12-04-2023, 02:31 PM
মায়ের সঙ্গে সন্তানের স্বাভাবিক কথাবার্তা যেমন হয় তেমন চলতে লাগল। সব মায়ের যা আবদার - এবার বিয়ে কর, তোর উমুক পিসি এই বলছিল -- তোর বাবার কলেজের এক কলিগ এই বলছিল ইত্যাদি ইত্যাদি। বুঝতেই পারছেন, একজন হাই পোষ্টের অফিসার, বিয়ের বাজারে দাম ও চাহিদা দুটোই একটু বেশি তৎসহ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আর সুঠাম সুপুরুষ নজরকাড়া ব্যক্তিত্ব। একদম কুমারটুলিতে অর্ডার দিয়ে বানানো। বিয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চাইলাম কিন্তু মা কিছুতেই ছাড়ল না। (মা-ছেলের সংলাপটা দিলাম যা গল্পের প্রয়োজনে জরুরি)
- শুভ, আর না করিস না বাবা, এবার বিয়েটা সেরে নে।
- ধূর, ওসব বিয়ে-টিয়ে কেন, ভালোই তো আছি।
- ওসব বলতে নেই, আমরা আর ক'দিন বল। অন্তত মরবার আগে তোর সংসারটা গুছিয়ে দিয়ে যাই। তুই রাজি হয়ে যা সোনা মাণিক আমার। আমার হয়েছে যত জ্বালা, বাবা সারাক্ষণ কলেজ-লেকচার-সেমিনার নিয়ে পড়ে আছে, ছেলের যে বিয়ে দিতে হবে সে খেয়ালও নেই। তোরা কেউ বাড়ীতে থাকিস না, আমি একা কী করি বল। একটা কথা বলার লোক নেই, এতবড় বাড়ি, মাঝে মাঝে মনে হয় যেন ভুতের বাড়িতে আছি। দেখে নিস একদিন আমি ঠিক পাগল হয়ে যাবো এভাবে থাকলে। একটু আবেগময় হয়ে পড়ে মা।
- আহা !! মা, ওমা, শোনো, আমার কথা শোনো। কেঁদোনা মা, কাঁদছো কেন।
- তুই এখনো সেই ঘটনা ভুলতে পারিস নি, তাই না।
- থাক মা, ওসব কথা বাদ দাও না। তুমি এক কাজ করো, কয়দিন আমার কাছে এসো, বেড়িয়ে যাও।
- যাবো তো, একশো বার যাবো, তুই বিয়েতে মত দে শুভ।
- আরে বাবা, আমি বিয়ে না করলে এমন কি মহাভারত অশুদ্ধ হবে শুনি।
- আমি জানি রে, তুই ওই ঘটনাকে মনে করেই দু:খ করে আছিস, তাই না। কিন্তু ওটাতো একটা দুর্ঘটনা ছিল শুভ, তোর তো কোণ দোষ ছিল না। তুই শুধু শুধু নিজের মনের মধ্যে ওই বোঝা বইছিস কেন।
প্রসঙ্গ এড়াতে বললাম, মা একটু ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলছি, তুমি আর তোমার স্বামী ভালো থেকো।
- শুভ, আর না করিস না বাবা, এবার বিয়েটা সেরে নে।
- ধূর, ওসব বিয়ে-টিয়ে কেন, ভালোই তো আছি।
- ওসব বলতে নেই, আমরা আর ক'দিন বল। অন্তত মরবার আগে তোর সংসারটা গুছিয়ে দিয়ে যাই। তুই রাজি হয়ে যা সোনা মাণিক আমার। আমার হয়েছে যত জ্বালা, বাবা সারাক্ষণ কলেজ-লেকচার-সেমিনার নিয়ে পড়ে আছে, ছেলের যে বিয়ে দিতে হবে সে খেয়ালও নেই। তোরা কেউ বাড়ীতে থাকিস না, আমি একা কী করি বল। একটা কথা বলার লোক নেই, এতবড় বাড়ি, মাঝে মাঝে মনে হয় যেন ভুতের বাড়িতে আছি। দেখে নিস একদিন আমি ঠিক পাগল হয়ে যাবো এভাবে থাকলে। একটু আবেগময় হয়ে পড়ে মা।
- আহা !! মা, ওমা, শোনো, আমার কথা শোনো। কেঁদোনা মা, কাঁদছো কেন।
- তুই এখনো সেই ঘটনা ভুলতে পারিস নি, তাই না।
- থাক মা, ওসব কথা বাদ দাও না। তুমি এক কাজ করো, কয়দিন আমার কাছে এসো, বেড়িয়ে যাও।
- যাবো তো, একশো বার যাবো, তুই বিয়েতে মত দে শুভ।
- আরে বাবা, আমি বিয়ে না করলে এমন কি মহাভারত অশুদ্ধ হবে শুনি।
- আমি জানি রে, তুই ওই ঘটনাকে মনে করেই দু:খ করে আছিস, তাই না। কিন্তু ওটাতো একটা দুর্ঘটনা ছিল শুভ, তোর তো কোণ দোষ ছিল না। তুই শুধু শুধু নিজের মনের মধ্যে ওই বোঝা বইছিস কেন।
প্রসঙ্গ এড়াতে বললাম, মা একটু ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলছি, তুমি আর তোমার স্বামী ভালো থেকো।