18-05-2023, 03:21 PM
(দ্বিতীয়) না আজকে আর পড়তে মন চাইছে না, তাই সে বই খাঁতা গুছতে লাগলো। গুছানো হয়ে গেলে বই খাঁতা যায়গা মতো রেখে, ঘর থেকে বেড়িয়ে রাঁন্না ঘরের দিকে গেলো। রাঁন্না ঘরে গিয়ে দেখলো ওর মা রানী মাটির মেঝেতে ছোটো একটা মাদুর পেতে সেটিতে বসে, পেঁয়াজ রশুন আঁদা আরো কি সব ছিলোচ্ছে। রনয় অন্য একটি মাদূর নিয়ে গিয়ে মায়ের পাশে বিছিয়ে সেটায় বসলো। রানী ছেলেকে বললো কিরে রণ তোর পড়া হল, রণ বললো মা আজকে আর পড়তে ইচ্ছে করছে না, রানী ছেলেকে বললো তাই বল্লে কি হয় সোনা, তুমি নিয়মিত মন দিয়ে পড়াশুনো না করলে দশজনের একজন হবে কি করে, বড়ো মানুষ হবে কি করে,, তোমাকে নিয়ে যে আমার অনেক সপ্ন অনেক আশা, আমি লোকের জমিতে জন দিয়ে তোমাকে লেখাপড়া করাচ্ছি, মানুষের মতো মানুষ করতে চাইছি, তুমি আমার স্বপ্নকে বিফলে যেতে দিও না রণ। তুমি তো জানো তোমার বাবা কে....কাজ করতে করতে একটানা কথাগুলো বলে থামলো রাণী,, রনয় বসে মায়ের কাজ করা দেখতে দেখতে শুনছিল মন দিয়ে মায়ের কথা, রানী বুঝতে পাচ্ছে ছেলের মনটা কোনো কারনে খুব খারাব হয়তো সকালের সেই ঘটনার জন্য, আহা ছেলে যে তাকে বড্ডো ভালোবাসে তাই বুঝি মন খারাব তার মানিকের। নাইবা পড়লো একবেলা তাতে কি এমন ক্ষতি হবে,, রানী চোখ তুলে ছেলের দিকে চেয়ে বললো ঠিক আছে আজ আর পড়তে হবে না, বই খাঁতা গুছিয়ে রেখেছিস তো। রনয় মাথা নেড়ে বললো হ্যা মা। সবজি আগেই কেটে রেখেছে, পেঁয়াজ আাঁদাগুলোকে মঁশলা করলেই হলো, সবকিছু রেডি করে রাঁন্না চাপিয়ে দিবে, বেশি কিছু নয় বিট্টুর মা ছোটো একটা কাঠাল দিয়েছে, নিমাইমাঝির থেকে চল্লিশ টাকার কুচি চিংড়ি রেখেছে তাই দিয়ে ইচর করবে,, আর আলু পটলের ঝোল। সবকিছু রেডি করে রাঁন্নায় লেগেগেল রানী" রনয় তার মাকে বললো মা তুমি রাঁন্না করতে থাকো, আমি একটু বিট্টুদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি, রানী ছেলেকে বললো এই সন্ধাবেলা বিট্টুৃেদের বাড়ি কেন যাবি, থাক যেতে হবে না। ওখানে চুপ করে বস তো, আমার এখক্ষনি রাঁন্না হয়ে যাবে তারপর তোকে খেতে দেবো। রনয় জেদ ধরে মা তোমার রাঁন্না হতে হতে আমি এসে পরবো, রানী আর বাধা দিলো না ছেলেকে বললো ঠিক আছে যা কিন্ত তারাতারি ফিরে আসিছ। ঠিক আছে মা আমি যাবো আর আসবো, বলে ঘর থেকে বেরিয়ে বিট্টুদের বাড়ির দিকে হাটতে লাগলো। রনয়দের বাড়ি থেকে তিন চারটে বাড়ি পরে বিট্টুদের বাড়ি, রনয়ের বন্ধু বিট্টু এককলেজে পড়ে একি ক্লাসে একসাথে, খেলাধুলো ঘোরাফেরা দুজনে যেন মানিকজোর। বিট্টুদের বাড়িতে মানুষ বলতে মা বাবা বিট্টু তিনজন বিট্টুর আর কোন ভাই বোন নেই, বিট্টুদের বাড়ির সামনে একটা বড়ো মুদিখানার দুকান আছে ওর বাবার,, দুকানের সামনে দু পাশে বসার জায়গা করা আছে, সেখানে বসে গ্রামের বুড়ো ছেলেছুকরাদের সকাল বিকেল অনেক রাত পযন্তও লুডু তাসের আড্ডা চলে। রনয় বিট্টুদের বাড়ির সামনে এসে দেখলো দোকানে সামনে লুড্ডু তাসের আড্ডা নেই, লোক বলতে হারুদাদু মনিজেঠু বসে, বিট্টুর বাবা দয়াল কাকার সাথে খুস গল্প করছে। রনয়কে দেখে বিট্টুর বাবা বললো কিরে রনয় বিট্টুর কাছে যাচ্ছিস, হ্যা বলে রনয় টিনের গেট ঠেলে বাড়ির ভিতর গেল।