30-03-2023, 05:43 PM
রুমা ডুকরে কেঁদে উঠলো, এতটা শুনে ‘মানুষ এরকম করতে পারে?’
অরুপও চুপ করে রইলো।
আমি রুমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম ‘ মানুষ বলেই তো এতবড় নৃশংসতার পট তৈরি করতে পারলো সেদিনের দিল্লির সেই গোল টেবিল বৈঠকে পাঁচ কোটি দিয়ে ওরা সতিশ শর্মা কে কিনলো. তারপর স্থানীয় থানাকে দশ লক্ষ এই করে পয়সা ছড়িয়ে ছড়িয়ে ওরা সবিকে কিনে নিলো এক রাতের মধ্যে. তার তিন চারদিনের মধ্যেই তাদের ছক কষে এই আক্রমন. মানুষ বলেই তো এত প্ল্যান প্রোগ্র্যাম এত সংগঠিত অপরাধ.'
অরুপের মুখ দিয়ে সুধু সেম সেম কথাটা বেরোলো.
‘রাজের কি হলো?’ রুমা জিগ্যেস করলো দেওয়ালে লাইভ সাইজ রিতমের ফটোর দিকে তাকিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে.
‘রাজ এখন ছুটে চলেছে ওর জীবন রহস্য উদ্ঘাটন করতে।‘ আমি একটা সিগেরেট জালাতে জালাতে উত্তর দিলাম।
অরূপ টান টান হয়ে বসলো 'মানে রাজ এখনো বেচে আছে?'
'হ্যা সেদিন ওই শয়তানগুলো বেরিয়ে যাওয়ার সময় জোসেফের লোকেদের নির্দেশ দিয়ে গেল যে লাশ দুটো গুম করে দিতে. কথা মত ওরা ঘটনাস্থলে পৌছে দেখলো না সিমরন সেখানে আছে না রাজ' এদিক ওদিক খুঁজে কোথাও না পেয়ে যখন নেমে আসছে তখন কেউ বা করা ওদের ওপর হামলা করে যাতে ওদের একজনও বেচে ফিরতে পারেনি যে মালিকদের খবর দেবে.'
অরূপ অবাক হয়ে বলল 'বাবা এটা আবার কি কেস? এতই যখন শুভাকাঙ্খী কেউ ছিল তো ওদের কে বাচালো না কেন?'
'হমমম সেই জায়গাটাতে আমারও খটকা. কে বা কারা ছিলো সেই দলে? পরের দিন নিউস পেপারে ফলাউ করে বেরোলো পরবর্তী হত্যাকান্ডের ঘটনা যাতে সিমরনকে দায়ী করে গ্রেফতারের দাবি তোলে প্রতাপ সিংহ এবং সে নিজে বিবৃতি দেয় যে এই পরিবার আগেও গণহত্যার সাথে জড়িত ছিলো আজও এরাই এত নিরীহ মানুষের হত্যা করে গা ঢাকা দিয়েছে' আমি এতটা বলে সিগারেটে দম দিলাম.
' রাজের ব্যাপারে তুই কি করে জানলি?' অরূপ আবার জিজ্ঞেস করলো.
ইডেন গারডেন ১৯৯৯। ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচ।
প্রায় এক লাখ দর্শকের সামনে ভারত এখন চালকের আসনে. দর্শকদের ফুর্তি আর গর্জনের দৌলতে নিজেরাই নিজেদের কথা শুনতে পারছিনা. ইডেন গার্ডেনের দর্শক প্রিথিভি বিখ্যাত তার মুডের দৌলতে. এখানেই সুনীল গাভাস্কার টেস্ট ম্যাচ না খেলতে চাওয়ায় ইডেন নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছে তাকে. দলীপ ভেন্গ্সরকারের মত টেস্ট প্লেয়ার কে এখানে হাত জোর করে ক্ষমা চাইতে হয়েছে. এক কোথায় বিশ্ববন্দিত জনতা আমাদের ইডেনের. যে কোনো ক্রিকেটার চাইবে যে একবারের জন্যে ইডেনে খেলতে. কারণ এই জনতা.
আমিও দলবল নিয়ে হাজির ফেব্রুয়ারী মাসের এই উত্তাপ নিতে নিজের শহরে. এই বিশেষ ম্যাচের জন্যে ভারত সরকার অনেক পাকিস্তানি দর্শককে ভিসা দিয়েছে সম্প্রীতির হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে.
আমার সামনেই কিছু পাকিস্তানি যুবক বসেছিল ওদের আলাদা জায়গা থাকা সত্বেও.. খুব মাথা গরম করিয়ে দিচ্ছিল ওরা. কথায় কথায় গালাগালি দিচ্ছিলো মেয়ে দেখলেই ওদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছিলো, টোন টিটকিরি না করলেও এমন হাবভাব করছিলো যে রক্ত মাথায় উঠে যাচ্ছিলো. ওদের মধ্যে একজন আরেকজনকে বলতে শুনলাম যে সোনাগাছি গিয়ে * মেয়ে লাগালে নাকি ওর দৈন্যদশা কেটে যাবে আর * মেয়েরা মুখিয়ে থাকে ওদের জন্যে. সেই ছেলেটি আবার উত্তর দিল স্টেডিয়াম থেকেই কাউকে পাওয়া যায় নাকি দেখতে এদের পয়সা দিলে ঠিক শুয়ে পরবে. বলুন মাথা কি করে ঠিক থাকে। তাও খেলা দেখার মুড নষ্ট করবোনা বলে চুপ করে রইলাম।
অরুপও চুপ করে রইলো।
আমি রুমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম ‘ মানুষ বলেই তো এতবড় নৃশংসতার পট তৈরি করতে পারলো সেদিনের দিল্লির সেই গোল টেবিল বৈঠকে পাঁচ কোটি দিয়ে ওরা সতিশ শর্মা কে কিনলো. তারপর স্থানীয় থানাকে দশ লক্ষ এই করে পয়সা ছড়িয়ে ছড়িয়ে ওরা সবিকে কিনে নিলো এক রাতের মধ্যে. তার তিন চারদিনের মধ্যেই তাদের ছক কষে এই আক্রমন. মানুষ বলেই তো এত প্ল্যান প্রোগ্র্যাম এত সংগঠিত অপরাধ.'
অরুপের মুখ দিয়ে সুধু সেম সেম কথাটা বেরোলো.
‘রাজের কি হলো?’ রুমা জিগ্যেস করলো দেওয়ালে লাইভ সাইজ রিতমের ফটোর দিকে তাকিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে.
‘রাজ এখন ছুটে চলেছে ওর জীবন রহস্য উদ্ঘাটন করতে।‘ আমি একটা সিগেরেট জালাতে জালাতে উত্তর দিলাম।
অরূপ টান টান হয়ে বসলো 'মানে রাজ এখনো বেচে আছে?'
'হ্যা সেদিন ওই শয়তানগুলো বেরিয়ে যাওয়ার সময় জোসেফের লোকেদের নির্দেশ দিয়ে গেল যে লাশ দুটো গুম করে দিতে. কথা মত ওরা ঘটনাস্থলে পৌছে দেখলো না সিমরন সেখানে আছে না রাজ' এদিক ওদিক খুঁজে কোথাও না পেয়ে যখন নেমে আসছে তখন কেউ বা করা ওদের ওপর হামলা করে যাতে ওদের একজনও বেচে ফিরতে পারেনি যে মালিকদের খবর দেবে.'
অরূপ অবাক হয়ে বলল 'বাবা এটা আবার কি কেস? এতই যখন শুভাকাঙ্খী কেউ ছিল তো ওদের কে বাচালো না কেন?'
'হমমম সেই জায়গাটাতে আমারও খটকা. কে বা কারা ছিলো সেই দলে? পরের দিন নিউস পেপারে ফলাউ করে বেরোলো পরবর্তী হত্যাকান্ডের ঘটনা যাতে সিমরনকে দায়ী করে গ্রেফতারের দাবি তোলে প্রতাপ সিংহ এবং সে নিজে বিবৃতি দেয় যে এই পরিবার আগেও গণহত্যার সাথে জড়িত ছিলো আজও এরাই এত নিরীহ মানুষের হত্যা করে গা ঢাকা দিয়েছে' আমি এতটা বলে সিগারেটে দম দিলাম.
' রাজের ব্যাপারে তুই কি করে জানলি?' অরূপ আবার জিজ্ঞেস করলো.
ইডেন গারডেন ১৯৯৯। ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচ।
প্রায় এক লাখ দর্শকের সামনে ভারত এখন চালকের আসনে. দর্শকদের ফুর্তি আর গর্জনের দৌলতে নিজেরাই নিজেদের কথা শুনতে পারছিনা. ইডেন গার্ডেনের দর্শক প্রিথিভি বিখ্যাত তার মুডের দৌলতে. এখানেই সুনীল গাভাস্কার টেস্ট ম্যাচ না খেলতে চাওয়ায় ইডেন নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছে তাকে. দলীপ ভেন্গ্সরকারের মত টেস্ট প্লেয়ার কে এখানে হাত জোর করে ক্ষমা চাইতে হয়েছে. এক কোথায় বিশ্ববন্দিত জনতা আমাদের ইডেনের. যে কোনো ক্রিকেটার চাইবে যে একবারের জন্যে ইডেনে খেলতে. কারণ এই জনতা.
আমিও দলবল নিয়ে হাজির ফেব্রুয়ারী মাসের এই উত্তাপ নিতে নিজের শহরে. এই বিশেষ ম্যাচের জন্যে ভারত সরকার অনেক পাকিস্তানি দর্শককে ভিসা দিয়েছে সম্প্রীতির হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে.
আমার সামনেই কিছু পাকিস্তানি যুবক বসেছিল ওদের আলাদা জায়গা থাকা সত্বেও.. খুব মাথা গরম করিয়ে দিচ্ছিল ওরা. কথায় কথায় গালাগালি দিচ্ছিলো মেয়ে দেখলেই ওদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছিলো, টোন টিটকিরি না করলেও এমন হাবভাব করছিলো যে রক্ত মাথায় উঠে যাচ্ছিলো. ওদের মধ্যে একজন আরেকজনকে বলতে শুনলাম যে সোনাগাছি গিয়ে * মেয়ে লাগালে নাকি ওর দৈন্যদশা কেটে যাবে আর * মেয়েরা মুখিয়ে থাকে ওদের জন্যে. সেই ছেলেটি আবার উত্তর দিল স্টেডিয়াম থেকেই কাউকে পাওয়া যায় নাকি দেখতে এদের পয়সা দিলে ঠিক শুয়ে পরবে. বলুন মাথা কি করে ঠিক থাকে। তাও খেলা দেখার মুড নষ্ট করবোনা বলে চুপ করে রইলাম।