11-06-2023, 02:30 PM
আয়নার ওপারে (কাজলের কথা)
#[এক]
দুর্গাপুরের মায়া বাজারে কাজলদের রেডিমেড কাপড়ের দোকান | দোকানটা কাজলের বাবার হলেও কাজলের কাকা গোপাল দোকানটা চালায় |কাজলের বাবা কলকাতায় কাজ করেন | তিনমাস হল কাজলের পিসির ছেলে মন্টু রাতে দোকানে ঘুমায় | মন্টু আর কাজল দুজনেই মাতৃহারা |কাজলের বাবা মানে মন্টুর বড় মামা তাকে এখানে রেখেছেন |কাজল আর মন্টু এক কলেজে পড়লেও কাজল দুই ক্লাস নীচে পড়ে | ছোটো মামার বিয়ে হয়েছে এক মাস | তারপর থেকে রাতে খাওয়া হলে মন্টু সাইকেল নিয়ে দোকানে যায় রাতে ঘুমাতে | সদ্যবিবাহিত ছোটো মামা নববধূর সাথে ঘুমাবে এটাই স্বাভাবিক| বিয়েতে যেসব আত্মীয় -স্বজন এসেছিল তারা কয়েক দিন পরেই চলে গেছে, কাল বাবাও কলকাতা চলে গেছেন | কাজলকেও তাই মায়াবাজারে দোকানে মন্টুর সাথে ঘুমাতে যেতে হবে ||
কাজল তাতে অখুশী নয়, বরং তার একটু উত্তেজনা হচ্ছে | কারন কাজলের একটা গোপোন দিক আছে | সে মেয়েদের জিনিস ভালোবাসে | মেয়েদের রংচঙে লেস দেওয়া পোষাক, প্রসাধনী তাকে টানে | সব সুন্দর সুন্দর জিনিস ভগবাধ শুধু মেয়েদের জন্য তৈরী করেছেন, এটা তার মেয়েদের প্রতি ভগবানের পক্ষপাত বলেই মনে হয় | কাজল নিজে খুব ফর্সা, এত ফর্সা যে মেয়েরা তাকে হিংসা করে | কাজলের দৈহিক গড়ন মেয়েদের মত | সে লম্বা চুল রাখে, মেয়েদের মত কথা বলা নকল করে | এজন্য তাকে মেয়েলী বলে ছেলেরা খেপায় | কাজলের তাতে কিছু যায় আসে না | তাকে ছেলেদের পোষাক পরতে হয় বলে তার দুঃখ হয় | তাই মায়াবাজারে তাদের রেডিমেড কাপড়ের দোকানে তাকে শুতে যেতে হবে জেনে সে রোমাঞ্চিত | কারন দোকানটায় মেয়েদের সুন্দর সুন্দর পোষাকের মাঝে সে থাকতে পারবে | নিজে পরতে না পারুক, অন্ততঃ সেগুলো ছুতে পারবে (চলবে)
#[এক]
দুর্গাপুরের মায়া বাজারে কাজলদের রেডিমেড কাপড়ের দোকান | দোকানটা কাজলের বাবার হলেও কাজলের কাকা গোপাল দোকানটা চালায় |কাজলের বাবা কলকাতায় কাজ করেন | তিনমাস হল কাজলের পিসির ছেলে মন্টু রাতে দোকানে ঘুমায় | মন্টু আর কাজল দুজনেই মাতৃহারা |কাজলের বাবা মানে মন্টুর বড় মামা তাকে এখানে রেখেছেন |কাজল আর মন্টু এক কলেজে পড়লেও কাজল দুই ক্লাস নীচে পড়ে | ছোটো মামার বিয়ে হয়েছে এক মাস | তারপর থেকে রাতে খাওয়া হলে মন্টু সাইকেল নিয়ে দোকানে যায় রাতে ঘুমাতে | সদ্যবিবাহিত ছোটো মামা নববধূর সাথে ঘুমাবে এটাই স্বাভাবিক| বিয়েতে যেসব আত্মীয় -স্বজন এসেছিল তারা কয়েক দিন পরেই চলে গেছে, কাল বাবাও কলকাতা চলে গেছেন | কাজলকেও তাই মায়াবাজারে দোকানে মন্টুর সাথে ঘুমাতে যেতে হবে ||
কাজল তাতে অখুশী নয়, বরং তার একটু উত্তেজনা হচ্ছে | কারন কাজলের একটা গোপোন দিক আছে | সে মেয়েদের জিনিস ভালোবাসে | মেয়েদের রংচঙে লেস দেওয়া পোষাক, প্রসাধনী তাকে টানে | সব সুন্দর সুন্দর জিনিস ভগবাধ শুধু মেয়েদের জন্য তৈরী করেছেন, এটা তার মেয়েদের প্রতি ভগবানের পক্ষপাত বলেই মনে হয় | কাজল নিজে খুব ফর্সা, এত ফর্সা যে মেয়েরা তাকে হিংসা করে | কাজলের দৈহিক গড়ন মেয়েদের মত | সে লম্বা চুল রাখে, মেয়েদের মত কথা বলা নকল করে | এজন্য তাকে মেয়েলী বলে ছেলেরা খেপায় | কাজলের তাতে কিছু যায় আসে না | তাকে ছেলেদের পোষাক পরতে হয় বলে তার দুঃখ হয় | তাই মায়াবাজারে তাদের রেডিমেড কাপড়ের দোকানে তাকে শুতে যেতে হবে জেনে সে রোমাঞ্চিত | কারন দোকানটায় মেয়েদের সুন্দর সুন্দর পোষাকের মাঝে সে থাকতে পারবে | নিজে পরতে না পারুক, অন্ততঃ সেগুলো ছুতে পারবে (চলবে)