29-06-2023, 08:42 PM
পঞ্চপঞ্চাশৎ পর্ব
(৪)
গাঁজা-ভরা সিগারেটে দুটো টান দিতেই, মাথায় চাপচাপ টেনশনগুলো, চড়াই পাখির মতো ফুররর্ করে উড়ে যেতে লাগলো। আর তখনই মাইকে ভেসে এলো পঞ্চম রেসের ফলাফল। “আ্যান্ড হিয়ার কামস দি রেজাল্ট অফ ফটোফিনিস অফ টুডে’স ফিফ্থ রেস। পিঙ্ক অর্কিড উইনস দ্যা রেস বাই সর্টহেড এ্যাহেড অফ মানালি ম্যানিয়া। দ্যা টোটালাইজার অড্স ফর দ্যা উইনার ইজ ওয়ান ইজ টু টুয়েল্ভ …..“। আর কিছুই কানে ঢুকলো না শানুর। শার্টের ইনার পকেট থেকে টিকিটটা বার করলো। ইস্স্, ঘামে ভিজে গেছে একদম। পড়া যাচ্ছে তো! ভাঁজ খুলে ভালো করে দেখলো, এই তো পরিস্কার পড়া যাচ্ছে, “আরসিটিসি, কলকাতা, আজকের তারিখ, ফিফ্থ রেস, হর্স নং সেভেন, উইন টেন টিকিট”। পিঙ্ক অর্কিডই হর্স নং সেভেন তো। কেমন পাকিয়ে যাচ্ছে সবকিছু। বাথরুমে গিয়ে চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিয়ে, দোতলার স্ট্যান্ডে এসে দাড়ালো শানু। হ্যাঁ, ওই তো বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে, পঞ্চম রেসের ফলাফল, উইনিং হর্স নাম্বার সাত, অডস বারো, যার অর্থ হলো, সাত নাম্বার ঘোড়ার উপর লাগানো টাকার বারো গুন টাকা প্রাইজমানি হিসাবে পাওয়া যাবে।বিরাট জোরে চেঁচিয়ে উঠতে যাচ্ছিলো শানু, তখনই শুনতে বাচ্চা ঠাকুর তাকে ডাকছে, “হে শানুদাদা, জলদি আইয়ে, বড়াবাবু আপকো ঢুঁঢ রহা হ্যায়”।
ভালবাসার ভিখারি