তোমরা তৈরী হয়ে নেও।
ওরা একটু আগে বেরিয়ে গেল।পলি আর ফিরবে না ,ওই পথে বাড়ী চলে যাবে।বাড়ীটা কেমন ফাকা ফাকা লাগে।দীপশিখা বালিশে মুখ গুজে শুয়ে আছেন।ঈশানী ঢুকে জিজ্ঞেস করে,ম্যাডাম আপনি কাদছেন?
লজ্জা পেয়ে চোখ মুছে উঠে বসেন দীপশিখা।উদাস গলায় বললেন,কতদিন একসঙ্গে ছিলাম।কোথায় গেল কেওর দেখাশুনা করবে,একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
খোকনে বাপ চলে গেলে প্রেথম প্রেথম আমারও খারাপ লেগেছিল এখন অভ্যেস হয়ে গেছে।
বড় বেশি কথা বলো।যাও ফ্লাক্সে চা আছে আমাকে এককাপ চা দাও।
ট্রেনের দরজায় নামের তালিকা ঝোলানো ছিল,জায়গা খুজে পেতে অসুবিধে হয়না।জানলার ধারে আসন পেয়েছে।মোমো হটপটে খাবার দিয়ে দিয়েছে
গুছিয়ে রাখতে রাখতে দেখল বিষণ্ণ মুখে বসে আছে সুখ।
ওইরকম প্যাচার মত মুখ করে বসে আছো?পাঞ্চালী বলল।
ভাবছি আবার কবে দেখা হবে--।
মানে?তুমি থাকবে শিলিগুড়ি আর আমি থাকব গোপালনগর?শোণো ওখানে গিয়ে কলেজের কাজ মিটলে তোমার কাজ হবে একটা থ্রি রুম ফ্লাট দেখা।
থ্রী রুম কেন?
আমি মামণি তরলা থাকবে।
হঠাৎ একজন মহিলা এসে বলল,এক্সকিউজ মি আমার ভুল নাহলে আর ইউ এসআরবি?
পাঞ্চালী অবাক হয়ে বলল,হ্যা কিন্তু আপনি?
মি ইশিকা রাই।কলেজের অফিস স্টাফ।স্যারকে আমি ফোন করেছিলাম।
যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়।
স্যার কলকাত্তায় আমার এক কাজিনের কাছে এসেছিলাম। দার্জিলিং আমার বাসা।আপনি কখনো দার্জিলিং গেছেন?
সুখ হেসে বলল,নর্থ বেঙ্গলে এই প্রথম যাচ্ছে।
আমি ওর স্ত্রী কদিন পর আমিও যাবো।পাঞ্চালী বলল।
গাড়ী ছাড়ার সময় হয়ে গেছে।পাঞ্চালি দাঁড়িয়ে বলল,শোনো পৌছে আমাকে ফোন করবে তারপর কলেজে জয়েন করে ফোন করবে।ঠিক আছে?
সুখ ঘাড় নেড়ে সায় দিল।
আমার নম্বর জানো তো?
এহে নম্বরটা তো জানি না।
গাড়ি চলতে শুরু করে পাঞ্চালী বিরক্ত হয়ে নম্বরটা ওর ফোনে সেট করে দিল।
একজন বলল,গাড়ী সেই দক্ষিনেশ্বরের আগে থামবে না।
পাঞ্চালী মুখ গোমড়া করে পাশে বসে বুঝতে পারে এই বলদের সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে হবে। একটু দূরে ইশিকা বসে এদিকে তাকিয়ে আছে।পাঞ্চালীর মনে শান্তি নেই।
অভিজাত পরিবারের মেয়ে পাঞ্চালী এখন আবার ডাক্তার। কলেজে থাকতেই ওর প্রতি ছিল সমীহের ভাব।ওকে এভাবে পাবে কখনো ভাবেনি। ওর মধ্যে আজ যে ব্যাকুলতা দেখল তার জন্য প্রস্তুত ছিলনা। ওকে সুখী করতে কোনো খামতি রাখবে না।দরজা খুলতে দীপশিখা দুটো প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বললেন,এখনো স্নান করোনি?
পাঞ্চালী না বেরোলে কিভাবে যাব।
পলিও স্নান করেনি?কি করছিলে তোমরা?
কি করবো?
দীপশিখা বললেন,ওগুলো পরে দেখো ঠিক হয়েছে কিনা।
পিছন পিছন ঈশানী ঢূকলো ওর হাতে ব্যাগ ভর্তি তরিতরকারী,আরো কিসব।
সারা উরুতে মাখামাখি হয়ে গেছে।সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে ভাল করে ধুতে থাকে পাঞ্চালী।ওর পেনিসটা বেশ বড়,সবারই কি এত বড় হয়? ইস কতটা বেরিয়েছে! বাবাঃ একেবারে হাপ ধরে এসেছিল।হাইমেন ফেটে গেছে।বলদটা ভয় পেয়ে গেছিল কিছু জানে না।এত তাড়াহুড়ো করে ভালো হয়না।হাপুস হুপুস জল ঢেলে স্নান করে পাঞ্চালী।এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। একবার করে ক্ষিধে আরও বেড়ে গেছে।
ঘরে এসে প্যাকেট খুলে দেখল দু-সেট জামা প্যাণ্ট।কলেজে যাবার মত ভাল জামা প্যাণ্ট নেই,এগুলোর খুব দরকার ছিল।পরে দেখল সবই মাপ মতো হয়েছে।মায়ের কথা মনে পড়ল সব কাজের মধ্যে সবদিকে ছিল মায়ের নজর।মোমোর প্রতি কৃতজ্ঞতায় মন ভরে গেল।প্রত্যেক নারীর মধ্যে থাকে একজন মমতাময়ী মা।মোমোর বয়স হয়েছে এই বয়সে একা রেখে যেতে হচ্ছে ভেবে খারাপ হয় মন।আবার পরীক্ষা দেবে যদি এদিকে কোথাও সুযোগ পাওয়া যায়।
মাথায় ভিজে তোয়ালে জড়িয়ে পাঞ্চালী ঢুকে সুখকে দেখে জিজ্ঞেস করল,কি ব্যাপার?
উনি কিনে এনেছেন দেখছি ঠিক হল কিনা?
মনু স্নান করে নেও।দীপশিখার গলা পাওয়া গেল।
মোমো তোমার মনু নাম দিয়েছে?
মনু তো আমার ডাক নাম।মাও আমাকে মনু বলে ডাকতো।সুখ হেসে স্নানে চলে গেল।
মোমোর এই খবদারি পাঞ্চালীর ভাল লাগেনা।এই খপ্পর থেকে বেরিয়ে একেবার নিজের মত করে পাবার চিন্তা করে।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকে।একটু আগের কথা ভেবে রক্তিম হয়।চিন্তা করলেই সুখের রেশ অনুভূত হয়।ওখানে কেউ জিভ দেবে কল্পনাও করেনি।প্রথম প্রথম একটু আড়ষ্টভাব থাকে কয়েকবার করলেই কেটে যাবে।
রান্না ঘরে দীপশিখা দুটো থালায় ভাত গোছাতে থাকেন।বাথরুম হতে বেরোবার পর পলিকে দেখে বোধ হচ্ছিল বেশ তরতাজা।আগের সেই মেঘলাভাব নেই। তার যদি ভুল নাহয়ে থাকে আজ কাজ হয়েছে। এ সময় মেয়েদের চেহারা খোলতাই হয়।দীপশিখা নিজেকে সান্ত্বনা দিলেন মনে মনে, ওরা সুখী হলে ভালোই।
ছেলেটা বড় আগোছালো পলিকে বলবেন কিনা ভাবলেন।পরে খেয়াল হয় মনু তো আজ চলে যাবে।কি যে করবে একা একা।
ওরা ডাইনিং টেবিলে এসে বসল।দুটো প্লেট দেখে সুখ জিজ্ঞেস করল,তুমি বসবে না?
তোমরা খেয়ে নিয়ে বিশ্রাম করো।আমি আর ঈশানী পরে বসছি।কখন বেরোবে?
উত্তর দিল পাঞ্চালী,আটটা নাগাদ বেরোলেই হবে।
এখন থেকেই খবরদারি শুরু হয়েছে মনে মনে ভেবে দীপশিখা বললেন,তুইও কি চলে যাবি?
হ্যা কাল আমার চেম্বার আছে।
গোপাল নগরে একবার যাবার ইচ্ছে আছে।সুখ মৃদু স্বরে বলল।
মামণি খুব খুশি হবে পাঞ্চালি বলল,যাবে এখন তো তোমার শ্বশুরবাড়ি।
সুখ বোকার মত হাসে।
গোপালনগর এখন সে গোপালনগর নেই,অনেক বদলে গেছে।কত নতুন নতুন মানুষ এসেছে--।
আচ্ছা তুমি ছাড়া ওখানে আর কোনো ডাক্তার নেই?
মোবাইল বাজতে সুখ উঠে গিয়ে কানে লাগিয়ে বলল,হ্যালো....হ্যা বলছি,আপনি.... ও হ্যা বলুন...অবশ্যই আজকেই ট্রেনে উঠছি....ওয়েলকাম।
সুখ টেবিলে এসে বসতে পাঞ্চালী জিজ্ঞেস করল,কে ফোন করেছিল?
নাম বলল ইশিকা রাই।
নাম বলল মানে তোমার পরিচিত নয়?
কলেজ স্টাফ জানতে চাইল জয়েন করছি কিনা।আসলে একটু দেরী হয়ে গেছে সেজন্য নিশ্চিত হতে চাইছে।
তাড়াতাড়ি খেয়ে ল্যাগেজ গুছিয়ে নেও।দীপশিখা তাগাদা দিলেন।
পাঞ্চালীর মনে হল ল্যাগেজ গুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তার।বাপি বেরোবার সময় মামণি সব এগিয়ে দিত।
সুখর লাগেজ গোছাতে থাকে পাঞ্চালী।সুখ বাধা দিয়েছিল কিন্তু পাঞ্চালি ধমক দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে।সব ছেড়ে ছুড়ে চলে যেতে হচ্ছে ভেবে সুখর মন খারাপ।পাঞ্চালী ঝুকে ট্রলি ব্যাগে একে একে জামা কাপড় চিরুণি টুথ পেস্ট ব্রাশ ইত্যাদি ভরতে থাকে।সুখ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকে পাঞ্চালীর কাজ।কোনোদিন ভাবেনি পাঞ্চালি তার বঊ হয়ে তার জামা কাপড় গুছিয়ে দেবে।পাঞ্চালীর নজর পড়তে জিজ্ঞেস করল,কি দেখছো?
কি সুন্দর তোমার শরীরের গড়ণ।
পাঞ্চালী লাজুক গলায় বলল,আজ খুব সুখ পেয়েছি।
সারা জীবন তোমায় সুখী রাখার চেষ্টা করব।
পাঞ্চালী একটু ভেবে বলল,আচ্ছা ওখানে মুখ দিতে তোমার খারাপ লাগেনি?
তোমার খারাপ লাগছিল?
দারুণ লাগছিল।এসব তুমি কোথায় শিখলে?
প্লেজারের কথা চেপে গিয়ে বলল,পাখিদের কি ওড়া শেখাতে হয়?
সব কথার উত্তর তৈরী।আজ তাড়াহুড়ো করে ভালোমত হয়নি--।
আমৃত্যু তোমার সঙ্গে থাকবো।সুখের সাগরে ভাসিয়ে দেবো।
দীপশিখা এসে বললেন,সন্ধ্যে হয়ে গেল।তোমরা তৈরী হয়ে নেও।
ওরা একটু আগে বেরিয়ে গেল।পলি আর ফিরবে না ,ওই পথে বাড়ী চলে যাবে।বাড়ীটা কেমন ফাকা ফাকা লাগে।দীপশিখা বালিশে মুখ গুজে শুয়ে আছেন।ঈশানী ঢুকে জিজ্ঞেস করে,ম্যাডাম আপনি কাদছেন?
লজ্জা পেয়ে চোখ মুছে উঠে বসেন দীপশিখা।উদাস গলায় বললেন,কতদিন একসঙ্গে ছিলাম।কোথায় গেল কেওর দেখাশুনা করবে,একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
খোকনে বাপ চলে গেলে প্রেথম প্রেথম আমারও খারাপ লেগেছিল এখন অভ্যেস হয়ে গেছে।
বড় বেশি কথা বলো।যাও ফ্লাক্সে চা আছে আমাকে এককাপ চা দাও।
ট্রেনের দরজায় নামের তালিকা ঝোলানো ছিল,জায়গা খুজে পেতে অসুবিধে হয়না।জানলার ধারে আসন পেয়েছে।মোমো হটপটে খাবার দিয়ে দিয়েছে
গুছিয়ে রাখতে রাখতে দেখল বিষণ্ণ মুখে বসে আছে সুখ।
ওইরকম প্যাচার মত মুখ করে বসে আছো?পাঞ্চালী বলল।
ভাবছি আবার কবে দেখা হবে--।
মানে?তুমি থাকবে শিলিগুড়ি আর আমি থাকব গোপালনগর?শোণো ওখানে গিয়ে কলেজের কাজ মিটলে তোমার কাজ হবে একটা থ্রি রুম ফ্লাট দেখা।
থ্রী রুম কেন?
আমি মামণি তরলা থাকবে।
হঠাৎ একজন মহিলা এসে বলল,এক্সকিউজ মি আমার ভুল নাহলে আর ইউ এসআরবি?
পাঞ্চালী অবাক হয়ে বলল,হ্যা কিন্তু আপনি?
মি ইশিকা রাই।কলেজের অফিস স্টাফ।স্যারকে আমি ফোন করেছিলাম।
যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়।
স্যার কলকাত্তায় আমার এক কাজিনের কাছে এসেছিলাম। দার্জিলিং আমার বাসা।আপনি কখনো দার্জিলিং গেছেন?
সুখ হেসে বলল,নর্থ বেঙ্গলে এই প্রথম যাচ্ছে।
আমি ওর স্ত্রী কদিন পর আমিও যাবো।পাঞ্চালী বলল।
গাড়ী ছাড়ার সময় হয়ে গেছে।পাঞ্চালি দাঁড়িয়ে বলল,শোনো পৌছে আমাকে ফোন করবে তারপর কলেজে জয়েন করে ফোন করবে।ঠিক আছে?
সুখ ঘাড় নেড়ে সায় দিল।
আমার নম্বর জানো তো?
এহে নম্বরটা তো জানি না।
গাড়ি চলতে শুরু করে পাঞ্চালী বিরক্ত হয়ে নম্বরটা ওর ফোনে সেট করে দিল।
একজন বলল,গাড়ী সেই দক্ষিনেশ্বরের আগে থামবে না।
পাঞ্চালী মুখ গোমড়া করে পাশে বসে বুঝতে পারে এই বলদের সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে হবে। একটু দূরে ইশিকা বসে এদিকে তাকিয়ে আছে।পাঞ্চালীর মনে শান্তি নেই।