27-04-2023, 11:06 PM
আমার 10 এর রেজল্ট বেরিয়েছে । বেশ ভাল ফল করেছি। সাদিক আঙ্কল আজ মাম্মা কে নিয়ে দেশে ফিরছে। আহ্ আজ কত্তো দিন পর মাম্মা কে দেখবো ভেবেই কেমন যেন লাগছে । আমি সকাল সকাল স্নান করে রেডি হলাম ।
বাবাই এর সাথে taxi করে সোজা airport এর দিকে। সাদিক আঙ্কল এর সাথে গাঢ় সবুজ রঙের * পরা এক রমনী। চোখে সানগ্লাস। বাবাই ওদের লাগেজ গাড়িতে তুলল।
এই 3 বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মাম্মা আর বাবা যখন ভিডিও কল এ আসে মাম্মা বাবার দিকে তাকায় না। মুখে সার্জিকাল মাস্ক ও রঙিন চশমা থাকে সবসময় ।
আমার সাথেও এরকম ভাবেই কথা বলে । কিন্তূ বাবার সাথে যেন কথা বলতে হয় তাই কথা বলে কিন্তু আমায় এখনও পড়া , খাওয়া, এবং মোহন দাদার কথা মনে রাখতে বলে।
আমরা গাড়িতে উঠলাম বাবাই চালকের পাশের সিটে, পেছনের সিটে এক পাশে সাদিক আঙ্কল, মাঝে ওই মহিলা, এবং পাশে আমি।
10 মিনিট পর কৌতুহল আর চেপে রাখতে পারলাম না । বলেই দিলাম , আঙ্কল, আজ তো মায়ের আসবার কথা ছিল, আসেনি?
আঙ্কল তো হো হো করে হেসে উঠলো যেন কত্ত বড় মজার কথা।
সে যাই হোক, নিজেকে সামলে আঙ্কল বলে উঠলেন বুবাই, লোকে বলে চোখের আড়াল হলেও নাকি মনের আড়াল হয় না। তুমি 3 বছরে নিজের মা কেই ভুলে গেছো? মায়ের পাশে বসে মা কে চিনছ না? হাহাহ সত্যিই তোমার সেন্স অফ হিউমার দারুন।
কেউ পিঞ্চ করে কথা বলছে সেটা এখন আমি ধরতে পারি ।
ক্লাস 7 এর ছেলেটা এখন সমাজের আঘাতে আজ অনেক বড় হয়ে গেছে.... 16 বছরের দেহে 26 বছরের maturity।
বাবাই তো সামনে বসে পুরো পাথরের মূর্তি। রিয়ার ভিউ মিরর থেকে আমার পাশে বসা নারী, যে কিনা মাম্মা তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে একভাবে। যদি মনের আওয়াজ সোনার কোনো উপায় হতো , তাহলে বাবাই এর মনের আর্তনাদে কানে কালা হয়ে যেত সবাই ।
আমি খেয়াল করলাম মাম্মা এর ওই সিল্কের পোশাক থেকে বেরিয়ে আসা হাথ দুটি। খুব সুন্দর আঙ্গুল মামামের কিন্তু মাম্মা কোনোদিন নিজের হাতের নখ বাড়ায়নি। বলত এটা unhygienic। কিন্তূ মাম্মা এখন দুই হাতেই বেশ লম্বা নখ রেখেছে। এবং সেগুলো কাল পলিশ দিয়ে সাজানো নখের উপর পাতলা সবুজ রং এর সাপ আকা।
মাম্মা এর হাতে এখনও শাখা পলা আছে। পোশাকের হাতার থেকে ওগুলো বেরিয়ে আসায় 1 ঝলক আমার চোখে পড়ে
মাম্মা একটা * পরা। অতেও দামী হিরের কাজ করা
দুবাই থেকে ভিডিও কলের থ্রু সাদিক বাবাই কে অনেক বার কল করেছে 3 বছরে। বাবাই যে কিনা এক দারুন মজার মানুষ ছিল সে গুমরে থাকত, কেমন যেন এক ধাক্কায় বুড়ো হয়ে গেছিলো। দাড়ি কাটা ছেড়ে দিয়েছিল। পোশাক এর চিরিচাদ ছিল না। ঠাম্মী মারা গেছে গত বছর। রয় বাড়িতে এখন খালি আমরা 2 জন থাকি।
বাবাকে আজ একটা ভালো পোশাক পড়তে বলেছিলাম। হালকা নীল শার্ট এর সাথে ব্ল্যাক ট্রাউজার এবং ব্রাউন shoes।
বেশ লাগছিল । লম্বা ছিপছিপে শরীরের বাবাই কে।
কে বলবে এই লোকের 10 এ পড়া ছেলে আছে?
কলেজ এর 3র্ড ইয়ার এর ছাত্র এর মত লাগছিল।
আচ্ছা মাম্মা ও কি বাবাই এর দিকেই দেখছে?
কি জানি মাম্মা এর চোখ এখন বুঝি না 3 বছর তো দেখিইনি
।
আমরা বাড়ি তে পৌঁছলাম। সাদিক আঙ্কল দরজা খুলে নামলো। আমি ও নামলাম অন্য পাশ থেকে। আমি নেমেছিলাম বাড়ির গেটের দিকের রাস্তায় আমি মাম্মা কে বলতে যাবো যে এই পাশ থেকে... তার আগেই সাদিক আঙ্কল এর হাথ ধরে মাম্মা অন্য পাশ দিয়ে নেমে গেল । খারাপ লাগেনি বললে মিথ্যে বলা হবে। তবুও মাম্মা ফিরেছে এটা একটা বিশাল ব্যাপার।
আমরা ঘরে এগোব এমন সময় সাদিক আঙ্কল একটা কথা বললেন। আজকে বুধ বার। আগামী শনিবারের মধ্যে আমরা মনে আমি, বাবাই আর মাম্মা দুবাই যাব। এই কদিন যেন আমরা মায়ের সাথে মিশে নি । কারন পরের 1 সপ্তাহ আমরা দুবাই থাকব। সাদিক আঙ্কল আমায় ডাকলেন আর বাবাই কে মাম্মা এর 1 টা বড় সুটকেস দিয়ে এগোতে বললেন।
বাবাই মাম্মা কে ডাকলো । মাম্মা হাতের ইশারায় দাড়াতে বলল।
আমি সাদিক আঙ্কল এর সাথে এট্টু অন্য দিকে আসলাম। সাদিক আঙ্কল আমাদের সাথে এই 4 দিন থাকবে না । কিন্তূ আঙ্কল এর মহিলা পরিচারিকা , যার নাম ফাতেমা সে আসবে । সে মায়ের ব্যাক্তিগত সেবিকা ও নার্স ।
-- বুবাই, দেখো তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। তাই তোমায় আমি বলব নিজের মা কে ভুল বুঝবে না আর আমাদের কাজে বাধা দেবে না। আজকের পরের যা ঘটনা ঘটবে মনে করবে এটা হওয়ারই ছিল। তোমায় কিছু উপদেশ দিচ্ছি তোমার ভালোর জন্যেই। 1, মাম্মা কে খাবার সময় দেখো না, 2, তোমার মাম্মা মুখোশ ছাড়া থাকবে না , তাকে জোর করবে না। 3, যখন ফাতেমা যা বলবে তোমায় তুমি সেটা মেনে নেবে । আর এগুলো যদি মানতে না পারো ভোগান্তি তোমার নিজের ই। পারলে মায়ের মায়া কাটাও। তুমি তো ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে অ্যাডমিশন নিয়েছ শুনলাম এবং ফিজিক্যাল ও পাশ করেছো। দুবাই থেকে ফিরে তাহলে কাজে মন দিও...
আঙ্কল আমরা যে taxi করে এসেছিলাম তাতে উঠেই ফিরে গেলেন তার বাংলো এর উদ্দেশে। যাওয়ার আগে বলে গেলেন
-- নাদিম সাহেব বিকেলে আসবে । চালাকি করার চেষ্টাও করো না।
আমি ঢোকার পথে দেখলাম মাম্মা তখনও দাড়িয়ে । আমি মাম্মার থেকে এখন অনেক লম্বা। প্রায় 6.5" লম্বা আমি।
মাম্মা এর তো মুখ দেখার উপায় নেই, কিন্তু সানগ্লাস এ জমা বাষ্প, ও *ের ওপর গাঢ় হয়ে ফুটে ওঠা ফোঁটা দেখে বোঝা যায় যে মাম্মা কাদঁছে। আমি মাম্মা কে নিয়ে ঘরের দিকে এগোলাম।
মাম্মা র ঘরে এলো। সেই বাড়ি , সেই ঘর যেটা ছেড়ে মাম্মা কে একদিন যেতে হয়েছিল। যাতে আমি আর বাবাই ভাল থাকি ।
বাবাই এর সাথে taxi করে সোজা airport এর দিকে। সাদিক আঙ্কল এর সাথে গাঢ় সবুজ রঙের * পরা এক রমনী। চোখে সানগ্লাস। বাবাই ওদের লাগেজ গাড়িতে তুলল।
এই 3 বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মাম্মা আর বাবা যখন ভিডিও কল এ আসে মাম্মা বাবার দিকে তাকায় না। মুখে সার্জিকাল মাস্ক ও রঙিন চশমা থাকে সবসময় ।
আমার সাথেও এরকম ভাবেই কথা বলে । কিন্তূ বাবার সাথে যেন কথা বলতে হয় তাই কথা বলে কিন্তু আমায় এখনও পড়া , খাওয়া, এবং মোহন দাদার কথা মনে রাখতে বলে।
আমরা গাড়িতে উঠলাম বাবাই চালকের পাশের সিটে, পেছনের সিটে এক পাশে সাদিক আঙ্কল, মাঝে ওই মহিলা, এবং পাশে আমি।
10 মিনিট পর কৌতুহল আর চেপে রাখতে পারলাম না । বলেই দিলাম , আঙ্কল, আজ তো মায়ের আসবার কথা ছিল, আসেনি?
আঙ্কল তো হো হো করে হেসে উঠলো যেন কত্ত বড় মজার কথা।
সে যাই হোক, নিজেকে সামলে আঙ্কল বলে উঠলেন বুবাই, লোকে বলে চোখের আড়াল হলেও নাকি মনের আড়াল হয় না। তুমি 3 বছরে নিজের মা কেই ভুলে গেছো? মায়ের পাশে বসে মা কে চিনছ না? হাহাহ সত্যিই তোমার সেন্স অফ হিউমার দারুন।
কেউ পিঞ্চ করে কথা বলছে সেটা এখন আমি ধরতে পারি ।
ক্লাস 7 এর ছেলেটা এখন সমাজের আঘাতে আজ অনেক বড় হয়ে গেছে.... 16 বছরের দেহে 26 বছরের maturity।
বাবাই তো সামনে বসে পুরো পাথরের মূর্তি। রিয়ার ভিউ মিরর থেকে আমার পাশে বসা নারী, যে কিনা মাম্মা তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে একভাবে। যদি মনের আওয়াজ সোনার কোনো উপায় হতো , তাহলে বাবাই এর মনের আর্তনাদে কানে কালা হয়ে যেত সবাই ।
আমি খেয়াল করলাম মাম্মা এর ওই সিল্কের পোশাক থেকে বেরিয়ে আসা হাথ দুটি। খুব সুন্দর আঙ্গুল মামামের কিন্তু মাম্মা কোনোদিন নিজের হাতের নখ বাড়ায়নি। বলত এটা unhygienic। কিন্তূ মাম্মা এখন দুই হাতেই বেশ লম্বা নখ রেখেছে। এবং সেগুলো কাল পলিশ দিয়ে সাজানো নখের উপর পাতলা সবুজ রং এর সাপ আকা।
মাম্মা এর হাতে এখনও শাখা পলা আছে। পোশাকের হাতার থেকে ওগুলো বেরিয়ে আসায় 1 ঝলক আমার চোখে পড়ে
মাম্মা একটা * পরা। অতেও দামী হিরের কাজ করা
দুবাই থেকে ভিডিও কলের থ্রু সাদিক বাবাই কে অনেক বার কল করেছে 3 বছরে। বাবাই যে কিনা এক দারুন মজার মানুষ ছিল সে গুমরে থাকত, কেমন যেন এক ধাক্কায় বুড়ো হয়ে গেছিলো। দাড়ি কাটা ছেড়ে দিয়েছিল। পোশাক এর চিরিচাদ ছিল না। ঠাম্মী মারা গেছে গত বছর। রয় বাড়িতে এখন খালি আমরা 2 জন থাকি।
বাবাকে আজ একটা ভালো পোশাক পড়তে বলেছিলাম। হালকা নীল শার্ট এর সাথে ব্ল্যাক ট্রাউজার এবং ব্রাউন shoes।
বেশ লাগছিল । লম্বা ছিপছিপে শরীরের বাবাই কে।
কে বলবে এই লোকের 10 এ পড়া ছেলে আছে?
কলেজ এর 3র্ড ইয়ার এর ছাত্র এর মত লাগছিল।
আচ্ছা মাম্মা ও কি বাবাই এর দিকেই দেখছে?
কি জানি মাম্মা এর চোখ এখন বুঝি না 3 বছর তো দেখিইনি
।
আমরা বাড়ি তে পৌঁছলাম। সাদিক আঙ্কল দরজা খুলে নামলো। আমি ও নামলাম অন্য পাশ থেকে। আমি নেমেছিলাম বাড়ির গেটের দিকের রাস্তায় আমি মাম্মা কে বলতে যাবো যে এই পাশ থেকে... তার আগেই সাদিক আঙ্কল এর হাথ ধরে মাম্মা অন্য পাশ দিয়ে নেমে গেল । খারাপ লাগেনি বললে মিথ্যে বলা হবে। তবুও মাম্মা ফিরেছে এটা একটা বিশাল ব্যাপার।
আমরা ঘরে এগোব এমন সময় সাদিক আঙ্কল একটা কথা বললেন। আজকে বুধ বার। আগামী শনিবারের মধ্যে আমরা মনে আমি, বাবাই আর মাম্মা দুবাই যাব। এই কদিন যেন আমরা মায়ের সাথে মিশে নি । কারন পরের 1 সপ্তাহ আমরা দুবাই থাকব। সাদিক আঙ্কল আমায় ডাকলেন আর বাবাই কে মাম্মা এর 1 টা বড় সুটকেস দিয়ে এগোতে বললেন।
বাবাই মাম্মা কে ডাকলো । মাম্মা হাতের ইশারায় দাড়াতে বলল।
আমি সাদিক আঙ্কল এর সাথে এট্টু অন্য দিকে আসলাম। সাদিক আঙ্কল আমাদের সাথে এই 4 দিন থাকবে না । কিন্তূ আঙ্কল এর মহিলা পরিচারিকা , যার নাম ফাতেমা সে আসবে । সে মায়ের ব্যাক্তিগত সেবিকা ও নার্স ।
-- বুবাই, দেখো তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। তাই তোমায় আমি বলব নিজের মা কে ভুল বুঝবে না আর আমাদের কাজে বাধা দেবে না। আজকের পরের যা ঘটনা ঘটবে মনে করবে এটা হওয়ারই ছিল। তোমায় কিছু উপদেশ দিচ্ছি তোমার ভালোর জন্যেই। 1, মাম্মা কে খাবার সময় দেখো না, 2, তোমার মাম্মা মুখোশ ছাড়া থাকবে না , তাকে জোর করবে না। 3, যখন ফাতেমা যা বলবে তোমায় তুমি সেটা মেনে নেবে । আর এগুলো যদি মানতে না পারো ভোগান্তি তোমার নিজের ই। পারলে মায়ের মায়া কাটাও। তুমি তো ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে অ্যাডমিশন নিয়েছ শুনলাম এবং ফিজিক্যাল ও পাশ করেছো। দুবাই থেকে ফিরে তাহলে কাজে মন দিও...
আঙ্কল আমরা যে taxi করে এসেছিলাম তাতে উঠেই ফিরে গেলেন তার বাংলো এর উদ্দেশে। যাওয়ার আগে বলে গেলেন
-- নাদিম সাহেব বিকেলে আসবে । চালাকি করার চেষ্টাও করো না।
আমি ঢোকার পথে দেখলাম মাম্মা তখনও দাড়িয়ে । আমি মাম্মার থেকে এখন অনেক লম্বা। প্রায় 6.5" লম্বা আমি।
মাম্মা এর তো মুখ দেখার উপায় নেই, কিন্তু সানগ্লাস এ জমা বাষ্প, ও *ের ওপর গাঢ় হয়ে ফুটে ওঠা ফোঁটা দেখে বোঝা যায় যে মাম্মা কাদঁছে। আমি মাম্মা কে নিয়ে ঘরের দিকে এগোলাম।
মাম্মা র ঘরে এলো। সেই বাড়ি , সেই ঘর যেটা ছেড়ে মাম্মা কে একদিন যেতে হয়েছিল। যাতে আমি আর বাবাই ভাল থাকি ।