02-07-2023, 02:53 PM
(02-07-2023, 12:06 PM)চিত্রক Wrote: রাস্তা ফাঁকা, মহিলা ভাবিকে কোলে তুলে রয়েছেন অবলীলায়, বোঝার কোনো উপায় নেই ভাবির ওজনে তার উপর কোনো প্রভাব পড়ছে নাকি। আমি মহিলাকে বললাম " একটা ট্যাক্সি ডেকে আমার ভাবিকে ঘরে......" কথাটা শেষ হওয়ার আগেই দেখলাম রাস্তায় একটা ট্যাক্সি এসে দাঁড়িয়েছে। অথচ একটু আগে কোনো ট্যাক্সিই এখানে ছিল না আমি নিশ্চিত। ভাবির জ্ঞান ফিরেছে। মহিলা ট্যাক্সির লোককে কি বললেন বোঝা গেল না, ভাবি গাড়িতে উঠে বসতেই ট্যাক্সি ছেড়ে দিল। মহিলাকে এতক্ষণে ভালো করে দেখলাম, বয়স বছর ত্রিশের মতো হবে, গায়ের রং তামাটে-শ্যামলা গোছের। উন্নত স্তন সুন্দর দেহ, যে পোশাকটি পড়ে আছেন তাতে আরও সুন্দর লাগছে ওনাকে। উনি টানা টানা চোখে আমার দিকে চেয়ে বললেন "চলো আদির ফ্ল্যাট অবধি তোমায় ছেড়ে দিয়ে আসি", আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো ঘাড় নাড়লাম।এবার কিন্তু কপিরাইট স্ট্রাইক দেব। আরে মশাই একটু ক্রেডিট তো দিন । Jokes aside। ভালো লাগলো পড়ে। তবে রাক্ষস এ এক ভয়ঙ্কর টুইস্ট আস্তে চলেছে। সর্বনাশ এর জন্ন প্রস্তুত থাকুন। ইতি, ভৈরব।
তুমি আফ্রিন! তাই না আমার নাম... উঁ...উঁ....যামিনী। আসলে অনেকদিন পর আর এসব মনে থাকে না।
ভারী অদ্ভুত তো, আমি বললাম আদির সাথে আপনার ছাড়াছাড়ি হলো কতদিন হয়েছে?
উনি সেকথার কোনো উত্তরই দিলেন না,বললেন তোমার বয়স কত এখন?
বললাম ২৭ হবে সামনের ডিসেম্বরে।
তোমার জন্মের ১০ বছর আগে, বলেই হাসতে লাগলেন।
আমি বললাম তা আপনার বয়স তাহলে কত ১২০?
উহু, নাহ! ছেলেদের আমি বলিনা কিন্তু তুমিতো মেয়ে তারপর আমার প্রিয় তোমাকে বলাই যায়, আমার বয়স ওই ৩৫০+ আচ্ছা তোমার খুশির জন্য ৩৮০।
একি পাগল মহিলা নাকি? এ কার পাল্লায় পরা গেল। আচ্ছা মুসকিল আদির উপর বেজায় রাগ হচ্ছে ওকে ফোনে পাওয়ার নাম নেই।
কথা বলতে বলতে খেয়াল হলো কখন আদির ফ্ল্যাটের মেইন গেটে দাঁড়িয়েছি। এতো তাড়াতাড়ি এখানে কি করে এলাম?
আদির রুম তো রেস্তোরাঁ থেকে মিনিট ১৫, আমরা এতো দ্রুত হাঁটছি?
মহিলা বললেন, "যাও আফ্রিন আমি অন্য কোনোদিন আসব"
আমি পেছন ঘুরে কিছু বলতে যেতেই দেখলাম কেউ কোথাও নেই। যেন আমি একাই এতোটা পথ এলাম। সামনে যেন জমাট অন্ধকার কেউ কোথাও নেই। সমস্ত ফ্ল্যাটগুলো যেন কোন অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। সিড়িতেও আলো নেই। কোনো রকমে ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বেলে আদির রুমের সামনে এলাম, বারবারই মনে হচ্ছে কেউ যেন নজরে রাখছে, গা টা ছমছম করে উঠল। দরজায় চাবি লাগিয়ে তালা খুললাম। ভেতরে অন্ধকার জমাট বেঁধে আছে। ভয় করছে ভীষণ আলো জ্বালালাম, মৃদু আলেকিত হল ঘরটা । যেন কেউ উপস্থিত আছে যে তার উপস্থিতি জানান দিতে চাই না।আদিকে ফোন করলাম রিং হলো
হ্যালো আদি!
বলো?
কখন আসছে?
আধঘন্টা এয়ার পোর্টে ল্যান্ড করেছি জাস্ট
তাড়াতাড়ি এসো, আমার না খুব ভয় করছে!
ভয়?? পাগলী একটা আমি আসছি
হঠাৎ ফোনটা কেটে গেল, কারেন্টও হঠাৎ অফ হয়ে গেল, একদম অন্ধকার।
বুকের কাছে ধক করে একটা ভয় উঠে গলা দিয়ে বেরতে চাইল।
আদির রান্না ঘরে কিসের শব্দ হচ্ছে। জল পড়ছে, দৌড়ে গেলাম । কোথাও কিছু নেই, আবার ঘরে ফিরে এলাম বারবার মনে হচ্ছে কেউ যেন শুধু নজরে রাখছে আমায় ভীষণ ভয় করছে।
পাশের ঘরে কিসের যেন শব্দ হল। মনে সাহস নিয়ে বললাম কে?
কোনো উত্তর নেই। আবার একটু পরে একই শব্দ গেলাম ভেতরে না কিছু নেই। দরজার দিকে ফিরে তাকাতেই বুকের রক্ত হিম হয়ে গেল একটা বিশাল দেহধারী মহিলা তার চুল খোলা শরীরী সৌন্দর্য্য আর হিংস্র দাঁত দুই এই আধো অন্ধকারে ফুটে উঠেছে।
দেহটা ঝাঁপিয়ে পড়ল সুলতানার উপর, একটা তীব্র চিৎকার অচিরেই মিলিয়ে গেল রাতের আকাশে।
আদিনাথ যখন নিজের ফ্ল্যাটে ফিরল তখন ১০:১০। সব একদম অন্ধকার। আজ যেন একটু বেশি অন্ধকার লাগছে তার আদিনাথ এমনিতে বিচলিত হয়না, কিন্তু আজ যেন তার ভীষণ ভয় করছে। এতো অন্ধকার তো কখনও কিছু এই ফ্লাটে দেখা যায় না। প্রল্হাদের সাথে টেকনোলজি জগতে থাকলে এক অন্য আকাশ দেখা যায়, আর এই শহরতলির ফ্ল্যাটে দাঁড়িয়ে আদির শরীরে ভয় বাসা বাঁধছে। সিঁড়ি দিয়ে একটু একটু করে এগোতে এগোতেই মনটা কেমন যেন করতে শুরু করল তার কোথাও একটা কিছু গন্ডোগোল আছে, যা সে ধরতে পারছে না। একটু আগে পরীকে ফোন করেছিল সে, পরীর গলাটাও কেমন জানি মনে হলো। অজানা আশঙ্কা আর ভয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল আদির মন।