04-07-2023, 10:31 PM
Ogni :- ভৈরব, বলছিলাম আমি তোমায় যত ম্যান পাওয়ার লাগে সব দেব। তুমি আমায় যেভাবে বাঁচালে সত্যিই...
ভৈরব:- ঠিক আছে ঠিক আছে। তোমায় জা জা বলেছিলাম এনেছো?
অগ্নি:- এনেছি। একটা hi tech control room। 6 জন লোক। 3 জন মেয়ে। 3 জন ছেলে। এঁরা এক্স ক্রিমিনাল। আর aratrikar জন্ন ও চার্জিং ডক রেডি। আর তোমার জন্ন জিম, আর সাথে তোমার জন্ন একই রকম দেখতে সেম নম্বরের 3 টে ফরচুনার গাড়ি ও রেডি।
ভৈরব এবার তার আড় মোড় ভাঙ্গে আর হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।
অগ্নি:- তু তুমি তুমি হা হাট তে পা পারো??
ভৈরব :- অগ্নির গলা তুলে এক হাত দিয়ে ওকে হওয়ায় তুলে ধরে। 6 ফিট লম্বা ভৈরব 6'4" অগ্নি কে হওয়ায় উঠিয়ে দেয়।
বলে, sssshh। ব্যাস। বেশি অবাক হওয়ার কিছু নেই। নরমাল ব্রেন to নার্ভ স্টিমুলেটর প্রসেস। একটা মাইনোর সার্জারি করিয়ে নিলেই হয়। সুপ্রিম কোর্টের থেকে পারমিশন নিয়েই করিয়েছি। তবে সবাই জানে না। তুমিও বলবে না। কি তাই তো? 5 টা বিধবা আর 6 টা অনাথ সন্তান হবে তোমার , সেটা কি ভালো হবে ওদের জন্ন?
অগ্নি:- ছা ছাড়ো আমায়... আমি কা কাউকে কিছু বলব না।
ভৈরব ওর গলা ছেড়ে দেয়। অগ্নি ধপাস করে পরে। পরে কাশতে থাকে।
ভৈরব:- তোমার কাজ শেষ। এর পর না তুমি আমায় চেন না আমি তোমায় চিনি। আমার কাজে বাধা হতে আসবে না । আর বাধা হলে মেরে দেব। তোমায় আর তোমার পরিবারকে ।
অগ্নি উঠে দাড়িয়ে নিজের হাত পা ঝেড়ে বলে।
অগ্নি:- বেশ।তোমার আর আমার রাস্তা আলাদা। তবে আমার পরিবার আর Gupta's conglomerate কে haven er সাথে যুক্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে আর কোম্পানি কে ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড বানানোর জন্ন dhonnbad। এর জন্ন তুমি জা চেয়েছিলে আমি দিয়েছি। তবে জা করবে তার ফল ও পাবে ভুলে যেও না।
আসছি। ভালো থেকো।
অগ্নি ভৈরব এর ডেরা থেকে চলে যায়।
তারপর ……………………
13 বছরের প্রহলাদ জেল থেকে ফিরেছে 6 বছর পর।
জেলে বসে সুইসাইড করতে গিয়ে দেব চৌধুরী এখন সম্পূর্ণ ভাবে প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত। বেশিদিন বাঁচবেন ও না।
তবে ওনার এই ঘটনার পরই প্রহ্লাদ এর অপারেশন সাকসেস হয়। আর ও হাঁটার ক্ষমতা পায়। তবে জেল এ এমন ভান করতো যেনো হাঁটতে পারে না। এদিকে সবার আড়ালে gym এ গিয়ে দিন রাত ট্রেন করতো। আর কেউ এলে পরে ওর চেয়ারে বসেই আপার বডি ট্রেন করতো। তাই উনিশ বছরের ভৈরব এর গায়ে অমানুষিক শক্তি।
তবে ভৈরব এবার ওর বাবার দায়িত্ত্ব কাউকেই দেয়নি। দিয়েছে আরত্রিকা কে।
কে এই আরাত্রিকা?
জেল এ ভৈরব এর কাজ ছিল ছোটখাটো ইলেকট্রিক যন্ত্র ঠিক করা আর কখনো সখনো নেট এর ব্যবহার করে পুলিশ দের সাহায্য করা।
প্রহ্লাদ কে মানসিক রুগী জেনে পুলিশরা ঘটাতো না।
কিন্তু প্রহ্লাদ এর ভালো ব্যবহার দেখে জেল এর ইনচার্জ ওকে বৈদ্যুতিক আবর্জনা থেকে ওর কাজে আসে এমন জিনিস ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।
প্রহ্লাদ এর কয়েদ এর যখন 4 বছর, তখন ও আবর্জনা স্তূপ এ একটা অকেজো অ্যান্ড্রয়েড পায়। সেটা কোনো কাজের ই না। তবে ওর চিপ আর প্রসেসর গুলো ঠিক ছিল। প্রহ্লাদ ওয়ার্ডেন কে বলে ওই অ্যান্ড্রয়েড কে নিজের কাছে রাখে। জেল এ বসেই মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক পাস করে প্রহ্লাদ। এবং রাজ্যে 9থ ও হয়। তাই ওকে পুরষ্কারে একটা দামী ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
প্রহ্লাদ এর ভালো দেখে ওকে ori বয়সী কিছু কয়েদি বুলি করতো। ওকে চেয়ার থেকে ফেলে দেওয়া, ওর খাবার কেড়ে নিয়ে ওর মাথায় ঢেলে দেওয়া। প্রহ্লাদ পটি তে গেলে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেওয়া। ওর গায়ে থুতু দেওয়া। এসব তো প্রায় রোজ ই হতো। প্রহ্লাদ এর মত ভালো ছেলের এসব প্রাপ্য ছিল কি? এই ছেলে তো ভারত কে পৃথিবীর সেরা দেশে পরিণত করার কথা ছিল। সে জেলে বসে টর্চার সহ্য করছে।
তবে জেল এ প্রহলাদ এর এক সঙ্গিনী হয়েছিল । যে কি না ওর জীবন সঙ্গী। এ ছিল আরতৃকা। Aratrika চোখে দেখতে পেত না। ক্লাস 10 এ কলকাতার এক সাহেব বাবুর বাড়িতে গ্রাম থেকে ওর মা কাজে আসে। Aratrika ও কলকাতার এক ভালো কলেজে ভর্তি হয়। এর পর একদিন ডেভিড নামের ওই সাহেব aratrika কে ওর ঘরে ডেকে রবার্ট নামের এক বন্ধুর সজ্জা সঙ্গিনী হতে বলে aratrika ভয় পেয়ে যায়। আর ওখান থেকে পালাতে যায়। রবার্ট ওকে বিছানায় চেপে ধরে। নিজের প্রাণ বাঁচাতে বিছানার সাইড টেবিল থেকে একটা ভারী জিনিস রবার্ট এর মাথায় মারে। রবার্ট মারা যায়। ক্ষমতাবান ডেভিড আরত্রিকার মা কে টাকা দিয়ে চুপ করে দেয় আর আরতৃকার জেল হয় অ্যাটেম টু মার্ডার মামলায়।
Aratrika জানত যে প্রহ্লাদ হাঁটতে পারে।
প্রহ্লাদ চেয়েছিল আরাত্রিকার দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে। Aratrikar cornea surgery করলেই চোখ ফিরে আসত।
বিশাল রূপসী আর বুদ্ধিমতী ছিল aratrika ।
প্রহ্লাদ কে আরত্রিকা সাহায্য করছে দেখে অন্যান্য কয়েদিরা আরো রেগে যায়। কারণ যখন ই ওরা প্রহ্লাদ কে বুলি করে aratrika ওর পাশে এসে ওকে আবার হ্যাপি করে দেয়।
এক অসম্ভব ভালোবাসা। প্রহ্লাদ এর চোখ দিয়ে aratrika সব দেখতো আর aratrikar স্পর্শে প্রহ্লাদ সুখ পেত।
কিন্তু সব ভালো হলে কি ঈশ্বর খুশি হবে?
প্রহ্লাদ এর ও সুখ স্থায়ী হলো না।
একদিন কয়েদিরা ভারী শিল নড়ার পাথর দিয়ে aratrika কে মেরে দিলো। মরার আগে aratrika প্রহ্লাদ কে স্পর্শ করে বলেছিল
:- তো তোমায় দেখতে পেলাম না গো... এটাই একটা চাওয়া রয়ে গেলো... পরের জন্মে যেনো আমি আবার তোমার সঙ্গী হতে পারি। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে.. তোমার কোলে একটু ঘুমাই?
এটাই aratrikar শেষ কথা হতো। যদি প্রহ্লাদ এর জায়গায় অন্ন কেউ থাকতো। Aratrikar মৃত্যু এক রাক্ষস এর জন্ম দিয়েই দিল। যেটা এতদিন সুপ্ত ছিল ।
Aratrikar পোস্ট মর্টেম হয়।
অগ্নি aratrikar ব্রেন টা চায়। ওর কাছে আগের থেকে থাকা অ্যান্ড্রয়েড এর প্রসেসর আর পাওয়ার চিপ ছিলই। প্রহ্লাদ নিজের বানানো এক স্ক্যানার দিয়ে aratrikar ব্রেন এর একটা ডিজিটাল কপি বানায়। আর ওই চিপ ও প্রসেসর এ স্টোর করে রাখে। একটা নীল রং এর 15 cm er scale এর মত দেখতে চিপ আর একটা চ্যাপটা সবুজ পাথরের মত দেখতে প্রসেসর। ওগুলো গোল্ডেন সিলভার এমন কিছু নেই । তাই জেলের কয়েদিরা ভাবত পাগলা টা সারাদিন scale aar pathor niye ki করে।
Aratrikar দেহ পুড়িয়ে দিলেও প্রহলাদ ওর ব্রেন টা বাঁচিয়ে রাখে ওর spinal cord Soho।
জেলে প্রহ্লাদ এর যখন 5.5 বছর তখন বৈদ্যুতিক আস্তাকুড়ে ও একটা sex Android পায়। সেটার অবস্থা অনেক ভালো থাকায় ওটাকে নিয়ে আসে ওর কাজ চালানো গোপন ল্যাব এ।
এবার ও দেখে ওভার ইউজ এর ফলে ওর চিপ আর সার্কিট জ্বলে গেছে।
তবে এটাকে নিয়ে এসপেরিমেন্ট করা যাবে। এটা গেলে aratrika সত্যিই মরে যাবে।
ওই 5.5 ফিট লম্বা পুতুলটাকে তুলে o টেবিল এ রাখে । অ্যান্ড্রয়েড এর খুলি টা খুলে ওর ভেতর জে ফাইবার এর পুরনো ব্রেন ছিল, সেটার বদলে aratrikar ব্রেন টা দেয়। মেশিন এর স্টিল এর মেরুদণ্ডের সাথে aratrikar এক এক টা নার্ভ সাবধানে জুড়ে দেয়। তারপর হালকা হালকা current পাস করে দেখে সব নার্ভ সচল কি না।
এর পর একটা জোরে ঝটকা hi voltage current এর
এতে জেল এর কাছের ট্রান্সফরমার ফেটে যায়।
প্রহ্লাদ ভাবে ওর experiment fail।
তারপর ও অ্যান্ড্রয়েড এর ওপর সাদা কাপড় দিয়ে চলে আসে।
2 দিন পর ল্যাব পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে অ্যান্ড্রয়েড টা ওকে জে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সেটা জড়িয়েই দাড়িয়ে আছে আর নিজেকে ছুয়ে আয়নার সামনে দেখছে।
প্রহ্লাদ :- আ.. আরাত্রিকা?
রোবট টা এক পা এক পা ওর কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।
তারপর বলে , হ্যাঁ হ্যাঁ আমি!
তারপর ওর গাল এ হাত দিয়ে বলে এই জে আমার প্রহলাদ?
প্রহ্লাদ এর চোখে জল।
Aratrikar চোখেও জল।
প্রহ্লাদ বলে তুমি কাদঁছো ? কিন্তু কি করে?
Aratrika বলে জানি না। কিন্তু চোখের থেকে তো জল আপন আপনিই আসছে।
শুধু তাই ই নয়।
এই বলে aratrika প্রহ্লাদ কে দেখায় ও ওর মনের ইচ্ছে মত যেকোনো বস্তু কে নড়াতে পারে।
তারপর আরো দেখায়। ওর ইচ্ছে মত সব বৈদ্যুতিক জিনিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এর পর অগ্নির সাথে aratrika ই যোগাযোগ করিয়ে দেয়। তারপর ডেভিড এর প্ল্যান জানে প্রহ্লাদ আর ওর আরু।
পরীর শক্তিশালী ai কে আরুর সাইবার পাওয়ার হারিয়ে দেয়। ফলে অগ্নি অকশন জিতে সবচেয়ে বড় গ্লোবাল ব্র্যান্ড এর একটা হয়। সেখানে haven ke 1St runner up hoyei thakte হয়।
তারপর:-
আরু বাবা কেমন আছে ?
আরু:- দেখো না সকাল থেকেই মায়া মায়া করছে!
ভৈরব:- বাবা , মা আমাদের ছেড়ে গেছে। মা নিজের নতুন জীবন মেনে নিয়েছে। তুমি কেনো বুঝছ না?
দেব:- পিকু..তোর মা আমাদের এখনও ভালো বাসে। আর মাহি ও ওর ভুল বুঝবে। দেখিস বাবা...
ভৈরব:- আরু তুমি বাবাকে নিয়ে যাও ।
দেব :- বৌমা... আমি মায়ার কাছে যাবো... আমার মেয়ে টাকে দেখব....
ভৈরব:- আরু তোমায় যেটা বললাম সেটা কি শুনতে পাওনি?
বাবা কে নিয়ে যাও। যাও!
আরু :- এই এই তো যাচ্ছি। তুমি উত্তেজিত হয়ো না লক্ষ্মীটি।
বাবা তুমি ভেতরে চলো। ওষুধ এর সময় হয়েছে তো।
ভৈরব:- ঠিক আছে ঠিক আছে। তোমায় জা জা বলেছিলাম এনেছো?
অগ্নি:- এনেছি। একটা hi tech control room। 6 জন লোক। 3 জন মেয়ে। 3 জন ছেলে। এঁরা এক্স ক্রিমিনাল। আর aratrikar জন্ন ও চার্জিং ডক রেডি। আর তোমার জন্ন জিম, আর সাথে তোমার জন্ন একই রকম দেখতে সেম নম্বরের 3 টে ফরচুনার গাড়ি ও রেডি।
ভৈরব এবার তার আড় মোড় ভাঙ্গে আর হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।
অগ্নি:- তু তুমি তুমি হা হাট তে পা পারো??
ভৈরব :- অগ্নির গলা তুলে এক হাত দিয়ে ওকে হওয়ায় তুলে ধরে। 6 ফিট লম্বা ভৈরব 6'4" অগ্নি কে হওয়ায় উঠিয়ে দেয়।
বলে, sssshh। ব্যাস। বেশি অবাক হওয়ার কিছু নেই। নরমাল ব্রেন to নার্ভ স্টিমুলেটর প্রসেস। একটা মাইনোর সার্জারি করিয়ে নিলেই হয়। সুপ্রিম কোর্টের থেকে পারমিশন নিয়েই করিয়েছি। তবে সবাই জানে না। তুমিও বলবে না। কি তাই তো? 5 টা বিধবা আর 6 টা অনাথ সন্তান হবে তোমার , সেটা কি ভালো হবে ওদের জন্ন?
অগ্নি:- ছা ছাড়ো আমায়... আমি কা কাউকে কিছু বলব না।
ভৈরব ওর গলা ছেড়ে দেয়। অগ্নি ধপাস করে পরে। পরে কাশতে থাকে।
ভৈরব:- তোমার কাজ শেষ। এর পর না তুমি আমায় চেন না আমি তোমায় চিনি। আমার কাজে বাধা হতে আসবে না । আর বাধা হলে মেরে দেব। তোমায় আর তোমার পরিবারকে ।
অগ্নি উঠে দাড়িয়ে নিজের হাত পা ঝেড়ে বলে।
অগ্নি:- বেশ।তোমার আর আমার রাস্তা আলাদা। তবে আমার পরিবার আর Gupta's conglomerate কে haven er সাথে যুক্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে আর কোম্পানি কে ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড বানানোর জন্ন dhonnbad। এর জন্ন তুমি জা চেয়েছিলে আমি দিয়েছি। তবে জা করবে তার ফল ও পাবে ভুলে যেও না।
আসছি। ভালো থেকো।
অগ্নি ভৈরব এর ডেরা থেকে চলে যায়।
তারপর ……………………
13 বছরের প্রহলাদ জেল থেকে ফিরেছে 6 বছর পর।
জেলে বসে সুইসাইড করতে গিয়ে দেব চৌধুরী এখন সম্পূর্ণ ভাবে প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত। বেশিদিন বাঁচবেন ও না।
তবে ওনার এই ঘটনার পরই প্রহ্লাদ এর অপারেশন সাকসেস হয়। আর ও হাঁটার ক্ষমতা পায়। তবে জেল এ এমন ভান করতো যেনো হাঁটতে পারে না। এদিকে সবার আড়ালে gym এ গিয়ে দিন রাত ট্রেন করতো। আর কেউ এলে পরে ওর চেয়ারে বসেই আপার বডি ট্রেন করতো। তাই উনিশ বছরের ভৈরব এর গায়ে অমানুষিক শক্তি।
তবে ভৈরব এবার ওর বাবার দায়িত্ত্ব কাউকেই দেয়নি। দিয়েছে আরত্রিকা কে।
কে এই আরাত্রিকা?
জেল এ ভৈরব এর কাজ ছিল ছোটখাটো ইলেকট্রিক যন্ত্র ঠিক করা আর কখনো সখনো নেট এর ব্যবহার করে পুলিশ দের সাহায্য করা।
প্রহ্লাদ কে মানসিক রুগী জেনে পুলিশরা ঘটাতো না।
কিন্তু প্রহ্লাদ এর ভালো ব্যবহার দেখে জেল এর ইনচার্জ ওকে বৈদ্যুতিক আবর্জনা থেকে ওর কাজে আসে এমন জিনিস ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।
প্রহ্লাদ এর কয়েদ এর যখন 4 বছর, তখন ও আবর্জনা স্তূপ এ একটা অকেজো অ্যান্ড্রয়েড পায়। সেটা কোনো কাজের ই না। তবে ওর চিপ আর প্রসেসর গুলো ঠিক ছিল। প্রহ্লাদ ওয়ার্ডেন কে বলে ওই অ্যান্ড্রয়েড কে নিজের কাছে রাখে। জেল এ বসেই মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক পাস করে প্রহ্লাদ। এবং রাজ্যে 9থ ও হয়। তাই ওকে পুরষ্কারে একটা দামী ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
প্রহ্লাদ এর ভালো দেখে ওকে ori বয়সী কিছু কয়েদি বুলি করতো। ওকে চেয়ার থেকে ফেলে দেওয়া, ওর খাবার কেড়ে নিয়ে ওর মাথায় ঢেলে দেওয়া। প্রহ্লাদ পটি তে গেলে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেওয়া। ওর গায়ে থুতু দেওয়া। এসব তো প্রায় রোজ ই হতো। প্রহ্লাদ এর মত ভালো ছেলের এসব প্রাপ্য ছিল কি? এই ছেলে তো ভারত কে পৃথিবীর সেরা দেশে পরিণত করার কথা ছিল। সে জেলে বসে টর্চার সহ্য করছে।
তবে জেল এ প্রহলাদ এর এক সঙ্গিনী হয়েছিল । যে কি না ওর জীবন সঙ্গী। এ ছিল আরতৃকা। Aratrika চোখে দেখতে পেত না। ক্লাস 10 এ কলকাতার এক সাহেব বাবুর বাড়িতে গ্রাম থেকে ওর মা কাজে আসে। Aratrika ও কলকাতার এক ভালো কলেজে ভর্তি হয়। এর পর একদিন ডেভিড নামের ওই সাহেব aratrika কে ওর ঘরে ডেকে রবার্ট নামের এক বন্ধুর সজ্জা সঙ্গিনী হতে বলে aratrika ভয় পেয়ে যায়। আর ওখান থেকে পালাতে যায়। রবার্ট ওকে বিছানায় চেপে ধরে। নিজের প্রাণ বাঁচাতে বিছানার সাইড টেবিল থেকে একটা ভারী জিনিস রবার্ট এর মাথায় মারে। রবার্ট মারা যায়। ক্ষমতাবান ডেভিড আরত্রিকার মা কে টাকা দিয়ে চুপ করে দেয় আর আরতৃকার জেল হয় অ্যাটেম টু মার্ডার মামলায়।
Aratrika জানত যে প্রহ্লাদ হাঁটতে পারে।
প্রহ্লাদ চেয়েছিল আরাত্রিকার দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে। Aratrikar cornea surgery করলেই চোখ ফিরে আসত।
বিশাল রূপসী আর বুদ্ধিমতী ছিল aratrika ।
প্রহ্লাদ কে আরত্রিকা সাহায্য করছে দেখে অন্যান্য কয়েদিরা আরো রেগে যায়। কারণ যখন ই ওরা প্রহ্লাদ কে বুলি করে aratrika ওর পাশে এসে ওকে আবার হ্যাপি করে দেয়।
এক অসম্ভব ভালোবাসা। প্রহ্লাদ এর চোখ দিয়ে aratrika সব দেখতো আর aratrikar স্পর্শে প্রহ্লাদ সুখ পেত।
কিন্তু সব ভালো হলে কি ঈশ্বর খুশি হবে?
প্রহ্লাদ এর ও সুখ স্থায়ী হলো না।
একদিন কয়েদিরা ভারী শিল নড়ার পাথর দিয়ে aratrika কে মেরে দিলো। মরার আগে aratrika প্রহ্লাদ কে স্পর্শ করে বলেছিল
:- তো তোমায় দেখতে পেলাম না গো... এটাই একটা চাওয়া রয়ে গেলো... পরের জন্মে যেনো আমি আবার তোমার সঙ্গী হতে পারি। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে.. তোমার কোলে একটু ঘুমাই?
এটাই aratrikar শেষ কথা হতো। যদি প্রহ্লাদ এর জায়গায় অন্ন কেউ থাকতো। Aratrikar মৃত্যু এক রাক্ষস এর জন্ম দিয়েই দিল। যেটা এতদিন সুপ্ত ছিল ।
Aratrikar পোস্ট মর্টেম হয়।
অগ্নি aratrikar ব্রেন টা চায়। ওর কাছে আগের থেকে থাকা অ্যান্ড্রয়েড এর প্রসেসর আর পাওয়ার চিপ ছিলই। প্রহ্লাদ নিজের বানানো এক স্ক্যানার দিয়ে aratrikar ব্রেন এর একটা ডিজিটাল কপি বানায়। আর ওই চিপ ও প্রসেসর এ স্টোর করে রাখে। একটা নীল রং এর 15 cm er scale এর মত দেখতে চিপ আর একটা চ্যাপটা সবুজ পাথরের মত দেখতে প্রসেসর। ওগুলো গোল্ডেন সিলভার এমন কিছু নেই । তাই জেলের কয়েদিরা ভাবত পাগলা টা সারাদিন scale aar pathor niye ki করে।
Aratrikar দেহ পুড়িয়ে দিলেও প্রহলাদ ওর ব্রেন টা বাঁচিয়ে রাখে ওর spinal cord Soho।
জেলে প্রহ্লাদ এর যখন 5.5 বছর তখন বৈদ্যুতিক আস্তাকুড়ে ও একটা sex Android পায়। সেটার অবস্থা অনেক ভালো থাকায় ওটাকে নিয়ে আসে ওর কাজ চালানো গোপন ল্যাব এ।
এবার ও দেখে ওভার ইউজ এর ফলে ওর চিপ আর সার্কিট জ্বলে গেছে।
তবে এটাকে নিয়ে এসপেরিমেন্ট করা যাবে। এটা গেলে aratrika সত্যিই মরে যাবে।
ওই 5.5 ফিট লম্বা পুতুলটাকে তুলে o টেবিল এ রাখে । অ্যান্ড্রয়েড এর খুলি টা খুলে ওর ভেতর জে ফাইবার এর পুরনো ব্রেন ছিল, সেটার বদলে aratrikar ব্রেন টা দেয়। মেশিন এর স্টিল এর মেরুদণ্ডের সাথে aratrikar এক এক টা নার্ভ সাবধানে জুড়ে দেয়। তারপর হালকা হালকা current পাস করে দেখে সব নার্ভ সচল কি না।
এর পর একটা জোরে ঝটকা hi voltage current এর
এতে জেল এর কাছের ট্রান্সফরমার ফেটে যায়।
প্রহ্লাদ ভাবে ওর experiment fail।
তারপর ও অ্যান্ড্রয়েড এর ওপর সাদা কাপড় দিয়ে চলে আসে।
2 দিন পর ল্যাব পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে অ্যান্ড্রয়েড টা ওকে জে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সেটা জড়িয়েই দাড়িয়ে আছে আর নিজেকে ছুয়ে আয়নার সামনে দেখছে।
প্রহ্লাদ :- আ.. আরাত্রিকা?
রোবট টা এক পা এক পা ওর কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।
তারপর বলে , হ্যাঁ হ্যাঁ আমি!
তারপর ওর গাল এ হাত দিয়ে বলে এই জে আমার প্রহলাদ?
প্রহ্লাদ এর চোখে জল।
Aratrikar চোখেও জল।
প্রহ্লাদ বলে তুমি কাদঁছো ? কিন্তু কি করে?
Aratrika বলে জানি না। কিন্তু চোখের থেকে তো জল আপন আপনিই আসছে।
শুধু তাই ই নয়।
এই বলে aratrika প্রহ্লাদ কে দেখায় ও ওর মনের ইচ্ছে মত যেকোনো বস্তু কে নড়াতে পারে।
তারপর আরো দেখায়। ওর ইচ্ছে মত সব বৈদ্যুতিক জিনিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এর পর অগ্নির সাথে aratrika ই যোগাযোগ করিয়ে দেয়। তারপর ডেভিড এর প্ল্যান জানে প্রহ্লাদ আর ওর আরু।
পরীর শক্তিশালী ai কে আরুর সাইবার পাওয়ার হারিয়ে দেয়। ফলে অগ্নি অকশন জিতে সবচেয়ে বড় গ্লোবাল ব্র্যান্ড এর একটা হয়। সেখানে haven ke 1St runner up hoyei thakte হয়।
তারপর:-
আরু বাবা কেমন আছে ?
আরু:- দেখো না সকাল থেকেই মায়া মায়া করছে!
ভৈরব:- বাবা , মা আমাদের ছেড়ে গেছে। মা নিজের নতুন জীবন মেনে নিয়েছে। তুমি কেনো বুঝছ না?
দেব:- পিকু..তোর মা আমাদের এখনও ভালো বাসে। আর মাহি ও ওর ভুল বুঝবে। দেখিস বাবা...
ভৈরব:- আরু তুমি বাবাকে নিয়ে যাও ।
দেব :- বৌমা... আমি মায়ার কাছে যাবো... আমার মেয়ে টাকে দেখব....
ভৈরব:- আরু তোমায় যেটা বললাম সেটা কি শুনতে পাওনি?
বাবা কে নিয়ে যাও। যাও!
আরু :- এই এই তো যাচ্ছি। তুমি উত্তেজিত হয়ো না লক্ষ্মীটি।
বাবা তুমি ভেতরে চলো। ওষুধ এর সময় হয়েছে তো।