11-06-2023, 02:30 PM
বুলাদির বাড়ি যাবে বলে কাজল
বাড়ি থেকে বের হয় | সরস্বতী পূজার
দিন কলেজে ফাংশন হবে, তাতে
কাজলের নাচের প্রোগ্রাম আছে |
পথে যেতে যেতে কাজল মনে মনে গানটা
গায়~
বসন্তে ফুল গাঁথলো আমার
জয়ের মালা।
বইল প্রাণে দখিণ-হাওয়া
আগুন-জ্বালা।।
পিছের বাঁশি কোণের ঘরে
মিছে রে ওই কেঁদে মরে-
মরণ এবার আনলো আমার
বরণডালা।।
যৌবনেরই ঝড় উঠেছে
আকাশ-পাতালে।
নাচের তালের ঝঙ্কারে তার
আমায় মাতালে।
কুড়িয়ে নেবার ঘুচল পেশা,
উড়িয়ে দেবার লাগল নেশা,
আরাম বলে 'এল আমার
যাবার পালা'।।
বুলাদির নাচের কলেজ আছে, কিন্তু কাজল কলেজে নয়, বুলাদির বাড়ি যাবে |
বুলাদির সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক | মেয়েলি হওয়ার কারনে কাজলকে অনেক ছেলের টিটকিরি শুনতে হয়, কিন্তু মেয়েদের সাথে সে সহজে মিশতে পারে |
বেল বাজাতেই বুলাদি দরজা খুলে,
-" ও মা,এখন যে আমাকে বেরুতে হবে ভাই|"
কাজল থমকে দাঁড়ায়| বুলাদি হাত ধরে টানে, "ভিতরে আয়, কড়াইশুটির ঘুঘনি করেছি"
কড়াইশুটির ঘুঘনি কাজলের অত্যন্ত প্রিয়, তার উপর বুলাদির রান্না অমৃত|
পরিতৃপ্তির সাথে খেতে খেতে কাজল বলে,"আমার নাচের কী হবে?"
চুলগুলো পাকিয়ে সযত্নে খোপা করতে করতে বুলাদি বলে,"অনেক সময় আছে,সেই সরস্বতী পুজো...আর শরত্ সদনে এই নাচটা
ভালোই করেছিলি|"
কাজল একটু লজ্জা পায়, বলে,"আগামী সপ্তাহ থেকে কলেজে রিহ্যার্সাল শুরু হবে|"
বুলাদি চোখ পাকিয়ে বলে,"ধুসস্...তোর রিহ্যার্সাল লাগবে না",তারপর চোখটা একটু সরু করে কাজলের হাত ধরে বলে,"রঞ্জন বলে ছেলেটাকে মনেআছে তোর?"
-"কোন রঞ্জন?"
বলেই কাজলের মনে পরে শরত্ সদনে তার নাচের মুগ্ধ ছেলেটির কথা,
তার সাথে কথা বলতে চেয়েছিল, কিন্তু বুলাদির অনেক অনুরোধেও কাজল রাজি হয়নি|
কাজলকে লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠতে দেখে বুলাদি বলে,"রঞ্জনকে এখোনো বিশ্বাস করাতে পারিনি যে তুই সত্যি মেয়ে নোস !"(চলবে)
বাড়ি থেকে বের হয় | সরস্বতী পূজার
দিন কলেজে ফাংশন হবে, তাতে
কাজলের নাচের প্রোগ্রাম আছে |
পথে যেতে যেতে কাজল মনে মনে গানটা
গায়~
বসন্তে ফুল গাঁথলো আমার
জয়ের মালা।
বইল প্রাণে দখিণ-হাওয়া
আগুন-জ্বালা।।
পিছের বাঁশি কোণের ঘরে
মিছে রে ওই কেঁদে মরে-
মরণ এবার আনলো আমার
বরণডালা।।
যৌবনেরই ঝড় উঠেছে
আকাশ-পাতালে।
নাচের তালের ঝঙ্কারে তার
আমায় মাতালে।
কুড়িয়ে নেবার ঘুচল পেশা,
উড়িয়ে দেবার লাগল নেশা,
আরাম বলে 'এল আমার
যাবার পালা'।।
বুলাদির নাচের কলেজ আছে, কিন্তু কাজল কলেজে নয়, বুলাদির বাড়ি যাবে |
বুলাদির সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক | মেয়েলি হওয়ার কারনে কাজলকে অনেক ছেলের টিটকিরি শুনতে হয়, কিন্তু মেয়েদের সাথে সে সহজে মিশতে পারে |
বেল বাজাতেই বুলাদি দরজা খুলে,
-" ও মা,এখন যে আমাকে বেরুতে হবে ভাই|"
কাজল থমকে দাঁড়ায়| বুলাদি হাত ধরে টানে, "ভিতরে আয়, কড়াইশুটির ঘুঘনি করেছি"
কড়াইশুটির ঘুঘনি কাজলের অত্যন্ত প্রিয়, তার উপর বুলাদির রান্না অমৃত|
পরিতৃপ্তির সাথে খেতে খেতে কাজল বলে,"আমার নাচের কী হবে?"
চুলগুলো পাকিয়ে সযত্নে খোপা করতে করতে বুলাদি বলে,"অনেক সময় আছে,সেই সরস্বতী পুজো...আর শরত্ সদনে এই নাচটা
ভালোই করেছিলি|"
কাজল একটু লজ্জা পায়, বলে,"আগামী সপ্তাহ থেকে কলেজে রিহ্যার্সাল শুরু হবে|"
বুলাদি চোখ পাকিয়ে বলে,"ধুসস্...তোর রিহ্যার্সাল লাগবে না",তারপর চোখটা একটু সরু করে কাজলের হাত ধরে বলে,"রঞ্জন বলে ছেলেটাকে মনেআছে তোর?"
-"কোন রঞ্জন?"
বলেই কাজলের মনে পরে শরত্ সদনে তার নাচের মুগ্ধ ছেলেটির কথা,
তার সাথে কথা বলতে চেয়েছিল, কিন্তু বুলাদির অনেক অনুরোধেও কাজল রাজি হয়নি|
কাজলকে লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠতে দেখে বুলাদি বলে,"রঞ্জনকে এখোনো বিশ্বাস করাতে পারিনি যে তুই সত্যি মেয়ে নোস !"(চলবে)