08-07-2023, 10:25 PM
(08-07-2023, 09:09 PM)Monen2000 Wrote:
দ্বিতীয় খণ্ড
২২তম পর্ব
"আপনারা আদিত্যকে চেনেন?" অখিলবাবু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, উত্তরে অভিরূপবাবু তাড়াতাড়ি মোবাইলে থাকা আদিত্যর ফুটেজটা তাকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন "দেখুন তো এই সেই আদিত্য নাকি?"
"আরে হ্যাঁ, এই তো আদিত্য কিন্তু আপনারা চিনলেন কিভাবে?"
"ও কোথায় থাকে?"
"থাকে পাশেই কিন্তু আজ আমি ওকে ডেকেছিলাম একটু কথা ছিল তাই অন্যদিকে গিয়েছিল" মোড়লমশাই জবাব দেন।
"আমাকে একবার ওর বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন?" অভিরূপবাবু কাতর স্বরে জিজ্ঞেস করেন, তার ভাবভঙ্গি দেখে উপস্থিত সবাই বিস্মিত হন, মোড়ল এবং অখিলবাবু পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকেন দেখে অভিরূপবাবু আবার বলেন, "আমার ওর সাথে খুব দরকার প্লিজ ও শুধু আমার এই নাতনীটাকে বাঁচায়নি আমাকেও বাঁচিয়েছিল"
"দেখুন নিয়ে যেতে পারি কাছেই তো বাড়ি কিন্তু এখন গিয়ে লাভ নেই" এতক্ষণে মোড়লমশাই কথা বলেন।
"কেন?"
"এখন বোধহয় বাড়িতে নেই, বলছিল বৌমাকে নিয়ে একটু টাউনে যাবে চেকআপে আসলে বৌমা মা হতে চলেছে তো তাই"
"কখন ফিরবে কিছু বলেছে?"
"না সেটা বলেনি তবে সন্ধ্যার আগে ফেরার কথা বলছিল, আর তাছাড়া আদিত্য রোজ এখানেই আসে, আজ বোধহয় আসেনি বৌমাকে নিয়ে যাবে বলে"
অভিরূপবাবু এবার অখিলবাবুর দিকে তাকিয়ে বলেন "ও ফিরলে একবার আমাকে নিয়ে যাবেন, প্লিজ"
"কিন্তু ও হয়তো কালকেই এখানে আসবে তখন দেখা করে নেবেন"
"আমি আজকেই করতে চাই প্লিজ"
"ঠিক আছে সন্ধ্যার সময় আপনাকে নিয়ে যাবো"।
তখনকার মতো সবাই চলে গেল অভিরূপবাবুরাও সবাই রুমে ফিরে এসেছেন আর আসামাত্রই স্বর্ণেন্দু বাবু বললেন, "জামাইবাবু তোমাকে এখানে আনা হয়েছে রেস্ট নেবার জন্য, এভাবে খামোখা উত্তেজিত হয়ে শরীরের ক্ষতি করো না"
"তোমার চিন্তা বুঝতে পারছি কিন্তু আমার কিছু হবে না স্বর্ণেন্দু, চিন্তা করো না"
"পিসু সত্যি কেসটা কি বলোতো তুমি এত অধৈর্য্য কেন এই আদিত্যর সাথে দেখা করার জন্য?" সুনন্দা প্রশ্নটা করে সে কিছুটা বিরক্ত তার মেয়ের জন্য।
"তুই হয়তো বুঝতে পারিস নি তাই একথা বলছিস এই আদিত্য আর কেউ নয় আমাদের অনি"
"কি.. কিন্তু" সুনন্দা যেন আকাশ থেকে পরে যদিও এই অনুভূতি তারও হয়েছিল কিন্তু সময়ের সাথে সে সেটাকে মন থেকে মুছে ফেলে একটা ভুল ধারণা ভেবে।
"এটাই সত্যি রে মা, কোনো কারনে ও নিজের চেহারা পাল্টে ফেলেছে"
"কিন্তু চেহারা পাল্টে ফেলার কি আছে ও যদি অনিই হয় তাহলে এতদিন কোথায় ছিল? গ্যাংটকের সেদিনের পরে ফিরে এলো না কেন? বা এখনও নিজের পরিচয় না দিয়ে এখানে আছে কেন? আমার মনে হয় তোমার ভুল হচ্ছে পিসু"
"আমার ভুল হচ্ছে না তবে তোর সব প্রশ্নের উত্তর একমাত্র ও নিজে ছাড়া আর কেউ দিতে পারবে বলে মনে হয় না, তবে তোর যদি মনে হয় ও অনি না তাহলেও আমার কিছু বলার নেই কিন্তু তবুও তোর ওর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ভুলিস না আমাদের পিউর জীবন বাঁচিয়েছিল ও"
সুনন্দা যেন একটু লজ্জা পেল তাড়াতাড়ি বললো " না মানে আমি সেভাবে বলতে চাইনি"
"ঠিক আছে। পিউ দিদি এভাবে কেউ না বলে যায়? আমরা কত চিন্তা করছিলাম জানো?"
"আমি তো আঙ্কেলের কাছে গিয়েছিলাম"
"তোমার বুঝি আঙ্কেলকে খুব পছন্দ?"
"হ্যাঁ, আঙ্কেল আর আন্টি আমাকে কত্তো ভালোবাসে"
পিউর কথা শুনে স্বর্ণেন্দু বাবু বললেন "বাচ্চারা যাদের কাছে ভালোবাসা পায় তাদের কাছে যাবেই তাদের আটকানো যায় না"।
সারাটা দুপুর ছটফট করতে লাগলেন অভিরূপবাবু কখনো ঘড়ি দেখছেন কখনো জানালা দিয়ে বাইরে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখছেন শেষপর্যন্ত আর থাকতে পারলেন না শ্রীতমাদেবী, "একটু শান্ত হয়ে শুয়ে থাকো ওনারা তো বলেছেন ডেকে নিয়ে যাবেন"
"পারছি না যতক্ষণ না আমার ছেলেকে দেখতে পারছি শান্ত হতে পারছি না"
শ্রীতমাদেবী আর কিছু বলতে পারলেন না তার মনের অবস্থাও তো একই এরইসাথে আরেকটা কথা তার মাথায় উঁকি দিচ্ছে তার বড়ো ছেলে অরুণাভ ছোটো থেকেই সবকিছু পেয়েছে এমনকি ওর বিয়ের পর মৌমিতাও পেয়েছে কিন্তু তুলনায় ছোটো ছেলে অনি অনেকক্ষেত্রেই বঞ্চিত ছিল আর এখন ছোটো বৌমাও হচ্ছে সে এখন গর্ভবতী যে সময়টায় শাশুড়ি হিসেবে শ্রীতমাদেবীর তার বৌমার কাছে থাকার কথা সেই সময়ে তিনি তার কাছে নেই সেও বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিরূপবাবুর মাথাতেও বোধহয় একই ভাবনা চলছিল তিনি হটাৎ বললেন,
"আচ্ছা শ্রী অনি আমাদের সাথে কথা বলবে তো নাকি রাগ করে অভিমান করে দূরে সরিয়ে দেবে?"
স্বামীর কণ্ঠের আকুলতা বুঝতে পারলেন শ্রীতমাদেবী তিনি হয়তো সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু তার আগেই অভিরূপবাবু আবার বলতে থাকেন,
"করলে করবে ছেলে তার বাবা-মায়ের উপরে রাগ অভিমান করবে না তো কি পাড়া পড়শীর উপরে করবে? আমার ছেলে আমার উপরে অভিমান করবে"
"তুমি শান্ত হও অনি আর যাই করুক তোমাকে অপমান করবে না হয়তো রাগ করে কিছু বলবে কিন্তু এমন কিছু না যাতে ওর বাবা অপমানিত হয়। আর তুমি ভুলে যাচ্ছো যে রাগ অভিমান যাই থাকুক তোমাকে বিপদে দেখে ও কিন্তু চুপ থাকেনি সবার আগে দৌড়ে এসেছিল"
"বটেই তো, আচ্ছা শ্রী স্বর্ণেন্দু বলছিল এখানে জমি কিনে বাড়ি বানাবে ও হয়তো মজা করে বলেছে কিন্তু যদি আমরা থাকি এখানে জমি কিনে?"
শ্রীতমাদেবী একটু অবাক হন তিনি বলেন "কিন্তু এখানে জমি পাবে কি?"
"দাঁড়াও দেখছি"
বলে অভিরূপবাবু রিসেপশনে ফোন করে অখিলবাবুকে একবার পাঠিয়ে দিতে বললেন একটু পরেই দরজায় টোকা পরলো অভিরূপবাবু আসুন বলতেই অখিলবাবু ভিতরে প্রবেশ করে বললেন "ডাকছিলেন?"
"হ্যাঁ, ভিতরে আসুন"
"কিছু দরকার ছিল?"
"আপনার সঙ্গে কয়েকটা কথা ছিল আসুন"
অখিলবাবু ভিতরে এসে একটা চেয়ারে বসার পরে অভিরূপবাবু বলতে শুরু করেন "আচ্ছা অখিলবাবু একটা প্রশ্ন করছি আপনি তো এখানে অনেকদিন ধরেই আছেন বলে মনে হচ্ছে"
"আমার জন্ম এখানেই আর মরবোও এখানে"
"এই গ্ৰামটা আমার খুব ভালো লেগে গেছে এখানে পার্মানেন্ট থাকতে চাইছি, এখানে কোনো জমি পাওয়া যাবে তাহলে কিনে আমরা দুই বুড়ো বুড়ি থাকতাম, ছোটো জমি হলেও চলবে"
"তাহলে তো আমাদের একজন গেস্ট কমে যাবে" অখিলবাবু হালকা হেসে মন্তব্য করেন, তারপর একটু থেমে বলেন "জমি এখানে কিছু আছে ঠিকই তবে বিক্রি হবে কি না আমি ঠিক বলতে পারবো না আপনি বরং মোড়লমশাইএর সাথে কথা বলে দেখবেন উনি ভালো জানবেন একটা কথা বলুন তো আপনারা এখানে থাকতে চাইছেন সেটা কি শুধুই গ্ৰাম পছন্দ হয়েছে বলে নাকি অন্য কারণ আছে?"
অভিরূপবাবু বুঝতে পারলেন বৃদ্ধটি কিছু সন্দেহ করেছে তাই তিনি সোজাসুজি বললেন "একটা কারণ আছে সেটা আদিত্য"
"আদিত্য? কিরকম?"
"বলছি তার আগে একটা কথা বলুন তো আপনি এই আদিত্যকে কতদিন ধরে চেনেন?"
"তা বছর দুই-তিন হবে কেন?"
"তার আগে ও কোথায় থাকতো জানেন?"
"না, ওকে তো কত্তাবাবু এখানে নিয়ে আসেন"
"কত্তাবাবু?"
"ডাক্তারবাবু বড়ো ভালো লোক ছিলেন উনিই ওকে এখানে নিয়ে আসেন সে এক ঘটনা বটে"
অখিলবাবু অভিরূপবাবুকে আদিত্যর এখানে আসা তার আগে শরীর খারাপ বাদশার শেলেশবাবুকে খুঁজে তার কাছে নিয়ে যাওয়া সব খুলে বললেন তারপর বলেন "প্রথমে তো এখানেই থাকতো রিসর্টের পিছনে একটা তাঁবু খাটিয়ে ও আর ওর ওই কুকুরটা পরে বৌমা আসে সেও ভারী লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে, বিয়ের পর ওই বাড়িতে উঠে যায় ওটা ডাক্তারবাবুর বাড়ি ছিল ওটা উনি আদিত্যকে দিয়ে যান। আর শুধু কত্তাবাবুই নন গ্ৰামের সকলেই ওকে খুব ভালোবাসে ও তেমনই সবাইকে ভালোবাসে"
"আদিত্য কখনো ওর আগের জীবন সম্পর্কে কিছু বলেছে? মানে আপনাদের সাথে দেখা হবার আগে কোথায় থাকতো কাদের কাছে থাকতো এইসব?"
"না তা বলেনি আর আমরাও কখনো জিজ্ঞেস করিনি তবে এটা বুঝেছি কিছু একটা ঘটেছিল ওর জীবনে যেটা সুখের নয় তবে পিয়ালী মানে বৌমা জানলেও জানতে পারে ওকেই বোধহয় বলেছে, কিন্তু আপনারা ওর বিষয়ে এত আগ্ৰহ দেখাচ্ছেন কেন বলুনতো?"
এবারে অভিরূপবাবু আর কিছু লুকিয়ে রাখলেন না বললেন "অখিলবাবু আমার দুই ছেলে বড়ো ছেলে আমাদের সাথেই থাকে এখন কলকাতায় বাড়িতে আছে কিন্তু ছোটো ছেলেকে আমরা অনেক বছর আগে হারিয়ে ফেলি একটা দুর্ঘটনায়, এতদিন জানতাম ও আর বেঁচে নেই কিন্তু এখন জানি ও বেঁচে আছে আর এখানে আছে। আদিত্য, ওই আদিত্যই হলো আমাদের সেই হারিয়ে যাওয়া ছেলে যদিও এখন যেকোনো কারনেই হোক নিজের নাম আর চেহারা পাল্টে ফেলেছে আর কোনো অজ্ঞাত কারনে তারপর থেকে আর আমাদের কাছে ফেরেনি"
"যদি চেহারা পাল্টে থাকে তাহলে আপনারা কিভাবে বুঝলেন যে ও আপনাদের ছেলে?"
"বাবা মা সন্তানের স্পর্শ চিনতে পারে এটা মানেন তো? আমাদের পরিচিত কয়েকজন বৌমাকে অপমান করেছিল তখন ও তাদের পেটাতে গিয়েছিল বোধহয় জানতো না যে আমরা ওখানে থাকবো কিন্তু তখন ও আমাকে আর ওর মাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিল, আর ছেলের স্পর্শ চিনতে আমাদের ভুল হয়নি বিশ্বাস করুন"
অখিলবাবুর মুখটা কালো হয়ে এলো তবে অভিরূপবাবু বোধহয় তার মনের ভাবনাটা আন্দাজ করতে পারলেন তিনি বললেন "ভয় নেই অখিলবাবু আমরা ওকে আপনাদের থেকে কেড়ে নিতে আসিনি আর আমার ছেলে এতবছর আমার থেকে দূরে থাকলেও নিজের ছেলে তো ওকে যতটা চিনেছি তাতে ও আপনাদের ছেড়ে যাবে না তাই আমরা এখানে থাকার জন্য জমি খুঁজছিলাম"
অখিলবাবুর মুখ কিছুটা উজ্জ্বল হলো তিনি বললেন "ও ব্যাপারে মোড়লমশাই ভালো বলতে পারবেন"
"বেশ তাহলে ওনার সঙ্গেই কথা বলবো"
একথার পরে অভিরূপবাবু একবার হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন "অখিলবাবু এখনও কি ওরা আসেনি?"
"ওই দেখুন আমি ভেবেছিলাম আপনারা ঘুমাচ্ছেন তাই আর জানাইনি ওরা চলে এসেছে আমাদের এখান থেকেই এখন খাবার যায় ওদের জন্য ওরা এসে খাবার চেয়েছিল"
"তাহলে এখন যাওয়া যায়?"
"ঠিক আছে আপনারা তৈরি হয়ে নিন আমি একজনকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ওই নিয়ে যাবে বেশীদূরে নয় কাছেই"।
আদিত্যর বাড়ির মূল ফটকের সামনে এসে কিছুক্ষণের জন্য থমকে দাঁড়ালেন অভিরূপবাবু সঙ্গে অবশ্য শুধু শ্রীতমাদেবী এসেছেন। অভিরূপবাবুর মন তখনও দোলাচলে দুলছে একদিকে আনন্দ একদিকে ভয় ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ আবার হারানোর ভয় যদি সে আর কাছে না আসে যদি এতটাই দূরে চলে গিয়ে থাকে যে অভিরূপবাবু চাইলেও আর তার কাছে যেতে পারবেন না বা তাকে কাছে ডাকতে পারবেন না, এইসময় শ্রীতমাদেবী স্বামীর কাঁধে একটা হাত রাখলেন তাতে বোধহয় অভিরূপবাবু কিছুটা আশ্বস্ত হলেন তিনি ফটকটা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করলেন।
চেকআপ থেকে এসেই খাবার পাঠানোর জন্য বলে দিয়েছিল আদিত্য একটু পরে খাবার এসেও গিয়েছিল ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে আর ঘুমায়নি দুজনে ড্রয়িংরুমে একটা সোফায় বসে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছিল, দুজনের মুখেই আনন্দের হাসি পিয়ালীর হাসি আর বেড়ে যাচ্ছে যখন আদিত্য তার পেটে নাভিতে কান লাগিয়ে তাদের সন্তানের হৃদস্পন্দন শোনার চেষ্টা করছে।
একসময় হটাৎই আদিত্য গম্ভীর হয়ে যায় তারপর বাইরের দিকে কান খাড়া করে কিছু যেন শোনার চেষ্টা করে সেটা দেখেই পিয়ালী জিজ্ঞেস করে, "কি হলো তোমার?"
"আর বোধহয় নিজেকে লুকিয়ে রাখা গেল না বাইরে ওনারা এসেছেন"
"কারা?"
"বাবা আর মা"
আদিত্য আর কিছু না বলে উঠে ঘরের দরজা খুলে বাইরে আসে পিছনে পিয়ালী সে দেখে তার স্বামীর অনুমান নির্ভুল মূল ফটকের কাছে তারা দুজন দাঁড়িয়ে আছেন।
দৃশ্য দেখে শ্রীতমাদেবীও অভিভূত এবং বাকরুদ্ধ হয়ে যান বাবা এবং ছেলে পরস্পরের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে যেন একজন মানুষই দাঁড়িয়ে আছেন আয়নার সামনে তফাৎ হলো এখানে একজন প্রবীন এবং অপরজন নবীন, বাড়িতে থাকলে অভিরূপবাবু সাধারণত পাঞ্জাবী পরেন এখানেও তিনি তাই নিয়ে এসেছেন বুকের কাছে সোনালী রঙের জড়ির কাজ করা একটা সাদা পাঞ্জাবী আর পাজামা পরে আছেন অভিরূপবাবু অপরদিকে অনি বা আদিত্য যায় বলা যাক সেও একটা সাদা পাঞ্জাবী আর পাজামা পরে আছে তারও পাঞ্জাবীর বুকের কাছে সোনালী রঙের জড়ির কাজ করা, শ্রীতমাদেবী একদৃষ্টিতে বাপ ব্যাটার দিকে তাকিয়ে থাকেন।