30-03-2023, 11:16 PM
আসতে আসতে হট্টগোলে ওদের আওয়াজ আর শুনতে পারলামনা.
একটু পরে পুলিশ স্টেডিয়াম থেকে সবাইকে বের করে দিলো খালি স্টেডিয়াম এই খেলা চালাবে বলে ঠিক হলো.
আমি আমার বন্ধুদের বললাম তরা বাড়ি ফিরে যা আমার একটু পার্ক স্ট্রিটএ কাজ আছে আমি কাজ করে একাই ফিরে যাব.
আমি একাই হাটতে হাটতে পার্ক স্ট্রিট এ একটা দোকানে কিছু আর্ট কালেকশন দেখতে চলে গেলাম. বন্ধুদের সাথে আনলে ওরা বোর হোত, তাই এড়িয়ে গেলাম.
সেখান থেকে বেরিয়ে কিছুতেই ট্যাক্সি বা বাস পাচ্ছিলাম না. অনেকক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাটতে শুরু করলাম.
হটাত ঝড়ের গতিতে একটা বাইক এসে সামনে ক্যাঁচকোঁচ করে দাড়ালো. সেই ছেলেটা স্টেডিয়াম কাপানো সেই ছেলেটা. আমি অবাক হয়ে গেলাম, ওর সামনে নিজে কেমন যেন ভেতো ভেতো মনে হচ্ছিলো. আমাকে বাইকের পিছনে উঠতে ইশারা করলো.
আমি ভাবছি দেখে বললো ' আরে ওঠো ওঠো, কথায় যাবে তুমি আমি তোমাকে গড়িয়া পর্যন্ত ছাড়তে পারি আর যদি না চাও তাহলে তাহলে সরকারী রাস্তা তোমারও সমান অধিকার আছে হাটার দেদার হাট কেউ ট্যাক্স চাইবেনা' বলে মুক্তর মত দাঁত বের করে কি সরল সেই হাসি. আমি যেন আগুনে ধরা আইসক্রিমের মত গলে গেলাম. হেসে বললাম 'ভালই হলো আমি ঐদিকেই যাবো. ঢাকুরিয়া'
'আরে বাবা চলো ওঠো ওঠো' পিছনের সিটটা দেখিয়ে.
কিছুটা চালিয়ে ও হটাত একসাইড মোরের দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বললো 'তারা নেই তো কোনো?'
আমি ওর রথের যাত্রী কি করে সারথিকে বলি যে এদিকে কেন ঘুরলে তাই বললাম 'না না'
'চলো তাহলে এলগিন রোডের পাঞ্জাবির দোকান থেকে চা খেয়ে তারপর যাই' ঝড়ের গতিতে এদিকওদিক কাটিয়ে বাইক চালাতে চালাতে বললো.
মিনিট খানেকের মধ্যে আমরা সেই পাঞ্জাবি দোকানে এসে দাড়ালাম. অনেকে গাড়ি দাড়িয়ে, অনেক বাইক দাড়িয়ে, অনেকে ওকে চেনেও দেখলাম আর ও যে রেগুলার খদ্দের সেটা বুঝতে অসুবিধে হোলোনা.
সঙ্গে সঙ্গে দুটো বড় ভাড়ে চা এসে গেল.
চায়ের ভাড়ে চুমুক দিয়ে বাইকের গায়ে হেলান দিয়ে দাড়ালো, আমি ওকে দেখে যাওয়ার লোভ ছাড়তে পারছিলাম না. পুরো যেন মডেল এরকম মডেল আজ পর্যন্ত ভারতবর্ষে আসেনি.
'কি কর তুমি?' আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলাম.
'অনেক কিছু' হেসে বললো
'মানে?'
'মানে- এই কয়েকদিন গাইডের কাজ করছি কানাডা থেকে কিছু ফরেইনার কলকাতা দেখবে বলে এসেছে তাই'
'ওহ তাই নাকি?'
'হ্যা'
'আর এই কাজ না থাকলে?'
' নানা রকম কাজ করি চাকরি বাকরি করার ইচ্ছে নেই সেরকম'
'না মানে ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু ভাবছ না'
'চেষ্টা করছি মডেল বা ফিল্ম সেরকম কিছুর. তুমি কি করছ?'
'আমি ফাইন আর্টস লাইন এ আছি কিন্তু ঘষে যাচ্ছি, তুমি ফিল্মে নাম অ্যাকশন হিরো হিসেবে দারুন মানাবে তোমাকে ভালই তো অ্যাকশন করো'
'কেন এক্টিং টা ভালো করিনা?'
'এক্টিং আর কোথায় দেখলাম?'
'কেন সেই যে ডায়ালগগুলো দিচ্ছিলাম?'
'মানে?'
'আরে ধুর তুমি কি আমাকে দেশপ্রেমী টেমি ভেবে বসলে নাকি? আসলে ওদের বান্দরামী দেখে রাগ উঠে যাচ্ছিল আর যখন দেখলাম তুমি এগিয়ে গেছ আর ওরা তর্ক করে যাচ্ছে আর তোমার দিকে ঘুষি মারলো আর মাথা ঠিক রাখতে পারলাম না. এমনি শালাদের দেখলে আমার মাথা গরম হয়ে যায় তার ওপর এরকম হারামি গিরি করলে তো মার খাবেই. কিন্তু ডায়ালগ গুলো কেমন দিচ্ছিলাম বলো' বলে ও হো হো করে হেসে উঠলো.
আমিও হেসে উঠলাম.
হাসি থামিয়ে আমাকে বললো ' আমাকে একটা হেল্প করবে?'
'কি?'
তোমাদের ওদিকে একটা রুম রেন্ট যদি পাওয়া যায় আমি একাই থাকব এই ধরো হাজার তিনেকএর মধ্যে যদি কোনো ফ্ল্যাট ভাড়া পাওয়া যায়.'
'ঠিক আছে অবশ্যই চেষ্টা করব তুমি তোমার মোবাইল ন. দাও'
ও নম্বরটা বলার পরে আমি আমার নাম আর নম্বর বললাম আমি অর দিকে তাকিয়ে বললাম 'স্যার নামটা বলুন সেভ করতে হবে তো'
' ওহো এত কথা হয়ে গেল আর নাম জানা হয়নি লেখো রাজ... রাজশেখর চৌধুরী.'
একটু পরে পুলিশ স্টেডিয়াম থেকে সবাইকে বের করে দিলো খালি স্টেডিয়াম এই খেলা চালাবে বলে ঠিক হলো.
আমি আমার বন্ধুদের বললাম তরা বাড়ি ফিরে যা আমার একটু পার্ক স্ট্রিটএ কাজ আছে আমি কাজ করে একাই ফিরে যাব.
আমি একাই হাটতে হাটতে পার্ক স্ট্রিট এ একটা দোকানে কিছু আর্ট কালেকশন দেখতে চলে গেলাম. বন্ধুদের সাথে আনলে ওরা বোর হোত, তাই এড়িয়ে গেলাম.
সেখান থেকে বেরিয়ে কিছুতেই ট্যাক্সি বা বাস পাচ্ছিলাম না. অনেকক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাটতে শুরু করলাম.
হটাত ঝড়ের গতিতে একটা বাইক এসে সামনে ক্যাঁচকোঁচ করে দাড়ালো. সেই ছেলেটা স্টেডিয়াম কাপানো সেই ছেলেটা. আমি অবাক হয়ে গেলাম, ওর সামনে নিজে কেমন যেন ভেতো ভেতো মনে হচ্ছিলো. আমাকে বাইকের পিছনে উঠতে ইশারা করলো.
আমি ভাবছি দেখে বললো ' আরে ওঠো ওঠো, কথায় যাবে তুমি আমি তোমাকে গড়িয়া পর্যন্ত ছাড়তে পারি আর যদি না চাও তাহলে তাহলে সরকারী রাস্তা তোমারও সমান অধিকার আছে হাটার দেদার হাট কেউ ট্যাক্স চাইবেনা' বলে মুক্তর মত দাঁত বের করে কি সরল সেই হাসি. আমি যেন আগুনে ধরা আইসক্রিমের মত গলে গেলাম. হেসে বললাম 'ভালই হলো আমি ঐদিকেই যাবো. ঢাকুরিয়া'
'আরে বাবা চলো ওঠো ওঠো' পিছনের সিটটা দেখিয়ে.
কিছুটা চালিয়ে ও হটাত একসাইড মোরের দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বললো 'তারা নেই তো কোনো?'
আমি ওর রথের যাত্রী কি করে সারথিকে বলি যে এদিকে কেন ঘুরলে তাই বললাম 'না না'
'চলো তাহলে এলগিন রোডের পাঞ্জাবির দোকান থেকে চা খেয়ে তারপর যাই' ঝড়ের গতিতে এদিকওদিক কাটিয়ে বাইক চালাতে চালাতে বললো.
মিনিট খানেকের মধ্যে আমরা সেই পাঞ্জাবি দোকানে এসে দাড়ালাম. অনেকে গাড়ি দাড়িয়ে, অনেক বাইক দাড়িয়ে, অনেকে ওকে চেনেও দেখলাম আর ও যে রেগুলার খদ্দের সেটা বুঝতে অসুবিধে হোলোনা.
সঙ্গে সঙ্গে দুটো বড় ভাড়ে চা এসে গেল.
চায়ের ভাড়ে চুমুক দিয়ে বাইকের গায়ে হেলান দিয়ে দাড়ালো, আমি ওকে দেখে যাওয়ার লোভ ছাড়তে পারছিলাম না. পুরো যেন মডেল এরকম মডেল আজ পর্যন্ত ভারতবর্ষে আসেনি.
'কি কর তুমি?' আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলাম.
'অনেক কিছু' হেসে বললো
'মানে?'
'মানে- এই কয়েকদিন গাইডের কাজ করছি কানাডা থেকে কিছু ফরেইনার কলকাতা দেখবে বলে এসেছে তাই'
'ওহ তাই নাকি?'
'হ্যা'
'আর এই কাজ না থাকলে?'
' নানা রকম কাজ করি চাকরি বাকরি করার ইচ্ছে নেই সেরকম'
'না মানে ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু ভাবছ না'
'চেষ্টা করছি মডেল বা ফিল্ম সেরকম কিছুর. তুমি কি করছ?'
'আমি ফাইন আর্টস লাইন এ আছি কিন্তু ঘষে যাচ্ছি, তুমি ফিল্মে নাম অ্যাকশন হিরো হিসেবে দারুন মানাবে তোমাকে ভালই তো অ্যাকশন করো'
'কেন এক্টিং টা ভালো করিনা?'
'এক্টিং আর কোথায় দেখলাম?'
'কেন সেই যে ডায়ালগগুলো দিচ্ছিলাম?'
'মানে?'
'আরে ধুর তুমি কি আমাকে দেশপ্রেমী টেমি ভেবে বসলে নাকি? আসলে ওদের বান্দরামী দেখে রাগ উঠে যাচ্ছিল আর যখন দেখলাম তুমি এগিয়ে গেছ আর ওরা তর্ক করে যাচ্ছে আর তোমার দিকে ঘুষি মারলো আর মাথা ঠিক রাখতে পারলাম না. এমনি শালাদের দেখলে আমার মাথা গরম হয়ে যায় তার ওপর এরকম হারামি গিরি করলে তো মার খাবেই. কিন্তু ডায়ালগ গুলো কেমন দিচ্ছিলাম বলো' বলে ও হো হো করে হেসে উঠলো.
আমিও হেসে উঠলাম.
হাসি থামিয়ে আমাকে বললো ' আমাকে একটা হেল্প করবে?'
'কি?'
তোমাদের ওদিকে একটা রুম রেন্ট যদি পাওয়া যায় আমি একাই থাকব এই ধরো হাজার তিনেকএর মধ্যে যদি কোনো ফ্ল্যাট ভাড়া পাওয়া যায়.'
'ঠিক আছে অবশ্যই চেষ্টা করব তুমি তোমার মোবাইল ন. দাও'
ও নম্বরটা বলার পরে আমি আমার নাম আর নম্বর বললাম আমি অর দিকে তাকিয়ে বললাম 'স্যার নামটা বলুন সেভ করতে হবে তো'
' ওহো এত কথা হয়ে গেল আর নাম জানা হয়নি লেখো রাজ... রাজশেখর চৌধুরী.'