07-03-2023, 12:30 PM
গতকালই স্ট্রোক হয়েছে। যার জন্য আত্মীয়-স্বজন এখনো সকলে খবর পাইনি। আমার অভিজ্ঞতায় আমি জানি, সচরাচর কোমায় যাওয়া রোগী ফিরে আসে না। তাই বাড়ীতে ফিরে প্রথম কাজ সকলকে খবর দেওয়া। সেই কাজটাই করতে লাগলাম।
সন্ধ্যার মধ্যেই বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজন ভরে গেল। আমার এত সুন্দর মামী, এত আনন্দ প্রিয়, সকলের সবচেয়ে প্রিয় জন এভাবে বিনা চিকিৎসায় মরে যাবে, কেই যেন মেনে নিতে পারছে না। নানীর হাহাকার আর কান্না, থামানো সম্ভব হচ্ছে না।
আমি যেন অলিখিত গার্জিয়ান হয়ে পড়েছি। সবাই আমার আশ্বাসের অপেক্ষায়। অবশেষে সিদ্ধান্ত আমি দিলাম, কিন্তু হঠকারী সিদ্ধান্ত। মামীকে নিয়ে ভারত যাবো। কিন্তু কিভাবে?
এত দ্রুত পাসপোর্ট করা যাবে না। তারপরেও ভিসা। তাহলে উপায়। বাগান পাসপোর্ট। কিন্তু কিভাবে?
পরিচিত দালাল, যারা বর্ডার পার করে দেয়, তাদের সাথে যোগাযোগ করলাম দ্রুত। কিন্তু কেউ রাজি হলো না, এমন অজ্ঞান রোগীকে নিয়ে যেতে। ব্যর্থতায় মনটা খারাপ হয়ে গেল। সবাই তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তাদের বিশ্বাস, আমি যখন বলেছি, তখন আমি পারবো। কিন্তু কিভাবে পারবো আমি।
আমার নানার বাড়ী থেকে সুন্দরবন খুব বেশি দুর না। এক দালাল পরামর্শ দিল, নৌকায় করে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নিয়ে যেতে। গহীন অরন্য, আর অজানা রাস্তা। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। সকলের কান্না আর চোখের পানি, জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর, বিপদ সংকুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করলো আমাকে। যেভাবেই হোক সুন্দরবন পর্যন্ত নিয়ে যেয়ে নৌকা ভাড়া করে রওনা দিতে হবে। ডাংগায় বাঘ আর জলদস্যু। আর নদীতে আমাকে একাই যেতে হবে মামীকে নিয়ে। কেউ রাজি হলো না, আমার সাথে যাওয়ার জন্য। পথ বাতলে যখন দিয়েছি, নিয়ে আমাকেই যেতে হবে। যা হয় হবে, সিদ্ধান্ত নিলাম, যাবই। আমার মামী, যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি ছোট বেলায়, তার জন্য শেষ চেষ্টা আমি করবো।
___________________________
সন্ধ্যার মধ্যেই বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজন ভরে গেল। আমার এত সুন্দর মামী, এত আনন্দ প্রিয়, সকলের সবচেয়ে প্রিয় জন এভাবে বিনা চিকিৎসায় মরে যাবে, কেই যেন মেনে নিতে পারছে না। নানীর হাহাকার আর কান্না, থামানো সম্ভব হচ্ছে না।
আমি যেন অলিখিত গার্জিয়ান হয়ে পড়েছি। সবাই আমার আশ্বাসের অপেক্ষায়। অবশেষে সিদ্ধান্ত আমি দিলাম, কিন্তু হঠকারী সিদ্ধান্ত। মামীকে নিয়ে ভারত যাবো। কিন্তু কিভাবে?
এত দ্রুত পাসপোর্ট করা যাবে না। তারপরেও ভিসা। তাহলে উপায়। বাগান পাসপোর্ট। কিন্তু কিভাবে?
পরিচিত দালাল, যারা বর্ডার পার করে দেয়, তাদের সাথে যোগাযোগ করলাম দ্রুত। কিন্তু কেউ রাজি হলো না, এমন অজ্ঞান রোগীকে নিয়ে যেতে। ব্যর্থতায় মনটা খারাপ হয়ে গেল। সবাই তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তাদের বিশ্বাস, আমি যখন বলেছি, তখন আমি পারবো। কিন্তু কিভাবে পারবো আমি।
আমার নানার বাড়ী থেকে সুন্দরবন খুব বেশি দুর না। এক দালাল পরামর্শ দিল, নৌকায় করে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নিয়ে যেতে। গহীন অরন্য, আর অজানা রাস্তা। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। সকলের কান্না আর চোখের পানি, জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর, বিপদ সংকুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করলো আমাকে। যেভাবেই হোক সুন্দরবন পর্যন্ত নিয়ে যেয়ে নৌকা ভাড়া করে রওনা দিতে হবে। ডাংগায় বাঘ আর জলদস্যু। আর নদীতে আমাকে একাই যেতে হবে মামীকে নিয়ে। কেউ রাজি হলো না, আমার সাথে যাওয়ার জন্য। পথ বাতলে যখন দিয়েছি, নিয়ে আমাকেই যেতে হবে। যা হয় হবে, সিদ্ধান্ত নিলাম, যাবই। আমার মামী, যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি ছোট বেলায়, তার জন্য শেষ চেষ্টা আমি করবো।
___________________________