14-05-2023, 10:34 AM
রা সা য় নি ক সং কে ত
শুরু.
নীতিবাক্য: কেমিস্ট্রি ক্লাসেই একমাত্র বিভিন্ন সংকেত সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
১.
ফাঁকা ক্লাসঘর।
ঝাড়ি: "এই তুই বড়ো হয়ে কী হতে চাস?"
চিপকু: "আমি বড়ো হব না! তবে ইচ্ছে আছে আমি একদিন একজন দক্ষ মালি হয়ে উঠব!"
ঝাড়ি (ভুরু কুঁচকে): "মালি হয়ে তুই কী করবি?"
চিপকু (মুচকি হেসে): "কেন, প্রতি মঙ্গলবার করে তোদের পাড়ায় গিয়ে জঙ্গল সাফ করে আসব!"
২.
ক্লাসঘরে হঠাৎ দিদিমণির প্রবেশ।
দিদিমণি: "পাড়ার জঙ্গল তো ছোটো; আমি একটা ঘন অরণ্য চিনি। সেখানে একটা সরু নদী ঝোপঝাড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে। তুমি কী সেটা খুঁজে দিতে পারবে?"
চিপকু (উৎসাহিত হয়ে): "নিশ্চই! আমি ওই গহন অরণ্য থেকে সরু নদীটাকে খুঁজে বের করে, সেখানে চটপট ফেরি সার্ভিসও চালু করে দেব!"
৩.
ঝাড়ি (দুঃখ পেয়ে): "যাহ্ বাব্বা! তা হলে আমার পাড়ার জঙ্গল সাফ করবে কে? আমার পাড়াতেও কিন্তু খুব সুন্দর একটা পদ্মপুকুর ছিল!"
চিপকু (হেসে): "তাতে আর চিন্তা কী? আমি এক্ষুণি আমার বন্ধু ছাঁকনিকে এখানে ডেকে নিচ্ছি। ওকেও তো আমি আমার সহকারী মালি হওয়ার ট্রেনিং দিচ্ছি কিনা..."
৪.
কিছুক্ষণ পর।
বাইরে থেকে ভেজানো ক্লাসঘরের দরজায় টোকা মেরে, হেডস্যার: "এখানে কী হচ্ছে? এতো ঘুপঘাপ আওয়াজ হচ্ছে কেন?"
ছাঁকনি (বেকুবের মতো হাঁপাতে-হাঁপাতে): "আমরা ফোর-সাম করছি, স্যার!"
হেডস্যার (রীতিমতো আঁৎকে উঠে): "ক্ক-কী!"
দিদিমণি (তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে): "না, মানে, আমি এদের চার ঘরের সংখ্যা দিয়ে যোগ শেখাচ্ছিলাম, স্যার!"
হেডস্যার (আস্বস্ত হয়ে): "ও, আচ্ছা আচ্ছা।"
৫.
হেডস্যার (আবার দরজায় টোকা দিয়ে): "কিন্তু... আজ যে আমার নরম মাটিতে গভীর নলকূপ বসানোর একটা প্রোগ্রাম ছিল..."
দিদিমণি (হাঁপাতে-হাঁপাতে): "এখানে শুধু অরণ্য আর নদী, স্যার..."
ঝাড়ি (ততোধিক হাঁপিয়ে): "আর পুকুর আর বাগান..."
ছাঁকনি: "এখানে নলকূপ বসিয়ে লাভ হবে না, স্যার..."
চিপকু: "আপনি বরং বাড়ি যান, স্যার। আমি ইশকুলে আসবার পথে দেখে এলাম, আপনাদের বাড়িতে আপনার শ্বশুরের ছোটো মেয়ে এসেছেন!"
৬.
হেডস্যার (অবাক হয়ে): "তুমি তাকে চিনলে কী করে?"
চিপকু: "বা রে, উনি তো আমাকে ডেকে অর্গানিক চরণামৃত খাওয়ালেন যে!"
হেডস্যার (আরও বমকে গিয়ে): "অরগানিক চরণামৃত! সেটা আবার কি রে?"
চিপকু: "হ্যাঁ স্যার, দুই চরণের মাঝখানের বিশেষ অর্গানটি দিয়ে যে অমৃত ক্ষরিত হয়, সেই বিরল জিনিস! একদম টাটকা!
আপনি তাড়াতাড়ি বাড়ি গিয়ে নলকূপটা ওখানে বসিয়ে দিতে পারলে, ওই অমৃতে আর কোনও শালা অসুর মুখ দিতে পারবে না!"
এই কথা শোনবার পরই হেডস্যার পত্রপাঠ নিজের বাড়ির দিকে ছুট দিলেন।
শেষ.
আপ্তবাক্য: ঠিকমতো সংকেতের আদান-প্রদান ঘটলে তবেই আসল রসায়ন জমে ওঠে!
১৪.০৫.২০২৩
শুরু.
নীতিবাক্য: কেমিস্ট্রি ক্লাসেই একমাত্র বিভিন্ন সংকেত সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
১.
ফাঁকা ক্লাসঘর।
ঝাড়ি: "এই তুই বড়ো হয়ে কী হতে চাস?"
চিপকু: "আমি বড়ো হব না! তবে ইচ্ছে আছে আমি একদিন একজন দক্ষ মালি হয়ে উঠব!"
ঝাড়ি (ভুরু কুঁচকে): "মালি হয়ে তুই কী করবি?"
চিপকু (মুচকি হেসে): "কেন, প্রতি মঙ্গলবার করে তোদের পাড়ায় গিয়ে জঙ্গল সাফ করে আসব!"
২.
ক্লাসঘরে হঠাৎ দিদিমণির প্রবেশ।
দিদিমণি: "পাড়ার জঙ্গল তো ছোটো; আমি একটা ঘন অরণ্য চিনি। সেখানে একটা সরু নদী ঝোপঝাড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে। তুমি কী সেটা খুঁজে দিতে পারবে?"
চিপকু (উৎসাহিত হয়ে): "নিশ্চই! আমি ওই গহন অরণ্য থেকে সরু নদীটাকে খুঁজে বের করে, সেখানে চটপট ফেরি সার্ভিসও চালু করে দেব!"
৩.
ঝাড়ি (দুঃখ পেয়ে): "যাহ্ বাব্বা! তা হলে আমার পাড়ার জঙ্গল সাফ করবে কে? আমার পাড়াতেও কিন্তু খুব সুন্দর একটা পদ্মপুকুর ছিল!"
চিপকু (হেসে): "তাতে আর চিন্তা কী? আমি এক্ষুণি আমার বন্ধু ছাঁকনিকে এখানে ডেকে নিচ্ছি। ওকেও তো আমি আমার সহকারী মালি হওয়ার ট্রেনিং দিচ্ছি কিনা..."
৪.
কিছুক্ষণ পর।
বাইরে থেকে ভেজানো ক্লাসঘরের দরজায় টোকা মেরে, হেডস্যার: "এখানে কী হচ্ছে? এতো ঘুপঘাপ আওয়াজ হচ্ছে কেন?"
ছাঁকনি (বেকুবের মতো হাঁপাতে-হাঁপাতে): "আমরা ফোর-সাম করছি, স্যার!"
হেডস্যার (রীতিমতো আঁৎকে উঠে): "ক্ক-কী!"
দিদিমণি (তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে): "না, মানে, আমি এদের চার ঘরের সংখ্যা দিয়ে যোগ শেখাচ্ছিলাম, স্যার!"
হেডস্যার (আস্বস্ত হয়ে): "ও, আচ্ছা আচ্ছা।"
৫.
হেডস্যার (আবার দরজায় টোকা দিয়ে): "কিন্তু... আজ যে আমার নরম মাটিতে গভীর নলকূপ বসানোর একটা প্রোগ্রাম ছিল..."
দিদিমণি (হাঁপাতে-হাঁপাতে): "এখানে শুধু অরণ্য আর নদী, স্যার..."
ঝাড়ি (ততোধিক হাঁপিয়ে): "আর পুকুর আর বাগান..."
ছাঁকনি: "এখানে নলকূপ বসিয়ে লাভ হবে না, স্যার..."
চিপকু: "আপনি বরং বাড়ি যান, স্যার। আমি ইশকুলে আসবার পথে দেখে এলাম, আপনাদের বাড়িতে আপনার শ্বশুরের ছোটো মেয়ে এসেছেন!"
৬.
হেডস্যার (অবাক হয়ে): "তুমি তাকে চিনলে কী করে?"
চিপকু: "বা রে, উনি তো আমাকে ডেকে অর্গানিক চরণামৃত খাওয়ালেন যে!"
হেডস্যার (আরও বমকে গিয়ে): "অরগানিক চরণামৃত! সেটা আবার কি রে?"
চিপকু: "হ্যাঁ স্যার, দুই চরণের মাঝখানের বিশেষ অর্গানটি দিয়ে যে অমৃত ক্ষরিত হয়, সেই বিরল জিনিস! একদম টাটকা!
আপনি তাড়াতাড়ি বাড়ি গিয়ে নলকূপটা ওখানে বসিয়ে দিতে পারলে, ওই অমৃতে আর কোনও শালা অসুর মুখ দিতে পারবে না!"
এই কথা শোনবার পরই হেডস্যার পত্রপাঠ নিজের বাড়ির দিকে ছুট দিলেন।
শেষ.
আপ্তবাক্য: ঠিকমতো সংকেতের আদান-প্রদান ঘটলে তবেই আসল রসায়ন জমে ওঠে!
১৪.০৫.২০২৩