16-03-2023, 06:33 PM
নিলা আসিফের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে শুয়ে গেলো। আসিফ কিছুক্ষণ পড়াশুনা করে ওর আম্মুর সাথে ঘুমাতে গেলো, তবে বিছানায় শুয়ে শুয়ে দুজনে মিলে নানা রকম দুষ্টমি আর কথা বলতে লাগলো। এদিকে কামরুল শুয়েছিলো তবে ওর আজ কেন যেন ঘুম আসছিলো না। তাই নিলা রুম থেকে চলে যাবার প্রায় ১ ঘণ্টা পরে সে উঠে পায়চারি করতে লাগলো। অন্য সময় নিলা পাশে শুয়ে থাকলে, ও যেন খেয়ালই করে না যে কেও ওর পাশে শুয়ে আছে, তবে আজ কেন জানি মনে হচ্ছে, নিলা পাশে নেই দেখেই ওর ঘুম আসছে না। কামরুল রুম থেকে বেড়িয়ে ছেলের রুমের সামনে আসলো আর দরজায় চাপ দিয়ে দেখলো যে ভিতর থেকে ওটা বন্ধ। ছেলের রুমে ছেলের পড়ার জন্যে ওর সাথে ঘুমাতে গেলে দরজা বন্ধ করতে হবে কেন, সেটা কামরুলের মাথায় আসলো না, যদি ও এইসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ও তেমন একটা মাথা ঘামায় না। কামরুল ওর স্বভাব বিরুদ্ধ একটা কাজ করে বসলো, সে দরজায় কান পেতে শুনার চেষ্টা করলো ভিতরে কি হচ্ছে। আবছা আবছা কথা, খিল খিল হাঁসি, তুই বেশি দুষ্ট হয়েছিস, চুপ করে ঘুমিয়ে পড়, এই ধরনের দু একটা জোরে কথা, উফঃ বলে একটা বিরক্তিকর শব্দ, অনিকে আমি বলে দিবো-এইসব আধো আধো শব্দ সে শুনতে পেলো। একটা খারাপ ভাবনা মনের কাছে চলে এলে ও কামরুল মাথা ঝাঁকিয়ে সেটাকে তৎক্ষণাৎ দূর করে দিলো। কামরুল নিজেই অবাক হয়ে গেলো যে দরজায় কান পেতে ভিতরে কি হচ্ছে শুনার চেষ্টা করার মত একটা ছেলেমানুষি কাজ সে কিভাবে করছে। কামরুল জানে যে ওর স্ত্রী আর ছেলে খুব ক্লোজ, তাই ওরা একটু দুষ্টমি তো করতেই পারে, কিন্তু ওদের মধ্যে অন্য কোন সম্পর্ক আছে এমন যেন সে কল্পনাতেই আনতে পারে না। কামরুল তাড়াতাড়ি দরজা থেকে সড়ে নিজের রুমে এসে বিছানায় শুয়ে সব খারাপ ভাবনা মনে থেকে দূর করে দিতে চেষ্টা করলো। মনে মনে নিজেকে সে এই বলেই প্রবোধ দিলো যে, নিলাকে সে খুব বিশ্বাস করে, নিলা কোন খারাপ কাজ কখনওই করতে পারে না। ওই নিজেই সব আজে বাজে ভাবনা ভেবে চলছে।