16-05-2023, 03:27 PM
সপ্তষষ্টি পর্ব
ওদের কথার মাঝেই দিপু এসে ঢুকল কেবিনে ঢুকেই ভোদরলোকের দিকে তাকিয়ে ওনার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে উঠে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল - কেমন আছেন মাস্টারমশাই ? উনি দিপুর দিকে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করতে লাগলেন - চেনা চেনা লাগছে কিন্তু অনেকদিনের অদর্শনে ঠিক বুঝতে পি[আছেন না। এবার দিপুই নিজের পরিচয় দিতে দাঁড়িয়ে উঠে বললেন - তুই আমাদের সেই দিপু মানে আপনি ---------
দিপু - স্যার ওই তুই থাকুক গুরু কখনো ছাত্রকে কি আপনি বলে। রাধার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল বলল - ইনি আমার গ্রামের কলেজের নীলমনি স্যার -ওনার কাছে মার্ খেয়েছি পড়া না পাড়ার জন্য আবার ভালোবাসাও পেয়েছি অনেক। নিমোনি বাবুর চোখে জল দিপুকে দেখে চোখের জল মুছিয়ে বলল - কাঁদছেন কেন স্যার ? উনি বললেন - এটা দুঃখের কান্না নয় এযে আনন্দের কান্না আজ তুই কত বড় হয়েছিস সেকথা ভেবেই আনন্দে চোখে জল চলে এলো রে। আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু কোল্ডড্রিক এসে যেতে রাধা বলল - স্যার এটা খেয়েনিন। দিপু দেখে রাধাকে জিজ্ঞেস করল -আর কিছু আনতে বলোনি ? উনি আমার গুরু ওনাকে শুধু কোল্ড্রিংক খাইয়ে আমি ছাড়তে পারিনা। বলে দিপু বেরিয়ে গেল ওনার জন্য ভালো মিষ্টি আনাতে দিয়ে ফিরে এসে ওনার পাশের চেয়ারে বসে সব শুনল দিপু। দিপু ওনার হাত ধরে বলল - আপনি সব ব্যাপারটা আমার ওপরে ছেড়েদিন স্যার আর আমি যা করব আপনি কিন্তু না করতে পারবেন না। দিপু ওই সোনার হার প্যাকিং করতে বলে দিল। নীলমনি বাবু - টাকা বের করতেই দিপু ওনার হাত চেপে ধরে বলল - ছেলের কাছে থেকে টাকা দিয়ে কিনবেন আপনি। আপনি এটা পকেটে রাখুন এই বয়েসে তাকাই সম্বল স্যার এটা না থাকলে মানুষের কোনো মূল্যই নেই। শুনে একটু হেসে বললেন - সে আমি জানিরে আমার নিজের ছেলেটা বিয়ে করে বৌ নিয়ে বিদেশে গিয়ে থাকতে শুরু করেছে। দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়েকে পার করেছি আর একজন আছে তাকে কি ভাবে বিয়ে দেবো আমি জানিনা। দিপু - এখন আমি কি আপনার ছেলে নোই আমি থাকতে আপনি চিন্তা করবেন সেটা আমি হতে দিতে পারিনা। প্লেট সাজিয়ে মিষ্টি এসে গেছে দিপু বলল - এগুলি খেয়ে নিন স্যার আমি আসছি। রাধা উঠে এসে ওনাকে প্রণাম করে বলল - আমি তো আপনাকে চিনিনা তাই আমাকে ক্ষমা করবেন আমি আপনার ছাত্রের স্ত্রী। উনি মাথায় হাত রেখে বললেন - তোমরা দুজনেই খুবই ভালো মনের মানুষ টাকা অনেকেরই থাকে কিন্তু তাদের মন থাকেনা। আমার নিজের ছেলেরই নেই। ও চাইলে দু-দশ লাখ টাকা যখন তখন দিতে পারে কিন্তু সেই দেবার মনটাই তো ওর নেই।
রাধা শুনে বলল - ছেড়ে দিন কাকাবাবু আপনার এই ছেলে তো রয়েছে যখন যা দরকার হবে ওকে বলবেন। দিপু -কেবিনে ঢুকে বলল - চলুন স্যার আপনি বাড়ি যাবেন তো আপনাকে পৌছেদি। নীলমনি বাবু - আরে বাবা আমি চলে যেতে পারবো আমাকে নিয়ে অতো চিন্তা করিসনা তুই। তোরা দুজনে ভালো থাক এই আশীর্বাদ করি। কিন্তু দিপু ওনাকে এক ছাড়লো না, ওঁকে গাড়িতে বসিয়ে দিপু নিজেই গাড়ি চালিয়ে যেতে লাগল। দিপুর ইচ্ছে ছিল একবার গ্রামের বাড়িতে যাবে তাই স্যারকে পৌঁছে দেবার অজুহাতে নিজের পৈতৃক বাড়িটাও দেখে আসবে। স্যারের বাড়ির কাছে এসে দিপু বলল - আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আপনার ছোটো মেয়ের বিয়ের দায়িত্ত এখন থেকে আমার আর আপনি বাধা দিলেও আমি শুনবনা এই আগেই বলে রাখছি। স্যারের বাড়িতে দিপুকে জোর করে নিয়ে বসিয়ে বলল - এখন তুই আমার বাড়িতে এসেছিস কলেজে থাকাকালীন তো একবার আসিসনি। এখন আমি যা যা বলব তোকে শুনতে হবে। দিপুকে ঘরে একটা চেয়ারে বসিয়ে স্যার ভিতরে গেলেন। দিপু ঘরের চারিদিক দেখতে লাগল। জায়গায় জায়গায় দেয়ালের বালি খসে পড়ছে চাঁদের প্লাস্টারের দশাও একই রকম। ঠিক করল এই বাড়ি সারাই করে দেবে। স্যার রিটায়ার করেছেন পেনশন হয়তো কিছু পান আর তা দিয়ে বাড়ির এই সব কাজ করা ওনার পক্ষে সম্ভব নয়। ভিতর থেকে একটি মেয়ে বেরিয়ে এলো হাতে একটা গ্লাস নিয়ে এসে বলল - এই নাও দিপুদা ডাবের জল খাও আমাদের বাড়ির গাছের ডাব। দিপু - গ্লাসটা হাতে নিয়ে ওর বুকের দাবি দুটো দেখতে লাগল। দিপু এবার চোখ তুলে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল তোর নামটা আমি ভুলে গেছি, কি নামরে তোর ? বলল - আমার নাম - হাঁসি তুমি আমাকে খুব ছোট বেলায় দেখেছো মনে থাকা সম্ভব নয়। দিপু - তুই এখন কি করছিস ? হাঁসি -গ্রাজুয়েশনের পর আরো পড়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু বাবা বলেছেন যে উনি আর পড়াতে পারবেন না। দিপু - তুই পড়তে চাষ কি পড়বি ? হাঁসি - আমার বিকম হয়ে গেছে এবার এমকম করতে চাইছি। ঠিক আছে তুই কথা থেকে পড়াশোনা করবি বল আমি ব্যবস্থা করে দেব আর তোর লেখাপড়ার যা খরচ সেটা আমিই চালাব। তুই স্যারের সাথে কথা বল। স্যার ঘরে ঢুকলেন - জিজ্ঞেস করলেন কি কথা আমাকে বলতে বলছিস রে দিপু ? হাঁসি এবার নিজেই সব বলল ওর বাবাকে শুনে উনি বললেন - সেতো অনেক খরচ দিপু না না এ কিকরে সম্ভব না না তার চেয়ে তুই কোনো ভালো ছেলে দেখে ওর বিয়ে দিয়ে দে। দিপু - স্যার আপনি অমত করবেন না ওর যখন পড়ার ইচ্ছে তখন ও পড়ুক না। উনি আর কিছু বলতে পারলেন না শুধু বললেন দেখ তুই যা ভালো বুঝিস কর। শোন্ বাবা বেশি পাশ করলে পাত্র ও বেশি পাশ করা চাই আর তার জন্য যৌতুকও অনেকটা বেশিই দিতে হবে। হাঁসি - তাহলে আমি বিয়েই করবোনা। দিপু - কেনোরে বিয়ে করবি না কেন ? এখনকার ছেলেরা যৌতুক চায়না শুধু মেয়ের একটা চাকরি থাকলেই চলবে তুই পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবি তারপর নিজে যদি পছন্দ করে কোনো ছেলে ঠিক করসি তো সেটা আমাদের জানাবি আমরা তোদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দেব। স্যার শুনে বললেন - তাহলেই হয়েছে ও করবে প্রেম আর কাউকে পেলিনা যদি আমার বড় মেয়ের কথা বোলতিস তো মেনে নিতাম। হাঁসিতো বাড়ি থেকেই বেশি বের হয়না এতদিন তো শুধু কলেজে আর বাড়ি করেগেছে এই গ্রামে ওর কোনো বন্ধুই নেই অনেকেই ওর নামটাই জানেনা শুধু মুখ চেনে জানে যে এ হচ্ছে নীলমনি মাস্টারের মেয়ে , দিপু হাঁসিকে জিজ্ঞেস করল - সে কিরে তোর কোনো বন্ধু নেই ? হাঁসি - কেন তুমি তো আছো আজ থেকে তুমিই আমার বন্ধু আর দাদা। নিমোনি বাবু হেসে দিপুকে বলল - যাক তাহলে আমার মেয়ের একটা বন্ধু হলো তও মেয়ে নয় একেবারে ছেলে বন্ধু -- বলে হো হো করে হেসে উঠলেন। হাঁসি ওর বাবাকে অনেক কাল হাস্তে দেখেনি আজকে দেখে ওর খুব নিশ্চিন্ত বোধ হলো আর পুরো ব্যাপারটার জন্য দিপুকে মনে মনে ধন্যবাদ দিল। হঠাৎ হাঁসির মনে পরল ওর বুক দুটোর দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে ছিল দিপুদা ওর কি আমার শরীরটার ওপরে লোভ হচ্ছে। হাঁসির নিজেরও তো মনে হয় যদি কোনো পুরুষ মানুষ ওর শরীরটাকে ধরে দলাইমলাই করে আদর করে কাছে টেনে নেয় কিন্তু খুব ভয় হয় বাইরের কারোর সাথে এসব করতে গিয়ে যদি বদনাম হয় তাহলে তো বাবা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবে। তার থেকে এই দিপুদাকে যদি কাছে পাওয়া যায় তো ভালো হয়।