16-04-2023, 10:27 AM
সপ্তদশ শতাব্দী,বিত্তশালী ক্ষমতাবান টটোম্যান সাম্রাজ্য যেখানে বাবার মৃত্যুর পর ছেলে ক্ষমতায় বসে এবং সুলতান হিসেবে উপাধি পায়। ক্ষমতা সুসংহত করতে নিজ ভাই,সৎ ভাই হত্যা সেখানে বৈধ। আজ সেখানে সুলতান বশির ক্ষমতাশীন যার বয়স ২৭। রাজ্যের উঠতি বয়সের কন্যাদের বাবারা চিন্তিত। কারণ সুলতান বশির অত্যান্ত লম্পট। তার অধিনস্ত চাকর,এমনকি রাজ দরবারের সদস্যদের সুন্দরি স্ত্রী কন্যদের ভোগ করতে ছাড়েনি। যদিও তার বাবা সুলতান সেলিম কোন পদক্ষেপ নেয়নি তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে কিন্তু প্রচার আছে সুলতান সেলিমই তাকে প্রশ্রয় দিয়েছে। কারণ শাহজাদা বশির লম্পট হলেও রাজনীতি এবং যুদ্ধে যথেষ্ট পটু। সভাসদদের উপর তার যথেস্ট প্রভাব।
যাইহোক সুলতান বশির ক্ষমতায় এসে ঘোষনা করলেন তিনি ভাই হত্যা প্রথা তুলে দিবেন কিন্তু শর্ত যে তার ভাই রাজনীতিতে আসতে পারবেনা। এটাও তার একটা কৌশল ছিলো নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর। তার কোন আপন ভাই ছিলো না। ৬ বছরের এক সৎ ভাই ছিলো নাম মাহমুদ।মাহমুদ না বালক হওয়ায় বশির তাকে হুমকি মনে করেনি। তার এ ঘোষনায় প্রজারা খুশি হলেও একজন খুশি হতে পারেনি সে হলো মাহমুদের সুন্দরি মা হালিমা। সে জানে আজ না হয় কাল, ক্ষমতার জন্য বশির তার ছেলেকে হত্যা করবে। তাছাড়া সে নিজেও স্বপ্ন দেখে একদিন মাহমুদ সুলতান হবে।
হালিমা সেলিমের ৪ নম্বর স্ত্রী। রুপ আর শরীরের গঠনে অন্য সবার থেকে সে আলাদা। হালিমা লক্ষ্য করেছে রাজ সদস্যারাও তার দিকে লোভাতুর দৃস্টিতে তাকাতে। নিজের শরীরের সৌন্দর্য দিয়ে কিছু সদস্যদের সে নিজের দলভুক্ত করে বিভিন্ন সময় স্বার্থ হাসিল করেছে। আর এখন এই কঠিন সময়ে নিজ সন্তানকে বাঁচাতে সে এক লোভী রাজ সদস্যকে ব্যবহার করে মহল থেকে পালাতে চাইছে।
ঈদের দুইদিন আগে,তারা পালালো রাজ মহল থেকে। সেই সভাসদ সব ব্যবস্থা করে ঘোড়ার গারীতে রাতের অন্ধকারে হালিমা আর মাহমুদকে। মহল থেকে দূরে নিরিবিলি এক অভিজাত বাড়ীতে এলো তারা।
বাড়ীর চাকচিক্য দেখে অবাক হলো হালিমা। জানিতে চাইলো
-কার বাড়ী এটা, পাশা?
-সুলতানা, এটা বিশিষ্ট বনিক মিতাইলের বাড়ী।
সুলতানা চিনে মিতাইলকে। যথেস্ট ধনি ব্যবসায়ী। ভয় পেলো সে।
- এটাকি নিরাপদ?
- ভয় পাবেন না সুলতানা,মিতাইল সুলতান বশিরকে পছন্দ করেন না। তিনি চান সুলতান মাহমুদ ক্ষমতায় বসুক।
- তাহলেতো সুলতান বশির তাকে আগে লক্ষ্য করবেন?
- না, মিতাইল একজন ধনি ব্যবসায়ী। আপনার পালানোর খবরে সুলতান সব জায়গায় পাহাড়া বসাবেন।সুলতান আপনার অনুগত সবার বাড়ী তল্লাশি করবেন কিন্তু সাম্রাজ্যের সেরা বণিকের বাড়ী নয়। কিছুদিন এখানে থাকুন। মিতাইল কায়রোর উদ্দেশ্য যাবেন কিছুদিন পর,তখন তার মালের ক্যারাভানে আপনাদের উঠিয়ে দেয়া হবে। এখন বিশ্রাম নিন সুলতানা।
- অনেক ধন্যবাদ পাশা। আপনাদের এ উপকার কোনদিন ভূলবোনা।
- আপনার সেবা করতে পারা আমার জন্য গর্বের সুলতানা।
হালিমার উদ্ধত বুকের দিকে তাকিয়ে বল্লো পাশা। লক্ষ্য করে ওড়না দিয়ে নিজের বুক ঢাকলো হালিমা।
যাইহোক সুলতান বশির ক্ষমতায় এসে ঘোষনা করলেন তিনি ভাই হত্যা প্রথা তুলে দিবেন কিন্তু শর্ত যে তার ভাই রাজনীতিতে আসতে পারবেনা। এটাও তার একটা কৌশল ছিলো নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর। তার কোন আপন ভাই ছিলো না। ৬ বছরের এক সৎ ভাই ছিলো নাম মাহমুদ।মাহমুদ না বালক হওয়ায় বশির তাকে হুমকি মনে করেনি। তার এ ঘোষনায় প্রজারা খুশি হলেও একজন খুশি হতে পারেনি সে হলো মাহমুদের সুন্দরি মা হালিমা। সে জানে আজ না হয় কাল, ক্ষমতার জন্য বশির তার ছেলেকে হত্যা করবে। তাছাড়া সে নিজেও স্বপ্ন দেখে একদিন মাহমুদ সুলতান হবে।
হালিমা সেলিমের ৪ নম্বর স্ত্রী। রুপ আর শরীরের গঠনে অন্য সবার থেকে সে আলাদা। হালিমা লক্ষ্য করেছে রাজ সদস্যারাও তার দিকে লোভাতুর দৃস্টিতে তাকাতে। নিজের শরীরের সৌন্দর্য দিয়ে কিছু সদস্যদের সে নিজের দলভুক্ত করে বিভিন্ন সময় স্বার্থ হাসিল করেছে। আর এখন এই কঠিন সময়ে নিজ সন্তানকে বাঁচাতে সে এক লোভী রাজ সদস্যকে ব্যবহার করে মহল থেকে পালাতে চাইছে।
ঈদের দুইদিন আগে,তারা পালালো রাজ মহল থেকে। সেই সভাসদ সব ব্যবস্থা করে ঘোড়ার গারীতে রাতের অন্ধকারে হালিমা আর মাহমুদকে। মহল থেকে দূরে নিরিবিলি এক অভিজাত বাড়ীতে এলো তারা।
বাড়ীর চাকচিক্য দেখে অবাক হলো হালিমা। জানিতে চাইলো
-কার বাড়ী এটা, পাশা?
-সুলতানা, এটা বিশিষ্ট বনিক মিতাইলের বাড়ী।
সুলতানা চিনে মিতাইলকে। যথেস্ট ধনি ব্যবসায়ী। ভয় পেলো সে।
- এটাকি নিরাপদ?
- ভয় পাবেন না সুলতানা,মিতাইল সুলতান বশিরকে পছন্দ করেন না। তিনি চান সুলতান মাহমুদ ক্ষমতায় বসুক।
- তাহলেতো সুলতান বশির তাকে আগে লক্ষ্য করবেন?
- না, মিতাইল একজন ধনি ব্যবসায়ী। আপনার পালানোর খবরে সুলতান সব জায়গায় পাহাড়া বসাবেন।সুলতান আপনার অনুগত সবার বাড়ী তল্লাশি করবেন কিন্তু সাম্রাজ্যের সেরা বণিকের বাড়ী নয়। কিছুদিন এখানে থাকুন। মিতাইল কায়রোর উদ্দেশ্য যাবেন কিছুদিন পর,তখন তার মালের ক্যারাভানে আপনাদের উঠিয়ে দেয়া হবে। এখন বিশ্রাম নিন সুলতানা।
- অনেক ধন্যবাদ পাশা। আপনাদের এ উপকার কোনদিন ভূলবোনা।
- আপনার সেবা করতে পারা আমার জন্য গর্বের সুলতানা।
হালিমার উদ্ধত বুকের দিকে তাকিয়ে বল্লো পাশা। লক্ষ্য করে ওড়না দিয়ে নিজের বুক ঢাকলো হালিমা।