11-05-2023, 12:14 PM
১১ই সেপ্টেম্বর:- রাত দুটো বাজছে, ঘুম আসছে না, আজ যা দেখলাম, তাকে সত্যি বলে ভাবতে বিশ্বাসও হয় না আবার অস্বীকারও করা যায় না। রাত ১১টা নাগাদ এরিনা ত পৌঁছালাম, লোকের চিৎকার আর বেটিং-এর হট্টগোলে জায়গাটা মুখরিত। ভাইয়া আর আমি উপরে স্পেশাল সিটে ইসলাম, একটি যুবক অপর এক নাইজেরিয়ান যুবকের সাথে বক্সিং করছে। ভাইয়া বলল " এই নাইজেরিয়ান ছেলেটার নাম মন্টো, ভালো ফাইটার।"
বললাম "তোমরা আজকাল বিদেশী ছেলেদেরও নিচ্ছ?"
ভাইয়া উত্তর দেওয়ার আগে আদিনাথকে আস্তে দেখে ভাইয়া আমাকে থামতে বলে উঠে ওনার সাথে হাত মিলিয়ে বসতে বলল। আদিনাথের মুখ সেই শান্ত, যেন এতো কোলাহল কিছুই তাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে না। সে ফাইলটা চাইল, ভাইয়া বললেন "দেখ, তোমাদের টাকার ব্যাপারটা দেখছি কম এতো কমে তো তোমাদের ক্ষতি, আমি টাকাটা দ্বিগুণ করে দেব।" আদিনাথের তাতেও কোন অনুভূতির বিকার দেখা গেল না, সে বলল" দরকার নেই, যে কন্ডিশনে সাইন হয়েছে তাই থাক।"
ভাইয়া বললেন " না না, ডিল তো এখনও হয়নি টাকাটা একটু বাড়ুক না হলে পুরো ডিলটায় বাতিল হোক।" বলে হাসতে লাগলেন।
আদিনাথ কিছু বললেন না।
ভাইয়া বললেন " দেখ এমনি এমনি তো টাকা ডবল করা যায় না, এক কাজ করো তুমি রিং এ নেমে পাঁচ মিনিট টিকে থাকো তোমার টাকা ডবল"
আদিনাথ শান্ত স্বরে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বললেন " দেখুন, এইসব করার কোনো দরকার নেই, আমি যা কখনও করিনি তা শুধু শুধু কেন করব?"
ভাইয়া বলল " সেদিন যে বললেন আমার নাকি নামার সময় আসেনি,তা আসেনি যখন ভালোই তো আপনি নামুন"
আদিনাথ স্থির ভাবে বসে রইলেন। একটি জিনিস হঠাৎ করে উপলব্ধি হচ্ছে তা হল চারিপাশের পরিবেশ কেমন যেন গু মোট হয়ে গেছে, এতোক্ষণ খেয়াল হয়নি,কিন্তু এখন বুঝছি সবকিছু অস্বাভাবিক রকম শান্ত লাগছে, চারিপাশের উষ্ণতাও একটু বেশি লাগছে।
ভাইয়া বললেন " আপনার বডি দেখে কমিয়ে তিন মিনিট করে দিলাম, মাজাভাঙা লোক না হলে নেমে পড়ুন।"
আদিনাথ বললেন " কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোড় করা কি ঠিক?"
ভাইয়া তাচ্ছিল্ল্য করে বললেন"ছোটোবেলায় মায়ের দুধ খাসনি বে?, নাম শালা"বলে এক হ্যাচকা টানে আদিনাথকে টেনে তুলে নিল।
আমি বাঁধা দিয়ে বললাম, "এরকম করছেন কেন ভাইয়া ওনার ইচ্ছে না থাকলে জোর করাটা কি ঠিক?"
একটা পরিবেশগত অস্তস্তি অনেকক্ষণ ধরে উপলব্ধি করছি লাম এবার সেটা হঠাৎ বেরে গেল, মনে হল।
ভাইয়া আদিনাথকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন।
আদিনাথ নিজেকে ঝেড়ে কিছুক্ষণ স্থির ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন "চলুন আমি রাজি"
ভাইয়া যেন চাঁদ হাতে পেলেন, দাঁড়া বলে নিচে নেমে গেলেন।
আমি আদিনাথকে বললাম" রাজি হলেন কেন, আপনার যদি কিছু হয়ে যায়?"
আদিনাথ কিছু বলল না শুধু হাসল।
ইতিমধ্যে ভাইয়া এসেছে। বলল সব রেডি নীচে আয়
যেটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম সেটায় হল। আসাদ ভাইয়ের সাথেই আদিনাথকে রিং এ নামতে হবে। স্ট্রীটফাইট টাইপ খেলা
আদিনাথকে মিনিট তিনেক টিকতে হবে। আমার ধারণা ছেলেটা এক মিনিটও টিকতে পারবে না। কারণ আসাদ ভাই ভালো ফাইটার ওনার গেম স্টাইল খুবই রাফ অপনেন্টকে সুযোগই দেন না। ছয় ফুট চার ইঞ্চির বিশাল দেহ তার পর দ্রুত মুভমেন্ট আসাদ ভাইয়ের এক পাঞ্চেই একবার একজন সাতফুটের ব্রাজিলিয়ান অক্টাভিও, নক আউট হয়ে গিয়েছিল। সেখানে আদিনাথ নেহাতই শিশু ও কি আগেও পারবে?
মারাত্মক রকম জখম না হয় যেন ছেলেটা। মিষ্টি শান্ত চেহারার আদিনাথকে দেখে একটুও নারভাস লাগছে না। সে কি আসন্ন বিপদটাকে বুঝতেই পারছে না?
হে আল্লাহ্, এ কোন বিপদে ফেললে তুমি ছেলেটাকে?
বললাম "তোমরা আজকাল বিদেশী ছেলেদেরও নিচ্ছ?"
ভাইয়া উত্তর দেওয়ার আগে আদিনাথকে আস্তে দেখে ভাইয়া আমাকে থামতে বলে উঠে ওনার সাথে হাত মিলিয়ে বসতে বলল। আদিনাথের মুখ সেই শান্ত, যেন এতো কোলাহল কিছুই তাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে না। সে ফাইলটা চাইল, ভাইয়া বললেন "দেখ, তোমাদের টাকার ব্যাপারটা দেখছি কম এতো কমে তো তোমাদের ক্ষতি, আমি টাকাটা দ্বিগুণ করে দেব।" আদিনাথের তাতেও কোন অনুভূতির বিকার দেখা গেল না, সে বলল" দরকার নেই, যে কন্ডিশনে সাইন হয়েছে তাই থাক।"
ভাইয়া বললেন " না না, ডিল তো এখনও হয়নি টাকাটা একটু বাড়ুক না হলে পুরো ডিলটায় বাতিল হোক।" বলে হাসতে লাগলেন।
আদিনাথ কিছু বললেন না।
ভাইয়া বললেন " দেখ এমনি এমনি তো টাকা ডবল করা যায় না, এক কাজ করো তুমি রিং এ নেমে পাঁচ মিনিট টিকে থাকো তোমার টাকা ডবল"
আদিনাথ শান্ত স্বরে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বললেন " দেখুন, এইসব করার কোনো দরকার নেই, আমি যা কখনও করিনি তা শুধু শুধু কেন করব?"
ভাইয়া বলল " সেদিন যে বললেন আমার নাকি নামার সময় আসেনি,তা আসেনি যখন ভালোই তো আপনি নামুন"
আদিনাথ স্থির ভাবে বসে রইলেন। একটি জিনিস হঠাৎ করে উপলব্ধি হচ্ছে তা হল চারিপাশের পরিবেশ কেমন যেন গু মোট হয়ে গেছে, এতোক্ষণ খেয়াল হয়নি,কিন্তু এখন বুঝছি সবকিছু অস্বাভাবিক রকম শান্ত লাগছে, চারিপাশের উষ্ণতাও একটু বেশি লাগছে।
ভাইয়া বললেন " আপনার বডি দেখে কমিয়ে তিন মিনিট করে দিলাম, মাজাভাঙা লোক না হলে নেমে পড়ুন।"
আদিনাথ বললেন " কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোড় করা কি ঠিক?"
ভাইয়া তাচ্ছিল্ল্য করে বললেন"ছোটোবেলায় মায়ের দুধ খাসনি বে?, নাম শালা"বলে এক হ্যাচকা টানে আদিনাথকে টেনে তুলে নিল।
আমি বাঁধা দিয়ে বললাম, "এরকম করছেন কেন ভাইয়া ওনার ইচ্ছে না থাকলে জোর করাটা কি ঠিক?"
একটা পরিবেশগত অস্তস্তি অনেকক্ষণ ধরে উপলব্ধি করছি লাম এবার সেটা হঠাৎ বেরে গেল, মনে হল।
ভাইয়া আদিনাথকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন।
আদিনাথ নিজেকে ঝেড়ে কিছুক্ষণ স্থির ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন "চলুন আমি রাজি"
ভাইয়া যেন চাঁদ হাতে পেলেন, দাঁড়া বলে নিচে নেমে গেলেন।
আমি আদিনাথকে বললাম" রাজি হলেন কেন, আপনার যদি কিছু হয়ে যায়?"
আদিনাথ কিছু বলল না শুধু হাসল।
ইতিমধ্যে ভাইয়া এসেছে। বলল সব রেডি নীচে আয়
যেটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম সেটায় হল। আসাদ ভাইয়ের সাথেই আদিনাথকে রিং এ নামতে হবে। স্ট্রীটফাইট টাইপ খেলা
আদিনাথকে মিনিট তিনেক টিকতে হবে। আমার ধারণা ছেলেটা এক মিনিটও টিকতে পারবে না। কারণ আসাদ ভাই ভালো ফাইটার ওনার গেম স্টাইল খুবই রাফ অপনেন্টকে সুযোগই দেন না। ছয় ফুট চার ইঞ্চির বিশাল দেহ তার পর দ্রুত মুভমেন্ট আসাদ ভাইয়ের এক পাঞ্চেই একবার একজন সাতফুটের ব্রাজিলিয়ান অক্টাভিও, নক আউট হয়ে গিয়েছিল। সেখানে আদিনাথ নেহাতই শিশু ও কি আগেও পারবে?
মারাত্মক রকম জখম না হয় যেন ছেলেটা। মিষ্টি শান্ত চেহারার আদিনাথকে দেখে একটুও নারভাস লাগছে না। সে কি আসন্ন বিপদটাকে বুঝতেই পারছে না?
হে আল্লাহ্, এ কোন বিপদে ফেললে তুমি ছেলেটাকে?