14-04-2023, 12:24 AM
সদর আলী খান বার্ধক্যে আর অসুস্থতায় তার ৬ ফুটের দীর্ঘ দেহটি শীর্ণ হয়ে গেছে, একন সবকিছুতে স্ত্রী নির্ভর। শায়লা ৩৭ বছরের মহিলা কিন্তু সেই ২০ বছরের যুবতীর মতই কাজে পটু। সেই তো ধরে রেখেছে সংসারটিকে। ভীষণ রকম আল্লাহ ভীতু প্রাণ আর নামাজী। বিভিন্ন সময় স্বামী সন্তানের জন্য রোজা রাখেন। তাই শরীরে মেদের কোন লক্ষ্মণই নেই। ৫ ফুট উচ্চতার ফর্সা লাজুক কিশোরী চেহারার মেয়েটি যে মহব্বতের মা তা কেউই বিশ্বাস করতে চাই না। খুবই পর্দানশীন আর পরহেজগারি মহিলা তিনি। শাড়ী পড়েন খুব গুছিয়ে ঘোমটা দিয়ে, স্কার্ফের উপর। ব্লাউজ ফুল হাটা, হাতে পায়ে মোজা। অধিক গরমেও তিনি এসব মেনে চলেন যা এই গ্রামের মহিলাদের সবার কাছে উনি শ্রদ্ধাশীল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। গ্রামের কারো বিপদে উনি নেই, এমনটি হয়নি কখনো । এখানকার মহিলারা ভালোবেসে বড়আম্মা বলে ডাকে। কিন্তু গত দুবছরে রহিম মাঝির কূটচালে গ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে, জমির খাজনা বাদ দিয়ে নিজের দাবি করছে। এই ফ্যাসাদের শিরোমণি রহিমও আগে বড় আম্মা বললে, সব ফেলে চলে আসতো। আর এখন কি না সেই এই বংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতি দোয়ায় শায়লা এই দোয়া করে, রহিম ছেলেটির মাথায় যেন সৎ বুদ্ধি দেয়, সেও হয়তো কারো প্ররোচনায় এসব করছে। সে তো এরকম ছিল না, সে হল মহব্বতের সহপাঠী, ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছে, তারপর খানবাড়ীতে কাজ। এই সহজ সরল ছেলেতা কেমনে বদলে গেল, নিজের ছেলের মত মনে করতো শায়লা।