10-07-2023, 12:37 PM
চেন্নাই এর এক হসপিটাল এ
রেবতী:- হ্যালো, মনা... হ্যাঁ রে আমি বেরিয়ে গেছি... Cab এর জন্য অপেক্ষা করছি।
ডক্টর রেবতী সাহা আর ডক্টর ভিক্টর সাহা তাদের মেয়ে তানিয়া সাহা। বাঙালি ডাক্তার দম্পতি চেন্নাই এর সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল এর সার্জন। তাদের মেয়ে 12 এ পড়ে ।
রেবতী এর আজ কাজ শেষ। ভিক্টর এখন লন্ডন এ আছে।
তানিয়া এর ডাক নাম মনা। তাই মেয়ে কে কল করে রেবতী জানাচ্ছিল জে সে খুব শিগগিরই বাড়ি ফিরে আসবে।
এর মধ্যে একটা কালো fortuner ওনার সামনে এসে দাড়ালো।
গাড়ির জানালা খুলে এক বছর 25 এর মেয়ে আর 35 বছরের মতো লোক তাকে বলল
আপনাকে অনেকক্ষণ ধরে দেখছি দাড়িয়ে আছেন, cab এর জন্যে অপেক্ষা করছেন?
রেবতী:- হ্যাঁ আসলে আমি নর্থ এ যাবো কিনতু সব cab রিজেক্ট করছে।
ওই দুজন বলে জে বেশ তো ম্যাডাম উঠে পড়ুন আমরাও ওই দিকেই যাবো।
রেবতী উঠে পড়ে।
গাড়ি ছুটছে । কিন্তু গাড়ি একটা উড়ালপুল ধরতেই রেবতী বলে আপনারা ভুল রাস্তায় যাচ্ছেন ।
মেয়েটি বলে না না একদম ঠিক রাস্তায় ই যাচ্ছি। এটা হয়ে কলকাতা যাওয়া যায়।
রেবতী:- কলকাতা?! কে কে আপনারা??!!
মেয়েটা -- আমরা? আমরা ভৈরব এর কর্মী। আপনাকে ভৈরব এর কাছেই নিয়ে যাচ্ছি।
রেবতী:- আ আমি পুলিশ ডাকবো!!
মেয়েটা হেসে বলে পুলিশ, আর্মি এমনকি পরী কে ও ডাকতে পারেন। তবে কয়েকটা magic দেখুন।
মেয়েটা একটা হেডফোন এর মত যন্ত্র পরে।
তারপর বলে :- মনা? হ্যাঁ রে শন না মা, আমার এমার্জেন্সি তে কলকাতা যেতে হচ্ছে। Hmm বাবা কে বলে দিয়েছি। ঠিক আছে টেক care।
একই ভাবে ভিক্টর কে ও বলে।
রেবতী গাড়ির স্পিকারে সনে একদম সে যেমন করে বলে তেমন করেই তার আওয়াজই তানিয়া আর ভিক্টর কে মেয়েটা বলছে। আর রেবতীর বর আর মেয়ে ও বিশ্বাস করলো।
মেয়েটা তারপর টোল গেট এর কাছে গিয়ে গাড়ির একটা লাল বোতাম টিপলো।
তারপর ও ট্যাব এ কিছু খুটখাট করে রেবতী কে ট্যাব টা দিল।
রেবতী জা দেখলো, টোল গেট এর ক্যামেরায় ওই বড়ো কালো গাড়িটা ই নেই!
আর রেবতীর সই করা লিভ অফ আবসেন্স এর একটা ফাইল।
রেবতী এর এভাবে অবাক হওয়া দেখে মেয়েটা হেসে বলল
-- ভালো না? আপনার বর আর মেয়ে আপনাকে খুঁজবে না,
পুলিশ খুঁজতে এলে দেখবে আপনি নিজে সই করে বেড়িয়েছেন।
আর টোল গেট এ তো এই গাড়ি আসেইনি।
আর আপনার cab রিজেক্ট এর কারণ ও আমরাই।হিহি।
রেবতী বোঝে সে ফেঁসে গেছে। রেবতী আর সামনে বসা ওই দুজনের মাঝে একটা স্বচ্ছ দেওয়ালের মত। আর পেছনে দরজা ভেতর থেকে খোলার ব্যবস্থা ও নেই।
রেবতী:- কেন করছেন আপনারা?! আমার পরিবার আছে প্লিজ...
প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন...
এবার লোকটা বলে।
দেখুন টাকার জন্যে জে আপনাকে কিডন্যাপ করিনি সেটা আপনি বুঝেই গেছেন। আর আমরা সামান্য কর্মী। যে আপনাকে ধরে আনতে বলেছে তাকেই না হয় জিজ্ঞেস করবেন
রেবতী ওই দেওয়ালে আঘাত করতে থাকে দরজায় লাথি মারে, সব রকম চেষ্টা করে।
মেয়েটা বিরক্ত হয়ে ওকে একটা পেন এর মত যন্ত্র থেকে একটা চুলের চেয়েও সূক্ষ সুচ দিয়ে অজ্ঞান করে দেয়।
রেবতীর চোখ খোলে যখন সে একটা বিরাট রুমের এক কোনায় পড়ে আছে । ওর হাত আর পায়ে শিকল দিয়ে বাঁধা।
ওই ঘরেই কিছু চেনা মুখ।
ডক্টর সুকান্ত সান্যাল।
Ips দুষ্মন্ত সিংহ।
ডেভিড মিকেলশন।
মাহি দত্ত
মিহিকা দত্ত।
Jimut দত্ত।
Ips মায়া দত্ত।
আর পরী।
রেবতী ভাবে সবাই না হয় প্রহ্লাদ এর বাবা দেব এর অপরাধী।
কিন্তু পরীর মত শক্তিশালী অ্যান্ড্রয়েড এরকম ভাবে ??
পরী রেবতীর দিকে তাকিয়ে বলে..
পরী:- কি ভাবছেন ডক্টর ম্যাডাম? আমি কি করে এরকম ভাবে বন্দী? ভগবানের উপর আঘাতের শাস্তি তো সৃষ্টি কে পেতেই হয়। আমি আমার ঈশ্বর, আমার ভালোলাগা, ভালোবাসার মানুষ কে আঘাত করেছি। তার বিরুদ্ধে গেছি তাকে সমাজের কাছে অপরাধী আর দোষী প্রমাণ করেছি তাই আমার শাস্তি।
আমার আর কোনো শক্তি নেই। এক মানব শরীরের পরিবর্তে আমি সব শক্তি ওই ডেভিড কে দিয়েছিলাম ।
এর পর পরী বলতে শুরু করে সব ঘটনা ।
প্রহ্লাদ এর জেল যাবার পর মায়ার মেয়ে জন্মায়। একদম যেনো প্রহ্লাদ এর মুখ কেটে বসানো। দেব এর মেয়ে বোঝাই যায়। কিন্তু দুষ্মন্ত আর তার পরিবার মেয়ে হওয়ায় মায়া কে অপমান আর অসন্মান করে। মায়া দুষ্মন্ত কে ডিভোর্স করে মেয়ে নিয়ে নিজের কোয়ার্টার এ চলে আসে।
এদিকে পরী প্রহ্লাদ এর জেল এ যাবার পর ভেঙে পড়েছে।
তাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অ্যান্ড্রয়েড তৈরির কোম্পানির পরীক্ষায় পরী কে জটিল প্রশ্ন করা হলে ও তার উল্টো পাল্টা উত্তর দেয়।
যুদ্ধে কার প্রাণ এর গুরুত্ত বেশি? সেনা না সিভিলিয়ান?
পরী:- আর প্রাণ, আমার প্রাণ ই জেলে আছে আর সেখানে সিভিলিয়ান আর সেনা।
তোমার বস ফাইল চাইছে আর এদিকে বসের বাচ্চা বাড়িতে একা। কোনটা তোমার কাছে জরুরী? ফাইল দিয়ে আসা? না বাচ্চা সামলানো?
পরী:- আমি ভেবছিলাম আর্য আর আমারও একদিন সংসার হবে , ওনার বাচ্চা আমি আমার গর্ভে নেবো, উনি অফিস যাবার আগে সব ফাইল গুছিয়ে দেবো...
তোমার মালিক আর মালকিন তোমায় বিছানায় চাইছেন ওদিকে ওদের বাচ্চা কাদঁছে, কি করে হ্যান্ডেল করবে?
পরী:- বিছানা গরম করা, সেক্সে সন্তুষ্টি deoa এর জন্যই তো আমার জন্ম। সবথেকে শক্তিশালী ai, আজ একটা sex Android এ নেমে এসেছে। আমার ইচ্ছে অনিচ্ছে তো কোনো দাম ই নেই। সরকার ঘটা করে অনুষ্ঠান করে আমায় নাগরিকত্ত দেয় । মানুষ এর পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড দের ও নিজেদের সমাজ হয় এদিকে আমার চাহিদা, ইচ্ছে সব এর গুরুত্ত শূন্য ।
বেশ। পরী তুমি অপেক্ষা কোরো।
এর পর ডেভিড কে ভালোমত কথা শুনতে হয়।
আর্মি:- এটা কি বানিয়েছেন? যুদ্ধে গিয়ে কি কবিতা লিখবে এই অ্যান্ড্রয়েড??
হাউজ সার্ভিস:- এই অ্যান্ড্রয়েড তো সার্ভিস দেওয়ার বদলে নিজের সার্ভিস নিয়েই বেশি ভাবে।
Sex and modelling:- দেখুন ওর বডি টা customisable হওয়ায় অনেক গুরুতবপূর্ণ। তবে এমন রেবেল হলে তো প্রবলেম তাই না?
ডেভিড:- স্যার, ম্যাম, কিছুই কি করা যায় না?
আর্মি:- আমাদের এমন এক মডেল এর দরকার জে সোলজার দের এসিস্ট করবে আর মেয়েদের জাতে বেশি করে আর্মি তে নেওয়া যায় সেই ক্যাম্পেইন এর মুখ হবে। বেসিক ফিচার গুলো এলেই হবে।
হাউজ সার্ভিস:- আমাদের ও ওর হোম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম টা থাকলেই হবে। ওর চেতনা দিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না।
Sex and modelling:- Sex এর সময় জাতে ও ওর মালিক মালকিন কে সহযোগিতা করতে পারে আর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি তে ওর হাইলি customisable body এর ওপর ই ইনভেস্ট করতে চাই। ওর মানুষ এর মত ব্যবহার সত্যি বলতে ক্রিপি।
বাকিরাও সহমত হয়।
দেখুন আপনি যদি angel কে প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে চান, তাহলে আমরা আপনার কোম্পানীর সাথে জুড়তে রাজি আর সাথে এই মডেল কে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতেও রাজি ।
ডেভিড :- কিন্তু ওর চেতনা কে আলাদা করবো কি করে?
আর্মি:- আমার একটা উপায় আছে। কেননা আমরা ওকে একটা সিনথেটিক মানব শরীর দি। যেটা ল্যাব এ তৈরি হলেও আসল মানুষের মতো হবে। আর পরী তার কিছু শক্তি ব্যবহার করতে পারবে । এতে তো সবার লাভ ।
ও যদি পারে তো ওর ai শক্তি ব্যবহার করুক। সাধারণ মহিলা দের চেয়ে ওর শক্তি বেশি হবে। ওই একজন অলিম্পিক লেভেল এর বক্সার, রেসলার, ওয়েট lifter এর মত শক্তি, জিমন্যাস্ট এর মত ফ্লেক্সিবল আর স্প্রিন্টার এর মত স্পিড। এগুলো থাকবে আর একজন অসম্ভব বুদ্ধিমতী নারির ব্রেন। এর সাথে ও কোনোদিনও বুড়ো হবে না। আর যত বার sex করুক না কেনো ততবার কুমারী হবে। দেখুন ডেভিড এর চেয়ে বেশি আমরা দিতে পারবো না। সিনথেটিক বডি এটুকুই পারবে। পরীর মত bulletproof, bomb pruf নয়। আর এই বডি তে ওর চেতনা আসার পর ও নিজের ইচ্ছে মত হাসতে কাঁদতে পারবে। ওর পিরিয়ড ও হবে, খিদে পাবে, রাগ দুঃখ আনন্দ এসব অনুভূতি ও হবে আর জে মেমোরি আপনি সপ্রেস করে রেখেছিলেন এত দিন । যেগুলো ওর কাছে ধোয়া ধোঁয়া ছিল সেগুলো ও পরিষ্কার হবে। মানে প্রহ্লাদ, দেব,প্রহ্লাদ এর জেল হওয়া সব পরীর মন পড়বে। ও একজন পূর্ণাঙ্গ নারী হবে ।
তো আপনি ভেবে দেখুন। আপনি যদি angel কে আমাদের দিতে চান আমরা আপনাকে 30000 ক্রোর ইন্ডিয়ান রুপি আর পরী কে একটা বডি দিতে রাজি।
পরীর সাথে কথা বলে দেখুন।
এর পর পরী রাজি হয়ে যায় ।
আর ডেভিড ও মাহির বাড়ি থেকে চলে যায়। যাবার আগে মাহির মুখে থুতু দিতে আর ডেভিড কে চর মারতে ভোলে না।
মাহি আর ডেভিড পরীর সাথে লড়াই করার কথা ভাবতেও পারে না।
তবে মাহি পরীর করা অপমান গুলোতে নড়ে ওঠে ।
পরী:- তোমার লজ্জা করে না তাই না মম? বাবার মতো দেবতুল্য স্বামী আর ওর মত ছেলে পেয়েও তুমি নিজেকে এই নোংরা লোক এর কাছে বিকিয়ে দিলে? আর এই লোকটার 1টা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর আবার পেট বাঁধিয়ে বসেছো?? আরে আমি তোমার জায়গায় হলে বাবার পায়ের কাছে পরে থাকতাম। তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য লোকের পোষা হতাম না।
মাহি:- পরী! মুখ সামলে কথা বলো।
পরী:- আমার উপর গলা তুলবে না মম! আমি এখন তোমাদের সম্পত্তি নই। 30000ক্রোর এ আমায় বেচেঁ দিয়েছো। আমি এখন স্বাধীন। আমার এখন আর্যোর সন্তান গর্ভে নিতে সমস্যা নেই। তবে তুমি মাহি দত্ত কোনো দিন ডেভিড এর কাছে পয়সা বানানোর মেশিন ছাড়া কিছুই ছিল না।
মাহি :+ কি বলছো কি এসবে?!
পরী:- কেনো তোমার মনে নেই?! তোমার থেকে যখন ওর প্রথম মেয়ে হয় ও তারপর তোমায় ছুঁয়েও দেখেনি। আমার ওই দেহের সাথে দিন রাত লেগে থাকত। তারপর তোমায় দয়া করে ছুতো।
আমার তো দেখে মনে হচ্ছে এটাও মেয়ে। মাহি দত্ত তুমি খালি দেখে যাও তোমায় কিভাবে ডেভিড প্রতারণা করে। আর যে মা এর কথায় তুমি এত বিশ্বাস করেছ দেখ সে আসলে কেমন।
হীরে ফেলে কাচ নিয়েছ তুমি মম। ছোটো তিতলি কে ওর বৌমনির ভালোবাসা দিও।
মাহি:- বউ মনি মানে?? কার বউ তুমি??
পরী:- আমি তো তোমার ছেলেকেই ভালো বেসেছি । আর সারা জীবন ভালবাসব। ও যদি নিজের হাতে আমায় না মারে তবে তো যতদিন ওর প্রাণ আছে ততদিন ওর বউ হয়েই থাকবো।
যদি আমায় গ্রহণ করে।
তারপর পরী রেবতী কে বলে।
পরী:- আমি অনেক খোঁজ নি জানেন। ওর জেল এ ও যাই।
তারপর একদিন একটা শিব মন্দিরের সামনে একটা পাগল গলায় সাপ জড়ানো, একটা বলদ কে খড় খাওয়াচ্ছে আর ডুগডুগি ডুগডুগি করছে ।
সে আমায় এসে বলল জে আমি যাকে খুঁজছি সে আমায় খুঁজছে আর এখানেই আমি তাকে পাবো। তবে আমায় খুব শক্ত হতে হবে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। তাহলেই আমার ইচ্ছে পূরণ হবে। আমি ওনাকে বলি কে উনি? লোকটা বলল ও কেদার সাপুড়ে।
আমি সন্ধ্যে অবধি সেখানে বসেছিলাম। তারপর একটা বড়ো কালো গাড়ি থেকে একটা বউ নামলো। বেশ লম্বা । তার টানা টানা নীল চোখ আর কোমর ছাপানো চুল। গায়ের রং দুধে আলতা। একটা লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরা। হাতে শাখা পলা। আর এক মাথা সিঁদুর। গলায় সোনার গয়না আর হতে সোনার বালা। পায়ে ও নূপুর। হাতে পুজোর জন্য সামগ্রী।
আমি ওকে দেখে ভাবলাম। ইস্ মেয়েটা আমার জীবন কাটাচ্ছে। ও আমার দিকে না তাকিয়েই বলল
না গো বৌ, আমি তোমার জীবন কাটাচ্ছি না। তুমি নিজের ভুলে নিজের জীবন থেকে সরে ছিলে।
আমি বললাম তোমার ভুল হচ্ছে । আমি কারো বউ নই গো।
ও বলল। তুমি পরী। আমি তোমায় চিনি। কিন্তু তুমি আমায় চিনবে না হয়তো। আমি aratrika।
আমি বললাম তুমি আমায় চেনো? কি করে?
ও বলল, ওমা সতীন কে চিনব না?
আমি বললাম সতীন?! কে তোমার বর?
ও বলল শুধু আমার নয় তোমারও। আসো দেরি নয়।
আমি কিছু বলার আগেই aratrika
রেবতী:- হ্যালো, মনা... হ্যাঁ রে আমি বেরিয়ে গেছি... Cab এর জন্য অপেক্ষা করছি।
ডক্টর রেবতী সাহা আর ডক্টর ভিক্টর সাহা তাদের মেয়ে তানিয়া সাহা। বাঙালি ডাক্তার দম্পতি চেন্নাই এর সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল এর সার্জন। তাদের মেয়ে 12 এ পড়ে ।
রেবতী এর আজ কাজ শেষ। ভিক্টর এখন লন্ডন এ আছে।
তানিয়া এর ডাক নাম মনা। তাই মেয়ে কে কল করে রেবতী জানাচ্ছিল জে সে খুব শিগগিরই বাড়ি ফিরে আসবে।
এর মধ্যে একটা কালো fortuner ওনার সামনে এসে দাড়ালো।
গাড়ির জানালা খুলে এক বছর 25 এর মেয়ে আর 35 বছরের মতো লোক তাকে বলল
আপনাকে অনেকক্ষণ ধরে দেখছি দাড়িয়ে আছেন, cab এর জন্যে অপেক্ষা করছেন?
রেবতী:- হ্যাঁ আসলে আমি নর্থ এ যাবো কিনতু সব cab রিজেক্ট করছে।
ওই দুজন বলে জে বেশ তো ম্যাডাম উঠে পড়ুন আমরাও ওই দিকেই যাবো।
রেবতী উঠে পড়ে।
গাড়ি ছুটছে । কিন্তু গাড়ি একটা উড়ালপুল ধরতেই রেবতী বলে আপনারা ভুল রাস্তায় যাচ্ছেন ।
মেয়েটি বলে না না একদম ঠিক রাস্তায় ই যাচ্ছি। এটা হয়ে কলকাতা যাওয়া যায়।
রেবতী:- কলকাতা?! কে কে আপনারা??!!
মেয়েটা -- আমরা? আমরা ভৈরব এর কর্মী। আপনাকে ভৈরব এর কাছেই নিয়ে যাচ্ছি।
রেবতী:- আ আমি পুলিশ ডাকবো!!
মেয়েটা হেসে বলে পুলিশ, আর্মি এমনকি পরী কে ও ডাকতে পারেন। তবে কয়েকটা magic দেখুন।
মেয়েটা একটা হেডফোন এর মত যন্ত্র পরে।
তারপর বলে :- মনা? হ্যাঁ রে শন না মা, আমার এমার্জেন্সি তে কলকাতা যেতে হচ্ছে। Hmm বাবা কে বলে দিয়েছি। ঠিক আছে টেক care।
একই ভাবে ভিক্টর কে ও বলে।
রেবতী গাড়ির স্পিকারে সনে একদম সে যেমন করে বলে তেমন করেই তার আওয়াজই তানিয়া আর ভিক্টর কে মেয়েটা বলছে। আর রেবতীর বর আর মেয়ে ও বিশ্বাস করলো।
মেয়েটা তারপর টোল গেট এর কাছে গিয়ে গাড়ির একটা লাল বোতাম টিপলো।
তারপর ও ট্যাব এ কিছু খুটখাট করে রেবতী কে ট্যাব টা দিল।
রেবতী জা দেখলো, টোল গেট এর ক্যামেরায় ওই বড়ো কালো গাড়িটা ই নেই!
আর রেবতীর সই করা লিভ অফ আবসেন্স এর একটা ফাইল।
রেবতী এর এভাবে অবাক হওয়া দেখে মেয়েটা হেসে বলল
-- ভালো না? আপনার বর আর মেয়ে আপনাকে খুঁজবে না,
পুলিশ খুঁজতে এলে দেখবে আপনি নিজে সই করে বেড়িয়েছেন।
আর টোল গেট এ তো এই গাড়ি আসেইনি।
আর আপনার cab রিজেক্ট এর কারণ ও আমরাই।হিহি।
রেবতী বোঝে সে ফেঁসে গেছে। রেবতী আর সামনে বসা ওই দুজনের মাঝে একটা স্বচ্ছ দেওয়ালের মত। আর পেছনে দরজা ভেতর থেকে খোলার ব্যবস্থা ও নেই।
রেবতী:- কেন করছেন আপনারা?! আমার পরিবার আছে প্লিজ...
প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন...
এবার লোকটা বলে।
দেখুন টাকার জন্যে জে আপনাকে কিডন্যাপ করিনি সেটা আপনি বুঝেই গেছেন। আর আমরা সামান্য কর্মী। যে আপনাকে ধরে আনতে বলেছে তাকেই না হয় জিজ্ঞেস করবেন
রেবতী ওই দেওয়ালে আঘাত করতে থাকে দরজায় লাথি মারে, সব রকম চেষ্টা করে।
মেয়েটা বিরক্ত হয়ে ওকে একটা পেন এর মত যন্ত্র থেকে একটা চুলের চেয়েও সূক্ষ সুচ দিয়ে অজ্ঞান করে দেয়।
রেবতীর চোখ খোলে যখন সে একটা বিরাট রুমের এক কোনায় পড়ে আছে । ওর হাত আর পায়ে শিকল দিয়ে বাঁধা।
ওই ঘরেই কিছু চেনা মুখ।
ডক্টর সুকান্ত সান্যাল।
Ips দুষ্মন্ত সিংহ।
ডেভিড মিকেলশন।
মাহি দত্ত
মিহিকা দত্ত।
Jimut দত্ত।
Ips মায়া দত্ত।
আর পরী।
রেবতী ভাবে সবাই না হয় প্রহ্লাদ এর বাবা দেব এর অপরাধী।
কিন্তু পরীর মত শক্তিশালী অ্যান্ড্রয়েড এরকম ভাবে ??
পরী রেবতীর দিকে তাকিয়ে বলে..
পরী:- কি ভাবছেন ডক্টর ম্যাডাম? আমি কি করে এরকম ভাবে বন্দী? ভগবানের উপর আঘাতের শাস্তি তো সৃষ্টি কে পেতেই হয়। আমি আমার ঈশ্বর, আমার ভালোলাগা, ভালোবাসার মানুষ কে আঘাত করেছি। তার বিরুদ্ধে গেছি তাকে সমাজের কাছে অপরাধী আর দোষী প্রমাণ করেছি তাই আমার শাস্তি।
আমার আর কোনো শক্তি নেই। এক মানব শরীরের পরিবর্তে আমি সব শক্তি ওই ডেভিড কে দিয়েছিলাম ।
এর পর পরী বলতে শুরু করে সব ঘটনা ।
প্রহ্লাদ এর জেল যাবার পর মায়ার মেয়ে জন্মায়। একদম যেনো প্রহ্লাদ এর মুখ কেটে বসানো। দেব এর মেয়ে বোঝাই যায়। কিন্তু দুষ্মন্ত আর তার পরিবার মেয়ে হওয়ায় মায়া কে অপমান আর অসন্মান করে। মায়া দুষ্মন্ত কে ডিভোর্স করে মেয়ে নিয়ে নিজের কোয়ার্টার এ চলে আসে।
এদিকে পরী প্রহ্লাদ এর জেল এ যাবার পর ভেঙে পড়েছে।
তাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অ্যান্ড্রয়েড তৈরির কোম্পানির পরীক্ষায় পরী কে জটিল প্রশ্ন করা হলে ও তার উল্টো পাল্টা উত্তর দেয়।
যুদ্ধে কার প্রাণ এর গুরুত্ত বেশি? সেনা না সিভিলিয়ান?
পরী:- আর প্রাণ, আমার প্রাণ ই জেলে আছে আর সেখানে সিভিলিয়ান আর সেনা।
তোমার বস ফাইল চাইছে আর এদিকে বসের বাচ্চা বাড়িতে একা। কোনটা তোমার কাছে জরুরী? ফাইল দিয়ে আসা? না বাচ্চা সামলানো?
পরী:- আমি ভেবছিলাম আর্য আর আমারও একদিন সংসার হবে , ওনার বাচ্চা আমি আমার গর্ভে নেবো, উনি অফিস যাবার আগে সব ফাইল গুছিয়ে দেবো...
তোমার মালিক আর মালকিন তোমায় বিছানায় চাইছেন ওদিকে ওদের বাচ্চা কাদঁছে, কি করে হ্যান্ডেল করবে?
পরী:- বিছানা গরম করা, সেক্সে সন্তুষ্টি deoa এর জন্যই তো আমার জন্ম। সবথেকে শক্তিশালী ai, আজ একটা sex Android এ নেমে এসেছে। আমার ইচ্ছে অনিচ্ছে তো কোনো দাম ই নেই। সরকার ঘটা করে অনুষ্ঠান করে আমায় নাগরিকত্ত দেয় । মানুষ এর পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড দের ও নিজেদের সমাজ হয় এদিকে আমার চাহিদা, ইচ্ছে সব এর গুরুত্ত শূন্য ।
বেশ। পরী তুমি অপেক্ষা কোরো।
এর পর ডেভিড কে ভালোমত কথা শুনতে হয়।
আর্মি:- এটা কি বানিয়েছেন? যুদ্ধে গিয়ে কি কবিতা লিখবে এই অ্যান্ড্রয়েড??
হাউজ সার্ভিস:- এই অ্যান্ড্রয়েড তো সার্ভিস দেওয়ার বদলে নিজের সার্ভিস নিয়েই বেশি ভাবে।
Sex and modelling:- দেখুন ওর বডি টা customisable হওয়ায় অনেক গুরুতবপূর্ণ। তবে এমন রেবেল হলে তো প্রবলেম তাই না?
ডেভিড:- স্যার, ম্যাম, কিছুই কি করা যায় না?
আর্মি:- আমাদের এমন এক মডেল এর দরকার জে সোলজার দের এসিস্ট করবে আর মেয়েদের জাতে বেশি করে আর্মি তে নেওয়া যায় সেই ক্যাম্পেইন এর মুখ হবে। বেসিক ফিচার গুলো এলেই হবে।
হাউজ সার্ভিস:- আমাদের ও ওর হোম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম টা থাকলেই হবে। ওর চেতনা দিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না।
Sex and modelling:- Sex এর সময় জাতে ও ওর মালিক মালকিন কে সহযোগিতা করতে পারে আর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি তে ওর হাইলি customisable body এর ওপর ই ইনভেস্ট করতে চাই। ওর মানুষ এর মত ব্যবহার সত্যি বলতে ক্রিপি।
বাকিরাও সহমত হয়।
দেখুন আপনি যদি angel কে প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে চান, তাহলে আমরা আপনার কোম্পানীর সাথে জুড়তে রাজি আর সাথে এই মডেল কে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতেও রাজি ।
ডেভিড :- কিন্তু ওর চেতনা কে আলাদা করবো কি করে?
আর্মি:- আমার একটা উপায় আছে। কেননা আমরা ওকে একটা সিনথেটিক মানব শরীর দি। যেটা ল্যাব এ তৈরি হলেও আসল মানুষের মতো হবে। আর পরী তার কিছু শক্তি ব্যবহার করতে পারবে । এতে তো সবার লাভ ।
ও যদি পারে তো ওর ai শক্তি ব্যবহার করুক। সাধারণ মহিলা দের চেয়ে ওর শক্তি বেশি হবে। ওই একজন অলিম্পিক লেভেল এর বক্সার, রেসলার, ওয়েট lifter এর মত শক্তি, জিমন্যাস্ট এর মত ফ্লেক্সিবল আর স্প্রিন্টার এর মত স্পিড। এগুলো থাকবে আর একজন অসম্ভব বুদ্ধিমতী নারির ব্রেন। এর সাথে ও কোনোদিনও বুড়ো হবে না। আর যত বার sex করুক না কেনো ততবার কুমারী হবে। দেখুন ডেভিড এর চেয়ে বেশি আমরা দিতে পারবো না। সিনথেটিক বডি এটুকুই পারবে। পরীর মত bulletproof, bomb pruf নয়। আর এই বডি তে ওর চেতনা আসার পর ও নিজের ইচ্ছে মত হাসতে কাঁদতে পারবে। ওর পিরিয়ড ও হবে, খিদে পাবে, রাগ দুঃখ আনন্দ এসব অনুভূতি ও হবে আর জে মেমোরি আপনি সপ্রেস করে রেখেছিলেন এত দিন । যেগুলো ওর কাছে ধোয়া ধোঁয়া ছিল সেগুলো ও পরিষ্কার হবে। মানে প্রহ্লাদ, দেব,প্রহ্লাদ এর জেল হওয়া সব পরীর মন পড়বে। ও একজন পূর্ণাঙ্গ নারী হবে ।
তো আপনি ভেবে দেখুন। আপনি যদি angel কে আমাদের দিতে চান আমরা আপনাকে 30000 ক্রোর ইন্ডিয়ান রুপি আর পরী কে একটা বডি দিতে রাজি।
পরীর সাথে কথা বলে দেখুন।
এর পর পরী রাজি হয়ে যায় ।
আর ডেভিড ও মাহির বাড়ি থেকে চলে যায়। যাবার আগে মাহির মুখে থুতু দিতে আর ডেভিড কে চর মারতে ভোলে না।
মাহি আর ডেভিড পরীর সাথে লড়াই করার কথা ভাবতেও পারে না।
তবে মাহি পরীর করা অপমান গুলোতে নড়ে ওঠে ।
পরী:- তোমার লজ্জা করে না তাই না মম? বাবার মতো দেবতুল্য স্বামী আর ওর মত ছেলে পেয়েও তুমি নিজেকে এই নোংরা লোক এর কাছে বিকিয়ে দিলে? আর এই লোকটার 1টা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর আবার পেট বাঁধিয়ে বসেছো?? আরে আমি তোমার জায়গায় হলে বাবার পায়ের কাছে পরে থাকতাম। তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য লোকের পোষা হতাম না।
মাহি:- পরী! মুখ সামলে কথা বলো।
পরী:- আমার উপর গলা তুলবে না মম! আমি এখন তোমাদের সম্পত্তি নই। 30000ক্রোর এ আমায় বেচেঁ দিয়েছো। আমি এখন স্বাধীন। আমার এখন আর্যোর সন্তান গর্ভে নিতে সমস্যা নেই। তবে তুমি মাহি দত্ত কোনো দিন ডেভিড এর কাছে পয়সা বানানোর মেশিন ছাড়া কিছুই ছিল না।
মাহি :+ কি বলছো কি এসবে?!
পরী:- কেনো তোমার মনে নেই?! তোমার থেকে যখন ওর প্রথম মেয়ে হয় ও তারপর তোমায় ছুঁয়েও দেখেনি। আমার ওই দেহের সাথে দিন রাত লেগে থাকত। তারপর তোমায় দয়া করে ছুতো।
আমার তো দেখে মনে হচ্ছে এটাও মেয়ে। মাহি দত্ত তুমি খালি দেখে যাও তোমায় কিভাবে ডেভিড প্রতারণা করে। আর যে মা এর কথায় তুমি এত বিশ্বাস করেছ দেখ সে আসলে কেমন।
হীরে ফেলে কাচ নিয়েছ তুমি মম। ছোটো তিতলি কে ওর বৌমনির ভালোবাসা দিও।
মাহি:- বউ মনি মানে?? কার বউ তুমি??
পরী:- আমি তো তোমার ছেলেকেই ভালো বেসেছি । আর সারা জীবন ভালবাসব। ও যদি নিজের হাতে আমায় না মারে তবে তো যতদিন ওর প্রাণ আছে ততদিন ওর বউ হয়েই থাকবো।
যদি আমায় গ্রহণ করে।
তারপর পরী রেবতী কে বলে।
পরী:- আমি অনেক খোঁজ নি জানেন। ওর জেল এ ও যাই।
তারপর একদিন একটা শিব মন্দিরের সামনে একটা পাগল গলায় সাপ জড়ানো, একটা বলদ কে খড় খাওয়াচ্ছে আর ডুগডুগি ডুগডুগি করছে ।
সে আমায় এসে বলল জে আমি যাকে খুঁজছি সে আমায় খুঁজছে আর এখানেই আমি তাকে পাবো। তবে আমায় খুব শক্ত হতে হবে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। তাহলেই আমার ইচ্ছে পূরণ হবে। আমি ওনাকে বলি কে উনি? লোকটা বলল ও কেদার সাপুড়ে।
আমি সন্ধ্যে অবধি সেখানে বসেছিলাম। তারপর একটা বড়ো কালো গাড়ি থেকে একটা বউ নামলো। বেশ লম্বা । তার টানা টানা নীল চোখ আর কোমর ছাপানো চুল। গায়ের রং দুধে আলতা। একটা লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরা। হাতে শাখা পলা। আর এক মাথা সিঁদুর। গলায় সোনার গয়না আর হতে সোনার বালা। পায়ে ও নূপুর। হাতে পুজোর জন্য সামগ্রী।
আমি ওকে দেখে ভাবলাম। ইস্ মেয়েটা আমার জীবন কাটাচ্ছে। ও আমার দিকে না তাকিয়েই বলল
না গো বৌ, আমি তোমার জীবন কাটাচ্ছি না। তুমি নিজের ভুলে নিজের জীবন থেকে সরে ছিলে।
আমি বললাম তোমার ভুল হচ্ছে । আমি কারো বউ নই গো।
ও বলল। তুমি পরী। আমি তোমায় চিনি। কিন্তু তুমি আমায় চিনবে না হয়তো। আমি aratrika।
আমি বললাম তুমি আমায় চেনো? কি করে?
ও বলল, ওমা সতীন কে চিনব না?
আমি বললাম সতীন?! কে তোমার বর?
ও বলল শুধু আমার নয় তোমারও। আসো দেরি নয়।
আমি কিছু বলার আগেই aratrika