04-06-2023, 03:17 PM
দূর হিমালয়ের পাদদেশে ঘোড়ায় করে চলেছে এক যুবক, তার অঙ্গে শুধুই শ্বেতবস্ত্র, যুকব ঘোড়া থেকে নেমে এদিক এদিক দেখল,কেউ তাকে অনুসরণ করছে না তো! নিশ্চিত হয়ে সে ঘোড়ার লাগাম ধরে এগিয়ে চলে। বরফের মাঝে মিশে গেল এক যুবক আর তার সাদা ঘোড়া। যুবক তপস্যায় চলেছে,
সে আর কখনও মানুষের মাঝে থাকবে না। গত সাড়ে ছয়হাজার বছর ধরে সে এই পৃথিবীর বুকে চলে বেরাচ্ছে। সে কোথা থেকে এলো, আর তার বাবা-মা কেমন দেখতে তাও তার আর মনে নেই। নিজের প্রাথমিক জীবনে যাকে সে গুরু মনে করেছিল, তার আদেশেই সে এখনও এই মানুষদের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে। কেউ যদি জানতে পারে তাহলে মানব জাতির সমূহ বিপদ। গুরু তাকে বলেছেন কখনও মানুষের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে শুধু দেখে যেতে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে সে নিজেকে আটকাতে পারছে না। এতো অসীম শক্তির অধিকারী হয়েও সে অনাচার সহ্য করছে মুখ বুজে। ঘুমের দেশে যেতে যেতে গুরু তাকে স্বপ্ন দিল, গুরু বলছেন হিমালয়ের কোলে তপস্যায় যেতে সঠিক সময়ে নেমে আসতে হবে। যখন আবার বিপদ দেখা দেবে। তাকে যে কিছু লোক খুঁজছে তা সে জানত। এবার গুরুর আদেশে এদের থেকে বাঁচার উপায়ও পেয়ে গেল। এদেরকে হারানো তার কাছে কোনো ব্যাপার না, তার ভয় নিজেকে নিয়ে, শক্তি নিজের হাতের বাইরে চলে গেলে তার থেকে ভয়ানক অস্ত্র আর পৃথিবীতে নেই। ঘোড়ায় করে চলেছে যুবক বরফে কিছুই দেখা যায় না, হঠাৎই কালো পোষাক পড়া কিছু সৈন্য ঘিরে ধরল, তাকে চারিদিকে ঘোড়ার রাশ আলগা করল যুবক, তারপরই তরবারি ঝলসে উঠল যেন। ভয়ে ঘুম থেকে উঠে বসেছি। অন্ধকার! গলা শুকিয়ে গেছে, কিছুক্ষণ পর একটু সুস্থ হলে বুঝলাম, আদির রুমে শুয়ে আছি, আদি কই? এমন গল্প বলল যার জন্য এইসব উল্টো পাল্টা স্বপ্ন দেখলাম। উঠে বসলাম, টেবিলে জলের গ্লাস রাখা, জল খেয়ে আলো জ্বালালাম, পাশের ঘরে বীণার শব্দ আসছে, মন কেমন করা সুর। মনটা উদাস হয়ে গেল। খালি আদির গল্পের সেই যুবকের কথা মনে পড়ছে, একটা মানুষ বরফের রাজ্যে হারিয়ে গেল। আদি কথাগুলো বলার সময় কেমন উদাস হয়ে গেছিল। যেন কত আপন কারো গল্প বলছে ও। নিজের আব্বার মুখ থেকে শুনেছে বলেই হয়তো।
পাশের ঘরে গিয়ে দেখলাম, আদি চোখ বুজে বীণা বাজিয়ে চলেছে। আমি দরজায় দাঁড়াতেই চোখ খুলে বলল, চলো তোমায় বাড়ি ছেড়ে দি। তোমার বাবা চিন্তা করছেন, তোমার ফোনে ফোন এসেছিল।
ফোন!! তাইতো ফোনটা কই?
পাশের ঘরে
দ্রুত আবার শোয়ার ঘরে ফিরে এসে দেখলাম আব্বার চারটে আর ভাইয়ার দুটো মিসকল।
আব্বাকে কল দিলাম।
গল্প ঠিক করেই রেখেছি। বলব এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসেছিলাম, ছোটো পার্টি ছিল দুপুরে, একটু পরে ফিরব।
কথা বলে রুমের বাইরে বের হতে গিয়ে আদির সাথে লাগল ধাক্কা, আমার ড্রেসে চা পড়ে একাকার অবস্থা, আদি বলল
"এই যা! এবার কি হবে? তোমার তো ড্রেস নেই!"
আরে তুমি দেখে চলতে পারো না?
চা নিয়ে আসছিলাম, তুমিই তো ফোন রেখে তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে ধাক্কা দিলে।
এখন কি পড়ে বেরব?
এখানে তুমি কিছু না পড়লেও চলবে। বলে আদি হাসতে লাগল। ইয়ার্কি করো না।
আচ্ছা রাগ করো না, আমি দেখছি। বলেই আদি বেরিয়ে গেল তারপর একটা কালো গেঞ্জি আর সাদা প্যান্ট নিয়ে এলো।
এই এগুলো কার?! সত্যি করে বলো তো এখানে আরও মেয়ে নিয়ে এসে কি করো, হে আল্লাহ্, ছি ছিল...এই ছেলেটা
আরে আরে, তুমি তো বলেই যাচ্ছ। এটা আমার পড়ে দেখ। মাফ করো মা। বলে আদি পোষাক দিয়ে রান্না ঘর
চলে গেল। আমি ড্রেস চেঞ্জ করতে শুরু করতেই, আদি আবার রুমে ফিরে এলো।
সরি সরি! আমি কিছু দেখিনি।
বলেই আবার বেরিয়ে গেল।
নিজেরই হাসি পেয়ে গেল। ড্রেস চেঞ্জ করে আদির কাছে এলাম। আদি চা করে কাপে রেখেছ। ঘুরে আমার দিকে তাকাতেই, ছেলে হা করে তাকিয়ে আছে, বললাম কি হলো? মাছি ঢুকে যাবে তো। আদি বলল "তোমার বাবার ফোন না এলে, আরও একঘন্টা দেরী হতো"
"ধ্যাত খালি বাজে কথা"
আচ্ছা চলো চা টা খাও, দিয়ে বেরবো।
সে আর কখনও মানুষের মাঝে থাকবে না। গত সাড়ে ছয়হাজার বছর ধরে সে এই পৃথিবীর বুকে চলে বেরাচ্ছে। সে কোথা থেকে এলো, আর তার বাবা-মা কেমন দেখতে তাও তার আর মনে নেই। নিজের প্রাথমিক জীবনে যাকে সে গুরু মনে করেছিল, তার আদেশেই সে এখনও এই মানুষদের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে। কেউ যদি জানতে পারে তাহলে মানব জাতির সমূহ বিপদ। গুরু তাকে বলেছেন কখনও মানুষের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে শুধু দেখে যেতে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে সে নিজেকে আটকাতে পারছে না। এতো অসীম শক্তির অধিকারী হয়েও সে অনাচার সহ্য করছে মুখ বুজে। ঘুমের দেশে যেতে যেতে গুরু তাকে স্বপ্ন দিল, গুরু বলছেন হিমালয়ের কোলে তপস্যায় যেতে সঠিক সময়ে নেমে আসতে হবে। যখন আবার বিপদ দেখা দেবে। তাকে যে কিছু লোক খুঁজছে তা সে জানত। এবার গুরুর আদেশে এদের থেকে বাঁচার উপায়ও পেয়ে গেল। এদেরকে হারানো তার কাছে কোনো ব্যাপার না, তার ভয় নিজেকে নিয়ে, শক্তি নিজের হাতের বাইরে চলে গেলে তার থেকে ভয়ানক অস্ত্র আর পৃথিবীতে নেই। ঘোড়ায় করে চলেছে যুবক বরফে কিছুই দেখা যায় না, হঠাৎই কালো পোষাক পড়া কিছু সৈন্য ঘিরে ধরল, তাকে চারিদিকে ঘোড়ার রাশ আলগা করল যুবক, তারপরই তরবারি ঝলসে উঠল যেন। ভয়ে ঘুম থেকে উঠে বসেছি। অন্ধকার! গলা শুকিয়ে গেছে, কিছুক্ষণ পর একটু সুস্থ হলে বুঝলাম, আদির রুমে শুয়ে আছি, আদি কই? এমন গল্প বলল যার জন্য এইসব উল্টো পাল্টা স্বপ্ন দেখলাম। উঠে বসলাম, টেবিলে জলের গ্লাস রাখা, জল খেয়ে আলো জ্বালালাম, পাশের ঘরে বীণার শব্দ আসছে, মন কেমন করা সুর। মনটা উদাস হয়ে গেল। খালি আদির গল্পের সেই যুবকের কথা মনে পড়ছে, একটা মানুষ বরফের রাজ্যে হারিয়ে গেল। আদি কথাগুলো বলার সময় কেমন উদাস হয়ে গেছিল। যেন কত আপন কারো গল্প বলছে ও। নিজের আব্বার মুখ থেকে শুনেছে বলেই হয়তো।
পাশের ঘরে গিয়ে দেখলাম, আদি চোখ বুজে বীণা বাজিয়ে চলেছে। আমি দরজায় দাঁড়াতেই চোখ খুলে বলল, চলো তোমায় বাড়ি ছেড়ে দি। তোমার বাবা চিন্তা করছেন, তোমার ফোনে ফোন এসেছিল।
ফোন!! তাইতো ফোনটা কই?
পাশের ঘরে
দ্রুত আবার শোয়ার ঘরে ফিরে এসে দেখলাম আব্বার চারটে আর ভাইয়ার দুটো মিসকল।
আব্বাকে কল দিলাম।
গল্প ঠিক করেই রেখেছি। বলব এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসেছিলাম, ছোটো পার্টি ছিল দুপুরে, একটু পরে ফিরব।
কথা বলে রুমের বাইরে বের হতে গিয়ে আদির সাথে লাগল ধাক্কা, আমার ড্রেসে চা পড়ে একাকার অবস্থা, আদি বলল
"এই যা! এবার কি হবে? তোমার তো ড্রেস নেই!"
আরে তুমি দেখে চলতে পারো না?
চা নিয়ে আসছিলাম, তুমিই তো ফোন রেখে তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে ধাক্কা দিলে।
এখন কি পড়ে বেরব?
এখানে তুমি কিছু না পড়লেও চলবে। বলে আদি হাসতে লাগল। ইয়ার্কি করো না।
আচ্ছা রাগ করো না, আমি দেখছি। বলেই আদি বেরিয়ে গেল তারপর একটা কালো গেঞ্জি আর সাদা প্যান্ট নিয়ে এলো।
এই এগুলো কার?! সত্যি করে বলো তো এখানে আরও মেয়ে নিয়ে এসে কি করো, হে আল্লাহ্, ছি ছিল...এই ছেলেটা
আরে আরে, তুমি তো বলেই যাচ্ছ। এটা আমার পড়ে দেখ। মাফ করো মা। বলে আদি পোষাক দিয়ে রান্না ঘর
চলে গেল। আমি ড্রেস চেঞ্জ করতে শুরু করতেই, আদি আবার রুমে ফিরে এলো।
সরি সরি! আমি কিছু দেখিনি।
বলেই আবার বেরিয়ে গেল।
নিজেরই হাসি পেয়ে গেল। ড্রেস চেঞ্জ করে আদির কাছে এলাম। আদি চা করে কাপে রেখেছ। ঘুরে আমার দিকে তাকাতেই, ছেলে হা করে তাকিয়ে আছে, বললাম কি হলো? মাছি ঢুকে যাবে তো। আদি বলল "তোমার বাবার ফোন না এলে, আরও একঘন্টা দেরী হতো"
"ধ্যাত খালি বাজে কথা"
আচ্ছা চলো চা টা খাও, দিয়ে বেরবো।