24-03-2023, 04:34 PM
দ্বিতীয় পর্ব
এই একটু আগেই অমিতের দ্বারা বিধবামায়ের আত্মিক, দৈহিক সম্প্রদানের যে অভিনব পন্থাটি বাঙ্গালী রীতিনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলো তার বীজ কিন্তু অঙ্কুরিত হয়েছিল আজ থেকে দুবছরআগেই। অমিতের বাবা অমিতের যখন পাঁচ বছর বয়স তখন প্রাইভেট ফার্মে চাকুরীরত অবস্থায় মারা যান। বেশ কিছু কম্পেন্সেশন এবং গ্রাচুইটি, অ্যাটসেটরা মিলিয়ে বেশ কিছু নগদ ছাড়া আর কিছু ওর মা পায়নি। প্রাইভেট ফার্মে কম্পেন্সেশনের এগেইন্সটে নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর এমন কোন বাধ্যতা মূলক নিয়ম নেই তাই ওর মা কোন চাকরি পায়নি। সৌভাগ্যবশত অমিতেরদাদু স্টেটগভমেন্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার থাকাতে বেশ কিছু ফিক্সড ডিপোজিট এবং আরো কিছু মান্থলি ইনকাম স্কিম যেমন পিপিএফ এমআইএস ইত্যাদি করে গেছিলেন। শশুরমশায়ের এই দূরদর্শিতা এবং কৃতি জীবনের কারণে স্বামীর থেকেও বেশি আনুগত্য সুমিতাদেবীর ছিল শ্বশুরের প্রতি এবং তা ছিল আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভক্তি মিশ্রিত। শ্বশুরের প্রতি আন্তরিক ভক্তি থেকেই উনি আর চাকরি বা জীবিকার চেষ্টা করলেন না। শ্বশুরমশাই এবং স্বামীর একমাত্র চিহ্ন অমিতকেই মানুষ করার দায়িত্বটা অন্তর থেকে নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন এবং পরিবারের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করে দুই একটা বাচ্চা ছেলে মেয়ে পড়ানো ছাড়া আর কোন অতিরিক্ত বাইরের জগতের কাজ বা মেলামেশা মন থেকে অনুমোদন করলেননা। অমিতও মেধাবী হওয়ায় অল্প বয়সেই বুঝতে পারে সংসারের অবস্থা। পাশাপাশি দেখতে পায়, দুই একটা ভালো ছেলে পলিটেকনিক পাস করে কন্ট্রাক্টরি লাইনে গিয়ে অল্প বয়সে দুপয়সাকে দুটাকা আর দুটাকাকে দুশো টাকায় রূপান্তরিত করেছে। তাই সেও আর কলেজফাইনালের পর ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং এর পথে না গিয়ে সোজা পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হয়ে যায় এবং তখন কার নিয়ম অনুসারে সে সহজেই কন্ট্রাক্টারের বিগ্রেড লাইসেন্স পেয়ে যায়।
এই একটু আগেই অমিতের দ্বারা বিধবামায়ের আত্মিক, দৈহিক সম্প্রদানের যে অভিনব পন্থাটি বাঙ্গালী রীতিনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলো তার বীজ কিন্তু অঙ্কুরিত হয়েছিল আজ থেকে দুবছরআগেই। অমিতের বাবা অমিতের যখন পাঁচ বছর বয়স তখন প্রাইভেট ফার্মে চাকুরীরত অবস্থায় মারা যান। বেশ কিছু কম্পেন্সেশন এবং গ্রাচুইটি, অ্যাটসেটরা মিলিয়ে বেশ কিছু নগদ ছাড়া আর কিছু ওর মা পায়নি। প্রাইভেট ফার্মে কম্পেন্সেশনের এগেইন্সটে নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর এমন কোন বাধ্যতা মূলক নিয়ম নেই তাই ওর মা কোন চাকরি পায়নি। সৌভাগ্যবশত অমিতেরদাদু স্টেটগভমেন্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার থাকাতে বেশ কিছু ফিক্সড ডিপোজিট এবং আরো কিছু মান্থলি ইনকাম স্কিম যেমন পিপিএফ এমআইএস ইত্যাদি করে গেছিলেন। শশুরমশায়ের এই দূরদর্শিতা এবং কৃতি জীবনের কারণে স্বামীর থেকেও বেশি আনুগত্য সুমিতাদেবীর ছিল শ্বশুরের প্রতি এবং তা ছিল আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভক্তি মিশ্রিত। শ্বশুরের প্রতি আন্তরিক ভক্তি থেকেই উনি আর চাকরি বা জীবিকার চেষ্টা করলেন না। শ্বশুরমশাই এবং স্বামীর একমাত্র চিহ্ন অমিতকেই মানুষ করার দায়িত্বটা অন্তর থেকে নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন এবং পরিবারের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করে দুই একটা বাচ্চা ছেলে মেয়ে পড়ানো ছাড়া আর কোন অতিরিক্ত বাইরের জগতের কাজ বা মেলামেশা মন থেকে অনুমোদন করলেননা। অমিতও মেধাবী হওয়ায় অল্প বয়সেই বুঝতে পারে সংসারের অবস্থা। পাশাপাশি দেখতে পায়, দুই একটা ভালো ছেলে পলিটেকনিক পাস করে কন্ট্রাক্টরি লাইনে গিয়ে অল্প বয়সে দুপয়সাকে দুটাকা আর দুটাকাকে দুশো টাকায় রূপান্তরিত করেছে। তাই সেও আর কলেজফাইনালের পর ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং এর পথে না গিয়ে সোজা পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হয়ে যায় এবং তখন কার নিয়ম অনুসারে সে সহজেই কন্ট্রাক্টারের বিগ্রেড লাইসেন্স পেয়ে যায়।