08-03-2023, 03:55 PM
(08-03-2023, 11:23 AM)Somnaath Wrote: Holi 'র দিনে একটা হোলির গল্প হয়ে যাক, কিছুটা মজার আর কিছুটা দুষ্টুমির , কি ...... হবে তো?
(08-03-2023, 12:03 PM)Sanjay Sen Wrote:একদম, হয়ে যাক হয়ে যাক
(08-03-2023, 01:57 PM)Chandan1 Wrote: holi ki rangeen & rasbhari khahani ........ please please
ঠিক আছে তোমরা যখন সবাই বলছো, তাহলে কিছু কথা অবশ্যই শেয়ার করবো। সেগুলো রসের কিনা জানিনা, তবে অবশ্যই দুষ্টুমির এবং রঙিন তো বটেই ..
বাবার কর্মসূত্রে আমার ছোটবেলা কেটেছে সম্পূর্ণ একটি অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকায়। তাই সেখানে বাঙালির দোল সেভাবে পালন করা না হলেও অবাঙালিদের হোলি নিয়ে মাতামাতি ছিলো। যাই হোক, দোল বা হোলি মানেই সকালে উঠে বাড়ির বাক্স-প্যাটরা ঘেঁটে নিচু ক্লাসের বা বলা ভালো তখন যা বয়স, তার থেকে অল্প বয়সের পুজোর জামা আর প্যান্ট উদ্ধার করা। জামাটা অনেক কষ্ট করে পড়া, কিন্তু প্যান্ট ! ছোট হয়ে যাবার পর সেটা পাতলুন আর পিটার-কৌপিনের মধ্যবর্তী পর্যায়ে দুলতো। কিন্তু, কোনো এক অদ্ভুত যাদুতে প্যান্টটি গলিয়ে নিয়ে আমার সেই সময়কার খুব কাছের বন্ধু কৌস্তবের বাড়িতে যাওয়া। সেই বন্ধুটিও আমার মতোই মান্ধাতার আমলের ড্রেস পরে রেডি। তারপর দলে একে একে জুড়ে যেত তারকাটা, ঘাটের মরা, পাগলা বিশু, কিপটে তাপি (এগুলো সব সেই সময়কার সাংকেতিক নাম ছিলো আমাদের বন্ধুদের) এবং এছাড়াও আরো অনেকে। এরপর শুরু হতো সেই ভয়ঙ্কর রঙ খেলা। তবে আমার সব থেকে ভয়ের কারণ ছিলো দু'টো রঙ .. কালো তেল রঙ আর সিলভার কালার। এই দুটো রঙ মুখে একবার লেগে গেলে তিন থেকে চারদিনের মধ্যে আর উঠতে চাইতো না। তবুও প্রত্যেকবার ওইগুলোই আমরা একে অপরকে মাখাতাম।
পরবর্তীতে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুই বছর হোস্টেলে ছিলাম। পরে আমার মাসতুতো দাদা সন্তোষপুরে ফ্ল্যাট কেনার পর ওদের সঙ্গে থাকতাম। তো যাই হোক, হস্টেলের দোল খেলা ছিলো আরও ভয়ঙ্কর। কেউ যদি বলে দোল খেলবে না তাহলে তার কপালে দুঃখ ছিলো। আমাদের এক সহপাঠী ছিলো, তার নাম ছিলো দেবাশীষ। মাথায় বুদ্ধি বরাবরই কম তার উপর short tempered .. যাকে বলে গোঁয়ার-গোবিন্দ ছিলো ওই বন্ধুটি। ওর সাংকেতিক নাম ছিলো ট্যামড়া। সে কিছুতেই রঙ মাখবে না, দরজা বন্ধ করে বসে আছে। আমাদের ঘরের একটা জানলার কাজ ভাঙ্গা ছিলো। সারানো হয়নি .. এটাই ঐতিহ্য! তো যাই হোক, এবার কেউ একজন সেই ফাঁক দিয়ে পিচকিরি ঢুকিয়ে ঘুমন্ত ট্যামড়ার সর্বাঙ্গে রঙ দিয়েছে । ব্যাস আর যায় কোথায়.. জেগে উঠেছে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি । সে বাথরুম থেকে কমোডের জল পিচকিরিতে ভরে লোকজনের গায়ে পাগলের মতন দিয়ে চলেছে। ওদিকে কিছু পাবলিক অদ্ভুত কিছু জিনিস খেয়ে তার প্রভাবে একজন খাটে উঠে বলছে .. "আমি নামতে পারছিনা , এতো উঁচু ছাদ , হেল্প মি।" তাকে একজন হেল্প করতে আসছে। তার দাবী সে দমকল থেকে আসছে কিন্তু দমকলের গাড়িটা কোথায় পার্ক করেছে খুঁজে পাচ্ছে না। এরমধ্যে একজন নিজের দুটো ছেঁড়া চপ্পল হাতে নিয়ে ফেরি করছে - "আইসক্রিম আইসক্রিম .." অর্থনীতির ছাত্র অনুপমকে জাপটে ধরে সুপ্রিয় বলছিলো - ''তুই যে এবার ইকোনোমিক্স এ নোবেল পেলি, কবে খাওয়াবি ?'' অনুপম বলেছিলো - ''আরে ওরা এখনো টাকাটা পাঠায়নি .." সুপ্রিয় আবার বলছিলো , "ধুর, তোর নোবেলটা ওই ইন্টারনেটের কোটি টাকা জিতেছেন ইমেলের মতন।
এসব চলছে .. এরই মাঝে, সবচেয়ে চাপের দৃশ্য হতো আমাদের বিল্ডিং এর বাইরে। আমাদের বন্ধু চাটনি টেনশন করছে খুব । আর পাশে রয়েছে ছাগল সেন । চাটনি ভুলে গেছে তার বাড়ি কোথায় । তাই সে বাড়ি ফিরতে পারছে না । সে ছাগল সেনকে জিজ্ঞাসা করেছে -
- আমার বাড়ি কোথায় ?
- জিপি এস দেখে নে ।
- আজ দোলের জন্য জি পি এস এর অফিসে ছুটি ।
- আচ্ছা , তোর বাড়ি নিয়ে কি কি মনে পড়ছে ।
- কিছু না .. আমি বাড়ি যাবো ।
- বাদ দে .. তুই আমার বাড়ি চল ।
- ওকে .. তোর বাড়ি কোথায় ?
- আমার বাড়ি ? আরে , এইতো একটু আগেই ছিলাম ওখানে । কিন্তু এখন ভুলে যাচ্ছি ...