27-05-2023, 12:24 PM
(#০১)
সুত্রপাতঃ
কাকলি রাস্তার অপর পারে দাঁড়িয়ে বাস এর জন্যে অপেক্ষা করছিল। ওর ছেলের আজ বাৎসরিক পরীক্ষা শুরু। ছেলে নীল ক্লাস থ্রী তে পড়ে একটি স্থানীয় ইংলিশ মিডিয়াম কলেজে। ঘড়িতে দেখল ছটা চল্লিশ, মৈনাক এখন অফিসে গেল। ওর আবার অফিসের বাৎসরিক হিসাবের এর সময়, প্রচুর কাজের চাপ, এখান থেকে যেতেও ট্রেন বাস মিলিয়ে দেড় ঘণ্টার বেশি লাগে, রাত এ ফিরতে রোজ দশ টা-এগারো টা। এক অটোর শব্দে ওর দৃষ্টি টা ছুটে গেল উলটো দিকের চায়ের দোকানের দিকে। এক বছর চব্বিশ কি পঁচিশ এর ছেলে, লাল টি শার্ট আর হালকা নীল জিন্স পরে বাইক এর ওপর বসে আছে, ওর দিকে তাকিয়ে, পাশের সমবয়েসী কি একটু বেশি হবে, একটা ছেলের সাথে কথা বলছে। ও সামনের দিকে তাকায়, হটাত ওর ছেলে, নীল, বলে ওঠে-
- মা দেখো, কালকের সেই কাকুটা।
কথাটা শুনেই ওর বুক টা ধক করে ওঠে, কাল ও যখন রাত্রে ফিরছিল ওর স্বামী মৈনাক এর সাথে তখন ছেলেটা মৈনাক ওর সাথে কথা বলছিল। ওর আর মৈনাক কে জিজ্ঞেস করে ওঠা হয়নি। ও সামনে তাকাতেই লক্ষ করল ছেলেটা ওর দিকেই তাকিয়ে আছে, ওর একটা আচেনা অনুভুতি হতে শুরু করল, নিজের অজান্তে হাত চলে গেল বুকের আঁচল ঠিক করতে, পিঠের ব্লাউজ সরাল, ব্রা এর স্ত্রাপ টা না বের হয়ে যায়, ছেলে দুটো যে ওকে নিয়ে আলোচনা করছে সেটা ও বুঝতে পারল। মেয়েদের একটা সহজাত মানসিক অবস্থা আছে যা ছেলেদের নেই। তার পরই কলেজবাস এসে গেল, নীল কে বাস এ তুলে দিয়ে একটু দাঁড়িয়ে বাস এর শেষ দৃশ্য ওর দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা টপকে নিজের ফ্ল্যাট এর দিকে হাঁটতে শুরু করল। ওর ফ্ল্যাট হেঁটে দু মিনিট এর রাস্তা এখান থেকে। কাজের বউ রমা ওর জন্যে বসে থাকবে যতক্ষণ না ও ফেরে। হটাত একটা মোটর সাইকেল এর শব্দ পেল ওর পিছনে, আর ওর পাশে এসে থামল। ও দেখল সেই লাল টি শার্ট। ওর বুক টা ধুক পুক করে উঠল-
- হাই বৌদি, কোথায় গেছিলেন?
- এই, ছেলে কে বাস এ তুলে দিতে। মুখে মেকি হাসি ঝুলিয়ে উত্তর দেয় হাঁটতে হাঁটতে।
- ভাল আছেন?
- হ্যাঁ... আছি আর কি, আপনি?
- চিনতে পারছেন তো? নাকি ভুলে গেলেন? আমি বিন্দাস
- সেদিন দেখলাম, তবে ঠিক পরিচয় নেই,
- আমি ভিকি, ভিকি গিলানি, মৈনাক দা আমাদের ক্লাব এর সেক্রেটারি। সেদিন সরস্বতী পুজার সকালে আপনার সাথে দেখা হল, আপনি হলুদ শাড়ি আর লাল ব্লাউজ পরে এসেছিলেন।
- ওহ হ্যাঁ, মনে পরেছে, এখন আসি।
- মৈনাক দা বলছিলেন আপনি ভাল আঁকতে জানেন, দেখাবেন আপনার কালেকশন?
- হ্যাঁ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, বাড়িতে আসুন না একদিন
- ওকে, আসব একদিন, আড্ডা দিতে। বাই
- বাই
ও হাঁটতে থাকে বাড়ির উদ্দেশে কিন্তু মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে ওই কথা। ফ্ল্যাট এ পৌঁছে মৈনাক এর ফোন পায়, ও বাস এ উঠেছে। রমা চলে যায়, ও নিজের জন্যে চাউ করতে বসে, শাড়ী ছেড়ে নাইটি পরে নেয়। মনে বার বার আসে একটা কথা, ভিকি ব্লাউজ এর কথা বলল কেন। একটা অন্য রকম অনুভুতি হতে থাকে ওর মনে। আচ্ছা ভিকি কি মাড়ওয়ারি? মন কে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার বৃথা চেষ্টা করার জন্যে মা কে ফোন করে।তারপর টিভি দেখতে বসলো। এখন আর কাজ নেই। এক কথায় ভিকি কে বেশ ভালই লাগল কাকলির।
সুত্রপাতঃ
কাকলি রাস্তার অপর পারে দাঁড়িয়ে বাস এর জন্যে অপেক্ষা করছিল। ওর ছেলের আজ বাৎসরিক পরীক্ষা শুরু। ছেলে নীল ক্লাস থ্রী তে পড়ে একটি স্থানীয় ইংলিশ মিডিয়াম কলেজে। ঘড়িতে দেখল ছটা চল্লিশ, মৈনাক এখন অফিসে গেল। ওর আবার অফিসের বাৎসরিক হিসাবের এর সময়, প্রচুর কাজের চাপ, এখান থেকে যেতেও ট্রেন বাস মিলিয়ে দেড় ঘণ্টার বেশি লাগে, রাত এ ফিরতে রোজ দশ টা-এগারো টা। এক অটোর শব্দে ওর দৃষ্টি টা ছুটে গেল উলটো দিকের চায়ের দোকানের দিকে। এক বছর চব্বিশ কি পঁচিশ এর ছেলে, লাল টি শার্ট আর হালকা নীল জিন্স পরে বাইক এর ওপর বসে আছে, ওর দিকে তাকিয়ে, পাশের সমবয়েসী কি একটু বেশি হবে, একটা ছেলের সাথে কথা বলছে। ও সামনের দিকে তাকায়, হটাত ওর ছেলে, নীল, বলে ওঠে-
- মা দেখো, কালকের সেই কাকুটা।
কথাটা শুনেই ওর বুক টা ধক করে ওঠে, কাল ও যখন রাত্রে ফিরছিল ওর স্বামী মৈনাক এর সাথে তখন ছেলেটা মৈনাক ওর সাথে কথা বলছিল। ওর আর মৈনাক কে জিজ্ঞেস করে ওঠা হয়নি। ও সামনে তাকাতেই লক্ষ করল ছেলেটা ওর দিকেই তাকিয়ে আছে, ওর একটা আচেনা অনুভুতি হতে শুরু করল, নিজের অজান্তে হাত চলে গেল বুকের আঁচল ঠিক করতে, পিঠের ব্লাউজ সরাল, ব্রা এর স্ত্রাপ টা না বের হয়ে যায়, ছেলে দুটো যে ওকে নিয়ে আলোচনা করছে সেটা ও বুঝতে পারল। মেয়েদের একটা সহজাত মানসিক অবস্থা আছে যা ছেলেদের নেই। তার পরই কলেজবাস এসে গেল, নীল কে বাস এ তুলে দিয়ে একটু দাঁড়িয়ে বাস এর শেষ দৃশ্য ওর দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা টপকে নিজের ফ্ল্যাট এর দিকে হাঁটতে শুরু করল। ওর ফ্ল্যাট হেঁটে দু মিনিট এর রাস্তা এখান থেকে। কাজের বউ রমা ওর জন্যে বসে থাকবে যতক্ষণ না ও ফেরে। হটাত একটা মোটর সাইকেল এর শব্দ পেল ওর পিছনে, আর ওর পাশে এসে থামল। ও দেখল সেই লাল টি শার্ট। ওর বুক টা ধুক পুক করে উঠল-
- হাই বৌদি, কোথায় গেছিলেন?
- এই, ছেলে কে বাস এ তুলে দিতে। মুখে মেকি হাসি ঝুলিয়ে উত্তর দেয় হাঁটতে হাঁটতে।
- ভাল আছেন?
- হ্যাঁ... আছি আর কি, আপনি?
- চিনতে পারছেন তো? নাকি ভুলে গেলেন? আমি বিন্দাস
- সেদিন দেখলাম, তবে ঠিক পরিচয় নেই,
- আমি ভিকি, ভিকি গিলানি, মৈনাক দা আমাদের ক্লাব এর সেক্রেটারি। সেদিন সরস্বতী পুজার সকালে আপনার সাথে দেখা হল, আপনি হলুদ শাড়ি আর লাল ব্লাউজ পরে এসেছিলেন।
- ওহ হ্যাঁ, মনে পরেছে, এখন আসি।
- মৈনাক দা বলছিলেন আপনি ভাল আঁকতে জানেন, দেখাবেন আপনার কালেকশন?
- হ্যাঁ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, বাড়িতে আসুন না একদিন
- ওকে, আসব একদিন, আড্ডা দিতে। বাই
- বাই
ও হাঁটতে থাকে বাড়ির উদ্দেশে কিন্তু মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে ওই কথা। ফ্ল্যাট এ পৌঁছে মৈনাক এর ফোন পায়, ও বাস এ উঠেছে। রমা চলে যায়, ও নিজের জন্যে চাউ করতে বসে, শাড়ী ছেড়ে নাইটি পরে নেয়। মনে বার বার আসে একটা কথা, ভিকি ব্লাউজ এর কথা বলল কেন। একটা অন্য রকম অনুভুতি হতে থাকে ওর মনে। আচ্ছা ভিকি কি মাড়ওয়ারি? মন কে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার বৃথা চেষ্টা করার জন্যে মা কে ফোন করে।তারপর টিভি দেখতে বসলো। এখন আর কাজ নেই। এক কথায় ভিকি কে বেশ ভালই লাগল কাকলির।