11-03-2023, 04:45 PM
আজ থেকে অনেক বছর আগে এক বসন্তের সন্ধেতে আমি আর ব্যাম্বিনো দুজনই হাফপ্যান্ট পরে দমদমের বেদিয়াপাড়া গেছিলাম কাউকে দেখতে। তখন ওসব জায়গা এত ঝলমলে ছিল না।
আমাদের দুজনেরই পকেটে যা ছিল সেসবটুকু দিয়ে কচুরি আর মালপো সাঁটিয়েছি। এবার যাকে দেখতে এসেছি তার কোচিং থেকে বেরোনোর অপেক্ষা করার পালা। হঠাৎ ব্যাম্বিনো বলে,"আমার শরীরটা না একটু খারাপ লাগছে! কালবৈশাখী আসতে পারে! বাড়ি চ।"
শরীর খারাপের সাথে কালবৈশাখীর কি সম্পর্ক সেটা আমি বুঝলাম না। কোনো শরীর খারাপই তো শোভনীয় নয়! আমি ওকে জিজ্ঞেস করাতেও বললো না যে কি হয়েছে!
তখন বেদিয়াপাড়া থেকে দমদম স্টেশানের দিকে আসার রাস্তার একধারে ঝোপের উপরে রেললাইন, আর আরেকধারে ঝোপ আগাছার নীচে বড় নর্দমা ছিল। প্রায় অন্ধকার থাকা রাস্তাটা দিয়ে হেঁটেই ফিরছি। কিছুটা যেতেই ব্যাম্বিনো বলে,"তোর কাছে একটা টাকাও নেই?"
আমি এবারে ব্যাপারটা আঁচ করে বললাম,"নাহ, তবে থাকলেও তোর লাভ হতো না। এখানে সুলভ খুবই দুর্লভ!"
সেটা শুনেই ব্যাম্বিনো বললো,"ঠিক আছে, দু মিনিট দাঁড়া।"
বলেই অন্ধকারের মধ্যে বিদ্যুৎগতিতে রাস্তার এক পাশের ঝোপে ঢুকে গেল। কিছুক্ষণ পর দেখি মুখে একরাশ প্রশান্তি নিয়ে বেরিয়ে আসছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,"মুছলি কিসে?"
ও বললো,"গাছের প্রাণ আছে রে ভাই। সেই প্রাণে মায়াদয়াও আছে। পাতা এগিয়ে দিলো মোছার জন্য।"
বুঝলাম চাপ কমায় প্রাণে ফুরফুর্ লেগেছে বোকা ব্যাম্বিনোর। বললাম,"একটু পর বুঝবি গাছ রসিকতাও করতে পারে।"
ব্যাম্বিনো দাঁত কে*লিয়ে বললো,"কি করে??"
তারপর ওই আবার বলে উঠলো,"ডানহাতের তালুটা চুলকাচ্ছে, পয়সা আসবে মনে হয়।"
আমি বললাম,"না, আমার তা মনে হচ্ছেনা। তবে মনে হচ্ছে তোর ঘোর বিপোঁদ এলো বলে!"
বলতে না বলতেই দেখলাম ব্যাম্বিনোর মুখে বিপদের ছায়া প্রকট হলো। কেমন যেন চিঁড়চিঁড়িয়ে উঠে বললো,"ভাই, কোনো জলের কল খোঁজ সিগগির! বা কারোর বাড়িতে নিয়ে চল এক্ষুনি! ভীষন কুটকুট করছে ভাই....!!"
ওখানে কোনো কলও ছিল না। দুটো বাড়িতে সত্যি প্রবলেমটা জানিয়ে দু মিনিটের জন্য ব্যাম্বিনোকে তাদের বাথরুম ব্যবহার করতে দেওয়ার রিকুয়েস্ট করাতেও ঢুকতে দিলো না তারা। বরং পাশবিক প্রবৃত্তি দেখিয়ে চেঁচিয়ে তাড়ালো,"হেগে ছোচাঁনোর জায়গা নাকি এটা???"
আর কোনো উপায় না দেখে আমি ব্যাম্বিনোকে বললাম,"ঝোপের পাশে নর্দমা আছে, নেমে যা।"
শুনেই ও কোনো কথা না বাড়িয়ে সুরসুর করে নেমে গেল। সে কারনেই সে যাত্রায় ব্যাম্বিনোর 'গ' রক্ষা পেয়েছিল।
বুঝলেন গাছের রসিকতা? কচুগাছ কিন্তু মহা খিল্লিবাজ l
আমাদের দুজনেরই পকেটে যা ছিল সেসবটুকু দিয়ে কচুরি আর মালপো সাঁটিয়েছি। এবার যাকে দেখতে এসেছি তার কোচিং থেকে বেরোনোর অপেক্ষা করার পালা। হঠাৎ ব্যাম্বিনো বলে,"আমার শরীরটা না একটু খারাপ লাগছে! কালবৈশাখী আসতে পারে! বাড়ি চ।"
শরীর খারাপের সাথে কালবৈশাখীর কি সম্পর্ক সেটা আমি বুঝলাম না। কোনো শরীর খারাপই তো শোভনীয় নয়! আমি ওকে জিজ্ঞেস করাতেও বললো না যে কি হয়েছে!
তখন বেদিয়াপাড়া থেকে দমদম স্টেশানের দিকে আসার রাস্তার একধারে ঝোপের উপরে রেললাইন, আর আরেকধারে ঝোপ আগাছার নীচে বড় নর্দমা ছিল। প্রায় অন্ধকার থাকা রাস্তাটা দিয়ে হেঁটেই ফিরছি। কিছুটা যেতেই ব্যাম্বিনো বলে,"তোর কাছে একটা টাকাও নেই?"
আমি এবারে ব্যাপারটা আঁচ করে বললাম,"নাহ, তবে থাকলেও তোর লাভ হতো না। এখানে সুলভ খুবই দুর্লভ!"
সেটা শুনেই ব্যাম্বিনো বললো,"ঠিক আছে, দু মিনিট দাঁড়া।"
বলেই অন্ধকারের মধ্যে বিদ্যুৎগতিতে রাস্তার এক পাশের ঝোপে ঢুকে গেল। কিছুক্ষণ পর দেখি মুখে একরাশ প্রশান্তি নিয়ে বেরিয়ে আসছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,"মুছলি কিসে?"
ও বললো,"গাছের প্রাণ আছে রে ভাই। সেই প্রাণে মায়াদয়াও আছে। পাতা এগিয়ে দিলো মোছার জন্য।"
বুঝলাম চাপ কমায় প্রাণে ফুরফুর্ লেগেছে বোকা ব্যাম্বিনোর। বললাম,"একটু পর বুঝবি গাছ রসিকতাও করতে পারে।"
ব্যাম্বিনো দাঁত কে*লিয়ে বললো,"কি করে??"
তারপর ওই আবার বলে উঠলো,"ডানহাতের তালুটা চুলকাচ্ছে, পয়সা আসবে মনে হয়।"
আমি বললাম,"না, আমার তা মনে হচ্ছেনা। তবে মনে হচ্ছে তোর ঘোর বিপোঁদ এলো বলে!"
বলতে না বলতেই দেখলাম ব্যাম্বিনোর মুখে বিপদের ছায়া প্রকট হলো। কেমন যেন চিঁড়চিঁড়িয়ে উঠে বললো,"ভাই, কোনো জলের কল খোঁজ সিগগির! বা কারোর বাড়িতে নিয়ে চল এক্ষুনি! ভীষন কুটকুট করছে ভাই....!!"
ওখানে কোনো কলও ছিল না। দুটো বাড়িতে সত্যি প্রবলেমটা জানিয়ে দু মিনিটের জন্য ব্যাম্বিনোকে তাদের বাথরুম ব্যবহার করতে দেওয়ার রিকুয়েস্ট করাতেও ঢুকতে দিলো না তারা। বরং পাশবিক প্রবৃত্তি দেখিয়ে চেঁচিয়ে তাড়ালো,"হেগে ছোচাঁনোর জায়গা নাকি এটা???"
আর কোনো উপায় না দেখে আমি ব্যাম্বিনোকে বললাম,"ঝোপের পাশে নর্দমা আছে, নেমে যা।"
শুনেই ও কোনো কথা না বাড়িয়ে সুরসুর করে নেমে গেল। সে কারনেই সে যাত্রায় ব্যাম্বিনোর 'গ' রক্ষা পেয়েছিল।
বুঝলেন গাছের রসিকতা? কচুগাছ কিন্তু মহা খিল্লিবাজ l