02-07-2023, 12:54 PM
৪৬. আমার জন্য - বাবান
অন্ধকারে জেগে উঠে দেখি তুমি পাশে নেই আমার। এদিক ওদিক খুঁজি তোমায় কই? কোথায় তুমি? পাচ্ছিনা কেন আজও পাশে? ভেসে ভেসে এগিয়ে যাই যেন তোমায় নতুন করে আবিষ্কার করতে। যেভাবে একদিন সত্যিই করেছিলাম। আজও মনে আছে আমি বাগানে বিনুনি বাঁধা লাল শাড়িপড়া দস্যি মেয়েটাকে। এক্কেবারে পড়লি কিনা আমার ওপরেই! সে যে কি ব্যাথা পেয়েছিলাম আমি উফফফফফ। নানা ঘাড়ে নয়, বুকে। তুমি দিয়েছিলে সে ব্যাথা। যা আজও চিনচিনে। সেই থেকে কতবার লুকিয়ে দেখেছি তোমার দস্যিপনা। ধরা পড়ে তোমার হাতে কান মোলাও খেয়েছি। আজও ওই হাতের দিকে কান বাড়িয়ে দি যাতে একটিবার তুমি মুলে দাও। কিন্তু সেই ঝগড়ার পর থেকে আর তুমি যেন আমার দিকে তাকাও না। খালি ওই ছবির দিকে তাকিয়ে কি যে দেখো কে জানে বাবা। তোমার হাতে মার রোজ খাবার লোভে তোমায় আমার এ বাড়িতে নিয়ে আসলাম লাল বেনারসী পড়িয়ে কিন্তু তোমার সেই দস্যি রূপটাকে যেন হারিয়ে ফেললাম সে থেকে। কতবার ভেবেছিলাম কি ভুল ছিল আমার যে আমবাগানের ওই মেয়েটাকে আর কোথাও পেলাম না, তার বদলে অমনই দেখতে অন্য একটা মেয়েমানুষ তুললাম ঘরে যার জীবন বলতে শুধুই খাওয়া দাওয়া আর নিঃস্বাস। রাতে বিছানায় আদর...... নানা আদর কোথায়? ওটাকে আদর বলেনা, ওটা হলো বালিশ জড়িয়ে নষ্টামী। তুমি তো আমার কাছে আরেকটা বালিশ ছাড়া কিছুই ছিলেনা বিছানায়। নিজের দন্ড তোমার হাতে সপে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি ছুঁয়েও দেখোনি। বলেছিলে আমি নাকি যা ইচ্ছে করতে পারি।
কোথায় তুমি? কোন ঘরে কুকর্মে লিপ্ত আজ? আজও তো ভেসে ভেসে সেটাই খুঁজে বেড়াই। ওই সেবারের মতোই। তোমার আর তার নষ্টামী দেখে ছিলাম যেদিন। আচ্ছা ওটাকে কি নোংরামি বলা যায়? নাকি আমিই এতদিন যেটা করেছি সেটা নোংরামি? তোমার চোখে জল আর ঠোঁটে হাসি আমায় সেদিন বড্ড দুঃখ দিয়েছিলো জানো। তাই তো আর তোমাদের মাঝে বাধা না হয়ে ফিরে এসেছিলাম এই ফাঁকা ঘরে। আর তারপরে শান্তি কি শান্তি উফফফফফ। আজও তাই ফিরে আসি এই ঘরে। কিন্তু তুমি আজ কোথায়? ভয় পাও এঘরে শুতে? কিসের ভয়? আমি তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারি?
ঐতো তুমি রান্নাঘরে। ওমা! ঐভাবে কাঁদছো কেন? হাতে অগ্নিকাঠি নিয়ে অমন ভাবে তাকিয়ে কি ভাবছো তুমি? একি! মুখে আমার নাম শুনলাম মনে হলো না? ক্ষমা? কিসের ক্ষমা চাইছো আজ? আমি তো কোনোদিন রাগ করিনি তোমার ওপর। বরং নিজের ভুলের শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছিলাম। ওরে বোকা মেয়ে তুমিই যে আমার সবটা জুড়ে আজও আছো। তাইতো আজও পালিয়ে যেতে পারিনা। কিন্তু আমি যে বাঁধাও দিতে পারবোনা। মহান শক্তির কাছে কথা দিয়ে এসেছি আমি কাউকে তার বিধিলিপি পাল্টাতে সাহায্য করতে পারবোনা। তাহলে কি এটাই.....?
ফিরে এলাম আবারো নিজের ঘরে। কানে আঙ্গুল সজোরে চেপে অপেক্ষায় থাকলাম। কখন সে ফিরে আসবে আবারো এ ঘরে। এবারে..... শুধুমাত্র আমার জন্য।
- বাবান
অন্ধকারে জেগে উঠে দেখি তুমি পাশে নেই আমার। এদিক ওদিক খুঁজি তোমায় কই? কোথায় তুমি? পাচ্ছিনা কেন আজও পাশে? ভেসে ভেসে এগিয়ে যাই যেন তোমায় নতুন করে আবিষ্কার করতে। যেভাবে একদিন সত্যিই করেছিলাম। আজও মনে আছে আমি বাগানে বিনুনি বাঁধা লাল শাড়িপড়া দস্যি মেয়েটাকে। এক্কেবারে পড়লি কিনা আমার ওপরেই! সে যে কি ব্যাথা পেয়েছিলাম আমি উফফফফফ। নানা ঘাড়ে নয়, বুকে। তুমি দিয়েছিলে সে ব্যাথা। যা আজও চিনচিনে। সেই থেকে কতবার লুকিয়ে দেখেছি তোমার দস্যিপনা। ধরা পড়ে তোমার হাতে কান মোলাও খেয়েছি। আজও ওই হাতের দিকে কান বাড়িয়ে দি যাতে একটিবার তুমি মুলে দাও। কিন্তু সেই ঝগড়ার পর থেকে আর তুমি যেন আমার দিকে তাকাও না। খালি ওই ছবির দিকে তাকিয়ে কি যে দেখো কে জানে বাবা। তোমার হাতে মার রোজ খাবার লোভে তোমায় আমার এ বাড়িতে নিয়ে আসলাম লাল বেনারসী পড়িয়ে কিন্তু তোমার সেই দস্যি রূপটাকে যেন হারিয়ে ফেললাম সে থেকে। কতবার ভেবেছিলাম কি ভুল ছিল আমার যে আমবাগানের ওই মেয়েটাকে আর কোথাও পেলাম না, তার বদলে অমনই দেখতে অন্য একটা মেয়েমানুষ তুললাম ঘরে যার জীবন বলতে শুধুই খাওয়া দাওয়া আর নিঃস্বাস। রাতে বিছানায় আদর...... নানা আদর কোথায়? ওটাকে আদর বলেনা, ওটা হলো বালিশ জড়িয়ে নষ্টামী। তুমি তো আমার কাছে আরেকটা বালিশ ছাড়া কিছুই ছিলেনা বিছানায়। নিজের দন্ড তোমার হাতে সপে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি ছুঁয়েও দেখোনি। বলেছিলে আমি নাকি যা ইচ্ছে করতে পারি।
কোথায় তুমি? কোন ঘরে কুকর্মে লিপ্ত আজ? আজও তো ভেসে ভেসে সেটাই খুঁজে বেড়াই। ওই সেবারের মতোই। তোমার আর তার নষ্টামী দেখে ছিলাম যেদিন। আচ্ছা ওটাকে কি নোংরামি বলা যায়? নাকি আমিই এতদিন যেটা করেছি সেটা নোংরামি? তোমার চোখে জল আর ঠোঁটে হাসি আমায় সেদিন বড্ড দুঃখ দিয়েছিলো জানো। তাই তো আর তোমাদের মাঝে বাধা না হয়ে ফিরে এসেছিলাম এই ফাঁকা ঘরে। আর তারপরে শান্তি কি শান্তি উফফফফফ। আজও তাই ফিরে আসি এই ঘরে। কিন্তু তুমি আজ কোথায়? ভয় পাও এঘরে শুতে? কিসের ভয়? আমি তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারি?
ঐতো তুমি রান্নাঘরে। ওমা! ঐভাবে কাঁদছো কেন? হাতে অগ্নিকাঠি নিয়ে অমন ভাবে তাকিয়ে কি ভাবছো তুমি? একি! মুখে আমার নাম শুনলাম মনে হলো না? ক্ষমা? কিসের ক্ষমা চাইছো আজ? আমি তো কোনোদিন রাগ করিনি তোমার ওপর। বরং নিজের ভুলের শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছিলাম। ওরে বোকা মেয়ে তুমিই যে আমার সবটা জুড়ে আজও আছো। তাইতো আজও পালিয়ে যেতে পারিনা। কিন্তু আমি যে বাঁধাও দিতে পারবোনা। মহান শক্তির কাছে কথা দিয়ে এসেছি আমি কাউকে তার বিধিলিপি পাল্টাতে সাহায্য করতে পারবোনা। তাহলে কি এটাই.....?
ফিরে এলাম আবারো নিজের ঘরে। কানে আঙ্গুল সজোরে চেপে অপেক্ষায় থাকলাম। কখন সে ফিরে আসবে আবারো এ ঘরে। এবারে..... শুধুমাত্র আমার জন্য।
- বাবান