14-04-2023, 03:06 PM
সেদিন বিয়ের দিন তারিখটা জানানোর জন্যেই তানিয়াদের বাড়ী গিয়েছিলাম। তাদের বাড়ীর উঠানে পা দিতেই দেখলাম, তানিয়া ভীত এক চেহারা করে, দেয়ালের আঁড়ালেই লুকুতে চাইলো। আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম, কি তানিয়া, আমাকে তোমার অপছন্দ?
তানিয়া কিছু বললো না। দেয়ালটা দু হাতে চেপে ধরে, আমার দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে রইলো। চেহারায় এক ধরনের অজানা ভয়। আমি বললাম, তুমি কি আমাকে ভয় করছো?
তানিয়া কিছু বললো না। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁকিয়ে রইলো। আমার হঠাৎই বুকের ভেতরটা ছ্যাৎ করে উঠলো। তানিয়া বোবা টোবা নয় তো? মেয়ের কোন খুত না থাকলে, তার মাও এমন ছোট্ট একটা মেয়েকে এত সহজেই আমার হাতে তুলে দিতে চাইছে কেনো? আমি বিড় বিড় করেই বললাম, তাহলে কি মেয়েটি বোবা?
তানিয়া না বোধক মাথা নাড়লো।
আমি বললাম, তাহলে কথা বলছো না কেনো? আমাকে কি তোমার অপছন্দ?
তানিয়া আবারো না বোধক মাথা নাড়লো।
আমি বললাম, তোমার সাথে যে আমার বিয়ের কথা বার্তা চলছে, তা তুমি জানো?
তানিয়া এবার হ্যা বোধক মাথা নাড়লো।
আমি বললাম, এই বিয়েতে কি তোমার কোন আপত্তি আছে?
তানিয়া আবারো না বোধক মাথা নাড়লো।
তানিয়ার ব্যাপারটা আমি বুঝলাম। আসলে, বয়সের একটা ব্যাবধান আর তানিয়ার বর্তমান বয়সটাই তাকে ভীত করে রেখেছে। আর তার এই ভীত চেহারাটাই আমার কাছে এত ভাল লাগছিলো যে, কিছু একটা উপহার তাকে এই মুহুর্তেই করতে ইচ্ছে করছিলো। পকেটে বিদেশী টাকার একটা নোট ছিলো, যা দেশে কোন কাজেই লাগবে না। আমি ব্যাক পকেট থেকে মাণি ব্যাগটা বেড় করে, সেটাই তানিয়ার দিকে বাড়িয়ে বললাম, এটা তোমাকে উপহার করতে চাইছি, নেবে?
তানিয়া খুব খুশী হয়েই হাত বাড়ালো। হাতে নিয়ে বললো, এটা কি টাকা?
তানিয়ার খুশী দেখে, আমার মনটাও আনন্দে ভরে উঠলো। আমি বললাম, হুম টাকা, তবে বিদেশী টাকা।
তানিয়া বললো, তাহলে কি ডলার?
আমি বললাম, হুম ডলার, তবে ইউ এস ডলার নয়, তাইওয়ান ডলার। সেবার তাইওয়ান গিয়েছিলাম। তখন কিছু টাকা বদলাতে হয়েছিলো। এটা খরচ হয়নি। তাই পকেটে ছিলো।
তানিয়া তাইওয়ান ডলারটা হাতে নিয়ে, খুশীতে নাচতে নাচতে বাড়ীর ভেতর ঢুকে গেলো।
তানিয়া কিছু বললো না। দেয়ালটা দু হাতে চেপে ধরে, আমার দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে রইলো। চেহারায় এক ধরনের অজানা ভয়। আমি বললাম, তুমি কি আমাকে ভয় করছো?
তানিয়া কিছু বললো না। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁকিয়ে রইলো। আমার হঠাৎই বুকের ভেতরটা ছ্যাৎ করে উঠলো। তানিয়া বোবা টোবা নয় তো? মেয়ের কোন খুত না থাকলে, তার মাও এমন ছোট্ট একটা মেয়েকে এত সহজেই আমার হাতে তুলে দিতে চাইছে কেনো? আমি বিড় বিড় করেই বললাম, তাহলে কি মেয়েটি বোবা?
তানিয়া না বোধক মাথা নাড়লো।
আমি বললাম, তাহলে কথা বলছো না কেনো? আমাকে কি তোমার অপছন্দ?
তানিয়া আবারো না বোধক মাথা নাড়লো।
আমি বললাম, তোমার সাথে যে আমার বিয়ের কথা বার্তা চলছে, তা তুমি জানো?
তানিয়া এবার হ্যা বোধক মাথা নাড়লো।
আমি বললাম, এই বিয়েতে কি তোমার কোন আপত্তি আছে?
তানিয়া আবারো না বোধক মাথা নাড়লো।
তানিয়ার ব্যাপারটা আমি বুঝলাম। আসলে, বয়সের একটা ব্যাবধান আর তানিয়ার বর্তমান বয়সটাই তাকে ভীত করে রেখেছে। আর তার এই ভীত চেহারাটাই আমার কাছে এত ভাল লাগছিলো যে, কিছু একটা উপহার তাকে এই মুহুর্তেই করতে ইচ্ছে করছিলো। পকেটে বিদেশী টাকার একটা নোট ছিলো, যা দেশে কোন কাজেই লাগবে না। আমি ব্যাক পকেট থেকে মাণি ব্যাগটা বেড় করে, সেটাই তানিয়ার দিকে বাড়িয়ে বললাম, এটা তোমাকে উপহার করতে চাইছি, নেবে?
তানিয়া খুব খুশী হয়েই হাত বাড়ালো। হাতে নিয়ে বললো, এটা কি টাকা?
তানিয়ার খুশী দেখে, আমার মনটাও আনন্দে ভরে উঠলো। আমি বললাম, হুম টাকা, তবে বিদেশী টাকা।
তানিয়া বললো, তাহলে কি ডলার?
আমি বললাম, হুম ডলার, তবে ইউ এস ডলার নয়, তাইওয়ান ডলার। সেবার তাইওয়ান গিয়েছিলাম। তখন কিছু টাকা বদলাতে হয়েছিলো। এটা খরচ হয়নি। তাই পকেটে ছিলো।
তানিয়া তাইওয়ান ডলারটা হাতে নিয়ে, খুশীতে নাচতে নাচতে বাড়ীর ভেতর ঢুকে গেলো।