05-06-2023, 01:09 AM
(This post was last modified: 11-07-2023, 05:42 PM by Rupuk Nir. Edited 16 times in total. Edited 16 times in total.)
আড়াল রহস্যময় সিরিজ
*প্রিয় পাঠকবৃন্দ*
*আড়াল*রহস্যময় সিরিজে ব্যবহৃত সমস্ত নাম, চরিত্র এবং স্থান সম্পূর্ণ কাল্পনিক ভাবে লেখা বাস্তব জগতের সাথে এর কোনো মিল বা অস্তিত্ব নেই।
*প্রিয় পাঠকবৃন্দ*
*আড়াল*রহস্যময় সিরিজে ব্যবহৃত সমস্ত নাম, চরিত্র এবং স্থান সম্পূর্ণ কাল্পনিক ভাবে লেখা বাস্তব জগতের সাথে এর কোনো মিল বা অস্তিত্ব নেই।
অরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি খড়তলী-হিরদানপুর।সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় মাদকচক্রের সাম্রাজ্যের আস্তানায় পরিনত হয়েছে।
খড়তলী -হিরদানপুর সার্কেলের নতুন এএসপি হিসেবে আজকে যোগদান করছে অনির রহমান।খড়তলী-হিরদানপুর দিন-দিন অনিরাপদ এবং খুন ডাকাতি চুরি প্রতি নিয়তো এসব বেড়ে চলছে মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।খড়তলী-হিরদানপুর সার্কেলের আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে।হেডকোয়ার্টার অনির মতো চৌকস একজন অফিসারের হাতে এই দায়িত্ব দিয়েছে।অনির বিগত রেকর্ড গুলো অসাধারণ এবং প্রশংসনীয়,অনির একজন সাহসী এবং বিচক্ষণ অফিসার।তাকে যে কাজ দেওয়া হয় সে কাজ টা শেষ করা না পযন্ত কোনো বাধাতে দমে যাওয়ার ছেলে সে না।অনির রহমান বয়স ৩৩ বছর এখনও বিয়ে করেনি সে।পেশিবহুল শরীর হাইট ৬ ফুট সুদর্শন পুরুষ গায়ের রং শ্যামলা।অনেক স্মার্ট ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করে।এসপি অফিস এসেছে অনির রহমান যোগদান করার জন্য।May I come in Sir?Yes,welcome Onir.বসো অনির হেডকোয়ার্টার যে জন্য তোমাকে এখানে পাঠিয়েছে আশা করি তুমি ভালো ভাবে তা সম্পূর্ণ করবে।সব ধরনের সহযোগিতা তুমি আমার কাছে থেকে পাবে যেকোনো সমস্যা হলে সাথেসাথেই আমাকে জানাবে।সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে অনির এসপি অফিস থেকে বের হয়ে গেলো।অনির বরাদ্দ করা গাড়িতে উঠে বসে গেলো অনির আপনার নাম কি?স্যার আমার নাম করিম পাটোয়ারী।এই সার্ভিসে কত বছরের চাকরি আপনার?স্যার ১৫ হয়ে গেছে।স্যার আপনি এখন অফিসে যাবেন নাকি বাড়িতে।অফিসে নিয়ে চলুন।ফোনে অনির মা আমি ভালো মতো পৌঁছে গেছি কিছুক্ষণ আগে যোগদান করলাম আমাকে নিয়ে তুমি অযথা দুশ্চিন্তা করো না তোমার ঔষুধগুলো সব ঠিকমতো খাবে।এখন রাখছি মা আবার পরে কথা হবে।শহরে বেড়ে ওঠা অনির কাছে খড়তলী-হিরদানপুর আশপাশের পরিবেশ বেশ মনোরম মনে হচ্ছে। খুব একটা ঘনবসতিপূণ নয় খড়তলী-হিরদান পুর।বেশ কয়েকটা ঘন জঙ্গল রয়েছে।খুব একটা আধুনিকতার এখানে গড়ে উঠেনি।গাড়ি চলে এসেছে অনির অফিসের সামনে গাড়ি থেকে নেমে অনির তার রুমে ঢুকলো।অনির চেয়ারে বসতেই একটা কনস্টেবল এসে বললো স্যার কিছু লাগবে,না আপাতত কিছু লাগবে না তোমার নাম স্যার আমার নাম সোহাগ।আচ্ছা সোহাগ এই এলাকা সম্পর্কে তুমি যা জানো আমাকে বললো,আমার জানা মতে স্যার খড়তলী-হরিদানপুর অসাধারণ সুন্দর কিন্তু স্যার কয়েকটা জঙ্গল ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদকচক্রের সাম্রাজ্যের আস্তানা ওঁরা অনেক ভয়ংকর স্যার ওঁদের আস্তানায় আজ পযন্ত কেউ ধারের কাছে ভয়ে যাইতে পারেনি।তাদের কাছে আমাদের থেকে ভালো মানের অস্ত্র আছে স্যার। সোহাগ বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।একটু পর খড়তলী-হিরদানপুর থানার দুই ইন্সপেক্টর হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে অনির অফিসে আসলো নতুন এএসপি স্যারের সাথে দেখা করার জন্য। স্যার ভিতরে আসতে পারি আমরা হ্যা আসুন দুই ইন্সপেক্টর রুমে ঢুকে অনির হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানানো অনিরকে।স্যার আপনার সাথে কাজ করার যে সৌভাগ্য আমার হয়েছে এটাই অনেক বড় অর্জন আমার ক্যারিয়ারের খড়তলী থানার ইন্সপেক্টর বললো।আপনার অনেক নাম শুনেছি স্যার হিরদানপুরের থানার ইন্সপেক্টর বললো।আপনাদের থানার অবস্থা তো ভালো না এজন্য তো এতো দূরে থেকে আমাকে আসতে হলো।আপনি যখন এসে পড়েছেন স্যার সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে হিরদানপুর থানার ইন্সপেক্টর বললো।দেখুন আপনারা নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে সব কিছু ভালো করেই জানেন আমি একদম অনিয়ম পছন্দ করি না।আপনারা দুই জন বিগত কয়েকমাসের রিপোর্ট করা ফাইল সমস্ত কেস ফাইল গুলোর কপি আমার অফিসে পাঠিয়ে দিবেন।চলুন আমার সাথে আপনারা দুইজন পুরো এলাকাটা আমাকে এখন ঘুরে দেখাবেন।দুই ইন্সপেক্টরকে সাথে নিয়ে অনির গাড়িতে উঠলো তার সার্কেলের পুরো এলাকা টা দেখার জন্য।স্যার এখানকার স্থানীয় মানুষজন অত্যন্ত সহজ সরল এবং শান্ত স্বভাবের।এদের প্রধান জীবিকা চাষাবাদ পশুপালন খড়তলী ইন্সপেক্টর বললো।চারপাশে শুধু বড় বড় গাছের সারি যে দিকে অনির চোখ পড়ছে সবুজ সমারোহ ,কোলাহলমুক্ত মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চিরসবুজ শীতল পরিবেশ।এখানে আসার আগে অনির ভাবতেই পারেনি এতোটা সুন্দর হবে।গাড়িতে ঘুরে ঘুরে পুরো সার্কেল এলাকা টা দেখালেন আর সব জায়গা সম্পর্কে অনিরকে বর্ণনা করলো দুই থানার ইন্সপেক্টর।একটা চায়ের দোকান দেখতে পেয়ে অনির গাড়ি থামাতে বললো।গাড়ি থেকে বের হয়ে অনির চায়ের দোকানে সামনে গিয়ে দাড়ালো,সবার জন্য চা দিতে বললো অনির।এটা আমাদের নতুন সার্কেল এএসপি স্যার চায়ের দোকানদারকে হিরদানপুর থানার ইন্সপেক্টর বললো।চা দেওয়ার পর অনির চা খেতে দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করলো আপনি এখানে কত দিন যাবত এই দোকান চালাছেন,স্যার ২১ বছর হলো আমার এখানে,এর আগে আমার বাপ এই দোকানে বসতো,বাপের সাথে মাঝে মধ্যে ছোট বেলায় বসতাম।বাপ মারা যাওয়ার পর থেকে আমি নিজেই বসি।চা খাওয়া শেষ করে দুই ইন্সপেক্টরকে অনির বললো,আপনাদের দুজনকে আর আটকিয়ে রাখছি না আপনারা নিজ নিজ থানায় চলে যান,থানায় অনেক কাজ পড়ে আছে।অনির তার গাড়িতে উঠে আবার তার অফিসে ফিরে আসলো।নিজের অফিস রুমের চেয়ারে বসে সোহাগকে ডাক দিলো অনির।স্যার আমাকে ডাকছিলেন,হ্যা শুনো আপাতত আমি একটা হোটেলে উঠেছি।তুমি আমার থাকার জন্য একটা বাসার ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।
খড়তলী -হিরদানপুর সার্কেলের নতুন এএসপি হিসেবে আজকে যোগদান করছে অনির রহমান।খড়তলী-হিরদানপুর দিন-দিন অনিরাপদ এবং খুন ডাকাতি চুরি প্রতি নিয়তো এসব বেড়ে চলছে মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।খড়তলী-হিরদানপুর সার্কেলের আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে।হেডকোয়ার্টার অনির মতো চৌকস একজন অফিসারের হাতে এই দায়িত্ব দিয়েছে।অনির বিগত রেকর্ড গুলো অসাধারণ এবং প্রশংসনীয়,অনির একজন সাহসী এবং বিচক্ষণ অফিসার।তাকে যে কাজ দেওয়া হয় সে কাজ টা শেষ করা না পযন্ত কোনো বাধাতে দমে যাওয়ার ছেলে সে না।অনির রহমান বয়স ৩৩ বছর এখনও বিয়ে করেনি সে।পেশিবহুল শরীর হাইট ৬ ফুট সুদর্শন পুরুষ গায়ের রং শ্যামলা।অনেক স্মার্ট ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করে।এসপি অফিস এসেছে অনির রহমান যোগদান করার জন্য।May I come in Sir?Yes,welcome Onir.বসো অনির হেডকোয়ার্টার যে জন্য তোমাকে এখানে পাঠিয়েছে আশা করি তুমি ভালো ভাবে তা সম্পূর্ণ করবে।সব ধরনের সহযোগিতা তুমি আমার কাছে থেকে পাবে যেকোনো সমস্যা হলে সাথেসাথেই আমাকে জানাবে।সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে অনির এসপি অফিস থেকে বের হয়ে গেলো।অনির বরাদ্দ করা গাড়িতে উঠে বসে গেলো অনির আপনার নাম কি?স্যার আমার নাম করিম পাটোয়ারী।এই সার্ভিসে কত বছরের চাকরি আপনার?স্যার ১৫ হয়ে গেছে।স্যার আপনি এখন অফিসে যাবেন নাকি বাড়িতে।অফিসে নিয়ে চলুন।ফোনে অনির মা আমি ভালো মতো পৌঁছে গেছি কিছুক্ষণ আগে যোগদান করলাম আমাকে নিয়ে তুমি অযথা দুশ্চিন্তা করো না তোমার ঔষুধগুলো সব ঠিকমতো খাবে।এখন রাখছি মা আবার পরে কথা হবে।শহরে বেড়ে ওঠা অনির কাছে খড়তলী-হিরদানপুর আশপাশের পরিবেশ বেশ মনোরম মনে হচ্ছে। খুব একটা ঘনবসতিপূণ নয় খড়তলী-হিরদান পুর।বেশ কয়েকটা ঘন জঙ্গল রয়েছে।খুব একটা আধুনিকতার এখানে গড়ে উঠেনি।গাড়ি চলে এসেছে অনির অফিসের সামনে গাড়ি থেকে নেমে অনির তার রুমে ঢুকলো।অনির চেয়ারে বসতেই একটা কনস্টেবল এসে বললো স্যার কিছু লাগবে,না আপাতত কিছু লাগবে না তোমার নাম স্যার আমার নাম সোহাগ।আচ্ছা সোহাগ এই এলাকা সম্পর্কে তুমি যা জানো আমাকে বললো,আমার জানা মতে স্যার খড়তলী-হরিদানপুর অসাধারণ সুন্দর কিন্তু স্যার কয়েকটা জঙ্গল ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদকচক্রের সাম্রাজ্যের আস্তানা ওঁরা অনেক ভয়ংকর স্যার ওঁদের আস্তানায় আজ পযন্ত কেউ ধারের কাছে ভয়ে যাইতে পারেনি।তাদের কাছে আমাদের থেকে ভালো মানের অস্ত্র আছে স্যার। সোহাগ বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।একটু পর খড়তলী-হিরদানপুর থানার দুই ইন্সপেক্টর হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে অনির অফিসে আসলো নতুন এএসপি স্যারের সাথে দেখা করার জন্য। স্যার ভিতরে আসতে পারি আমরা হ্যা আসুন দুই ইন্সপেক্টর রুমে ঢুকে অনির হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানানো অনিরকে।স্যার আপনার সাথে কাজ করার যে সৌভাগ্য আমার হয়েছে এটাই অনেক বড় অর্জন আমার ক্যারিয়ারের খড়তলী থানার ইন্সপেক্টর বললো।আপনার অনেক নাম শুনেছি স্যার হিরদানপুরের থানার ইন্সপেক্টর বললো।আপনাদের থানার অবস্থা তো ভালো না এজন্য তো এতো দূরে থেকে আমাকে আসতে হলো।আপনি যখন এসে পড়েছেন স্যার সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে হিরদানপুর থানার ইন্সপেক্টর বললো।দেখুন আপনারা নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে সব কিছু ভালো করেই জানেন আমি একদম অনিয়ম পছন্দ করি না।আপনারা দুই জন বিগত কয়েকমাসের রিপোর্ট করা ফাইল সমস্ত কেস ফাইল গুলোর কপি আমার অফিসে পাঠিয়ে দিবেন।চলুন আমার সাথে আপনারা দুইজন পুরো এলাকাটা আমাকে এখন ঘুরে দেখাবেন।দুই ইন্সপেক্টরকে সাথে নিয়ে অনির গাড়িতে উঠলো তার সার্কেলের পুরো এলাকা টা দেখার জন্য।স্যার এখানকার স্থানীয় মানুষজন অত্যন্ত সহজ সরল এবং শান্ত স্বভাবের।এদের প্রধান জীবিকা চাষাবাদ পশুপালন খড়তলী ইন্সপেক্টর বললো।চারপাশে শুধু বড় বড় গাছের সারি যে দিকে অনির চোখ পড়ছে সবুজ সমারোহ ,কোলাহলমুক্ত মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চিরসবুজ শীতল পরিবেশ।এখানে আসার আগে অনির ভাবতেই পারেনি এতোটা সুন্দর হবে।গাড়িতে ঘুরে ঘুরে পুরো সার্কেল এলাকা টা দেখালেন আর সব জায়গা সম্পর্কে অনিরকে বর্ণনা করলো দুই থানার ইন্সপেক্টর।একটা চায়ের দোকান দেখতে পেয়ে অনির গাড়ি থামাতে বললো।গাড়ি থেকে বের হয়ে অনির চায়ের দোকানে সামনে গিয়ে দাড়ালো,সবার জন্য চা দিতে বললো অনির।এটা আমাদের নতুন সার্কেল এএসপি স্যার চায়ের দোকানদারকে হিরদানপুর থানার ইন্সপেক্টর বললো।চা দেওয়ার পর অনির চা খেতে দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করলো আপনি এখানে কত দিন যাবত এই দোকান চালাছেন,স্যার ২১ বছর হলো আমার এখানে,এর আগে আমার বাপ এই দোকানে বসতো,বাপের সাথে মাঝে মধ্যে ছোট বেলায় বসতাম।বাপ মারা যাওয়ার পর থেকে আমি নিজেই বসি।চা খাওয়া শেষ করে দুই ইন্সপেক্টরকে অনির বললো,আপনাদের দুজনকে আর আটকিয়ে রাখছি না আপনারা নিজ নিজ থানায় চলে যান,থানায় অনেক কাজ পড়ে আছে।অনির তার গাড়িতে উঠে আবার তার অফিসে ফিরে আসলো।নিজের অফিস রুমের চেয়ারে বসে সোহাগকে ডাক দিলো অনির।স্যার আমাকে ডাকছিলেন,হ্যা শুনো আপাতত আমি একটা হোটেলে উঠেছি।তুমি আমার থাকার জন্য একটা বাসার ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।
হ্যা অবশ্যই পারবো স্যার,আমি এখুনি খোঁজ শুরু করে দিচ্ছি স্যার,কালের মধ্যে কয়েকটা ভালো মানের বাসা পেয়ে যাবো।আপনার যেটা পছন্দ হবে সেটাই উঠবেন।