11-06-2023, 04:57 PM
(This post was last modified: 11-06-2023, 06:08 PM by Baban. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
৪৫. অংক - বাবান
কিরে পরীক্ষা কেমন হলো?
বাবার প্রশ্নে বান্টি মুচকি হেসে বললো - খুব ভালো হয়েছে বাবা। শুধুমাত্র দুটো বাদে বাকি সব পেরেছি। দেখো খুব ভালো নম্বর পাবো।
বাবা হেসে বললেন - হলেই ভালো। জীবনে অংকে ভালো হতেই হবে বান্টি। অন্য বিষয় একটু কম হলেও চলবে কিন্তু অংক কে কখনো অবজ্ঞা করবিনা। ওটাই তোকে মানুষের মতো মানুষ বানাবে। এই আমার মতো।
বান্টি - তুমি বুঝি গণিতে খুব ভালো ছিলে বাবা?
- ভালো মানে? দারুন ছিলুম। আমার ক্লাসে আমি প্রতিবার ফাস্ট হতুম। এর জন্য অবশ্য আমার টিচার রুনা ম্যাডাম দায়ী। উনি আমায় প্রতিদিন বাড়িতে যেতে বলতেন আর আমায় কুয়ো থেকে জল তোলার অংকটা কিংবা বাপ ছেলের বয়সের অঙ্কটা ভালো করে হাতে কলমে বুঝিয়ে দিতেন। প্রতিবার স্পেশাল ক্লাস শেষ হলে উনি হাঁপাতে হাঁপাতে আমায় দরজা পর্যন্ত ছাড়তেও আসতেন।
বান্টি - হাঁপাতেন কেন? হাঁপানি ছিল বুঝি?
- ইয়ে মানে ওই..... হ্যা ওই স্পেশাল ক্লাস তো তাই উনি স্পেশাল ভাবে আমায় বুঝিয়ে দিতেন। আর বলতেন কালকে আসিস। যদি শ্রমিকের বাড়ি বানানোর অঙ্কটা নিজের থেকে করতে পারিস তবে আমার দিদিকে বলবো তোকে ইংরেজিটাও শিখিয়ে দিতে। ব্যাস আরকি? আমিও সারাদিন সারারাত অংক কোষে কোষে অংকে আর ইংলিশে ভালো হয়ে গেলাম। আসলে অনুপ্রেরণা খুব প্রয়োজন বুঝলি জীবনে। যে প্রয়োজনে বকবে আমার মারবেও আবার মারাবেও।
বান্টি - মারাবেও মানে?
- ও কিছুনা। যাই হোক। অঙ্কটা ভালো করে শিখতে থাক। এরপর তো আরও কঠিন কঠিন অঙ্ক আসবে জীবনে। সেগুলোকেও তুড়ি মেরে করে ফেলতে হবে। এই আমার মতো।
বান্টি - তাই বাবা? তুমি তুড়ি মেরে অংক করতে?
- শুধু তুড়ি? আরও কত কি মেরে যে করতাম সেসব বলার নয়। ওই যে তোর মা..... তাকেও তো আমিই অংক শেখাতাম। খুব খারাপ ছাত্রী ছিল তোর মা কিন্তু দেখ আজ তোকে কেমন আরামসে অংক শেখায়। অবশ্য এর জন্য আমাকে অনেক খাটতে হয়েছে ওর পেছনে। অনেক নিয়ম পালন করে এগিয়ে যেতে হয়েছে।
বান্টি - কি নিয়ম পালন বাবা? আমিও করবো
- এই যেমন ধর প্রতিদিন আমি আসার আগে তোর মা ভালো করে স্নান সেরে জামাকাপড় পড়ে রেডি হয়ে আমার অপেক্ষা করতো, আমি আসার পরে দরজা লাগিয়ে তারপরে পড়তে বসতো যাতে কেউ ডিস্টার্ব না করে, সবসময় আমার বাঁ পাশে বসতে হতো, অংকে ভুল করলে কিংবা না পারলে নিজেই স্কেল আমায় ধরিয়ে দিয়ে দিতো আর ঠিক করলেও স্কেল আমার হাতে ধরিয়ে দিতো। তোর দিদুন তো বাইরে থেকে তোর মায়ের চিল্লানি শুনে আমাকে বলতো মারো আরও মারো হতচ্ছাড়িকে। সারাদিন ঘুরে বেড়াবে পড়ায় মন নেই। আমিও শাশুড়ি মায়ের কথা শুনে ক্ষেপে উঠে পকাৎ পকাৎ করে মারতাম তোর মাকে।
বান্টি - এটা আবার কেমন মার বাবা?
- ওটা স্পেশাল মার। আমায় রুনা ম্যাডাম শিখিয়েছিলেন। উফফফফ যা মারাতেন আমাকে দিয়ে কি বলবো। যাইহোক আমার ওই মার খাবার ভয়ে তোর মাও রোজ অংক কোষে রাখতো। আর আমিও খুশি হয়ে তাকে স্পেশাল ললিপপ দিতাম। তোর মামনি কি খুশি যে হতো কি বলবো। নে চল চল বাড়িতে তোর মাসি এসেছে তোর ভাইকে নিয়ে। সেও নাকি এই বয়সে অংকে দারুন। আর হবেনাই বা কেন? ওর মা তো আমাকে দিয়েই অংক কষিয়েই এতো ভালো ছাত্রী হয়েছে। আজকে দেখবো আমার শেখানো অংক গুলো আজও মনে আছে কিনা তার। নইলে আমি আর তোর মা দুয়ে মিলে তোর মাসিকে আবার অংক শেখাবো। নে চল চল তাড়াতাড়ি হাঁট।
বান্টি মনে মনে প্রণ করলো সেও অংকে ভালো হবে। আর ওর ক্রাশ শেফালীকে সব অংক বুঝিয়ে দেবে রোজ। কত ইমপ্রেসড হবে মেয়েটা।
- বাবান
কিরে পরীক্ষা কেমন হলো?
বাবার প্রশ্নে বান্টি মুচকি হেসে বললো - খুব ভালো হয়েছে বাবা। শুধুমাত্র দুটো বাদে বাকি সব পেরেছি। দেখো খুব ভালো নম্বর পাবো।
বাবা হেসে বললেন - হলেই ভালো। জীবনে অংকে ভালো হতেই হবে বান্টি। অন্য বিষয় একটু কম হলেও চলবে কিন্তু অংক কে কখনো অবজ্ঞা করবিনা। ওটাই তোকে মানুষের মতো মানুষ বানাবে। এই আমার মতো।
বান্টি - তুমি বুঝি গণিতে খুব ভালো ছিলে বাবা?
- ভালো মানে? দারুন ছিলুম। আমার ক্লাসে আমি প্রতিবার ফাস্ট হতুম। এর জন্য অবশ্য আমার টিচার রুনা ম্যাডাম দায়ী। উনি আমায় প্রতিদিন বাড়িতে যেতে বলতেন আর আমায় কুয়ো থেকে জল তোলার অংকটা কিংবা বাপ ছেলের বয়সের অঙ্কটা ভালো করে হাতে কলমে বুঝিয়ে দিতেন। প্রতিবার স্পেশাল ক্লাস শেষ হলে উনি হাঁপাতে হাঁপাতে আমায় দরজা পর্যন্ত ছাড়তেও আসতেন।
বান্টি - হাঁপাতেন কেন? হাঁপানি ছিল বুঝি?
- ইয়ে মানে ওই..... হ্যা ওই স্পেশাল ক্লাস তো তাই উনি স্পেশাল ভাবে আমায় বুঝিয়ে দিতেন। আর বলতেন কালকে আসিস। যদি শ্রমিকের বাড়ি বানানোর অঙ্কটা নিজের থেকে করতে পারিস তবে আমার দিদিকে বলবো তোকে ইংরেজিটাও শিখিয়ে দিতে। ব্যাস আরকি? আমিও সারাদিন সারারাত অংক কোষে কোষে অংকে আর ইংলিশে ভালো হয়ে গেলাম। আসলে অনুপ্রেরণা খুব প্রয়োজন বুঝলি জীবনে। যে প্রয়োজনে বকবে আমার মারবেও আবার মারাবেও।
বান্টি - মারাবেও মানে?
- ও কিছুনা। যাই হোক। অঙ্কটা ভালো করে শিখতে থাক। এরপর তো আরও কঠিন কঠিন অঙ্ক আসবে জীবনে। সেগুলোকেও তুড়ি মেরে করে ফেলতে হবে। এই আমার মতো।
বান্টি - তাই বাবা? তুমি তুড়ি মেরে অংক করতে?
- শুধু তুড়ি? আরও কত কি মেরে যে করতাম সেসব বলার নয়। ওই যে তোর মা..... তাকেও তো আমিই অংক শেখাতাম। খুব খারাপ ছাত্রী ছিল তোর মা কিন্তু দেখ আজ তোকে কেমন আরামসে অংক শেখায়। অবশ্য এর জন্য আমাকে অনেক খাটতে হয়েছে ওর পেছনে। অনেক নিয়ম পালন করে এগিয়ে যেতে হয়েছে।
বান্টি - কি নিয়ম পালন বাবা? আমিও করবো
- এই যেমন ধর প্রতিদিন আমি আসার আগে তোর মা ভালো করে স্নান সেরে জামাকাপড় পড়ে রেডি হয়ে আমার অপেক্ষা করতো, আমি আসার পরে দরজা লাগিয়ে তারপরে পড়তে বসতো যাতে কেউ ডিস্টার্ব না করে, সবসময় আমার বাঁ পাশে বসতে হতো, অংকে ভুল করলে কিংবা না পারলে নিজেই স্কেল আমায় ধরিয়ে দিয়ে দিতো আর ঠিক করলেও স্কেল আমার হাতে ধরিয়ে দিতো। তোর দিদুন তো বাইরে থেকে তোর মায়ের চিল্লানি শুনে আমাকে বলতো মারো আরও মারো হতচ্ছাড়িকে। সারাদিন ঘুরে বেড়াবে পড়ায় মন নেই। আমিও শাশুড়ি মায়ের কথা শুনে ক্ষেপে উঠে পকাৎ পকাৎ করে মারতাম তোর মাকে।
বান্টি - এটা আবার কেমন মার বাবা?
- ওটা স্পেশাল মার। আমায় রুনা ম্যাডাম শিখিয়েছিলেন। উফফফফ যা মারাতেন আমাকে দিয়ে কি বলবো। যাইহোক আমার ওই মার খাবার ভয়ে তোর মাও রোজ অংক কোষে রাখতো। আর আমিও খুশি হয়ে তাকে স্পেশাল ললিপপ দিতাম। তোর মামনি কি খুশি যে হতো কি বলবো। নে চল চল বাড়িতে তোর মাসি এসেছে তোর ভাইকে নিয়ে। সেও নাকি এই বয়সে অংকে দারুন। আর হবেনাই বা কেন? ওর মা তো আমাকে দিয়েই অংক কষিয়েই এতো ভালো ছাত্রী হয়েছে। আজকে দেখবো আমার শেখানো অংক গুলো আজও মনে আছে কিনা তার। নইলে আমি আর তোর মা দুয়ে মিলে তোর মাসিকে আবার অংক শেখাবো। নে চল চল তাড়াতাড়ি হাঁট।
বান্টি মনে মনে প্রণ করলো সেও অংকে ভালো হবে। আর ওর ক্রাশ শেফালীকে সব অংক বুঝিয়ে দেবে রোজ। কত ইমপ্রেসড হবে মেয়েটা।
- বাবান