01-06-2023, 05:30 PM
(This post was last modified: 01-06-2023, 05:31 PM by চিত্রক. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
২৩ শে সেপ্টেম্বর
আদি আপাত দৃষ্টিতে শক্তিশালী মনে না হলেও ওর মধ্যে একটা অদ্ভুত শক্তি আছে সেটা বুঝেছি। ওকে দেখে পাতলার উপর মনে হয় কিন্তু ওর দেহ গঠনের সাথে শক্তির কোনো তুলনা হয় না। সেদিন দুপুরে টেবিলে আদি আমাকে বসিয়ে খাওয়ার পরিবেশন করতে শুরু করল। আদি সব নিরামিষ রান্না করেছে, আদির রান্নাটাও খারাপ না। খেতে খেতে আদি বলল আরও একটা পদ বানাতাম, কিন্তু তুমি যা দস্যিপনা শুরু করলে। আমি হেসে বললাম, শুধু আমিই না? .....তুমি কিছুই করোনি? করেছি তো তোমায় আদর, বলেই আদি মুচকি মুচকি হাসতে লাগল। আদি হাসছে, ওর খাবার থালা এখনও একই রকম। আমি বললাম কি ব্যাপার খাও!
হু, তুমি খাও আমি আস্তে আস্তে খাবো
দাঁড়াও আমি খাইয়ে দিচ্চি।
আদি একটু আপত্তি করছিল, তারপর একটু শাসন করতেই মিষ্টি হেসে আমার হাত থেকে খেতে লাগল। একটা ঘটনা ভারী অদ্ভুত এতোক্ষণ এখানে আছি, বাইরের রোদ ভালোই তবু গরম লাগছে না একদমই প্রায়, এখন বরং আরও একটু নরম আর শীতল ওয়েদার হয়ে গেছে।
দুজনের খাওয়া হলে আদি বলল তুমি রুমে শোও আমি সব পরিষ্কার করে আসছি।
আদির শোয়ার ঘরে প্রচুর পরার বই, কিছু সংস্কৃত বই কিছু পারসি-আরাবীয়-উর্দু প্রায় সব বইই আছে।
একটা বই খুললাম, বই না বলে পুঁথি বলায় ভালো পালি ভাষায় কিছু লেখা রয়েছে। পড়ার চেষ্টা করলাম পারলাম না। আরও একটা বই দেখলাম উর্দুতে লেখা আধুনিক কালের লেখক। বাহ, আদির চয়েস আছে। এদিক-ওদিক বইকেসটা দেখছি, এমন সময় একটা ছোটো বাঁধানো ফোটো চোখে পড়ল একদম আদির মুখ বসানো, কিন্তু রাজপোষাক পড়া,প্রথমে ছবি মনে হলেও ভালো করে দেখলে বোঝা যায় ওটা আঁকা কোনো শিল্পীর, খুব যত্ন করে লুকিয়ে রাখা আছে ছবিটা, সহজে দেখলে ছবিটা দেখা যাবেই না। আস্তে আস্তে ছবিটা বের করলাম। একদম হুবহু আদি, কিন্তু রাজকীয় পোষাক, দেখে মনে হয় আধুনিক তুলি দিয়ে রং করা না আঁকার বিষয়ে আমার যে নলেজ তা থেকে বোঝা যায় দামী কোনো পুরনো তুলি বা ওই জাতীয় কিছু দিয়ে রং করা হয়েছে। আমি ছবিটা আর একটু খুঁটিয়ে দেখতেই পেছন থেকে আদির গলা পেলাম, পরী সাবধানে, বলেই আদি দৌড়ে এসে আমার হাত থেকে ছবিটা ছিনিয়ে নিয়ে যথাস্থানে রাখল। তারপর নিজেই বলল, একটা কাছের বন্ধু ওটা এঁকেছিল। বললাম হ্যাট ছবির রং আমাদের সময়েরই না। আদি হেসে বলল আরে তিন-চার বছর আগেই আঁকানো পরে পরে ধূলো জমে এরকম মনে হচ্ছে।
এসো শুয়ে শুয়ে গল্প করি।
আদির খাটে শুয়ে বেশ আরাম লাগছিল। গরম একদমই নেই ঘরে আদি শুতেই আসে আসে ওর কোলে শুয়ে পড়লাম,
আদি তোমার মা-বাবা থাকেন না এখানে?
পরী আমার জন্মের সময় মা মারা যায়, তারপর হস্টেলে মানুষ তারপর বাবা কম্পানির জন্য প্রায়ই বাইরে থাকতেন। সিমলায় আমাদের একটা পৈতৃক বাড়ি ছিল সেখানেই মাঝে মাঝে আসতাম।নন্দীবাবু আর ওনার বাবা ব্যবসা দেখতেন সেই সময় বাবাও মাঝে মাঝে আসতেন তারপর ব্যবসার সবটায় নন্দীবাবুর হাতে দিয়ে উনি সিমলাতেই থাকতে শুরু করেন। আমার ১৮ বছর বয়সে একদিন খবর পাস বাবা আর নেই। তারপর পড়াশোনা করে আমিও এখানেই কম্পানি সামতালে শুরু করি। সিমলাই আর যায় না বেশি।
আদি তোমার বাবার একটাও ছবি নেই কেন ঘরে?
আদি একটু থতমত খেয়ে বলল "এখানে নেই, সিমলার বাড়িতে আছে, আসলে এখানে ..... বাবার সাথে আমার সম্পর্কটাও কখনও সেরকম হয়নি। "
মন খারাপ করো না, বলে আদিকে জড়িয়ে ধরলাম।
এই আদি, একটা গল্প বলো না!
গল্প?! এখন?
হু, প্লিজ বলেই আদির বুকের উপরই আরও একটু গুটি-সুটি মেরে শুয়ে পড়লাম।
আদি আপাত দৃষ্টিতে শক্তিশালী মনে না হলেও ওর মধ্যে একটা অদ্ভুত শক্তি আছে সেটা বুঝেছি। ওকে দেখে পাতলার উপর মনে হয় কিন্তু ওর দেহ গঠনের সাথে শক্তির কোনো তুলনা হয় না। সেদিন দুপুরে টেবিলে আদি আমাকে বসিয়ে খাওয়ার পরিবেশন করতে শুরু করল। আদি সব নিরামিষ রান্না করেছে, আদির রান্নাটাও খারাপ না। খেতে খেতে আদি বলল আরও একটা পদ বানাতাম, কিন্তু তুমি যা দস্যিপনা শুরু করলে। আমি হেসে বললাম, শুধু আমিই না? .....তুমি কিছুই করোনি? করেছি তো তোমায় আদর, বলেই আদি মুচকি মুচকি হাসতে লাগল। আদি হাসছে, ওর খাবার থালা এখনও একই রকম। আমি বললাম কি ব্যাপার খাও!
হু, তুমি খাও আমি আস্তে আস্তে খাবো
দাঁড়াও আমি খাইয়ে দিচ্চি।
আদি একটু আপত্তি করছিল, তারপর একটু শাসন করতেই মিষ্টি হেসে আমার হাত থেকে খেতে লাগল। একটা ঘটনা ভারী অদ্ভুত এতোক্ষণ এখানে আছি, বাইরের রোদ ভালোই তবু গরম লাগছে না একদমই প্রায়, এখন বরং আরও একটু নরম আর শীতল ওয়েদার হয়ে গেছে।
দুজনের খাওয়া হলে আদি বলল তুমি রুমে শোও আমি সব পরিষ্কার করে আসছি।
আদির শোয়ার ঘরে প্রচুর পরার বই, কিছু সংস্কৃত বই কিছু পারসি-আরাবীয়-উর্দু প্রায় সব বইই আছে।
একটা বই খুললাম, বই না বলে পুঁথি বলায় ভালো পালি ভাষায় কিছু লেখা রয়েছে। পড়ার চেষ্টা করলাম পারলাম না। আরও একটা বই দেখলাম উর্দুতে লেখা আধুনিক কালের লেখক। বাহ, আদির চয়েস আছে। এদিক-ওদিক বইকেসটা দেখছি, এমন সময় একটা ছোটো বাঁধানো ফোটো চোখে পড়ল একদম আদির মুখ বসানো, কিন্তু রাজপোষাক পড়া,প্রথমে ছবি মনে হলেও ভালো করে দেখলে বোঝা যায় ওটা আঁকা কোনো শিল্পীর, খুব যত্ন করে লুকিয়ে রাখা আছে ছবিটা, সহজে দেখলে ছবিটা দেখা যাবেই না। আস্তে আস্তে ছবিটা বের করলাম। একদম হুবহু আদি, কিন্তু রাজকীয় পোষাক, দেখে মনে হয় আধুনিক তুলি দিয়ে রং করা না আঁকার বিষয়ে আমার যে নলেজ তা থেকে বোঝা যায় দামী কোনো পুরনো তুলি বা ওই জাতীয় কিছু দিয়ে রং করা হয়েছে। আমি ছবিটা আর একটু খুঁটিয়ে দেখতেই পেছন থেকে আদির গলা পেলাম, পরী সাবধানে, বলেই আদি দৌড়ে এসে আমার হাত থেকে ছবিটা ছিনিয়ে নিয়ে যথাস্থানে রাখল। তারপর নিজেই বলল, একটা কাছের বন্ধু ওটা এঁকেছিল। বললাম হ্যাট ছবির রং আমাদের সময়েরই না। আদি হেসে বলল আরে তিন-চার বছর আগেই আঁকানো পরে পরে ধূলো জমে এরকম মনে হচ্ছে।
এসো শুয়ে শুয়ে গল্প করি।
আদির খাটে শুয়ে বেশ আরাম লাগছিল। গরম একদমই নেই ঘরে আদি শুতেই আসে আসে ওর কোলে শুয়ে পড়লাম,
আদি তোমার মা-বাবা থাকেন না এখানে?
পরী আমার জন্মের সময় মা মারা যায়, তারপর হস্টেলে মানুষ তারপর বাবা কম্পানির জন্য প্রায়ই বাইরে থাকতেন। সিমলায় আমাদের একটা পৈতৃক বাড়ি ছিল সেখানেই মাঝে মাঝে আসতাম।নন্দীবাবু আর ওনার বাবা ব্যবসা দেখতেন সেই সময় বাবাও মাঝে মাঝে আসতেন তারপর ব্যবসার সবটায় নন্দীবাবুর হাতে দিয়ে উনি সিমলাতেই থাকতে শুরু করেন। আমার ১৮ বছর বয়সে একদিন খবর পাস বাবা আর নেই। তারপর পড়াশোনা করে আমিও এখানেই কম্পানি সামতালে শুরু করি। সিমলাই আর যায় না বেশি।
আদি তোমার বাবার একটাও ছবি নেই কেন ঘরে?
আদি একটু থতমত খেয়ে বলল "এখানে নেই, সিমলার বাড়িতে আছে, আসলে এখানে ..... বাবার সাথে আমার সম্পর্কটাও কখনও সেরকম হয়নি। "
মন খারাপ করো না, বলে আদিকে জড়িয়ে ধরলাম।
এই আদি, একটা গল্প বলো না!
গল্প?! এখন?
হু, প্লিজ বলেই আদির বুকের উপরই আরও একটু গুটি-সুটি মেরে শুয়ে পড়লাম।