03-07-2023, 08:18 PM
কামিনী এখন বেশ চুপচাপ, হেঁটে চলেছে আপন মনে এখন বিষয়টা তার কাছে স্পষ্ট না। তার রিয়ালিটি ম্যানুপুলেশনের দক্ষতা বাকি সবার চেয়ে বেশি, কিন্তু এই মুহূর্তে যা হচ্ছে পুরোটায় তার হাতের বাইরে, সে কোনো রকমে অন্যকারো ম্যানুপুলেশনে আটকে আছে আর তার ক্ষমতা সাধারণ কোনো ব্যক্তির না। আদির ক্ষমতা ছিল সামান্য সে যখন আদির সাথে দেখা করে তখন আদি তাকে বলেছিল সে এই একটি জিনিসই জানে আর বেশি না, না আদি জানে ঘটনাগুলো স্পষ্ট হলো এতোদিন পর আদি আসলে অনেক অনেক বেশি ক্ষমতাশীল। কিন্তু এরকম সাধারণ মানুষ সেজে থাকে। সে ভেবেছিল এতোদিনে তার ক্ষমতা এতো বেড়েছে, ওই পুচকে তন্ত্রের অধিকারীকে সে আজ নাস্তানাবুদ করবে কিন্তু এখন বুঝছে আসলে সে যা এতোদিন ভাবত সবই ভুল। এতোক্ষণে সুলতানা বলে মেয়েটি এখন আর চরপাশে নেই, একি আদির ফ্ল্যাটের সামনে সে দাঁড়িয়ে ভেতরে ভীষণ অন্ধকার, কেউ কোথাও নেই। এসব কি হচ্ছে, এতো ক্ষমতার পরও নিজেকে শিশু মনে হচ্ছে তার উপরে উঠল সে যেন অদৃশ্য কোনো বাঁধনে আটকা পড়ে নিজেই এগিয়ে চলেছে সে পথে। আদির ঘরের দরজা খোলা ভেতরে ওটা কে? মা!! মা কি করছে আদির ঘরে?
তার মা আজ থেকে ৪০০ বছর আগে মারা গেছে, তার বয়স যখন সবে পাঁচ। ছোটো এক পাহাড়ে থাকত তারা, হঠাৎ আক্রমণ.... ওই তো ছোটো কামিনী উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটে আসছে তার দিকে, সব গন্ডোগোল হয়ে যায় কামিনীর তার শরীর অবশ হয়ে আসছে আর তার পক্ষে দাঁড়ানো সম্ভব না। দরজার সামনে বসে পড়ল সে,
" এই যে যামিনীদেবী, আপনি ঠিক আছেন?"
অ্যাঁ!
সুলতানা দাঁড়িয়ে আছে, পাশে তার সাথে রেস্টুরেন্টের মেয়েটা নিজের পায়ে
মেয়েটা এসে কামিনীকে বলল " আপনি কি সাহসী, বেহেনজি আমার তো সাহসও ছিল না"
সুলতানা বলে মেয়েটা বলল " হ্যাঁ, ভাবি উনি ব বোধহয় স্ট্রেটটা নিতে পারেননি, আপনি একটু জল খাবেন"
কামিনী বোকার মতো চেয়ে আছে, জল?
খাবেন?
হুম বলে মাথা নাড়ল কামিনী।
রেস্টুরেন্টের থেকে একটু দূরেই দাঁড়িয়ে আছে তারা, কামিনী বলল " আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে কখন বাইরে এলাম?"
একটু আগে! কেন? আপনি কি অসুস্থ বোধ করছেন?
না, আপনার এই বৌদিটিকে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
দরকার নেই, ভাবির বাড়ি কাছেই উনি যেতে পারবেন বলেছেন। "তা কি করে হয় উনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন" কামিনী কোনো রকমে বলল।
চাপ নেই, আসাদকে কল করেছিলাম ও আসবে। বলেই সুলতানার পাশের মেয়েটি মুচকি হাসল।
সুলতানা বলল" যামিনীদেবী আপনি বরং আমার সাথে আসুন"
কামিনী অবাক চোখে তাকাল! সেকি ঘোরে আছে বোঝা যাচ্চে না। খুব দুর্বল লাগছে তার।
লেখক কথন:- বিষয়টা একটু নড়বড়ে আমি প্রথমে নিজে বুঝতে পারিনি পরে বুঝলাম। এই ঘটনাটা পড়ে অ্যাড করা ছিল। সুলতানার ডায়েরির শেষের দিকে, যা হোক এটা লিখে না রাখলে বোঝা যেত না বিষয়টা তাই অ্যাড করলাম।
এই অংশ থেকে সুলতানার নিজস্ব লেখনী শুরু হচ্ছে। রেস্টুরেন্টের ঘটনার পর এটা(নীচের অংশ) সুলতানার ডায়রিতে লেখা ছিল
২৮ শে সেপ্টেম্বর,
যামিনী বলে মেয়েটি ভারী অদ্ভুত। হঠাৎ আমাদের বাঁচালো তারপরই কেমন যেন ট্রান্স স্টেটে চলে গেল, ঠিক করে কথা বলছে না এখন অবধি। কি মিষ্টি মেয়ে, অথচ যেন কোনো এক গভীর ঘোরে মগ্ন।
আদির ফোন পেলাম আদির রুমে আশার ১০ মিনিট পর। যদিও আদি মেসেজ করেছিল রেস্টুরেন্ট থেকে বেরনোর সময়,
" তুমি আশা করি ঠিক আছো, ফ্ল্যাটে চলে যেও আর যামিনী বলে একটি মেয়ে তোমার সাথে থাকবে তাকেও নিও। তোমার সেফটির জন্যই ওকে তোমায় ফলো করতে বলেছিলাম। রাগ করো না প্লিজ" সাথে একটা ইমোজি।
আদির সাথে ফোনে কথা হল, আদি একটা নতুন ধরনের মেটাল আর্মার তৈরী করার পরিকল্পনা করছে যেটা সম্পূর্ণ A.I পরিচালিত যাতে শহরে বিপদ হলে পুলিশের বদলে মেশিন দিয়ে প্রোটেশন দেওয়া যায়।
বললাম" তোমার এই স্টার্কটা কে বলতো? এই যামিনীও বল ছিল প্রল্হাদ দত্ত না কে?"
" সে PORI নামে একটা নতুন ভার্সন A.I অ্যান্ড্রোয়েড বানিয়েছে, মানে বানিয়েছিল এখন ওর অ্যাসিন্টান্ট তো ওর সাথে মিলেই আমি এই নতুন পরিকল্পনাটা ভেবেছি।"
বাকি কথা পড়ে হবে, যামিনী ঠিক আছে?
হ্যাঁ!
আচ্ছা বাকি কথা এসে হবে।
আদি ফোন রেখেদিল। যামিনী মেয়েটা অঘোরে ঘুমচ্চে।
এই মেয়েটা সুস্থ তো নিজের বয়স ৩০০+ বলছিল, আদির সাথে আমার আগেও নাকি বিয়ে.....
এবার সত্যিই চিন্তা হচ্ছে। মেয়েটাকে ডাকা উচিত।
তার মা আজ থেকে ৪০০ বছর আগে মারা গেছে, তার বয়স যখন সবে পাঁচ। ছোটো এক পাহাড়ে থাকত তারা, হঠাৎ আক্রমণ.... ওই তো ছোটো কামিনী উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটে আসছে তার দিকে, সব গন্ডোগোল হয়ে যায় কামিনীর তার শরীর অবশ হয়ে আসছে আর তার পক্ষে দাঁড়ানো সম্ভব না। দরজার সামনে বসে পড়ল সে,
" এই যে যামিনীদেবী, আপনি ঠিক আছেন?"
অ্যাঁ!
সুলতানা দাঁড়িয়ে আছে, পাশে তার সাথে রেস্টুরেন্টের মেয়েটা নিজের পায়ে
মেয়েটা এসে কামিনীকে বলল " আপনি কি সাহসী, বেহেনজি আমার তো সাহসও ছিল না"
সুলতানা বলে মেয়েটা বলল " হ্যাঁ, ভাবি উনি ব বোধহয় স্ট্রেটটা নিতে পারেননি, আপনি একটু জল খাবেন"
কামিনী বোকার মতো চেয়ে আছে, জল?
খাবেন?
হুম বলে মাথা নাড়ল কামিনী।
রেস্টুরেন্টের থেকে একটু দূরেই দাঁড়িয়ে আছে তারা, কামিনী বলল " আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে কখন বাইরে এলাম?"
একটু আগে! কেন? আপনি কি অসুস্থ বোধ করছেন?
না, আপনার এই বৌদিটিকে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
দরকার নেই, ভাবির বাড়ি কাছেই উনি যেতে পারবেন বলেছেন। "তা কি করে হয় উনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন" কামিনী কোনো রকমে বলল।
চাপ নেই, আসাদকে কল করেছিলাম ও আসবে। বলেই সুলতানার পাশের মেয়েটি মুচকি হাসল।
সুলতানা বলল" যামিনীদেবী আপনি বরং আমার সাথে আসুন"
কামিনী অবাক চোখে তাকাল! সেকি ঘোরে আছে বোঝা যাচ্চে না। খুব দুর্বল লাগছে তার।
লেখক কথন:- বিষয়টা একটু নড়বড়ে আমি প্রথমে নিজে বুঝতে পারিনি পরে বুঝলাম। এই ঘটনাটা পড়ে অ্যাড করা ছিল। সুলতানার ডায়েরির শেষের দিকে, যা হোক এটা লিখে না রাখলে বোঝা যেত না বিষয়টা তাই অ্যাড করলাম।
এই অংশ থেকে সুলতানার নিজস্ব লেখনী শুরু হচ্ছে। রেস্টুরেন্টের ঘটনার পর এটা(নীচের অংশ) সুলতানার ডায়রিতে লেখা ছিল
২৮ শে সেপ্টেম্বর,
যামিনী বলে মেয়েটি ভারী অদ্ভুত। হঠাৎ আমাদের বাঁচালো তারপরই কেমন যেন ট্রান্স স্টেটে চলে গেল, ঠিক করে কথা বলছে না এখন অবধি। কি মিষ্টি মেয়ে, অথচ যেন কোনো এক গভীর ঘোরে মগ্ন।
আদির ফোন পেলাম আদির রুমে আশার ১০ মিনিট পর। যদিও আদি মেসেজ করেছিল রেস্টুরেন্ট থেকে বেরনোর সময়,
" তুমি আশা করি ঠিক আছো, ফ্ল্যাটে চলে যেও আর যামিনী বলে একটি মেয়ে তোমার সাথে থাকবে তাকেও নিও। তোমার সেফটির জন্যই ওকে তোমায় ফলো করতে বলেছিলাম। রাগ করো না প্লিজ" সাথে একটা ইমোজি।
আদির সাথে ফোনে কথা হল, আদি একটা নতুন ধরনের মেটাল আর্মার তৈরী করার পরিকল্পনা করছে যেটা সম্পূর্ণ A.I পরিচালিত যাতে শহরে বিপদ হলে পুলিশের বদলে মেশিন দিয়ে প্রোটেশন দেওয়া যায়।
বললাম" তোমার এই স্টার্কটা কে বলতো? এই যামিনীও বল ছিল প্রল্হাদ দত্ত না কে?"
" সে PORI নামে একটা নতুন ভার্সন A.I অ্যান্ড্রোয়েড বানিয়েছে, মানে বানিয়েছিল এখন ওর অ্যাসিন্টান্ট তো ওর সাথে মিলেই আমি এই নতুন পরিকল্পনাটা ভেবেছি।"
বাকি কথা পড়ে হবে, যামিনী ঠিক আছে?
হ্যাঁ!
আচ্ছা বাকি কথা এসে হবে।
আদি ফোন রেখেদিল। যামিনী মেয়েটা অঘোরে ঘুমচ্চে।
এই মেয়েটা সুস্থ তো নিজের বয়স ৩০০+ বলছিল, আদির সাথে আমার আগেও নাকি বিয়ে.....
এবার সত্যিই চিন্তা হচ্ছে। মেয়েটাকে ডাকা উচিত।