16-06-2023, 06:33 PM
(This post was last modified: 16-06-2023, 07:03 PM by pritam dasgupta. Edited 9 times in total. Edited 9 times in total.)
(প্রথম পর্ব) জন্ম হওয়ার পর যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই দেখে আচ্ছি বাবা শয্যাশায়ী পঙ্গু বিছানা তার সারাক্ষনের সাথী। বাবা মার বিয়ের দেড় বছরের মাথায় আমার জন্ম হয়, তার পরের বছর একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় বাবা জখম হন তারপর থেকেই বাবা শয্যাশায়ী।। সেই ছোট্ট বেলা থেকে দেখে আসচ্ছি আমার মা তার নিপুন হাতে সংসার পরিচালনা করে আসচ্ছে, বাবার সেবা যত্ন সময় মতো ওষুধ দেওয়া, মালিশ করা ঠিক সময় স্বান করিয়ে দেওয়া, আমাকে সময় মতো খাওনো পড়ানো আমার সমস্ত সখ আল্লাদ মেটানো, করে এসেছে পরম মমতা স্নেহের সাথে, নেই তার কোন অভিযোগ। মা তার সব সুখ খুজে পেত যেন আমার মাঝে। মা আমাকে তার প্রানের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো। আমি মায়ের একমাএ সন্তান, মা আমকে কখনো কাছ ছাড়া করতো না সব সময় কাছে কাছে রাখতো খুব আদর করতো। আমিও মা কে খুব ভালোবাসি তাই মায়ের সঙ্গ বেশ উপভোগ করতাম। আমার মায়ের নাম প্রতিমা দাশগুপ্ত অসাধারন সুন্দরি মহিলা যেমন অসাধরন রুপ তেমনি গুন, যেন সাক্ষাত দেবীপ্রতিমা। বাজারে আমার বাবার একটা বড়ো মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকান আছে,বাবার এক্সিডেন্ট হওয়ার পর থেকে, সংসার আর আমার পড়শুনা চালানোর জন্য, মা সেই দোকান চালানো শুরু করে। তারপর ধিরে ধিরে বড়ো হতে থাকলাম, কলেজের গন্ডি টপকে কলেজ তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে দিল্লিতে পারি।
চারবছর পর বাংলার মাটিতে পা রাখলাম। শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে তিন নাম্বার প্লাটফর্মে এসে কিছুক্ষন দারিয়ে থাকার পর, রানাঘাট লোকাল এলো দেরি না করে উঠে পরলাম।ট্রেনে খুব একটা ভীড় নেই ফাকা সীট, জানালা ঘেসে একটি সিটে গিয়ে বসলাম।। আমার নাম তো বলা হয়নি, আমার নাম প্রীতম দাশগুপ্ত বয়স তেইশ বছর, মা বাবার একমাত্র সন্তান,ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে চার বছর বাদে বাড়ি ফিরছি। এই চারটি বছর আমার প্রিয় মাকে ছেড়ে থাকতে কি যে কষ্ট হয়েছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। মায়ের আদর সেই ভুবন ভুলানো হাসি কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। সময় সময় বুকটা হু হু করে উঠত, দু চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরতো বিচ্ছদের জল। এতদিন দিল্লিতে থাকার সময় শুধু ফোনেই কথা হত, তাও তো সেই সপ্তায় দুদিন, সময় আর কাটছে না ট্রেনে বসে শুধু মন বলছে কখন বাড়ি পৌছাবো মায়ের মিষ্টি মুখখানা কখন দেখবো মা কে জরিয়ে ধরে প্রান জোড়াবো, মায়ের নরম হাতের আদর খাবো। পায়রাডাঙা স্টেশন পাড় হলাম আমি নামবো রানাঘাট স্টেশনে। আমাদের বাড়ি রানাঘাটের গুপ্তিপাড়ায়। চারিদিকে দোকানপাট বাজার এলাকা তার মাঝেই দাড়িয়ে আমাদের পুরনো আমলের দুতলা বাড়ি। লোক বলতে মা বাবা আমি তিনজন। ঠাকুরদা ঠাকুমারা থাকে কাকা জেঠাদের সঙ্গে। জেঠা কাকারা থাকে আমাদের পাশের বিল্ডিঙে। কাকা জেঠা দুজনেই কাপরের ব্যাবসা করে মোটামুটি বলা চলে বড়োলোক। রানাঘাট স্টেশনে এসে থামলো ট্রেন, ব্যাগ পিঠে বাজিয়ে নামলাম ট্রেনথেকে। হাটতে হাটতে প্লাটফর্মের বাইরে এসে একটা টোটোতে চড়লাম দশ মিনিটের রাস্টা তারপর বাড়ি। বাড়ির সামনে এসে নামলাম, ভাড়া মিটিয়ে বাড়ির ভিতরে গেলাম।। (চলবে) প্রেম বিবাহ-- by pritam dasgupta( একটু পরে আরো আপডেট আসবে ।
চারবছর পর বাংলার মাটিতে পা রাখলাম। শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে তিন নাম্বার প্লাটফর্মে এসে কিছুক্ষন দারিয়ে থাকার পর, রানাঘাট লোকাল এলো দেরি না করে উঠে পরলাম।ট্রেনে খুব একটা ভীড় নেই ফাকা সীট, জানালা ঘেসে একটি সিটে গিয়ে বসলাম।। আমার নাম তো বলা হয়নি, আমার নাম প্রীতম দাশগুপ্ত বয়স তেইশ বছর, মা বাবার একমাত্র সন্তান,ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে চার বছর বাদে বাড়ি ফিরছি। এই চারটি বছর আমার প্রিয় মাকে ছেড়ে থাকতে কি যে কষ্ট হয়েছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। মায়ের আদর সেই ভুবন ভুলানো হাসি কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। সময় সময় বুকটা হু হু করে উঠত, দু চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরতো বিচ্ছদের জল। এতদিন দিল্লিতে থাকার সময় শুধু ফোনেই কথা হত, তাও তো সেই সপ্তায় দুদিন, সময় আর কাটছে না ট্রেনে বসে শুধু মন বলছে কখন বাড়ি পৌছাবো মায়ের মিষ্টি মুখখানা কখন দেখবো মা কে জরিয়ে ধরে প্রান জোড়াবো, মায়ের নরম হাতের আদর খাবো। পায়রাডাঙা স্টেশন পাড় হলাম আমি নামবো রানাঘাট স্টেশনে। আমাদের বাড়ি রানাঘাটের গুপ্তিপাড়ায়। চারিদিকে দোকানপাট বাজার এলাকা তার মাঝেই দাড়িয়ে আমাদের পুরনো আমলের দুতলা বাড়ি। লোক বলতে মা বাবা আমি তিনজন। ঠাকুরদা ঠাকুমারা থাকে কাকা জেঠাদের সঙ্গে। জেঠা কাকারা থাকে আমাদের পাশের বিল্ডিঙে। কাকা জেঠা দুজনেই কাপরের ব্যাবসা করে মোটামুটি বলা চলে বড়োলোক। রানাঘাট স্টেশনে এসে থামলো ট্রেন, ব্যাগ পিঠে বাজিয়ে নামলাম ট্রেনথেকে। হাটতে হাটতে প্লাটফর্মের বাইরে এসে একটা টোটোতে চড়লাম দশ মিনিটের রাস্টা তারপর বাড়ি। বাড়ির সামনে এসে নামলাম, ভাড়া মিটিয়ে বাড়ির ভিতরে গেলাম।। (চলবে) প্রেম বিবাহ-- by pritam dasgupta( একটু পরে আরো আপডেট আসবে ।