10-05-2023, 11:29 AM
(09-05-2023, 09:06 PM)কুমদেব Wrote: ত্র্যাশীতম অধ্যায়
দুদিনের শ্রাদ্ধ শান্তি মিট পরেরদিনই দিলো। ক্রিশের ফরোয়ার্ড খুব ইচ্ছা করছিল তাকে বাড়ি নিয়ে ক্রিয়েট করতে হবে আনেনি। নিয়মাবলী দিজ্যোতি সব কাজকেবল মস্ত মুণ্ড করেনি বিদেকে ভালো করে ফিরতে অসুখ হবে। কলেজের অনেক বন্ধুও তোমার মনে খুব ভালো শব্দ পড়েছিল। দাদাভাই আজকে যাবে মামণি কান্না কাটিল করছি।দাভাই বলেছে,এজেন্সী মারফৎ কথাবার্তা নিউটাউনে ফ্লাট হতে অনেকটাই ওরা এখানে পাকাপাকি ভাবে।মাকে নিজের কাছে নিয়ে যাবে।
পাঞ্চালি আবার চেম্বারে বসার শুরু করবে। গোবিন্দকাকুকে বলে বেড়া দাদাভাইকে খুব দম পৌছে।
কারণ ব্যবহারে ইতস্তত করে।
কি বলো?
বল কি আমারে কি আজ এয়াপোতে যেতি হবে?
না তোমার যাওয়া দরকার নেই, গোবিন্দকা আছে কাল থেকে আমি আবার চেম্বারে বসবো।
ভালো দিদি।
খুব কষ্ট হচ্ছে।
তুমি কি বুঝলে?
আমার কাছে বলে পেকাশ করছি নামাঝেতে আচলে মুছতিছেল।
ঠিক আছে যাও।কাল আবার চেম্বার আছে মনে হয়।
মধুর মধুর খারাপ জন্য।নিজের সামনে আজ মোর এই অবস্থা।
বাজার থেকে ইলিশ মাছ ছিল সুখ। দেখতে গেলে সিগারেট নেই।
ডাক্তারবাবু মারামানা মারা যান এক মহীরহের পতন।বাবা রোগী হলে ডাক্তার মিত্র যাকে ভুল করবেন।মো ডক্টর বাবুর বোন জানার পর একটা আড়ষ্টতা তাকে চারপাশ হতে জোর করে ধরেছে। মাটিগাড়া করা।
ডক্টর বাবুর মধ্যে পাঞ্চালী পিতৃহারা।পাঞ্চালীর জন্য খুব ইচ্ছা।পাঞ্চালী বুদ্ধিমতী বাবা পাঞ্চালীর দৃষ্টি খুব গভীর। মোমোর পাঞ্চলি এখন ডাক্তার। সব পূরন হয়। ভাবতে চায়না যা আছে অদৃষ্টে তাই হবে।
পলি রাজ্যের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
দিব্য শিগগির দেশে ফিরবে বলল।পরে একদিন সময় করে বৌদির সঙ্গে দেখা করে আসবেন।মনুকে সব বলেছেন কিছুই গোপন করেন নি।শুক্লা একটা লোকের খবর এনেছে।শুক্লা বলছিল ছুটি হলেই চলে যেও না।স্বামী পরিত্যক্তা মাধ্যমিক অবধি পড়াশুনা করেছে ড.চৌধুরীর গাড়িতে কলেজে আসার কথা।সব সময়ের জন্য একটা লোক হলে ভালই হয়।এক্টু হাত লাগিয়ে সাহায্য করবে।
বিমান বন্দরে পৌছে দিব্য ঘড়ি দেখে বলল,ফ্লাইটের এখনো দেরী আছে।আমি ভিতরে চলে যাচ্ছি পলি তুই চলে যা।
দাদাভাই তোকে একটা কথা জিজ্ঞেস করব?
জানি তুই কি জিজ্ঞেস করবি।দেখ আননেসেসারি মিথ্যে বলব কেন?নিউ টাউনে ফ্লাট পেয়েছি কিন্তু ক্রিশের ফ্লাট পছন্দ নয়।বাড়ী দেখছে ক্রিশ তো পা বাড়িয়ে আছে।আচ্ছা পলি তোর কি ব্যাপার মামণি বলছিল--।
বিয়ে করব না আমি তো বলিনি।বিয়ে করতে হবে বলে যাহোক একজনকে ধরে--।
দিব্য হো-হো করে হেসে উঠল।পলিও দাদার সঙ্গে হাসতে থাকে।দিব্য ভিতরে ঢুকে পিছন ফিরে যতক্ষন দেখা যায় হাত নাড়তে থাকে।চোখের আড়াল হয়ে গেলে পাঞ্চালির চোখ ছল ছল করে উঠল।
আবার কবে কলকাতা আসবে তার ঠিক নেই।এবার মোমোর সঙ্গে দেখা করে যাবার কথা মনে হল। বলছিল শত হলি মায়ের পেটের ভাই মধুদার কথা মনে হল।হাটতে হাটতে গাড়ীতে গিয়ে বসে বলল,কাকু কলকাতার দিকে চলুন।
যশোর রোডের দিকে ছুটে গাড়ি চালান।দু-পা সারি সারি গাছ।অকবার কোলে এপিনে এই পিনে যোগাযোগের মাধ্যমে আসা হয়নি।কালসিরের বড় হওয়া ওঠা এক সময় গোপালনগরে কত নেই। যে স্থানে থাকতে হবে তা বলতে বাবাকে নিয়ে কাজ করছিল তাই পিসির সঙ্গে ভাল কথা বলা যাবে না। দেরী করা যাবে না।মামণি একা বাড়িতে আছে আজই ফিরতে হবে।
সুখ এক প্যাকেট সিগারেট সমাজের বাইরে বের করে ঝুলন্ত দড়ি হতে অগ্নি করতে থাকে গাড়ী সংযোগলাল মৌর কাছে আসতে পাঞ্চালী জানাতে, গাড়ি বা-দিকে মোড় কমপ্লেক্সে চাপতে যাবে পাঞ্চলী দোকাকু দাড়ান।
পাঞ্চলি কি ভুল দেখল।গাড়ি দাড়াতে কথা বলুন, আপনি ভিতরে পার্কিং করুন।
পাঞ্চালী বাইরে বেরিয়ে এসে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে উল্টোদিকের ফুটপাথে দাঁড়ানো ছেলেটিকে লক্ষ্য করে।সিগারেট ফুকলেও মনে হচ্ছে তার ভুল হয়নি।রাস্তা পেরিয়ে ছেলেটির মুখোমুখি দাড়িয়ে পাঞ্চালী বলল,বাঃ অনেক উন্নতি হয়েছে।
সামনে পাঞ্চালীকে দেখে ভুত দেখার মত চমকে উঠল।সিগারেট ফেলে দিয়ে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে থাকে।বুঝতে পারে পিসির কাছে এসেছে।
হা করে কি দেখছো?চিনতে পারোনি?
চিনবো না কেন আসলে আপনি কত বড় হয়ে গেছেন--একেবারে লেডি।আমতা আমতা করে বলল।
চিনতে পারলে আপনি-আজ্ঞে করছো কেন?
না মানে অনেকদিন পর আপনাকে মানে তোমাকে দেখলাম--তুমি কি পিসির কাছে এসেছো?
পাঞ্চালী অবাক হয় পিসির কথা জানলো কি করে?জিজ্ঞেস করে তুমি কি আমার পিসিকে চেনো?
বারে চিনবো না কেন?ওর আশ্রয়েই তো আমি আছি,উনি আশ্রয় নাদিলে কোথায় ভেসে যেতাম।
এই তাহলে মোমোর সিকিউরিটি অনাথ মেধাবী ছেলে।পাঞ্চালীর কাছে সব পরিস্কার হয়ে যায়।জিজ্ঞেস করে,পিসি কি ফিরেছে?
ও একেই তাহলে সিউকিরিটির জন্য রেখেছে।অনাথ মেধাবী ছেলে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে পাস করেছে।মোমোর কথাগুলো মনে পড়ল।পাঞ্চালী জিজ্ঞেস করল পিসি কলেজ থেকে ফিরেছে তো?
এই ফেরার সময় হল।তুমি একটু অপেক্ষা করো এসে যাবেন।
এখানে রাস্তায় অপেক্ষা করব?
ওঃ স্যরি চলো আমি দরজা খুলে দিচ্ছি।সুখ রাস্তা পেরোতে থাকে।
পাঞ্চালী পিছন পিছন যেতে যেতে ভাবে আগেও দু-একটা কথা হয়েছে,এ নাগাড়ে এতক্ষন কথা হয়নি।এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ভালো রেজাল্ট করেছে ভেবে ভাল লাগল।আমি বড় হয়ে গেছি আর ও ছোট্টটি আছে মনে মনে হাসল পাঞ্চালী।মনটা আগের মতই রয়ে গেছে।
তিনতলায় উঠে সুখ দরজা খুলে বলল,এসো।উনি যে তোমার পিসি আমি জানতাম না।পাঞ্চালীকে ফোনে কথা বলতে দেখে চুপ করে গেল।
তোমার ফ্লাটে গেল... তোমার কিদের হবেহ্যা দাদাভাইয়ের জন্য আজ...মনু কে? তোমার সিকিউরি গার্ড...হি-হি তুমি বলেছো একা একা...সাথে আছে...মামণ ভালো আছে...আজই ফিরতে হবে...হ্যা রাখছি তাড়াতাড়ি এসো।
অনেক্ষন থেকে গলা খুস করছি।
পালাঞ্চী পুরনো আড়াল থেকে দেখল বাবু ফুক-ফুক সিগারেট ফুকছে। ভালো খাবে না।
আমি তো পাও খাইনা, এই একটা ব্যাপার।
মান ধরিয়েছিল না?
তখন তো খাইনি।
হ্যা তুমি কি বলছিলে?পাঞ্চালী পাশে বসে বলল।
সুখ লক্ষ্য করে মেয়েদের গায়ে একটা বেশ গন্ধ।পাঞ্চালী একেবারে তার গা ঘেষে বসেছে।
কি বলছিলাম?
আমার পিসি জানতে না।
ও হ্যা কদিন আগে ভোর বেলা আমাকে কিছু নাবলে বেরিয়ে গেল।আমি তো ভেবে মরি একা মহিলা কোথায় গেল? জরুরী কাজ আছে কি জরুরী কাজ আমাকে বললে আমি করে দিতাম।সারাদিন কিভাবে কেটেছে তোমায় কি বলব।ফোনটাও নিয়ে যায়নি ফোন করে খবর নেবো তারও উপায় নেই। ফিরল অনেক রাতে তারপর রান্না করল।সেদিন থেকে নিরামিষ।কাল তো ড.মিত্রের শ্রাদ্ধ হয়েছে তাই না?
পাঞ্চালী ঘাড় নাড়ে।
আজ আমাদেরও মাছ হয়েছিল। শুনলাম কষ্ট ড মি বোনেরা। -। সুখের দেখা ছল করে উঠল।
কষ্ট হয়েছিল একবার তো যেতে।
আমি তোমার জন্য অনেক পরে আছি।
পাঞ্চালী চোখে মুছে বলল,তুমি অন্য মনের অবস্থা বোঝো?
একথা বলে কেন সুখ মুহূর্ত কথা বললেন, দেবখ পাঞ্চী মনস্তত্ত না পড়ুন সবার কম বেশি মন জ্ঞানিক জ্ঞানী হয়।
তুমি ছাই বোঝো।বলা একথা শুরু করে লেকচার।পাঞ্চালী হল খুচিয়ে ভিতরের মানুষগুলোকে জাগাতে চেষ্টা করে।
পলির জন্য খবর পাওয়াও ঈশাদের হয়েছে।
এক থেকে নামল বছর চল্লিশের একজন একজন মহিলাকে হাতে তুলে নেবেন একটি বড় ব্যাগ। আমাদের জামা কাপড় হবে।
শুক্লার বরকে খরচ করেন, কেমন এক দিন বকে নিয়ে না থাকেন।
ভালো ঈশানী স্বামীর সাথে কি নিয়ে গোলমাল?
কোনো গলমাল তো হয়নি।আরো ভালো মেয়ে তাই দেখতে গেল।
আপনার প্রতিবেশীরা কিছু বলেন?
কি বলে? মন নাই তার জোর করে কি লাভ?
দীপ শিখা ঘাড় ঘুরিয়ে একবার ঈশানীকে পুড়ন। মৌলালী আসতে বাস থেকে কপ্লেক্সে ব্যবহার করেই নজরে পড়ল।
গোবিন্দ সোজা হয়ে বলল, হ্যা আপনি ডক্টর বাবুর বোন?
কতক্ষন আসান?
মিনিট পনেরো-কুড়ি হবে।
শিক্ষয়িত্রী তিনবেলা কলিংবেলে চাপ দিতে গিয়ে হাত নেবেন।
সুখ বলতে থাকে,বাবার কাছে আমি ডাক্তারবাবু গরীবদের সস্তার ওশুধ বড়োলোকদের দামী ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করতে জানি?
কেন?
বিশ্বাস না থাকলে রোগে রোগ সারেনা।
কি সব হাবিজাবি আরম্ভ করে?
হাবিজাবি নয় মনস্ততের কথা।
তোমার কাছে এই সব শুনতে চাই?
সুখ আলোচনা করতে পারে পঞ্চালি তাকে হেনস্থা করতে চাইছে,তুমি কি শুনতে চাই?
তোমার কথা বলো।
সুখ ফাকসে হাসল।তার দারিদ্র নিয়ে মজা করতে চাইছি, আমি খুব মা লোকের বাড়ির সাধারণ রান্নার কাজ করতো-।
আমি জানি।
তুমি কি জানতে চাও বলতো?
কথা?তুমি সত্যি করে বলে তো?পাঞ্চালি আর ধৈর্য রাখতে পারে না।
আমি মিথ্যে বলিনা।
আমার সঙ্গে কেউ অসভ্যতা করতে তোমার রাগ হয় কেন?
সুখ একবার চোখ নামিয়ে নিল।
কি হল বলো?
কি বোলো?
তোমার রাগ হয় কেন?
রাগ হয় আমার যথেষ্ট ভালো।
পাঞ্চী রক্তিম হয় তারপর বলে, একথা মুখ ফুটে বলতে কি হয়েছিল?
সব কথা বলা যায় না।
এখনও একটা কথা বলি।
ঈশানী দু-কাপ নিয়ে চা ব্যবহারে ওরা ভাব।
পিসি এসেছে! পাঞ্চালী চায়ের কাপ নিয়ে মারা গেল।
বুঝবে যেভাবে কথা বলা মশগুল ছিল।
বৌদি কি আছে?
টেবিল এক ভিন্ন আস্লে বাড়িতে পছন্দ থাকতে ভুলতে সহজ।
দিব্য বার বার ফিরে।
হ্যা নিউটাউনে বাড়ী কিনবে বলছিল।
সুখ লাব্রেরীতে বসে চা খেতে খেতে পাঞ্চালীর কথাগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকে।বাবা বলতো মেয়েটার চোখ অনেক গভীরে দেখতে পায়।
চা শেষ হতে পাঞ্চালীকে এক প্লেট মিষ্টি এগিয়ে দিল ঈশানী।পাঞ্চালী বলল,মোমো নীচে কাকু আছে ডাকি?
ঈশানী বলল,ওনারে চা জল খাবার দিয়ে এসেছি।
ইশানী মিষ্টির প্লেট নিয়ে লাইব্রেরীতে গেলে পাঞ্চালী জিজ্ঞেস করল,একে তো চিনলাম না।
ঈশানী আজ থেকে ওকে রাখলাম।বেশ চটপটে।
এবার তোমার সিকিউরিটি নিয়ে আর চিন্তা রইল না।
কথা বলে পছন্দ হয়ে থাকলে বল--।
তোমদের সবার ঐ এক কথা।
তুই কি তাহলে চিরকাল আইবুড়ো থেকে যাবি?
তাতো বলিনি।
তাহলে ওকে পছন্দ নয়?
সে কথা কখন বললাম?
তাহলে কথা বলি?
জানি না যাও।যা ভালো বোঝো করো।মোমো অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে আমাকে বেরোতে হবে।
এ্যাই মনু ওকে এগিয়ে দিয়ে এসো।
পাঞ্চালী পাওয়া গেল পিছনে সুখ।
আমি তো থাকবো না।
পাঞ্চালী মনে মনে বলা,থাকবে?
ভাবছি এপিসি ফল জয়েন।
যোগাযোগ কবে জয়েন করবে?
আরো কিছু সময় আছে।
বলদ কি সাধে বলে।পাঞ্চালী বলে,তুমি তো একথা আগে বলোনি?
ছেড়ে দিল।
অসাধারণ গল্প 2 - 1পর পর দিলে খুব ভালো হয়