17-06-2023, 11:57 PM
দ্বিতীয় খণ্ড
১৮তম পর্ব
স্বর্ণেন্দু বাবুরা হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন সুপ্রতিমবাবু অলরেডি সেখানে পৌঁছে গেছেন, শ্রীতমাদেবী তো সারা রাস্তা কাঁদতে কাঁদতে এসেছেন এখানে এসে তার কান্না আরো বেড়ে যায়, কোনোমতে তাকে বুঝিয়ে কান্না থামিয়ে কেবিনের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়, অভিরূপবাবুর জ্ঞান তখনও ফেরেনি।
শ্রীতমাদেবী আর সুদেষ্ণা দেবীকে ভিতরে রেখে স্বর্ণেন্দুবাবু বাইরে সুপ্রতিমবাবুর কাছে আসেন, সুপ্রতিমবাবুই প্রথম কথা বলেন
"তোমাকে কে ফোন করেছিল?"
"অচেনা নম্বর একটা মেল ভয়েস ছিল কেন বলোতো?"
"এখানে এসে আমি ডাক্তারদের সাথে কথা বলে একটা জিনিস জানলাম"
"কি জিনিস?"
"একজন ছেলে মিস্টার ব্যানার্জীকে এখানে নিয়ে আসে, সে নিজেকে মিস্টার ব্যানার্জীর ছেলে বলে পরিচয় দেয়, এমনকি এক ডাক্তারকে নাকি রীতিমতো থ্রেট করেছিল"
"কেন?"
"ডাক্তারটি বলেছিল যতক্ষণ পুলিশ না আসবে ততক্ষণ ট্রিটমেন্ট শুরু হবে না"
"অ্যাডমিট ফর্মে নাম.."
"তাতে এ ব্যানার্জী লেখা"
"কিন্তু অরু তো এখানে নেই"
"সেটাই ভাবছি তাহলে কে ছেলেটা? এটার উত্তর বোধহয় অভিরূপবাবুর জ্ঞান ফিরলে জানা যাবে"
জ্ঞান ফিরতে অবশ্য আর বেশি দেরী হলো না একটু পরে একজন নার্স চেকআপ করতে এসে দেখেন অভিরূপবাবুর আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরছে, তৎক্ষণাৎ ডাক্তারকে খবর দেওয়া হলে তিনি চলে আসেন এবং শ্রীতমাদেবী ও সুদেষ্ণা দেবী কেবিন থেকে বেরিয়ে আসেন।
একটু পরে নার্স বেরিয়ে এসে জানান অভিরূপবাবুর জ্ঞান ফিরেছে কিন্তু উনি অনি বলে কাউকে খুঁজছেন, তাঁর পার্মিশন নিয়ে একে একে শ্রীতমাদেবী, সুদেষ্ণা দেবী ও স্বর্ণেন্দুবাবু ঢুকলেন সুপ্রতিম বাবু শুধু বাইরে দাঁড়িয়ে রইলেন তাঁর মাথায় কয়েকটা কথা ঘুরছে যেমন,
অভিরূপবাবুর উপর কারা অ্যাটাক করলো এবং কেন?
তাকে বাঁচিয়ে এখানে কে আনলো? সেই নিশ্চয়ই স্বর্ণেন্দুকে ফোন করেছিল, কিন্তু সে স্বর্ণেন্দু আর তার বন্ধুত্বের কথা জানলো কিভাবে?
বাড়ির আর কাউকে বলতে বারণ করেছে কেন? তাকেই বা এখানে ডেকে আনার কারণ কি?
সুপ্রতিম বাবু বুঝতে পারছেন কিছু প্রশ্নের উত্তর অভিরূপবাবুর থেকে জানতে হবে তাই এবার তিনিও কেবিনের ভিতরে ঢুকলেন, ঢুকে শুনতে পেলেন ডাক্তার বলছে,
"ধন্যি ছেলে আপনার মিস্টার ব্যানার্জী, আপনাকে এখানে নিয়ে এসে রীতিমতো হল্লা করে দিয়েছে আমাদের একজন ডাক্তারকে তো থ্রেট দিয়েছিল যে আপনার কিছু হলে উনি এই হাসপাতাল জ্বালিয়ে দেবেন"
"আমাদের ছেলে? মানে?" শ্রীতমাদেবীর গলায় বিস্ময়
"হ্যাঁ, মিসেস ব্যানার্জী ছেলেটি তো তাই বললেন ইনফ্যাক্ট ওনার জন্যেই মিস্টার ব্যানার্জীকে আমরা বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি। ওনার অনেক ব্লাড লস হয়েছিল আপনাদের ছেলেই তো নিজের ব্লাড ডোনেট করলো ভাগ্যিস বাবা আর ছেলের ব্লাডগ্ৰুপ সেম"
"আমার ব্লাডগ্ৰুপ আপনারা কিভাবে জানলেন?" আস্তে আস্তে কথা বললেন অভিরূপবাবু।
"আপনার ছেলেই তো বললেন ও পজিটিভ কিন্তু আমাদের স্টোরেজে ছিল না তখন উনি বলেন ওনারও সেম ব্লাড গ্ৰুপ আমরা বাধ্য হয়েই ওনার ব্লাড নিই, কোথায় উনি? ওনার কিন্তু একটু রেস্টের দরকার অনেকটাই রক্ত দিয়েছেন"
"কিন্তু আমার ছেলে তো.."
শ্রীতমাদেবী কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু অভিরূপবাবু তাকে থামিয়ে দিয়ে ডাক্তারের উদ্দেশ্যে বললেন "থ্যাংক ইউ ডক্টর"।
ডাক্তারটি চলে গেলে উপস্থিত সবাই অভিরূপবাবুর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন,
"তুমি ঠিক ছিলে শ্রী, সেদিন বাড়িতে যে এসেছিল সে আর কেউ নয় আমাদের অনি আর আজ ওই আমাকে বাঁচিয়েছে" আস্তে আস্তে বললেন অভিরূপবাবু, এবার সুপ্রতিম বাবু একটা প্রশ্ন করলেন,
"মিস্টার ব্যানার্জী আমি জানি আপনার এই অবস্থায় আপনাকে প্রশ্ন করাটা ঠিক হবে না তবুও করছি আপনার উপরে অ্যাটাক কারা করলো?"
শ্রীতমাদেবী একটু অবাক এবং বিরক্ত ভাবে সুপ্রতিমবাবুর দিকে তাকিয়ে আছেন দেখে স্বর্ণেন্দু বাবু পরিচয় করিয়ে দিলেন, "দিদি ও সুপ্রতিম, কলকাতার নগরপাল এবং আমার বন্ধু। যে ফোন করে জামাইবাবুর খবরটা দেয় সেই ওকে ডাকতে বলে"
এবার অভিরূপবাবু কথা বলেন "ওনার আরও একটা পরিচয় আছে সেটা হলো উনি আমাদের অনির গুরু" এবার শ্রীতমাদেবী মুখের বিরক্তি ভাবটা চলে গেলেও কান্নার ভাবটা রয়েই গেল, অভিরূপবাবু এবার সুপ্রতিমবাবুর দিকে তাকিয়ে বলেন,
"সুপ্রতিমবাবু ওদের মুখ ঢাকা ছিল, তবে একজনকে চিনি আমার ড্রাইভার ও ওদের দলে ছিল, কিন্তু ওদের পরে সুপ্রতিমবাবু আপনি আগে অনিকে খুঁজে বার করুন"
"মিস্টার ব্যানার্জী আমার এখন ফাস্ট প্রায়োরিটি ওই ডাকাতদের খুঁজে বের করা"
সুপ্রতিমবাবুর কথার উত্তরে অভিরূপবাবু কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু দরজায় নক হওয়ায় চুপ করে গেলেন, দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলো একজন স্টাফ সে সুপ্রতিমবাবুকে একটা কাগজের টুকরো দিয়ে বললেন "স্যার একজন এটা আপনাকে দিতে বললেন"
"আমাকে?"
"হ্যাঁ স্যার, এই কেবিনটা দেখিয়ে বললেন এই কেবিনে একজন পুলিশ অফিসার আছেন তাকে এই চিঠিটা দিতে"
"কে চলুন তো আমাকে দেখাবেন"
সুপ্রতিমবাবু স্টাফটির সঙ্গে বেরিয়ে গেলেন এবং একটু পরেই ফিরে এসে বললেন "পেলাম না, আচ্ছা স্বর্ণেন্দু তোমাকে যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল ওটাতে রিং করো তো"
স্বর্ণেন্দু বাবু তাই করলেন ফোনে নম্বরটা ডায়াল করে স্পিকার চালু করলেন, একটা মহিলা কণ্ঠ ভেসে এলো
"হ্যালো"
"হ্যালো, এই নম্বর থেকে আমার ফোনে একটা ফোন এসেছিল"
"এই নম্বর থেকে... হ্যাঁ মনে পরেছে একটা ছেলে করেছিল"
"একটা ছেলে?"
"হ্যাঁ বললো, ওনার একজন হাসপাতালে অ্যাডমিট তাই বাড়ির লোককে খবর দিতে হবে কিন্তু ওনার ফোনটা চার্জ নেই বন্ধ হয়ে গেছে, তাই আমার থেকে ফোন নিয়ে করলেন"
"আচ্ছা ধন্যবাদ"
ফোনটা কেটে কেবিনে উপস্থিত প্রত্যেকে চুপ করে পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকেন শুধু সুপ্রতিমবাবু চিঠিটা খুলে পড়ে নিলেন, তার কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখে অভিরূপবাবু জিজ্ঞেস করলেন, "কার লেখা? অনির? কি লেখা আছে?"
"মিস্টার ব্যানার্জী এতে লেখকের নাম লেখা নেই তবে যা লিখেছে সেটা আপনাদের না শোনাই বোধহয় ভালো হবে"
"চিঠিটা যদিও আপনাকে লেখা তবুও যদি অসুবিধা না থাকে বলুন"
সুপ্রতিমবাবু চিঠিটা স্বর্ণেন্দু বাবুর দিকে বাড়িয়ে দিলেন তিনি জোরে জোরে পড়তে শুরু করলেন,
সুপ্রতিম স্যার,
আপনাকে দেখেই বুঝেছি কাজের চাপে যতটা ভালো থাকা যায় ততটাই আছেন বোধহয় তার থেকেও কম তাই ওসব ছেঁদো কথায় সময় নষ্ট করছি না সরাসরি আসল কথায় যাচ্ছি।
চিঠি লিখছি তাই বুঝতেই পারছেন সামনে আসতে চাইছি না, ফোন করতে পারতাম কিন্তু আপনার নাম্বার আমার কাছে নেই কিন্তু আপনাকে ডেকে আনার উদ্দেশ্যই হলো কিছু কথা জানানো, সামনাসামনি বলতে পারলে আরও ভালো হতো কিন্তু সেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
এতক্ষণে তো আপনি বুঝতেই পেরেছেন যে শহরে আরেকটা অ্যাটাক হয়েছে এবং সেটা হয়েছে খোদ অভিরূপ ব্যানার্জীর উপরে, উনি জ্ঞান ফিরলে হয়তো আরও জানবেন যে ওনার ড্রাইভারও এর সঙ্গে জড়িত ছিল, স্বভাবতই আপনারা ড্রাইভারকে খুঁজতে চেষ্টা করবেন সে করুন ভাগ্য ভালো থাকলে তাকে পেয়েও যেতে পারেন অন্তত লাশও পেতে পারেন আর ভাগ্য খারাপ থাকলে কিছুই না।
যে কথাগুলো বলার জন্য আপনাকে ডেকে এনেছি সেগুলোর স্বপক্ষে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই তাই হয়তো বলা উচিত হবে না কিন্তু আমি জানি আপনাকে বললে সেটা ভুল হবে না বরং আপনার কাজের সহায়তা করাই হবে।
স্যার, আমি নিশ্চিত যে আজকে অভিরূপবাবুর উপরে এই অ্যাটাক কোনো সাধারণ ডাকাতির ঘটনা নয় বরং এটা পূর্বপরিকল্পিত আততায়ীদের উদ্দেশ্যই ছিল অভিরূপবাবুকে হত্যা করা তাকে লুঠ করা নয়, এবং আমার অনুমান যদি সত্যি হয় তাহলে বিগত কয়েকমাস ধরে শহরে যে ডাকাতির ঘটনা চলছে সেটা আসলে ছিল আজকের ঘটনার নেট প্র্যাকটিস বা পুলিশের তদন্তকে অন্যপথে চালিত করার প্রয়াস আর বোধহয় এতে তারা সফলও হয়েছে।
আজ আততায়ীরা অভিরূপবাবুকে হত্যা করতে এসে নিজেরাই উল্টে জখম হয়েছে, আপনি অবিলম্বে পুরো দক্ষিণ কলকাতায় তল্লাশির ব্যবস্থা করুন, জানি কাজটা একটু কঠিন কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনি কোনো না কোনো সূত্র পাবেনই হয়তো আততায়ীদেরকেও পেয়ে যেতে পারেন ,ওদের কয়েকজনের পা ভেঙেছে কয়েকজনের হাত আবার কেউ নিজেদের ছুরিতেই আহত হয়েছে অতএব বুঝতেই পারছেন কি করতে হবে?
আর যদি মেইন কালপ্রিটদের কথা বলেন তবে তারা সকলেই আপনার পরিচিত এবং ব্যানার্জী পরিবারের পরিচিতও, প্রমাণ নেই তাই নামগুলো বলা ঠিক হবে কি না জানিনা তবে আপনাকে বলছি এইরকম প্ল্যান খুব বেশি লোকের মাথায় আসবে না যাদের মাথায় আসবে তাদের মধ্যে প্রীতমবাবু একজন দ্বিতীয় মনোজিত বাবু, আমার স্থির বিশ্বাস এই ডাকাতি এবং আজকের ঘটনার পিছনে এই দুজনের মস্তিষ্ক রয়েছে।
এটা ভাববেন না যে আমি কোনো ব্যাক্তিগত আক্রোশের জন্য এটা বলছি এটা আমার অনুমান তবে বোধহয় ভুল করছি না, যদি আক্রমণের কারণ বলেন তবে প্রথমেই যে কারণটা ধরা যায় সেটা হলো প্রতিশোধ, কিছুদিন আগে ব্যানার্জী ভিলায় এক বহিরাগত দম্পতির সামনে ওনাদের দুষ্কর্মের জন্য কথা শোনান মিস্টার ব্যানার্জী যেটাকে ওনারা যে ভালো ভাবে নেওয়ার লোক নয় এটা আপনার মতো বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ পুলিশ অফিসার নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন। এবার কি করতে হবে সেটা আপনিই ঠিক করুন
আরেকটা কথা, আমাকে খোঁজার চেষ্টা করবেন না কারণ তাতে লাভের থেকে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশী তাই আমাকে অন্তরালেই থাকতে দিন।
ইতি,
এক বন্ধু
চিঠি পড়া শেষ হলে অভিরূপবাবুকে গম্ভীর দেখে সুপ্রতিমবাবু বলেন,
"আপনাকে আগেই বলেছি যে চিঠিটার বক্তব্য আপনার জানা ঠিক হবে না"
"এটা আমার অজানা নয়"
"আপনিও ওদের সন্দেহ করেন?"
"ওদের কুকীর্তির অনেক খবর পেয়েছি কিন্তু প্রমাণ পাইনি"
"আপনি কি চান আমি তদন্ত করি?"
"আপনি আগে অনিকে খুঁজুন, যদি এটা সত্যি হয় যে এই ডাকাতিগুলো আমার উপরে অ্যাটাকের জন্য হচ্ছিল তবে আপাতত সেগুলো বন্ধ থাকবে বলেই মনে হয়"
"কিন্তু জামাইবাবু আমার এখনো মনে হয় তোমরা ভুল করছো এই ছেলে অনি নয়, অনি এরকম আমাদের থেকে লুকিয়ে থাকবে কেন?"
"সেটাই তো জানতে হবে, আর আজ আরও প্রমাণ পেয়েছি যে ওই অনি"
"কি প্রমাণ?"
"ভুলে যাচ্ছো ডাক্তার কি বললেন? ছেলেটা আমার ব্লাডগ্ৰুপ জানতো"
"তাতে কি প্রমাণ হয়?"
"তুমি আমার ব্লাডগ্ৰুপ জানো? জানোনা তুমি কেন তোমার দিদিও জানেন না আমি অনেক আগে একবার ব্লাডটেস্ট করিয়েছিলাম তখনই জেনেছিলাম আমার ব্লাডগ্ৰুপ তারপর আর করাইনি দরকার হয়নি। তাই আমার ব্লাডগ্ৰুপ খুব একটা কেউ জানে না কিন্তু অনি জানতো, একবার ওরও ব্লাডটেস্ট করাতে হয়েছিল তখনই আমি ওর ব্লাডগ্ৰুপ জেনে নিয়েছিলাম আমিই বলেছিলাম ওকে যে ওর আর আমার ব্লাডগ্ৰুপ এক, ও শুনে খুব আনন্দ পেয়েছিল যে আমার আর ওর ব্লাডগ্ৰুপ এক"
"মিস্টার ব্যানার্জী এই চিঠিকে আপনি গুরুত্ব দেবেন কি না জানিনা তবে আমি কিন্তু দেবো তাই এবার অন্তত তদন্তে বাঁধা দেবেন না"
সুপ্রতিম বাবু বললেন, উত্তরটা দিলেন শ্রীতমাদেবী
"আপনি আপনার ইচ্ছামত তদন্ত শুরু করুন কেউ বাধা দেবে না এবার অপরাধীদের শাস্তি দরকার"
"ধন্যবাদ মিসেস ব্যানার্জী" কথাটা বলে সুপ্রতিম বাবু বেরিয়ে গেলেন।
তিনি বেরিয়ে যেতেই শ্রীতমাদেবী স্বামীকে বললেন "এবার চুপ করে একটু রেস্ট নাও"
কিন্তু অভিরূপবাবু বললেন, "শ্রী অনিকে খুঁজতেই হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব"
"ঠিক আছে এখন রেস্ট নাও"
"আজ অনি নিজের পরিচয় না দিলেও একটা সুখবর দিয়েছে কিন্তু কি দুর্ভাগ্য দেখো ঠিকমতো সেলিব্রেট করতে পারছি না"
"কি খবর?"
"ওর সাথে ওই মেয়েটাকে মনে আছে?"
"হ্যাঁ কিন্তু.."
"ওই মেয়েটি আমাদের বৌমা এবং সে সন্তানসম্ভবা, ব্যানার্জীদের নতুন বংশধর আসছে হয় নাতি নয়তো নাতনী"।
I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils