08-03-2023, 09:30 AM
"অনি... কি করছো তুমি?... ওখানে দাঁড়িয়ে... আসিফ কোথায়?"-নিলা যেন অনির তীক্ষ্ণ নিবিষ্ট দৃষ্টির সামনে কি বলবে খুঁজে পাচ্ছে না। নিলার ভয়ার্ত গলা শুনে অনির ও ঘোর যেন ভেঙ্গে গেল, সে এগিয়ে নিলার কাছে এসে দাঁড়ালো।
"আপনি না বললেন, কাজ শেষ করে আসিফের রুমে আসবেন, আপনি না আসাতে আমি দেখতে এসেছিলাম আপনার কাজ শেষ হয়েছে কি না?"-অনি সত্যি কথাটাই বললো নিলাকে।
"ওহঃ, আমি ভাবলাম, তুমি আজ প্রথম আমাদের বাসায় এসেছো, নতুন শহর, নতুন বন্ধু, আমি তোমাদের সামনে গেলে তুমি অস্বস্তিবোধ করতে পারো, সে জন্যে, টিভি দেখছিলাম"-নিলা ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করলো।
"আপনি আসছেন না দেখে, আমি আপনাকে ডেকে নেয়ার জন্যে নিচে এসেছিলাম। কিন্তু আপনাকে দেখে কেন যেন আপনাকে ওই মুহূর্তে বিরক্ত করতে ইচ্ছে করছিলো না। মনে হচ্ছিলো, আপনি যেন কোন এক গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে আছেন, তাই চুপ করে আপনাকে দেখছিলাম।"-অনি নিলার গভীর কালো আয়ত চোখের দিকে তাকিয়ে বললো।
"না, মানে, এমনি টিভি দেখছিলাম। কিছু চিন্তা করছিলাম না তো!"-নিলা ওর তীক্ষ্ণ চোখের দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকতে না পেরে চোখ নামিয়ে যেন নিজের সাফাই দেয়ার চেষ্টা করলো।
"না, টিভির দিকে আপনি শুধু তাকিয়েই ছিলেন, কিন্তু আপনার মন যেন অন্য কোথাও ছিলো।"-অনি স্পষ্ট জোর গলায় বললো। নিলা বুঝতে পারলো যে এই ছেলের সাথে তর্ক করা উচিত হবে না। ও ঘুরে টিভি অফ করে অনির দিকে তাকিয়ে বললো, "চল, আসিফের রুমে বসে, তোমাদের সাথে গল্পকরি।"-এই বলে অনিকে পাশ কাটিয়ে নিলা রুম থেকে বের হবার উপক্রম করতেই পিছন থেকে অনি হাত বাড়িয়ে শক্ত করে নিলার একটা হাতের খোলা বাহু চেপে ধরে ওকে থামিয়ে দিলো।
"কাকিমা, আমার মনে হয় না, আপনি এতক্ষন যা চিন্তা করছিলেন, সেটা আসিফের সামনে বলতে পারবেন। তবে আমাকে বলতে পারেন, এখানে... আমি শুনতে চাই, কি ভাবনা আপনাকে এমন উদাস করে দিয়েছিলো, কিসের কষ্ট আপনার চোখে?"-অনি তীক্ষ্ণ চোখে নিলার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো।
চলতে গিয়ে অনির হাতে টান খেয়ে থেমে গিয়ে নিলা বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলো, এখন অনির মুখের প্রশ্ন শুনে সে কি বলবে, কি করবে, বুঝতে পারছিলো না। এতোটুকুন ছেলে কিভাবে ওর চোখে কষ্ট খুঁজে পেল, আর পেলেই কি এভাবে আমাকে চেপে ধরতে হবে? কোন অধিকারে ও আমার কাছ থেকে এসব জানতে চায়? নিলা মনে মনে যেন ফুশে উঠলো, ওর মনের ভিতর খুব রাগ তৈরি হলো, কিন্তু সেই রাগ যেন এক মুহূর্ত পরেই আবার হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়ে সেখানে লজ্জা ভেসে উঠলো। এই ছেলেটার চোখের দৃষ্টির সামনে সে যেন নিজেকে নগ্ন মনে করছিলো। মনে হচ্ছে, অনি ওর গায়ের সমস্ত কাপড় টেনে ওকে যেন নেংটো করে ফেলেছে। কিছুক্ষণ চুপ করে অনির চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে নিলা ধীরে ধীরে বললো, "শুন, বাবা, তুমি আমার ছেলের বন্ধু, আজ তোমার সাথে প্রথম দেখা আমার, সব কথা তো তোমাকে বলা যায় না, আর বললে ও হয়ত সব কষ্ট বোঝার বয়স তোমার হয় নি এখনও। পরে, হয়ত, অন্য কোনদিন তোমার সাথে এটা নিয়ে কথা বলবো, ঠিক আছে?"-মৃদু গলায় কথাগুলি বলে নিলা হাত বাড়িয়ে অনির মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দিলো।
অনি একটু চুপ করে থেকে বললো, "ঠিক আছে, কিন্তু পরে আমাকে বলবেন সব কথা, আমি শুনতে চাই। আর আমার বয়স আসিফের মত হলে ও মনের দিক থেকে আমি অনেক শক্ত ও পরিপক্ক, আসিফ যেটা বুঝবে না, সেই জিনিষ ও আমি বেশ সহজেই বুঝে ফেলতে পারি, কারন আমার জীবনে ও আমি অনেক কঠিন কঠিন সময় পার করেছি। আমি আপনাকে বুঝতে পারবো।"-বলে নিলার দিকে তাকিয়ে নিজের দুই চোখ একবার বন্ধ করে আবার খুলে নিলার চোখের দিকে তাকিয়ে ওকে আশ্বস্ত করতে চাইলো।
"আপনি না বললেন, কাজ শেষ করে আসিফের রুমে আসবেন, আপনি না আসাতে আমি দেখতে এসেছিলাম আপনার কাজ শেষ হয়েছে কি না?"-অনি সত্যি কথাটাই বললো নিলাকে।
"ওহঃ, আমি ভাবলাম, তুমি আজ প্রথম আমাদের বাসায় এসেছো, নতুন শহর, নতুন বন্ধু, আমি তোমাদের সামনে গেলে তুমি অস্বস্তিবোধ করতে পারো, সে জন্যে, টিভি দেখছিলাম"-নিলা ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করলো।
"আপনি আসছেন না দেখে, আমি আপনাকে ডেকে নেয়ার জন্যে নিচে এসেছিলাম। কিন্তু আপনাকে দেখে কেন যেন আপনাকে ওই মুহূর্তে বিরক্ত করতে ইচ্ছে করছিলো না। মনে হচ্ছিলো, আপনি যেন কোন এক গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে আছেন, তাই চুপ করে আপনাকে দেখছিলাম।"-অনি নিলার গভীর কালো আয়ত চোখের দিকে তাকিয়ে বললো।
"না, মানে, এমনি টিভি দেখছিলাম। কিছু চিন্তা করছিলাম না তো!"-নিলা ওর তীক্ষ্ণ চোখের দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকতে না পেরে চোখ নামিয়ে যেন নিজের সাফাই দেয়ার চেষ্টা করলো।
"না, টিভির দিকে আপনি শুধু তাকিয়েই ছিলেন, কিন্তু আপনার মন যেন অন্য কোথাও ছিলো।"-অনি স্পষ্ট জোর গলায় বললো। নিলা বুঝতে পারলো যে এই ছেলের সাথে তর্ক করা উচিত হবে না। ও ঘুরে টিভি অফ করে অনির দিকে তাকিয়ে বললো, "চল, আসিফের রুমে বসে, তোমাদের সাথে গল্পকরি।"-এই বলে অনিকে পাশ কাটিয়ে নিলা রুম থেকে বের হবার উপক্রম করতেই পিছন থেকে অনি হাত বাড়িয়ে শক্ত করে নিলার একটা হাতের খোলা বাহু চেপে ধরে ওকে থামিয়ে দিলো।
"কাকিমা, আমার মনে হয় না, আপনি এতক্ষন যা চিন্তা করছিলেন, সেটা আসিফের সামনে বলতে পারবেন। তবে আমাকে বলতে পারেন, এখানে... আমি শুনতে চাই, কি ভাবনা আপনাকে এমন উদাস করে দিয়েছিলো, কিসের কষ্ট আপনার চোখে?"-অনি তীক্ষ্ণ চোখে নিলার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো।
চলতে গিয়ে অনির হাতে টান খেয়ে থেমে গিয়ে নিলা বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলো, এখন অনির মুখের প্রশ্ন শুনে সে কি বলবে, কি করবে, বুঝতে পারছিলো না। এতোটুকুন ছেলে কিভাবে ওর চোখে কষ্ট খুঁজে পেল, আর পেলেই কি এভাবে আমাকে চেপে ধরতে হবে? কোন অধিকারে ও আমার কাছ থেকে এসব জানতে চায়? নিলা মনে মনে যেন ফুশে উঠলো, ওর মনের ভিতর খুব রাগ তৈরি হলো, কিন্তু সেই রাগ যেন এক মুহূর্ত পরেই আবার হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়ে সেখানে লজ্জা ভেসে উঠলো। এই ছেলেটার চোখের দৃষ্টির সামনে সে যেন নিজেকে নগ্ন মনে করছিলো। মনে হচ্ছে, অনি ওর গায়ের সমস্ত কাপড় টেনে ওকে যেন নেংটো করে ফেলেছে। কিছুক্ষণ চুপ করে অনির চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে নিলা ধীরে ধীরে বললো, "শুন, বাবা, তুমি আমার ছেলের বন্ধু, আজ তোমার সাথে প্রথম দেখা আমার, সব কথা তো তোমাকে বলা যায় না, আর বললে ও হয়ত সব কষ্ট বোঝার বয়স তোমার হয় নি এখনও। পরে, হয়ত, অন্য কোনদিন তোমার সাথে এটা নিয়ে কথা বলবো, ঠিক আছে?"-মৃদু গলায় কথাগুলি বলে নিলা হাত বাড়িয়ে অনির মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দিলো।
অনি একটু চুপ করে থেকে বললো, "ঠিক আছে, কিন্তু পরে আমাকে বলবেন সব কথা, আমি শুনতে চাই। আর আমার বয়স আসিফের মত হলে ও মনের দিক থেকে আমি অনেক শক্ত ও পরিপক্ক, আসিফ যেটা বুঝবে না, সেই জিনিষ ও আমি বেশ সহজেই বুঝে ফেলতে পারি, কারন আমার জীবনে ও আমি অনেক কঠিন কঠিন সময় পার করেছি। আমি আপনাকে বুঝতে পারবো।"-বলে নিলার দিকে তাকিয়ে নিজের দুই চোখ একবার বন্ধ করে আবার খুলে নিলার চোখের দিকে তাকিয়ে ওকে আশ্বস্ত করতে চাইলো।