Thread Rating:
  • 27 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery খেলার জন্য খেলা
#22
পর্ব-৯
রতনের কিছুতেই সময় কাটছেনা একএক মিনিট যেন একএক ঘন্টার মতো মনে হচ্ছে।  অবশেষে ভিতর থেকে একজন বেড়িয়ে এসে ওকে ডাকতে  ও কেবিনের ভিতরে ঢুকল।  চারজন বসে আছেন ওই চারজনের মধ্যে একজন সুনিতার বাবা।  উনিই প্রথমে জিজ্ঞেস করলেন - তোমার নাম কি ? রতন অবাক হলেও নাম বলল। অন্নান্নরাও কিছু কিছু প্রশ্ন করলেন সাধ্য মতো উত্তর দিলো রতন। ওনাদের মধ্যে একজন বললেন - এখন তুমি যেতে পারো চারটের সময় একবার আসতে হবে। রতন হাত তুলে নমস্কার করে বেরিয়ে এলো। রতন ভাবতে ভাবতে হাঁটছিলো  বুঝতে পারছেনা চাকরিটা হবে কিনা।  একটা খিন আশা এই যে সিংজি নিজে ছিলেন। সুনিতা দূর থেকে ওকে ডেকে কোনো উত্তর না পেয়ে  কাছে এসে ওর কাঁধে হাত দিয়ে বলল - এই ছেলে কতক্ষন থেকে ডাকছি শুনতে পাওনি ? রতন - না গো সত্যি শুনতে পাইনি।  সুনিতা আবার বলল - তোমার ঘাবড়াবার কারণ নেই দশজনের ইন্টারভিউ হয়েছে আর তার মধ্যে তোমাকেই সবাই সিলেক্ট করেছে।  রতন কথাটা শুনে আবেগে সুনিতাকে জড়িয়ে  ধরতে সুনিতা ওকে ছাড়িয়ে দিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল - বাড়িতে যত খুশি আদর কোরো এখানে নয় এটা  অফিস  বুঝেছো হাঁদারাম।  রতনের বুক থেকে একটা পাথর নেমে গেল জিজ্ঞেস করল সুনিতাকে - তুমি জানলে কি করে যে চাকরিটা আমারই হয়েছে।  সুনিতা - বাবুজি আমাকে ফোনে বলেছে আর এটাও বলেছে যে ঠিক চারটের সময় তুমি এসে এপয়েন্টমেন্ট লেটার নিয়ে যাবে। রতন - মাকে খবরটা জানাতে পারলে  খুব ভালো হতো।  সুনিতা - তোমার বাবাকে একটা ফোন করে বলে দাও আর তাহলেই তোমার মাও খবর পেয়ে যাবেন।  রতন - ঠিক বলেছ চলো নিচে গিয়ে ফোন করেদি।  সুনিতা - নিচে যেতে হবে কেন আমার মোবাইল থেকেই ফোন করেদাও। রতন জিজ্ঞেস করল - কটা বাজে এখন ? সুনিতা - একটা বাজে আমার খিদে পেয়েছে চলো ক্যান্টিনে গিয়ে খেতে খেতে তোমার বাবাকে ফোন করে দাও।  রতন জানে একটার সময় ওর বাবার টিফিন হয় এখন ফোন করলে রিসেপশন থেকে বাবাকে দিতে পারবে না তাই ঠিক করল - দুটো নাগাদ  ফোন করবে।  এতক্ষন রতনের খিদে ছিল না কিন্তু চাকরিটা হয়ে যাবার কথা শুনে খিদেটা চাগার দিয়ে উঠলো। সুনিতা নিজেই খাবারের অর্ডার দিয়ে বলল - তুমি কাকুকে ফোনে বলে দাও আর তারপর চলো আমি আর তুমি বাড়িতে গিয়ে কাকিমাকে খবরটা দি।  রতন দেখলো কথাটা খারাপ বলেনি  সুনিতা।  দুটো বাজার পরে রতন সুনিতার মোবাইল থেকে ওর বাবার অফিসে ফোন করে ওর বাবাকে ডেকে দিতে বলল।  একটু বাদে ওর বাবার গলা পেতে  রতন বলল - বাবা আমার চাকরিটা হয়ে গেছে তুমি মাকে এখন কিছু বলোনা আমি নিজে বাড়িতে গিয়ে মায়ের পায়ের কাছে আমার অপোনেটমেন্ট লেটার রেখে কথাটা বলব। সনাতন বাবুর গলা বুঁজে আসছে মুখ দিয়ে কোনো কথা বেরোচ্ছেনা। ফোন রেখে দিলেন  . রিসেপশনের মেয়েটি জিজ্ঞেস করল - কি খবর বিশ্বাসবাবু কোনো খারাপ খবর ? সনাতন বাবু - নানা খারাম খবর নয় খুব ভালো খবর  আমার ছেলের রেখে চাকরি হয়ে গেছে।  মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে বলল - কংগ্রাচুলেশন বিশ্বাস বাবু , মিষ্টি খাওয়াতে হবে কিন্তু।
সনাতন বাবু - নিশ্চই খাওয়াব সবাইকে আমার আজকে খুব খুশির দিন। রিসেপশন থেকে নিজের ডিপার্টমেন্টে ঢুকে ওনার অফিসারকে কথাটা বলতে  উনি বললেন - আগে বাড়িতে যান আর কালকে টিফিনের সময় আমাদের মিষ্টি খাওয়াবেন। সনাতন বাবু - একটা কাজ একটু বাকি আছে ওটা শেষ  করেই আমি বেরিয়ে পড়ব আপনি শুধু হাফডে লিভ স্যাংশন করেদিন। 
 
সুনিতা ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে বলল - তুমি ওই কেবিনের কাছে অপেক্ষা করো আমি নিচে আছি একসাথে তোমার বাড়িতে যাবো। রতন কেবিনের কাছে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল।  ঠিক চারটের সময় ভিতর থেকে ডাক আসতে ভিতরে ঢুকলো।  সেখানে শুধু সিংজি ছিলেন ওকে দেখে এপোনেন্টমেন্ট লেটার বাড়িয়ে দিয়ে বললেন - এই নাও কালকেই তোমাকে জয়েন করতে হবে তিনতলায় তোমার অফিস সেখানে গিয়ে এই চিঠি বড় বাবুকে দেখালে তোমার টেবিল দেখিয়ে দেবে আর কি কি করতে হবে সব ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করবে। যাও বাড়ি গিয়ে মাকে খবরটা  দাও। কেউ নেই দেখে চট করে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে কেবিন থেকে বেরিয়ে এলো।  একদম নিচে এসে দেখে সুনিতা ওর জন্য দাঁড়িয়ে আছে। ওকে দেখে বলল - চলো ওর হাত ধরে ওর গাড়ি যেখানে রাখা ছিলো সেখানে গিয়ে গাড়িতে উঠে সোজা বাড়ির মনে এসে গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকতে যাবে তখুনি দেখে ওর বাবাও ঢুকছেন।  রতনকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল - চল তোর মাকে খবরটা দে সুনিতার দিকে তাকিয়ে  বললেন - এসো মা ভিতরে এসো।  রতন বাড়িতে ঢুকেই সোজা ওর মায়ের ঘরে ঢুকে দেখে যে ওর মা দু পা ছড়িয়ে বসে একটা বই পড়ছেন। অপন্টমেন্ট লেটার নিয়ে মায়ের পায়ের কাছে রেখে পায়ের উপরে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করতেই ওর মা চমকে উঠে রতনকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন - চাকরিটা হয়ে গেছে নারে বলেই ওর মাথা দুহাতের তালুতে ধরে কপালে একটা চুমু দিয়ে অঝোরে কাঁদতে লাগলেন।  সুনিতা তাড়াতাড়ি  কাছে গিয়ে বলল - ও কাকিমা একদম কাঁদবে না ওকে মিষ্টি খাওয়াও। কাজল চোখের জল মুছে বিছানা থেকে নেমে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে  গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল - এখানে বস আমি তোদের জন্য মিষ্টি নিয়ে আসছি। ওদিকে সনাতন বাবু - বাড়িতে ঢুকে অফিসের ব্যাগ রেখে  পাড়ার দোকানে গিয়ে অনেক মিষ্টি কিনে বাড়িতে ঢুকলেন।
কাজল রতনের জন্য পায়েস বানিয়ে ছিলেন সেটাই দুটো বাটিতে করে নিয়ে এসে রতনকে আর সুনিতাকে দিলেন।  সুনিতাকে বললেন - খেয়ে দেখো কেমন হয়েছে।  রতন আর সুনিতা মায়ের বিছানাতে বসেই পায়েস খেতে লাগল।  সনাতন বাবু ঘরে এসে কাজলকে বললেন - নাও পাড়ার সবাইকে মিষ্টি খাওয়াও আর একটা বক্স আলাদা করে নিয়ে এসেছিলেন সেটা সুনিতাকে দিয়ে বললেন বাড়িতে গিয়ে তোমার বাবাকে আর বোনকে দিও।  সুনিতা পায়েস শেষ করে কাজলকে জিজ্ঞেস করল - কাকিমা কি ভাবে বানিয়েছো আমাকে শেখাবে ? কাজল - তোমাকে শিখিয়ে দেবো আমার রতন পায়েস খেতে খুব ভালোবাসে।
সুনিতার ফোন বেজে উঠলো ফোন বের করে দেখে বলল - আমার মায়ের ফোন।  কথা বলতে জানতে পারলো যে ওর মা এয়ারপোর্টে আসছেন স্বে প্লেন ল্যান্ড করেছে।  ফোন রেখে রতনকে বলল - এই তুমি আমার সাথে যাবে এয়ারপোর্টে মা আসছেন ? রতন কোনোদিন এয়ারপোর্ট দেখেনি তাই বলে দিল - যাবো চলো।  কাজল - তোমার মা এখুনি এসে পড়বেন নাকি ? সুনিতা - হ্যা আমার জন্য অপেক্ষা করবেন।  কাজল - তাহলে তোমারদের তো এখুনি বেরোতে হবে। 
রতনকে নিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে বলল - এবার আমার মা তোমার বাবার বান্ধবী হবেন দেখে নিও।  রতন - ভালোই হলো কি বলো আমার মায়ের বন্ধু তোমার বাবা আর আমার বাবার বান্ধবী তোমার মা। হয় স্পিডে গাড়ি চালিয়ে চল্লিশ মিনিটে এয়ারপোর্টে পৌঁছে গেল। এয়ারপোর্টে থেকে সবাই বেরোচ্ছে দেখে সেই গেটের সামনে গিয়ে সুনিতা দাঁড়াল।  একটু বাদেই ওর মাকে দেখে হাত নাড়াল।  রতনকে বলল - ওই দেখো তোমার শাশুড়ি এসে গেছেন।  রতন প্রথম এয়ারপোর্টে এসেছে তাই চারিদিকে তাকিয়ে দেখতে ব্যস্ত ছিল সুনিতার কথায় চমকে উঠে জিজ্ঞেস করল - কি বললে
[+] 6 users Like gopal192's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: খেলার জন্য খেলা - by gopal192 - 06-06-2023, 01:57 PM



Users browsing this thread: 7 Guest(s)