Thread Rating:
  • 115 Vote(s) - 2.69 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Fantasy মায়ের বিরল দুগ্ধভিজান
Rainbow 
আপডেট:-


..........তো উনি আমাদের গোটা সভায় উপস্থিত ছিলেন, তোমাকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছিলেন গোটা সময়টা ধরে। তো উনার কাছ থেকে জানতে পারলাম দুধপুকুর গ্রামের চারপাশে আদিবাসী মানুষজন থাকে আমাদের মতই, প্রতিবছরই এই মাসে একাদশীর দিন তাদের একটা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, চারিপাশে মেলা বসে, দূর দূরান্ত গ্রাম থেকে মানুষজন আসে, ব্যাপক নাকি ভিড় হয়।
        কাকিমার কথা শেষ করতে না দিয়ে ঠাকুমা বলে উঠলেন - হ্যাঁ ছোট বৌমা তুমি ঠিকই বলেছ, আমিও দুধপুকুর গ্রামের মেলার কথা বেশ কয়েকবার শুনেছি বটে, তবে সেটা ঠিক কোন সময় হতো সেটা ঠিক জানা ছিল না, আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে।
       কাকিমা আবার বলা আরম্ভ করলেন - হ্যাঁ মা দুধপুকুর গ্রামে দুদিন ধরে খারুল এর মেলা চলে, প্রথম দিন ওদের কিছু রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী কিছু অনুষ্ঠান হয় আর দ্বিতীয় দিন মেলার সাথে গ্রামের মানুষের বিনোদনের কিছু খেলা প্রতিযোগিতা, তো রক্তিমবাবুর আগে যিনি প্রধান ছিলেন, তিনি এই আদিবাসী মানুষদের অতটা সহ্য করতে পারতেন না, উনি ছিলেন আদিবাসী মানুষদের সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের ঘোর বিপক্ষে, এমনকি উনার আদেশে এই আদিবাসী মানুষদের অনুষ্ঠান বেশ কিছু বছর বন্ধ ছিল, তা রক্তিমবাবু এ বছর পঞ্চায়েতের ভোটে ক্ষমতায় আসেন অনেক বছর ব্যর্থতার পর, আদিবাসী মানুষরা আগের বারের প্রধানের উপর বেশ চটে ছিল, তাই সবাই মিলে উনার বিপক্ষে রক্তিম বাবুকে ভোট দেন, আর আদিবাসী মানুষদের পূর্ণ সমর্থনে রক্তিম বাবু এ বছর ক্ষমতায় আসেন। তাই উনি এ বছর দুধপুকুর গ্রামে আবার সেই খারুল এর মেলা শুরু করতে চান গ্রামের আদিবাসী গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য,
তো সেই কারণে উনি আমাদের গ্রামে সকলকে আমন্ত্রিত জানান আর বিশেষ করে বৌদি তোমাকে, উনি বললেন তোমার নাকি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে সেই অনুষ্ঠানে, সেই কারণে আমাদের পরিবারকে একদিন আগেই যেতে বলেছেন। উনি সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখবেন আমাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয়।
       ঠাকুমা তো লাফিয়ে উঠলেন, খুব খুশি বলতে শুরু করলেন - যাব বৈকি, আলবাত যাব, আমার বহুদিনের সাধ ছিল খারুলএর মেলায় একবার যাব, আর আর উনি যখন আমন্ত্রিত করেছেন আমাদের তখন তো নিশ্চয়ই যেতে হবে।
তো দেখতে দেখতে দিন চলে গেল দুদিন আগেই আমরা সকলে মিলে রওনা হলাম দুধপুকুর গ্রামের রক্তিমবাবুর বাড়ির উদ্দেশ্যে, বাড়িতে রইল শুধু বাবা আর মাতাল কাকা।
         গরুর গাড়িতে করে কিছুটা যাওয়ার পর একটা ছোট নদী পার হতে হলো, সামনে পড়লো একটা ভাঙ্গা বাসের একটা ব্রিজে, যেটাতে দেখলাম গরুর গাড়ি যাওয়ার অনুমতি নেই, খালি পায়েই এপাশ থেকে ওপাশ যেতে হবে উপর দিয়ে, কাজের গরুর গাড়ি আমাদের ওখানে ছেড়ে দিতে হলো,  বাকিটা রাস্তা পায়ে হেঁটে। 
       আমরা বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় রাস্তায় জলখাবারের জন্য কিছু খাবার একটা পুটুলিতে বেঁধে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলাম, তো গ্রামের রাস্তা তার ওপর মাথার উপর চড়া রোদ্দুর, ঠাকুমা স্থির করলেন কোনো জায়গায় ছায়ায় বসে আমরা জলখাবার খাব একটু বিশ্রাম নেব তারপরে বাকিটা রাস্তা হেঁটে এগাবো।
তা কিছুটা যাওয়ার পরে আমরা একটা বড় বটগাছ দেখতে পেলাম যেটার নিচের জায়গাটা বেশ ছায়ায় ছেয়ে আছে বেশ শীতল পরিবেশ, তো আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এখানেই বসে খাওয়া-দাওয়া সারা যাক, কাকিমা গাছের নিচে একটা চাদর বিছিয়ে আমাদের বাসায় জায়গা তৈরি করে দিল, আমরা সকলে মিলে বসে পড়লাম আসন ঘিরে, ঠাকুমা পুটলী খুলে সেখান থেকে রুটি বার করে তারপর একটা টিফিন কৌটো খুলে আলু ভাজা ভাগ করে আমাদের সকলকে খেতে দিল, এতটা রাস্তা আসার পর সকলেরই বেশ খিদে পেয়েছিল, কাজেই রুটি আলু ভাজা শেষ করতে বেশি সময় লাগলো না, ঠাকুরদা জল খেতে যাবে এমন সময় বোতলের দিকে নজর পড়তেই দেখল বোতল ফাঁকা।
ঠাকুরদা সে কি বোতলে জল নেই জল শেষ হয়ে গেছে।
       কাকীমা - তা হবে না বাবা, এই ভন্যি দুপুরবেলা মাথার উপর চড়া রৌদ্র, সকলেই তো জল পিপাসা পাচ্ছে, এত কটা মানুষ প্রত্যেকে এক ঘোট, এক ঘোট দিতে দিতেই জল শেষ হয়ে যাবে এটা তো স্বাভাবিকই।
       ঠাকুমা রুটি চিবুতে চিবুতে বলল - আরে তোমরা চিন্তা করছ কেন? জল শেষ হয়েছে তো কি হয়েছে? আমাদের সঙ্গে একটা জার্সি গাভী তো আছেই, যার তেষ্টা পাচ্ছে সে বড় বৌমার বোঁটায় মুখ দিয়ে চুষে নাও।
ঠাকুরদা বলল - ঠিক বলেছ তো তুমি, আমার তো মাথাতে আসেনি ব্যাপারটা, আমরা তো সঙ্গে একটা দুধের কুয়ো নিয়ে ঘুরছি।
এই বলে ঠাকুরদা হামাগুড়ি দিয়েই মায়ের পাশে এগিয়ে বলল - কই গো বৌমা, রুটি খাওয়ার পরে গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, ব্লাউজ টা একটু খোলো দেখি গলাটা একটু ভিজাতে হবে।
মা এটো হাতেই কাঁধে সেফটিপিন দিয়ে আটকানো শাড়ির আঁচল টা নামিয়ে দিল তারপর ওগুলো পটপট করে খুলে স্তনদুটো বের করল, ঠাকুরদা মায়ের কোলে মাথা রেখে দুই হাত দিয়ে একটা স্তন চেপে ধরে ওটার বোঁটাটা মুখে পড়ে সজরে চুষতে লাগলো।
ঠাকুমা এরপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল কিরে রাহুল তুই আবার কি ভাবছিস মেয়ে জলদি কর বাবা গ্রামে পৌঁছাতে হবে তো সন্ধ্যা নামার আগে তাড়াতাড়ি তোর মায়ের দুধটা খেয়ে নে।
ঠাকুমার কথা মত বাধ্য ছেলের মত আমিও ঠাকুরদার পাশে গিয়ে অন্য স্তনটার বোঁটায় মুখ লাগিয়ে চুষতে শুরু করলাম, মুখ ভরে গেল মায়ের গরম মিষ্টি দুধে, এরপর পালা করে ঠাকুমা আর কাকিমা তাদের পেট ভরালো আমার মায়ের স্তন্যপান করে।
তোর সকলের খাওয়ার শেষে, পিপাসাও মিটে গেল মায়ের স্তন্যদুগ্ধ পান করে।
বাকি রইলো শুধু মা, বাকি সকলকে স্তন্যদান করলেও মা নিজে কি পান করবে? কাজেই মায়ের চেষ্টা মিটলো না, এদিকেও সেরকম গরম পড়েছে, মা ভাবল কি আর করা যাবে নিজের বুকটাই একটু হাত দিয়ে উঁচু করে মাথাটা নামিয়ে নিজের বোঁটাটা একটু চুষে নিই গলাটা তো ভিজবে, তার মা এমন করতে যাবে এমন সময় ঠাকুরমা ধমক দিয়ে বলল - "ছি ছি বৌমা তুমি করছো কি? নিজের বুকের দুধ কেও খায় নাকি? তোমার তেস্টা পেয়েছে আমি বুঝতে পারছি, দাড়াও সেই ব্যবস্থা করছি", এই বলে ঠাকুমার সামনে একটা নোংরা পুকুর থেকে কিছুটা জল বোতলে ভরে নিয়ে এসে মাকে দিলো। এই কুকুরের কাদামাখা, দুর্গন্ধযুক্ত জল মা একবার মুখে দিল কিন্তু বমি উঠে গেল।
       ঠাকুমা নামক দিয়ে বলল - বৌমা দেখো তোমাকে এই জালই খেতে হবে, এখন কোন উপায় নেই, মাথার উপর প্রকর রৌদ্র, ভীষন গরম খেয়ে নাও নাহলে শরীর খারাপ করবে।
       কোন উপায় নাই দেখে মা নাক বন্ধ করে ঢক ঢক করে জলটাকে খেয়ে বোতলটা ফাঁকা করে দিল।
        তো আমরা সবাই উঠবো উঠবো করছি, মাও ব্লাউজের হুক লাগাতে যাবে এমন সময় ঠাকুরদা বলে উঠল - "দাঁড়াও বৌমা, এখনো তো অনেকটা পথ বাকি, এই ফাঁকা বোতলটাতে তোমার বুকের দুধ ভরে নিচ্ছি রাস্তায় চেষ্টা পেলে খাওয়া যাবে"।
         ঠাকুরদা এবার মার কাছে গিয়ে একটা স্তনের বোঁটা বোতলের মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে আমাকে বোতলটা দুহাতে শক্ত করে ধরতে বলল, আমি বোতলটা শক্ত করে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলাম স্থির ভাবে যাতে বোঁটাটা বোতলের মুখ থেকে বেরিয়ে না যায়, এরপর ঠাকুরদা একটা ফোলা স্তনের উপর দুই হাত দিয়ে দুই সাইডের দিকে ধরে জোরে জোরে চিপতে লাগলো, বোঁটা দিয়ে পিচকারির মতো দুধ বোতলের গা বেয়ে বেয়ে গড়িয়ে নিচে পড়তে লাগলো, কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা দু লিটারের বোতল মায়ের সাদা বুকের দুধে সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে গেল, তারপর বোতলের মুখটা ভালো করে প্যাঁচ দিয়ে ঠাকুরদা ব্যাগের মধ্যে ভোরে নিল, এরপর মা ব্লাউজের হুক গুলো লাগিয়ে শাড়ি কাপড় ঠিক করে উঠে দাঁড়ালো, আমরা সবাই  তৈরি হয়ে সামনে এগোতে শুরু করলাম।
        ঘন্টাখানেক পর আমরা শেষ পর্যন্ত পৌছালাম আমাদের গন্তব্য দুধপুকুর গ্রামে, বাঁশঝাড় আর তালগাছের সারি দিয়ে চারিদিক ঘেরা দুধপুকুর গ্রাম, আশেপাশে দেখতে পেলাম আদিবাসীদের ঘরবাড়ি তাদের নিজেদের শৈলীতে তৈরি বাড়িঘর গুলো একান্তই একক, গ্রামে ঢুকতেই দেখতে পেলাম বাঁশের কারুকার্য করে চারিপাশ সব সাজানো গোছানোর কাজ হচ্ছে, খুব সম্ভবত আসন্ন উৎসবের প্রস্তুতির জন্য, তারপর কিছুটা পরে দেখতে পেলাম একটা বিশাল বড় পাথরের মূর্তি, মূর্তিটার এক হাতে একটা কাস্তে আর অন্য হাতে একটা কাঠের ঢাল, এই মূর্তিটাকে ঘিরেই চারিপাশে ছোটখাটো দোকান পত্র বসেছে মেলার স্টলের মত, চারিদিকে সব সুন্দর করে সাজানো, তারপর আর কিছুটা যাওয়ার পর কিছুটা ভেতরে দেখতে পেলাম একটা বড় বাড়ি, বুঝতে অসুবিধা হলো না এটাই গ্রামের প্রধানের বাড়ি।
        দূর থেকে আমাদের দেখতে পেয়েই রক্তিমবাবু দৌড়ে এসে আমাদের অব্যর্থনা জানিয়ে - আসুন আসুন কি সৌভাগ্য আমার, আপনারা আমাদের গ্রামের মাটিতে পা দিয়েছেন, বীনা ম্যাডাম আপনি এসেছেন দেখে আমরা খুব খুশি, আসুন ভেতরে আসুন।
          আমরা সকলে রক্তিমবাবুর বাড়িতে ঢুকলাম ভেতরে বিশাল বড় জায়গা, আমাদের থাকার জন্য আলাদা একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিলেন তিনি।
           কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির একটা চাকর আমাদের জন্য চা জল খাবার নিয়ে হাজির, ততক্ষনে সন্ধ্যে নেমে এসেছে, আমাদের চা জল খাবার খাওয়া শেষ হয়েছে এমন সময় রক্তিমবাবু ঘরে প্রবেশ করলেন।
         আমাদের পাশে এসে একটা চেয়ার নিয়ে তারপর বললেন - আপনাদের এখানে আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো? তো আসার সময় নিশ্চয়ই নজরে পড়েছে গ্রাম প্রস্তুতি নিচ্ছে জোর কদমে, আসলে আমাদের গ্রামের আদিবাসীদের এই সময়টা খুব পবিত্র, গ্রামে আসার সময় যে পাথরের বড় মূর্তিটা দেখলেন ওটা হল আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন বিখ্যাত যোদ্ধা মুরমু সর্দারের, একসময় তিনি আদিবাসী মানুষদের দলবল নিয়ে একটা ভয়ানক যোদ্ধা বাহিনী তৈরি করেছিলেন এবং আশেপাশে চারিদিকের এলাকা জুড়ে তাদের রাজত্ব স্থাপন করেছিলেন, এমনকি ব্রিটিশ রাজের আমলে ব্রিটিশ সেনাদেরও পরাস্তও করে বেশ কয়েকবার, সেই কারণে ব্রিটিশরা আমাদের এই গ্রামে পা রাখতে ভয় পেতো, তো এই গ্রামের আদিবাসী মানুষের মধ্যে এই মুরমু সরদার শুধুমাত্র একজন যোদ্ধায় নয়, তাদের কাছে ভগবান তুল্য মূর্তি, বহু প্রাচীনকাল থেকেই তাকে ঘিরে প্রতিবছর এই সময় একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ওদের মধ্যে, এই অনুষ্ঠানের কিছু ক্রিয়া-কলাপ বর্তমান সভ্য সমাজের চোখে অবৈধ এবং দৃষ্টিকটু, আমার আগে গ্রামের যে প্রধান ছিলেন তিনিও এই অনুষ্ঠানের ঘোর বিপক্ষে ছিলেন, সেই কারণে আদিবাসী মানুষদের মধ্যে ওনার ওপর একটা ক্ষোভ জন্মেছিল। 
            মা এবার বলে উঠলো - কি রকম অনুষ্ঠান রক্তিম বাবু?
           রক্তিমবাবু কিছুক্ষণ চুপ থেকে গ্লাসে এক ঘোট জল খেয়ে আবার বলা আরম্ভ করলেন - না আসলে ব্যাপার হল, প্রাচীনকালে এই অনুষ্ঠানের শুরুর দিন একটা শিশুর বলি দেয়া হতো, 
           মা একটু আটকে উঠে - বাবা রে!! কি পাষাণ হৃদয় নিজেদের বাচ্চাদেরই বলি দিত।
          রক্তিমবাবু - না না!!! আসলে আদিবাসীরা যে সমস্ত গ্রামাঞ্চল আর এলাকা দখল করত, সেই এলাকার শিশুদেরই ধরে এনে বলি দিত।
          ঠাকুমা এবার বলা আরম্ভ করলো - দেখুন রক্তিম বাবু, সে আমাদের যুগেও ডাকাতরা শুনেছি বাচ্চা শিশুদের বলি দিত মা কালীর সামনে, এই প্রথা তো বহু যুগ আগে থেকেই চলে আসছে।
         রক্তিমবাবু - হ্যাঁ সে তো ঠিক আছে, তবে বর্তমান দিনে ওরা শিশু বলি দেয় না, তার বদলে একজোড়া পাঠা বলি দেয়, আসলে সমস্যা সেটাও না, এছাড়াও অনেক বিধি নিয়ম আছে, যেমন এই সময় গ্রামের পুরুষ মহিলাদের মনে যদি অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার প্রতি মোহগ্রস্ত হয়, নির্দ্বিধায় সেই সময় তারা পরস্পরের সাথে মিলিত হতে পারে, এমনকি তারা যদি বিবাহিত অব্দি হয় তা সত্ত্বেও।
            রক্তিমবাবুর এ কথাতেও মা বিপত্তি জানিয়ে বলল - এতেও তো কোনো ক্ষতি দেখছি না, একজন পুরুষের অন্য কোন নারী বা অন্য কোন নারীর একটা পুরুষ মানুষের প্রতি ভালোবাসা জন্মাতেই পারে, আর ভালোবাসা তো স্থান-কাল-পাত্র দেখে হয় না, হয়ে যায়।
             রক্তিমবাবু একটু চুপ থেকে বললেন -  আপনি ঠিকই বলেছেন বীনা বৌদি, তবে আরো কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেটা দৃষ্টিকটু, এই সময় গ্রামের পুরুষ স্ত্রী সকলে কোন বস্ত্র পরিধান করে না, সম্পূর্ণ নগ্নরূপে অনুষ্ঠান টা সম্পন্ন হয় আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে, এছাড়া অনেক কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো আপনি নিজে চোখে দেখবেন সময় এলে।
             মা বলল সে তো বুঝলাম তো এই অনুষ্ঠানে আমাদের কি কোন ভূমিকা আছে? শুনছিলাম কি একটা জরুরী দরকার আমাদের?
           রক্তিমবাবু এবার একটু ইতস্তত হয়ে বললেন - না মানে একটা ভূমিকা তো আছেই, খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, তবে সেটা শুধু আপনাকেই পালন করতে হবে বীনা বৌদি, দয়া করে না করবেন না, অনেক আশা করে আমি আদিবাসীদের রাজি করিয়েছি।
প্রথমত আদিবাসীরা তাদের অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠানে বাইরের গোষ্ঠীর কাউকে যোগদানের অনুমতি দেয় না আমি অনেক কষ্টে তাদের রাজি করিয়েছি আপনার ব্যাপারে।
           মা একটু আটকে উঠে আমার ব্যাপারে রাজি করিয়েছেন? মানে!!! কি..... কি..... ব্যাপারে ঠিক?
            রক্তিমবাবু এবার একটু হেসে বললেন - আপনি চিন্তিত হবেন না বৌদি, আপনাকে তাহলে গোটা ব্যাপারটা বলছি, আসলে এই খারুল এর মেলার প্রধান বিষয়বস্তু হলো মুরমু সর্দারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, এই মুরমু সর্দার খুব যৌনবিলাসী মানুষ ছিলেন, তার অনেক স্ত্রী ছিলেন সেই সঙ্গে ছিলেন অগুন্তিক সন্তান, গ্রামের আদিবাসী মানুষেদের মুখে চর্চিত আছে যে মুরমু সর্দারের নাকি মহিলাদের বুকের দুধের উপর আলাদা একটা আসক্তি ছিল, সেই কারণে তার সম্মানে প্রতিবছর গ্রামের একজন দুগ্ধবতী মহিলাকে উনার মূর্তির সাথে ঘটা করে পুজো দেয়া হয়, তারপর সেই মহিলাকে এই দুদিন রানীর সম্মানে সম্মানিত করা হয়ে থাকে, এছাড়াও এই কয়েকটা দিন চলতে থাকে নানান ধরনের রীতি রেওয়াজ, বিশ্ব মাতৃ স্তন্যপান সপ্তাহে আমি আপনাদের গ্রামে গিয়েছিলাম তাতে আমার মনে হয়েছিল আপনাকে যদি এ বছর মেলার বিশেষ অনুষ্ঠানে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আদিবাসী মানুষদের মধ্যে আপনার সাথে সাথে আমারও একটা বিশেষ সম্মান বেড়ে যাবে, কারণ বীনা বৌদি আপনার মত একজন দুগ্ধবতী মহিলাই এই সন্মানের যোগ্য উত্তরাধিকার, প্রথমে আদিবাসীদের মধ্যে আপনার কথাটা উল্লেখ করি ওরা খুব রেগে যায়, কারণ আগেই বলেছি ওরা বহির্ভূতদের তাদের অনুষ্ঠানে অংশীদার করতে চাই না, কিন্তু আমি গোষ্ঠীর কিছু বয়স্ক মানুষকে অনেক অনুরোধ করে ওদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, একটা সুযোগ দেয়া হোক আপনাকে, কারণ অনেক বছর পর এই অনুষ্ঠান পুনরায় আয়োজিত হতে চলেছে, আর আমি চাই এ বছর যেন সকলে মনে রাখে, তাই বীনা বৌদি আমার মান-সম্মানের দায়িত্ব আপনার হাতে।
            মা আমতা আমতা করে বলে উঠলো - কিন্তু আমাকে ঠিক করতে হবে কি? সেটা তো বুঝলাম না!।
             সে আপনি কালকে নিজে গেলেই বুঝতে পারবেন, তা আপনারা এবার একটু বিশ্রাম করুন অনেকটা পথ হেঁটে এসেছেন, কিছুক্ষণ পর আমার চাকর এসে আপনাদের রাতের খাবার দিয়ে যাবে, আপনারা খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন কাল সকাল থেকে অনুষ্ঠান শুরু।
           কিছুক্ষণ পর বাড়ি চাকর আমাদের রাতের খাবার রুটির তরকারি পায়েস দিয়ে গেল, যদিও সে পায়েসের সে আমাদের বাড়ির পায়েসের স্বাদের সঙ্গে কোন তুলনায় হয় না।
           রাতের বেলা ঠাকুমা আর কাকিমা একটা চৌকিতে ঘুমালো, মা ছোটভাই আর আমি অন্য একটা চৌকিতে, কারণ ছোটভাই ঘুমের আগে এখনো মায়ের বুকের দুধ খায়, তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাতেই হবে, আর আমিও পাশে শুয়ে পড়লাম।
           ঠাকুরদা যদিও পাকামো করে নিজেই বললো - তোমরা তাহলে চৌকি দুটোতে সও আমি মাঝখানে মাদুর বিছিয়ে শুয়ে পড়ছি।
            মা সাইডে কাত হয়ে ব্লাউজের একটা দিক উদুম করে ছোট ভাইয়ের মুখটা নিজের একটা স্তনের উপর ঠেসে ধরেছ চোক বন্ধ করে দিল, সারাদিনের জার্নিতে এমনিতেই খুব ক্লান্ত ছিলাম বিছানায় সোয়া মাত্র চোখ লেগে গেল, কিছুক্ষণ পরই মায়ের গোঙানি তে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল, চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি দাদুর মাকে টেনে নিচে নামিয়ে উদোম করে শুইয়ে একটা স্তন মুখে পুরে চুষতে চুষতে রাম ঠাপানি দিচ্ছে আর মা সেই তালে তালে গুঙ্গাচ্ছে। এ রোজকারের কীর্তি জেনে বেশি কিছু মাথা না ঘামিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
        পরদিন খুব সকালবেলা আমাদের ডাক পরল, তাড়াহুড়ো করে ওঠে চোখ মুখ ধুয়ে আমরা বসে আছি, এমন সময় বাড়ির কাজের লোক চা নিয়ে এসে হাজির, আমাদের সামনে রেখে বলল - তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিন কত্তাবাবু আপনাদের নিয়ে বেড়াবে।
           আমরা তাড়াহুড়ো করে সকালের চা টিফিন খেয়ে জামা কাপড় পরে রেডি হয়ে গেলাম, কাকিমা একটা জরির কাজের শাড়ি পরল, আর মা ও একটা ভালো ধরনের তাঁতের শাড়ি পড়ে রেডি হয়ে গেল। আমরা সকলে অপেক্ষা করছি রক্তিম বাবুর জন্য।
        কিছুক্ষণ পরেই রক্তিমবাবু এলেন ওনার একটা পুরনো এম্বাসেডর নিয়ে, এই অজ পাড়াগায়ে চার চাকা দেখে বেশ একটু স্তম্ভিতই হলাম।
উনি আমাদের সামনে এসে বললেন - তা আপনারা তো একদম তৈরি দেখছি, যাক খুব ভালো চলুন এবার সকাল সকাল বেরিয়ে যাওয়া যাক।
           মা একটু নিচু গলায় বললেন - এই একটু তৈরি হতে সময় লেগে গেল, এই আর কি না হলে একটু আগে বেরিয়ে পড়তাম, 
          রক্তিম বাবু না না সে ঠিক আছে, কিন্তু বীনাবৌদি আপনি অত ভালো শাড়ি কাপড় পরে সেজেছেন কেন? আপনাকে ওখানে তো আদিবাসীদের সাজেই সাজতে হবে।
         রক্তিমবাবুর এই কথায় মা একটু ভয়ই পেল, তা যাই হোক আমরা সকলে অ্যাম্বাসেটরে চেপে বসলাম, রক্তিম বাবু ড্রাইভার এসে গাড়ি স্টার্ট দিল আমরা সকলে অনুষ্ঠানের জায়গায় এগোতে লাগলাম।
          অত সকাল বেলায় আমরা দেখলাম প্রচুর লোকের ভীড়, মানুষজনে রমরম করছে গোটা এলাকা, শুধু সে গ্রামের মানুষজনে এত ভিড় হওয়ার কথা নয় কাজেই বোঝা গেল চারপাশে গ্রামের মানুষজনের সমাবেশে এত ভিড়।
          তো গাড়ি থেকে আমরা সকলে নামলাম, রক্তিমবাবু গাড়ি থেকে নেমে হাটা দিল, আমরা সকলে ওনার পদক্ষেপ অনুসরণ করলাম, এরপর আমরা বাঁশের তৈরি বিশাল বড় একটা গেটের মধ্যে দিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় প্রবেশ করলাম, এক সাইডে ফিরে তাকাতেই দেখি মুরমু সর্দারের ওই বড় মূর্তিটার সামনে আমরা।
         রক্তিমবাবু একটু সামনে এগিয়ে একটা বড় ঘরের মধ্যে প্রবেশ করল, আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছি কিছুক্ষণ পরে রক্তিমবাবুর সঙ্গে একজন বয়স্ক ব্যক্তি বেরিয়ে এলো সেই ঘর থেকে, লোকটা পুরোপুরি নগ্ন লোকটার গোটা মুখে আর গলায় সাদা রঙের কালি দিয়ে আঁকা সব চক্রবকরা দাগ।
        রক্তিমবাবু আমদের সামনে এসে বললেন - আপনাদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই, ইনি হলেন গোষ্ঠী প্রধান কানহু সরং, আর ইনারা হচ্ছে গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা, এই অনুষ্ঠানে যোগদান দেবে বলে এসেছেন।
           মা এক দৃষ্টিতে কানহু সরং এর এক হাত ঝুলে থাকা লম্বা কালো বাড়াটার দিকে তাকিয়ে ছিল, কাকিমার কনুই এর খোঁচা খেয়ে মা সম্বিত ফিরে পেল, তারপর হাতজোড় করে প্রণাম জানালো।
           রক্তিমবাবু এবার বলার আরম্ভ করলেন - কানহুবাবু আমি ইনার কথাই বলেছিলাম আপনাকে, ইনার নাম বীণা দাস আমি এই ভদ্রমহিলাকে ভালোভাবেই চিনি, উনিও খুব উৎসাহিত আপনাদের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে।
          কানহু সরং বাজখায় গলায় বলা আরম্ভ করলেন - তা এই মেয়েই হবে আমাদের অনুষ্ঠানের রাণীমাতা? ঠিক আছে প্রধানবাবু আপনি যখন এত অনুরোধ করেছেন আপনার কথা তো আমরা ফেলতে পারবো না, তবে লক্ষ্য রেখেন সব কিছু যেন বিধি নিয়ম মেনে হয়, আমরা আমাদের সংস্কৃতির কোন অপমান হতে দেব না।
             রক্তিমবাবু - না না একদমই না, সেই সব দিকে আমি খেয়াল রাখবো, আপনি তাহলে অনুষ্ঠানে কর্মসূচি শুরু করুন।
            কানহু সরং এবার চেচিয়ে ওদের আঞ্চলিক ভাষায় কিছু বলে উঠলেন, সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘর থেকে বিনা বস্ত্র পরিহিত কিছু আদিবাসী রমণী এসে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ানো, তাদের গায়ে একটা সুতো অব্দি নেই সকলেই সম্পূর্ণ নগ্ন, তারা মাকে চিহ্নিত করে হাত ধরে ঘরের মধ্যে ভেতরে নিয়ে গেল।
         রক্তিমবাবু আমাদের সকলকে একটা জায়গায় বসার অনুরোধ করলেন, তো আমরা বসে পড়লাম, এরপর নিজেও একটা জায়গা করে আসন ফিরে মাটিতেই বসে পড়লেন।
           কিছুক্ষণ সময় কেটে গেল আমরা সবাই অপেক্ষা করছি ভেতরে কি হচ্ছে কে জানে।
          তো অনেকটা সময় পর জনা 15 আদিবাসী মেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো, প্রত্যেকটা মেয়েরই শারীরিক গঠন খুবই আকর্ষণীয় কোমরে চর্বির লেশ মাত্র নেই, প্রত্যেকের স্তনগুলোর আকার বেশ বৃহদাকার, স্তনবৃন্ত গুলি খাড়া মোটা লম্বা আর তার চারপাশে ঘেরা বৃন্তবলয় গুলো দেখে মনে হচ্ছিল এরা সকলেই দুগ্ধবতী, তাদের পিছু পিছু মাও এলো, কিন্তু একি !!!! লক্ষ্য করলাম মা ও সম্পূর্ণ নগ্ন গায়ে একটা সুতো অব্দি নেই, মায়ের কাঁধে হাতে সাদা খড়িমাটির প্রলেপ দিয়ে কিছু নকশা একে দিয়েছে, আর মায়ের স্তনদুটোর ওপর মেহেন্দির মতো খয়রি রংয়ের কিছু একটা দিয়ে সুন্দর করে নকশা করা, শুধু বোঁটা আর তার চারিপাশের বৃন্তবলয় দুটো ফাঁকা রেখে দিয়েছে, বোঁটাগুলো দিয়ে ঝরে পড়ছে মায়ের স্তন্যদুগ্ধ, মায়ের কানে হাড় দিয়ে তৈরি একটা দুল পড়ানো।
Like & Repu..... thanks
[+] 6 users Like Siletraj's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: মায়ের বিরল দুগ্ধভিজান - by Siletraj - 14-04-2023, 01:32 AM



Users browsing this thread: 15 Guest(s)