24-03-2023, 04:35 PM
তখন ওর বয়স মাত্র উনিশ। ও যে ডিভিশনে কাজ করতো মানে সিপিডব্লিউডি টালিগঞ্জ ডিভিশন, সেখানে একজন নতুন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বদলি হয়ে আসেন নাম বীরেশ্বর আচার্য। কন্ট্রাকটর মহলে একটা টেনশন ছড়িয়ে যায়। কারণ এই বিপ্তনিক নিঃসন্তান ইঞ্জিনিয়ার নাতো নিজে কোন ঘুষ খান না অন্যকে দুপয়সা অতিরিক্ত লাভ করতে দেন। উনার প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট ইস অ্যান কন্সাইনমেন্ট এন্ড কমিটমেন্ট অলসো। তুমি আমাকে কাজ করে দাও আমি তোমাকে দশ পার্সেন্ট লাভ দেব তার বেশি লাভ করলে সেটা সরকারকে ঠকানো। আমি সেটা এলাউ করব না।
তিন বছরে ছোট ছোট কিছু কনট্রাক থেকে বেশ লাভ করে অমিতের মনে আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশি রকম বেড়ে যায়। সঙ্গে অস্বীকার করে লাভ নেই একটু লোভও ওর জন্মে যায়, দুদিনে বড় লোক হওয়ার। একটা প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা কংক্রিট ব্রিজের টেন্ডার সে কমপিট করে অস্বাভাবিক রকমের কম দর দিয়ে এবং পেয়েও যায়। দেখে মাথা গরম হয়ে যায় বীরেশ্বরবাবুর, ভাবেন লোকটা হয়তোবা তার অভ্যাসবশত কাজ পাওয়ার লোভে এবং ঘুষ দিয়ে নিম্ন মানের কাজ করে কমপ্লিট করে দেবে এই বিশ্বাসে এই রেটটা দিয়েছে। একটু মনে মনে হাসেন লোকটার আসন্ন দুরবস্থার কথা ভেবে। ডেকে পাঠান লোকটাকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার জন্য। অমিত উনার রুমে ঢুকতেই উনি কেমন একটা ধাক্কা খান। অমিতের ছয়ফুট লম্বা সুন্দর স্বাস্থোজ্জল ও বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা দেখে উনার কেমন জানি একটা মায়া জন্মে যায়। মনে হয় এমন একটা ছেলেতো ওনারও থাকতে পারতো। তাছাড়া বয়সটাও তো পর্তিরদিকে। একটা সম্পূর্ণ পরিবারের লোভ মনের গভীরে উঁকি মারে। উনি আর ওকে বেকায়দায় ফেলার ভাবনা ভাবতে পারেন না, একটু টুকটাক কথাবার্তার পরে ওকে বলেন, তুমি এই কাজটা আমার আন্ডারে এই রেটে করতে পারবে না, ভীষণ লস হয়ে যাবে তোমার। তোমাকে দেখা মাত্র, আর তোমার বাবা নেই এই কথাটা শোনার আমার একটা মায়া জন্মে গেছে তোমার প্রতি।
তিন বছরে ছোট ছোট কিছু কনট্রাক থেকে বেশ লাভ করে অমিতের মনে আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশি রকম বেড়ে যায়। সঙ্গে অস্বীকার করে লাভ নেই একটু লোভও ওর জন্মে যায়, দুদিনে বড় লোক হওয়ার। একটা প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা কংক্রিট ব্রিজের টেন্ডার সে কমপিট করে অস্বাভাবিক রকমের কম দর দিয়ে এবং পেয়েও যায়। দেখে মাথা গরম হয়ে যায় বীরেশ্বরবাবুর, ভাবেন লোকটা হয়তোবা তার অভ্যাসবশত কাজ পাওয়ার লোভে এবং ঘুষ দিয়ে নিম্ন মানের কাজ করে কমপ্লিট করে দেবে এই বিশ্বাসে এই রেটটা দিয়েছে। একটু মনে মনে হাসেন লোকটার আসন্ন দুরবস্থার কথা ভেবে। ডেকে পাঠান লোকটাকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার জন্য। অমিত উনার রুমে ঢুকতেই উনি কেমন একটা ধাক্কা খান। অমিতের ছয়ফুট লম্বা সুন্দর স্বাস্থোজ্জল ও বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা দেখে উনার কেমন জানি একটা মায়া জন্মে যায়। মনে হয় এমন একটা ছেলেতো ওনারও থাকতে পারতো। তাছাড়া বয়সটাও তো পর্তিরদিকে। একটা সম্পূর্ণ পরিবারের লোভ মনের গভীরে উঁকি মারে। উনি আর ওকে বেকায়দায় ফেলার ভাবনা ভাবতে পারেন না, একটু টুকটাক কথাবার্তার পরে ওকে বলেন, তুমি এই কাজটা আমার আন্ডারে এই রেটে করতে পারবে না, ভীষণ লস হয়ে যাবে তোমার। তোমাকে দেখা মাত্র, আর তোমার বাবা নেই এই কথাটা শোনার আমার একটা মায়া জন্মে গেছে তোমার প্রতি।