Thread Rating:
  • 40 Vote(s) - 3.15 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery বিশুদ্ধ আরাধ্যা ( এক গৃহ বধূর কাহিনী )
#7
পর্ব -২ 
 অমর দ্বিতীয় শ্রেণীর রুমে চেয়ারে বসে মোবাইল ব্যাবহার করছে আর মাঝে মধ্যে কোনো ছেলে মেয়ে কে ডেকে কিছু লিখতে দিচ্ছে আবার কাউকে দিয়ে কবিতা বলতে বলছে । মোবাইলে ইন্টারনেট এ সার্চ করে গবেষনা করছে যে কি ভাবে বউ কে সুখী করা বিছানায় যদি আমি হার্টের রোগী হয় । অমর এর মত হাজারো বাঙালি পুরুষ আছে যারা এরকম সার্চ করে থাকে । 

এদিকে ছোটু , 
                   আরাধ্যার রসালো যৌবন এর হালকা দর্শন পেয়ে সে হাসতে হাসতে রাজু কাকার দোকানে পৌঁছাল ।

রাজু কাকা :-
          ( ছোটু কে মুচকি মুচকি হাসি দেখে ছোটু কে ডাক দিলো) এই ছোটু শোন এদিকে আয় ।। 
 ছোটু:- 
          ( হাসতে হাসতে এসে পাশে দাড়িয়ে বলল ) 
       হ্যাঁ, রাজু কাকা বলো !! কিছু বলবে ?? আসলে আমাকে আজ তাড়াতাড়ি ছুটি চাই কাকা , ঘরে যেতে হবে। 

রাজু কাকা :- 
           ( ঘর যাওয়ার নাম শুনে একটু অবাক হলো ) 
    কেনো হঠাৎ করে তোকে ঘরে যেতে হবে কেন , তোর আম্মু,আব্বু ঠিক আছে তো !!! 
 ( ছোটু, আসলে ., এক অজ পাড়াগাঁয়ের ছেলে, তার আব্বু তাকে সহরে পাঠিয়েছে কিছু টাকা কামাই করতে,এক গ্রামের লোকের কথাতে রাজু কাকা র দোকানে পাঠিয়েছে)
ছোটু :- হম !! কাকা সবাই ভালো আছেন !! আসলে অনেক দিন যায়নি তো বাড়ি, তুমি তো জানোই আমি সেই গত বছর এলাম প্রথম কাজ করতে আর এখনো যাওয়ায় হয় নি , তাই ভাবছিলাম ঘুরে আসবো কিছুদিন । 
  
রাজু কাকা :- ওহ এই বেপার ঠিক আছে , কিছু টাকা নিয়ে যাস আর আব্বু আম্মুর জন্য কিছু মিষ্টি নিয়ে যাস । 
ছোটু:- ( মনে মনে ভাবলো, লোকটা ভালো কিন্তু ঘরের গৃহবধূদের নোংরা নজর দেই, শুধু নজর দেই কি আরো কত কি .......ছোটু টাকার কথা শুনে অনেক খুশি ) 
         হ্যাঁ,কাকা বিকেলে আমার বাস, আমি তখন চলে যাবো । 
( ছোটু তার কাজ করতে লাগলো )

রাজু কাকা :- 
       ( কিছু ক্ষন চুপ থেকে , মুখে সেই নোংরা হাসি দিয়ে বললো ) 
   ছোটু , তুই চলে গেলে তোর ওই আরাধ্যা বৌদির মাল মশলা কে দিয়ে আসবে রে ...?? 
ছোটু :- ( আরাধ্যা বৌদি উফফ শুনলেই কি রকম হয় )
        নিজে আসবে , তাহলে তো তুমিও একটু দেখতে পাবে নাহলে তো এখানে শুধু অমর দাই আসে ,কাকা তোমার মুখ চোখ দেখে বোঝা যায় যে তুমি আরাধ্যা বৌদির নিয়ে কি সব চিন্তা করো । 
 রাজু কাকা :- ( এক মুচকি হাসি দিয়ে বললো ) 
           বাহ !! তাহলে তো তুইও ...... 
এমন সময় দোকানে এক মহিলা কাস্টমার এলো , রাজু কাকা আর ছোটু দুজনেই হা করে তাকিয়ে আছে ...... (বাঙালি পাড়ায় সুন্দরী মহিলার অভাব নেই , যদিও সে আরাধ্যা না )
আরাধ্যা মুখার্জি , বয়স মাত্র ২৮ এখন তো যৌবন শুরু কিন্তু আরাধ্যা নামের মহিলা টা তার স্বামীকে ছাড়া অন্য পুরুষ কে কোনোদিন ভাবতে পারবে না ।
এমনকি আরাধ্যা কোনোদিন লাইটের আলোয় সঙ্গম করেনি তার স্বামীর সাথে , আগেও অনেক বার হয়েছে তার শরীর দেখেছে অনেকেই কিন্তু সে কেয়ার করেনি কিন্তু আজ যেভাবে ছোটু নির্লজ্জের মত দাড়িয়ে দেখছিল , এখনো আরাধ্যার লোম খাড়া হয়ে আছে , 
আরাধ্যা নিজের ঘরের সব কাজ ও রাতের নোংরা কাপড় সব পরিষ্কার করে , নিজে একটা ভালো সুতির শাড়ি, ব্লাউজ , ব্রা পেন্টি পরে , নিজেকে আয়নায় দেখছে , খুব সুন্দর লাগছে ফর্সা মসৃন দেহ তার শাড়ীর আঁচল দিয়ে পুরো বুক ঢাকা আর শাড়ির উপর দিয়ে তার মসৃন নরম পেট এর গোল সুন্দর গভীর নাভি যেনো না দেখা যায় , আয়নাতে নিজেকে দেখে সে সিথিতে হালকা সিঁদুর পরে নিল , আসলে আরাধ্যা দিনের বেলা এরকম শাড়ি পরে থাকে কারণ সে জানে তার প্রতিবেশীরা কি রকম , সে সব ঘরের কাজ শেষ করে সোফাতে বসে নিজের পছন্দের সিরিয়াল দেখতে লাগলো, 
ঘরের বাইরে দু তিন বার স্কুল গাড়ির হর্ন বাজলেও শুনতে পেলো না, খুব মন দিয়ে টিভি সিরিয়াল দেখে আরাধ্যা । 

তখন স্কুল বাসের কন্ডাক্টর বিজয় কে কোলে নিয়ে ঘরের বেল টিপলো ...... 
বাস কন্ডাক্টর :- ( সালা নিজের ছেলের খেয়াল রাখতে পারবে না আর জন্ম দিয়েছে ) কই বাবু তোমার ঘরে কি কেউ নেই 

বিজয় কিছু বলার আগেই , বিজয়ের সুন্দরী মা আরাধ্যা দরজা খুললো , বাস কন্ডাক্টর দেখে অবাক কি সুন্দরী ,উফ যেমন চোখ , তেমন ঠোট , শরীর পুরো শাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকলেও নোংরা মানুষ ঠিক দেখে নেবে বাসের কন্ডাকটর ও চোখ হা করে দেখছে , 
বাস কন্ডাক্টর:- কি যে করেন ভাবি ,কত ক্ষন থেকে হর্ন দিচ্ছি ,
আরাধ্যা :- (দরজা খুলে বাইরে দাড়িয়ে নিজের আঁচল টা ধরে বললো) , সরি দাদা , আসলে আমি একটু ব্যাস্ত ছিলাম ,
 বাস কন্ডাক্টর;- ( আরাধ্যা কে নিজের চোখ দিয়ে শরীরের প্রতিটি ভাঁজ দেখে , শরীরের গন্ধ নিয়ে বললো ) না ভাবী সরি , যদি আপনার কাজে ডিস্টার্ব করলাম , দাদা কি এখন বাড়িতে থাকেন না । 
 আরাধ্যা কথার মানে বোঝার পর কিছু বলার আগেই কন্ডাক্টর পালিয়ে গেলো, সে বাসের দিকে তাকিয়ে দেখলো কন্ডাক্টর তার দিকে তাকিয়ে হাসছে । 
আরাধ্যা লজ্জায় রাগে বিজয় কে কোলে নিয়ে চলে গেল ঘরের ভিতর । 
আরাধ্যা :- (সোফাতে বসে নিজের ছেলের স্কুল ড্রেস খুলতে খুলতে ছেলের দিকে দেখলো, একটা ফুটফুটে ছেলে , নিষ্পাপ শিশু , স্কুল ড্রেস খুলে , গালে একটা চুমু খেয়ে বললো ) সোনা আজ স্কুলে কি হয়েছে , তোমার সব হোম ওয়ার্ক সব দেখিয়েছো তো , 
বিজয় পড়াশোনায় খুব ভালো তার ছোট মুখ দিয়ে ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দে বললো :- মা জানো আজ স্কুলে অনেক মজা করেছি , আর আমার হোম ওয়ার্ক দেখে নাও সব ঠিক করেছি । 
আরাধ্যা ছেলের কথা শুনে খুশি হয়ে আরেকটা চুমু দিয়ে নিজের কোলে বসিয়ে নিল আর নিজের ছেলের ব্যাগ খুলে হোম ওয়ার্ক বের করতে যাবে, হাতে লাগলো টিফিন বক্স টা , টিফিন বক্স খুলে দেখলো যেমন সে টিফিন দিয়েছিল ওই রকমেই আছে , কোলে বসা নিজের ছেলে কে জড়িয়ে ধরে বললো :- বাবু সোনা তুমি তো টিফিন খাও নি , খাবার না খেলে তো দুর্বল হয়ে যাবে সোনা । 
বিজয় :-( কোলে বসে টিভিতে কার্টুন লাগিয়ে মায়ের কোলে বসে বলল ) মা এটা ভালো লাগে না খেতে , আমি আমার এক ফ্রেন্ড সে অনেক ভালো খাবার এনেছিল আমি আর আমার বন্ধু মিলে খাবার খেয়েছি , আমার টিফিনের থেকে অনেক ভালো খাবার জানো মা 
আরাধ্যা কি বলবে বুঝতে পারছে না ,সে হেসে বললো ঠিক আছে সোনা বাবু আমার কাল থেকে ওরকম টিফিন বানিয়ে দেবো কেমন !!! এখন চলো তোমাকে স্নান করিয়ে দি তারপর তুমি কার্টুন দেখবে কেমন । 
বিজয় আর তার মা , দুইজনে বাথরুমে ঢুকে , আরাধ্যা বিজয়কে ভালো ভাবে স্নান করিয়ে দিয়ে তাকে খাইয়ে দাইয়ে সোফাতে বস করিয়ে দুজনে টিভি দেখতে লাগলো ।

 
 
 শহরের দামী দামী প্রাইভেট স্কুলের কাছে যেন প্রাইমারি স্কুল গুলো কোনো জায়গা পাচ্ছে না , তাই সরকার প্রতিটা প্রাইমারি স্কুলে একটা সরকারি অভিযান শুরু হবে ....... এমন নোটিশ দেখে কলকাতা প্রাইমারি স্কুলের হেড স্যারের মাথায় যেন বাজ পড়ল । হেড স্যার বয়সে ৫৬ পেরিয়েছে কিছু দিন পর রিটায়ারমেন্ট তাই সে চাই অন্তত এই ৪ বছর যেন স্কুল ভালো চলে , নোটিশ দেখেই হেড স্যার দ্বিতীয় শ্রেণীর রুমের দিকে হনহনিয়ে হাঁটতে শুরু করলো, সেখানে পৌঁছে অবাক , স্কুলের সব চেয়ে বাজে শিক্ষক অমর মুখার্জি মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত আর তার ছাত্র ছাত্রী চেঁচামেচি করছে , 
হেড স্যার :- ( অনেক রেগে কিছু ধমক দিয়ে বললো ) 
       অমর , এসব কি হচ্ছে ???  
অমর :- ( মোবাইলে তখন সে নিজের রোগ আর বউ কে কিভাবে সুখী করা যায় সেটা দেখছিল , ধমক শুনে চমকে গেল , চেয়ার থেকে উঠে মোবাইল পকেটে রেখে বললো ) 
     স্যার ! আপনি.... কি হয়েছে স্যার ?? আমি স্যার এখন ক্লাস নিচ্ছি পরে কথা হবে স্যার ।। 
হেড স্যার :- ( কি বলে গালি দেবে এই মাদারচোত কে ভেবেই পেলো না , তখন একটু শান্ত হয়ে বললো ) 
   জানি তুমি ক্লাস নিচ্ছো, অমর বাবু ( ক্লাস রুমে ঢুকে , টেবিল এর সামনে দাড়িয়ে অমর এর দিকে রেগে তাকিয়ে পকেট থেকে একটা লেটার টেবিলে ছুড়ে মারলো ) এই নাও তোমার ৭ দিনের সাসপেন্ড লেটার , এখন আর স্কুল আসতে হবে না । 
 অমর :- ( নির্লজ্জের মতো লেটার টা হাতে নিয়ে খুলে পড়ে বললো ) স্যার , বেতন পাবো তো!! ওটা পেলেই হবে ?? 
হেড স্যার :- ( একটু রেগে অবাক হয়ে ভাবছে এগুলো কি করে শিক্ষক হতে পারে ) না কোনো বেতন পাবে না এই সাত দিনের ...... তুমি এখন আসতে পারো , সাত দিন পরে জয়েন করে নিও । 
অমর ক্লাসের চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো তার ছাত্র ছাত্রী কিভাবে তাকিয়ে আছে যেন সে কোনো আসামি কারন হেড স্যার ওইভাবেই রিয়েক্ট করেছে , অমর হেড স্যারের দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো ।। 
হেড স্যার ছোট ছোট স্টুডেন্ট দের তাকিয়ে বলল আজ থেকে সাত দিন আমি তোমাদের ক্লাস নেবো কেমন । 
অমর কথা টা শুনে আরো রেগে গেলো , আসলে অমর অনেক ভালো লোক কিন্তু সে কোনোদিন বেশি পরিশ্রমী ছিল না কারন তার হার্ট এ সমস্যা । অমর একটু দুঃখ পেয়ে নিজের বাইকে উঠে স্টার্ট দিয়ে ঘরের দিকে রওনা দিলো , সে এখন ভাবছে কিভাবে আরাধ্যা কে ম্যানেজ করব , সাত দিন উফ , তার বাইক শহরের ভিড় ট্রাফিকের মধ্যে এগোতে লাগলো । 

ছোটু রাজু কাকার কাছে তিন হাজার টাকা নিয়ে বিদেয় হলো , তখন ভর দুপুর রাস্তাতে খুব কম লোক , রাজু কাকা রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে, সে সময় অমর এর বাইক আসছে তা দেখে রাজু কাকা জোরে ডাক দিলো, ভাইপো , অমর ভাইপো । 
অমর রাজু কাকার দোকান পেরিয়ে যাচ্ছিল কাকার আওয়াজ শুনে গাড়ি বন্ধ করে ওখানেই গাড়ি থামিয়ে একটু লজ্জা , ভয় রাগে রাজু কাকার সামনে এসে বললো , কাকা বলো গো , আজ কাল কাকা ভালো মানুষ বলতে নেই বুঝলে কাকা
 রাজু কাকা জানে অমর এরকমই একটু চালাক কথার মাধ্যমে লোক কে নিজের করে নেই , রাজু কাকা অমর এর কথা না শোনার মত করে বলল :- ভাইপো অনেক দিন তো হলো টাকা টা কবে দেবে , কাকা দোকানের টাকার কথা বলছি না , ওটাতো দিয়েই দেবে না দিলে আমাকে তো জানোই আমি কি করতে পারি !!! 
অমর রাজু কাকার কথা শুনে একটু ঘাবড়ে গেলো , আসলে সে রাজু কাকা কে কথা দিয়েছিল যে তাকে ২ লাখ টাকা দিলে পরে আমি চাকরি পেলেই ফেরৎ দিয়ে দেবো , কারন এই চাকরি টা সে ঘুষ দিয়ে পেয়েছে , আর এটা রাজু কাকা আর যারা চাকরি দিয়েছে তারাই জানে , অমর এর স্ত্রী একদম এটা জানে না ,
অমর রাজু কাকার মুখে এরকম কথা শুনে একটু , ভেবে বললো , কাকা আগামী মাসে দিয়ে দেবো প্লিজ কিছু দিন সময় দাও তুমি তো জানো আমার অবস্থা । 

রাজু কাকার পরিবারে সেরকম কেউ নেই সে আর তার ভাই এর পরিবার থাকে আর রাজুর একটা দোকান আছে , তার আগে সে আর্মি তে চাকরি করতো । চাকরি সূত্রে কিছু জমা টাকা ছিল সেই টাকা থেকে কিছু টাকা অমর কে দিয়েছিল এটা ভেবে যে আরাধ্যা কে দেখতে পাবে , টাকা নিলে হয়ত কিছু মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে উঠবে কিন্তু এরকম কিছু হয়নি । 
রাজু কাকা একটু হেসে বললো আরে অমর ভাইপো তুমি তো সিরিয়াস হয়ে গেলে, আমার টাকা চাই না তুমি যখন পারো দিও , তোমাকে জাস্ট মনে করিয়ে দিলাম , এখন মনে হয় স্কুল থেকে আসছো, যাও বাড়িতে যাও বৌমা অপেক্ষা করছে হয়ত । 
অমর শুধু হম বলে গাড়িতে উঠে , সেলফ দিয়ে বাইক স্টার্ট করে সে মনে মনে বললো , সালা আমি জানি না , তুমি টাকা চাও কি না , রাজু কাকা তুমি সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর । আমি সামান্য প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, তাও আবার কারো কাছে টাকা ধার করে , রাজু কাকা তখন জানিনা কিজন্য বিনা সুদে টাকা দিয়েছিল নাহলে আজ পুরো পরিবার নিয়ে সুইসাইড করতে হতো , এদিকে আমার স্ত্রী চাই ছেলে যেনো ভালো ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে, স্ত্রী এসব কিছুই জানে না কারণ অমর কোনোদিন জানতে দেই নি , তার স্ত্রী ভাবে আমাদের সংসারে তো বেশি টাকার প্রয়োজন নেই , আমার বেতনের টাকা দিয়েই অনেক কিছু করা যাবে , সে তো আর জানে না আমার কি অবস্থা , তাকে বলবো কি ভাবে খুব ভালোবাসে আমায়, আমি চাই না সে টেনশন করুক । আজ আবার সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড এসব ভাবতে ভাবতে ঘরের কাছে এসে পৌঁছাল ,বাইক থেকে নেমে ঘরের মেইন দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে একটা জোরে নিশ্বাস ফেলে মুখে হাসি নিয়ে বেল টিপলো............. 

তখন বিজয় দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে বাবা !! বলে অমর এর হাত ধরে ঘরে আনলো ।
 অমর চারিদিকে দেখলো আরাধ্যা নেই, বিজয় কে কোলে নিয়ে বললো , বাবু তোমার মা কোথায় , বাবু ?
বিজয় বললো, মা ওই ঘরে আছে , বলে আঙ্গুল দিয়ে অমর আর আরাধ্যার বেডরুমের দিকে দেখিয়ে দিল । 
অমর বললো, বাবু তুমি টিভি দেখ আমি তোমার মা কে ডেকে নিয়ে আসছি বলে , দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ভাবলো দেখি আমার বউ টা কি করে , অমর দরজার কি হোল এ চোখ লাগিয়ে ভিতরে দেখলো , তার বউ টা শুয়ে আছে , সে দরজা খুলে আস্তে করে রুমে ঢুকলো, দুপুর বেলা ,একটু খাওয়ার পর আরাধ্যা কে যেনো ঘুমে জড়িয়ে ধরে ,
অমর বেডের পাশে বসে , তার সুন্দরী স্ত্রীকে দেখে যেনো সব টেনশন ভুলে গেলো ,
আরাধ্যা পাশ ফিরে শুয়ে আছে দুটো পা এক সাথে ভাঁজ করে, হাত দুটো ঠিক দুটো বড়ো বড়ো দুই স্তনের সাইডে রেখে যেনো স্তন দুটোকে আরো বড় করেছে , মুখ টা কি মায়াবী, ঘুমের মধ্যে যেনো কোনো পরী, লম্বা কালো চুল , হালকা গোলাপি রসালো ঠোঁট মাথার সিথীতে একটু সিঁদুর যেনো আরো রূপসী করে তুলেছে...... অমর আরাধ্যার পায়ের কাছে বসে দেখলো শাড়ির উপর দিয়ে পাছার দাবনা দুটো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে , 
অমর আর না থাকতে পেরে হাত বাড়িয়ে শাড়ির উপর দিয়ে পাছা ছোবে, 
এমন সময় দরজা তে দাড়িয়ে বিজয় বললো , বাবা কত ক্ষন লাগে মা কে ঘুম থেকে তুলতে , বলে বিজয় দৌড়ে বেডের উপর উঠে তার মা কে ধরে ডাকতে লাগলো , মা ! মা! উঠো বাবা এসেছে । 
আরাধ্যা ঘুম থেকে উঠে চোখের সামনে অমর কে দেখে চমকে গেলো , তুমি এই সময় মানে এখন তো তোমার স্কুল আছে তাই , বলে বেড থেকে উঠে ড্রেসিং টেবিলের সামনে নিজের শাড়ি আর চুল ঠিক করে চুল গুলো খোলা আছে । 
অমর তার স্ত্রীকে আয়নার সামনে দেখে বললো , না গো আমি আজ থেকে ৭ দিন ছুটি নিয়েছি তোমাদের সাথে সময় কাটানোর জন্য ।
আরাধ্যা আয়নার সামনে দাড়িয়ে ঘাড় টা হালকা ঘুরিয়ে অমর এর দিকে তাকিয়ে একটু মজা করে বললো , বাহহ!! তুমি তো জাস্ট কিছু ক্ষন ঘরের বাইরে থাকো, বাকি সময় তো আমাদের সাথেই থাকো । আচ্ছা ঠিকই আছে ভালো করেছো তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি , বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো । 
অমর মনে মনে হাসলো, সে মাথায় এক রাশ চিন্তা নিয়ে বাথরুমে ঢুকে , একটু অবাক হলো যেনো বাথরুমে কি রকম গন্ধ । সে ইগনোর করে ঠান্ডা জলের শাওয়ার চালিয়ে স্নান করে বেরিয়ে একটা ট্রাক সুট আর গেঞ্জি পরে বের হলো । 
বিজয় টিভি দেখছে , অমর একটু বিরক্ত হলো , অনেক টাকা খরচ করে পড়ানো হয় অথচ ঘরে বসে শুধু টিভি দেখে , একটু রেগে কিচেন এ গিয়ে আরাধ্যা কে বললো , কি গো , এগুলো কি হচ্ছে, ছেলেটা তো সারাদিন টিভি ই দেখে , এরকম হলে কি তোমার স্বপ্ন পূরণ হবে ছেলেকে ডাক্তার বানানোর জন্য তো ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করালে । 
আরাধ্যা প্লেটে ভাত, ডাল,সবজি সাজাতে সাজাতে সাজাতে বললো, না গো , ওকে বেশি চাপ দেবো না , এমনি তেই ওর অনেক বুদ্ধি একদম ওর মায়ের মতই , বলে প্লট টা নিয়ে ডাইনিং টেবিলে রেখে বললো , এসো , খেয়ে নাও, বাবু সোনার স্কুলে রিপোর্ট কার্ড দেখে নেবে সে অনেক ভালো পড়াশোনাতে । 
অমর একটু বিরক্ত হলো, তাহলে তো আমার ছেলের কাছেই আমার হার্টের প্রবলেম টা দেখাবো । 
কথা শুনে হাসি খুশি আরাধ্যা যেনো চুপ হয়ে গেলো , 
অমর খাবার আয়েশ করে খেতে লাগলো , দেখলো আরাধ্যা চুপ হয়ে বসে আছে , আরু !!! সরি ভুল করে বের হয়ে গেছে , আর বলবো না কোনোদিন , আজ কিন্তু দারুণ রান্না হয়েছে একটু বেশি মিষ্টি লেগেছে । 
আরাধ্যা একটু খুশি হয়ে বলল , সত্যি তোমার ভালো লেগেছে গো , আসলে আজ রান্না তে একটা নতুন জিনিস এড করেছি , আমার ভালোবাসা গো , বলে মুচকি হাসলো । 
অমর এর এই আরাধ্যা কে খুব ভালো লাগে , আরাধ্যার এই দুষ্টু দিক টা , কিন্তু সে বাইরে কারো সাথে কথা বলে না ,সে শুধু আমাকে ভালো বাসে । 
অমর একটা আঙ্গুল মুখে পুরে চুষতে চুষতে বললো , তোমার ভালোবাসা , আমি ভালোবেসে খাচ্ছি , 
আরাধ্যা লজ্জা পেলো, আজ অনেক দিন পর আরাম করে এই দুপুরে খেলাম গো ......... অমর চেয়ার ছেড়ে বেসিনে হাত ধুয়ে জিজ্ঞেস করলো ,আচ্ছা ! আরু !!! বাথরুম থেকে কি রকম একটা বাজে গন্ধ আসছে । 
আরাধ্যর কথা টা শুনে বুকের ধুক পুকানি বেড়ে গেলেও , সে কোনমতে প্লট টা হাতে তুলে , মুখ যেনো শুকিয়ে গেছে ভয়ে , নরমাল ভাবে বললো , হমম গো, একটা টিকটিকি মরে ছিল ,আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি , জানো গো পরিষ্কার করার সময় আমি তো বমি করে নিতাম , সরি গো !! তোমাকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম !!! 
অমর , আরাধ্যার কথা শুনে বললো , না না ঠিক আছে বেশি গন্ধ না হালকা ছিল , বলে একটা সিগারেট নিয়ে জানলার পাশে টানতে লাগলো । 
আরাধ্যা হাফ ছেড়ে বাঁচলো যেনো, কিচেন এ ঢুকে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো । 




To be continued.....
Like Reply


Messages In This Thread
RE: আরাধ্যা - by ronylol - 03-03-2023, 10:28 AM
RE: আরাধ্যা - by Sadhasidhe - 03-03-2023, 12:28 PM
RE: আরাধ্যা - by Dushtuchele567 - 03-03-2023, 02:26 PM
RE: আরাধ্যা - by Dushtuchele567 - 03-03-2023, 03:10 PM
RE: আরাধ্যা - by chndnds - 03-03-2023, 06:59 PM
RE: আরাধ্যা - by অন্য জগৎ - 04-03-2023, 01:51 AM
RE: আরাধ্যা - by Dushtuchele567 - 04-03-2023, 11:14 AM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)