09-06-2023, 12:54 PM
(09-06-2023, 07:26 AM)StrangerinParadise Wrote: আপনার লেখার নিয়মিত ও গুণমুগ্ধ পাঠক হিসেবে ইদানিং আমার অনুযোগ যে এই লেখাটার এতগুলো Layer তৈরি করেও আপনি এই পর্যায়ে যেন তাড়াহুড়ো করে Close করার দিকে মন দিয়েছেন I ১) দীপশিখার অতীত হিসেবে ঠিক কোন সংকটে তাঁর ত্যায্যপুত্রী হতে হলো, কবে নাগাদ আর কি পরিস্থিতে কামাল চৌধুরীকে সম্পর্কে প্রশ্রয় দিয়ে বিয়ের কথা ভাবতে শুরু করেন, এই বিষয়গুলোর ধোঁয়াশা রয়েই গেলো ; ২) লিখেছেন, 'পাঞ্চালি সুখকে অনেক আকারে ইঙ্গিতে নিজের ভালোবাসার প্রকাশ করেছিল' - কৈ ছাত্রজীবনে শুধু দুটো সাক্ষাতের কথা পাঠকরা জেনেছে, যার শেষটায় মধুর মনোমালিন্যটাই প্রকাশ পেয়েছে, প্রেমের আবেদন ঠিক নয়; আর সেটাই তাদের শেষ দেখা I মা বেঁচে থাকাকালীন সুখো বেশ কিছদিন গ্রামেই থাকতো, কেন পাঞ্চালি তখন তার যোগাযোগ করলো না? ৩) দীপশিখা হঠাৎ কেন ক্ষেপে উঠলো সুখোর বিয়ের জন্য - ঠিক স্বাভাবিক নয়, তাড়াহুড়োর ইঙ্গিত পাচ্ছি I আমার মতে পাঞ্চালি-সুখোর আবার দেখা, প্রণয়, মিষ্টি ঝাল খুনসুটিতে মন দেয়ানেয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু দিলেন না I আপনি কি এত সুন্দর প্রেমকাহিনীটাকে চাপে পরে ঘাড় থেকে নামিয়ে দেবার প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হচ্ছেন? ক্ষমা করবেন - এটা একটা সামান্য পাঠকের Obsevation কোনো Complain নয় I
আপনি খুব সাজিয়ে গুছিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন করেছেন। তবে বলবো একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে হয়তো আপনি খুঁজে পাবেন, প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তরই গল্পের ভেতর লুকানো আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি...
১. আপনার প্রথম প্রশ্নটা দীপশিখা কেন ত্যাজ্যকন্যা হলো? আর দীপশিখার প্রথম স্বামী বা কোথায় হারিয়ে গেল? উত্তরটা খুবই সহজ। একটা নামকরা পরিবার বা একটা অভিজাত পরিবারের কোন মেয়ে বা কোন পুত্র যদি বিধর্মী কাউকে বিবাহ করে সাধারণত সমাজ এটাকে মেনে নেয়নি এখন মেনে নিলে পরেও হয়তো সেই সময় যে সময়ে দীপশিখা কালাম সাহেব কে বিয়ে করেছিল সেই সময়ে মেনে নিত না। আর এই কারণেই দীপশিখার বাবা তাকে ত্যাজ্য করেছিল।
আমার কালাম সাহেবের যেরকম মাগীবাজী চরিত্র, তাতে সে দীপশিখার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা অবশ্য উল্লেখ করেছিল কিন্তু তো সে ভুলে গেছে কিংবা হয়তো মেনে নিয়েছে বিষয়টা যে না দোষটা তো আমারও আছে একরকম। এসব দিক থেকে দেখতে গেলে, কালাম চৌধুরী হারিয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। তবে একটা ধোঁয়াশা থেকে যায় এটা সত্য।
২. আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নটা হচ্ছে সুখের প্রতি পাঞ্চালীর যে নিবেদিত প্রেম ছিল সে সম্পর্কিত তো কোনো পর্বে সঠিকভাবে উল্লেখ নেই। আর সুখ যখন গ্রামে মায়ের কাছে ছিল, তখন কেন পলি যোগাযোগ করেনি?
এর উত্তরে হয়তো এটা বলা যেতে পারে, কামদেব দাদা এটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে মেয়েদের মন বোঝা কঠিন। যেটাকে পছন্দ করে সেটাকে না বলে; আর যেটাকে পছন্দ করে না, সেটাকে বলে হ্যাঁ বলে। আর কৈশোরের প্রেম বা প্রথম প্রেম তো অনেক ছেলেরা প্রকাশ করতে পারে না। সেখানে পলি তো এক মেয়ে। সে আর কিভাবে প্রকাশ করবে। হয়তো লজ্জা তাকে আটকে দিয়েছিল।
আর একই গ্রামে থেকেও যোগাযোগ না করার বিষয় বলা যেতে পারে, অতীতের ভয়ংকর স্মৃতি। সুখ হয়তো দীপশিখা সম্পর্কে তখন জানতো না। কিন্তু পলি তো ছোট থেকেই তার পিসি এর সাথে কি ঘটেছে সেটা তো নিজে চোখে দেখেছে। তাই হয়তো পারিবারিক চাপের একটা ভয় ছিল তখন।
আর একটা ইফেক্ট কে দাঁড় করানো যায় সেটা লেখক এর দিক থেকে। আমাদের কামদের দাদা তো শুধু সুখদার অঞ্চলের দৃষ্টিকোণ থেকেই গল্পটাকে চালানোর চেষ্টা করেছে শুরু থেকে। তাই হয়তো আমরা পলিগের দিক থেকে কতটা এফেক্ট এসেছিল সেটা আমরা জানি না। বুঝতে পারিনি। আই মিন গল্পটা চলছে এইভাবে। এখানে আমাদের বা কামদের দাদার নিজেরও কিছু করার নেই...
৩. আপনার তিন নম্বর প্রশ্ন হচ্ছে দীপশিখার হঠাৎ এত তারা কিসের? এর উত্তর এক একজন ভাবে দিতে পারে কেউ বলবে গল্পটা তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য। কেউ বলবে দীপশিখা হয়তো সুখ এবং পলির একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই সেজন্য।
তবে দিনশেষে দীপশিখা এটা জানে যে সে মনুকে যৌন সুখ দিতে পারলে সন্তান সুখ দিতে পারবে না। তাই হয়তো একটু তাড়াহুড়ো করছে। দিনশেষে মনু-পলির বয়সটাও তো কম হলো না। এর পরও যদি আপনার কাছে মনে হয় বা অন্য কারো কাছে যদি মনে হয়, গল্পটা একটু তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে এবার তাড়াহুড়ো করে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে বলবো যে কাম দেব দাদার হাতে ছেড়ে দিন না ঈশানি এখনো বাকি আছে। নদীর মত যে কোন সময় গল্পের স্রোতও অন্যদিকে ঘুরতে পারে...
একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও